২০১০ সালের সূচনাতে, চট্টগ্রাম গেলাম সায়ীদ স্যারের সঙ্গে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। ভ্রমণের আরেক সঙ্গী অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ(আমাদের পাড়াতো বোনকে বিয়ে করার সুবাদে আমি যার শ্যালক হই!)।
পৃথিবীর অন্ধকার অধীর বাতাসে গেছে ভ’রে —
শস্য ফলে গেছে মাঠে — কেটে নিয়ে চলে গেছে চাষা;
নদীর পারের বন মানুষের মতো শব্দ করে
অ্যাশ (আশরাফুল) এর ভক্ত আমি সেই ছোট বেলা থেকে। ইন্ডিয়ান এজ লেভেলের ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে এসেছিল কোনো একটা সিরিজ খেলতে, আমার ঠিক মনে নেই। এতদিন আগের কথা আর ছিলামও যথেষ্ট ছোট। অ্যাশ এর বয়স তখন ১৪ কি ১৫ বছর। ওই সিরিজেই প্রথম অ্যাশ এর ব্যাটিং দেখা। যতদুর মনে পরে ৭৪ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই যে চোখে লেগে গেল তার অসাধারণ ব্যাটিং তা একেবারে চোখ দিয়ে ঢুকে মনে গিয়ে যায়গা করে নিল!
আজ ৩১শে মে, ২০১৩।
না, এমনিতে কোন বিশেষ দিন নয়। কিন্তু একজন মানুষের কাছে আজকের দিনটা খুব মন খারাপ করা, ভারি হয়ে ওঠা একটা দিন। তিনি একজন সাধারন মানুষ, খাটো উচ্চতার একজন মধ্যবিত্ত স্কুলশিক্ষক। আজ তাঁর অবসরগ্রহণের দিন।
আজ সারাদিনই টিপটিপ বৃষ্টি। ঝড়ের লক্ষণ ছিল না মোটেও। রাত সারে ৯ টায় কোথা থেকে যেন ঝড়ো বাতাস এসে হামলে পড়লো! সে কি বাতাস!! আছি পাঁচ তলায় এবং বাসার দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকটা ফাঁকা,কাছাকাছি বিল্ডিং নেই। শোঁ শোঁ আওয়াজ এসে যেন আছড়ে পড়ছে! কত যে ক্ষোভ তার!!
উইলিস টাওয়ার