শীতের মধ্যে হুট করে কুয়াকাটা যাওয়ার পিনিক উঠলো- সাগর দেখিনা বহুদিন। পোলাপাইন অর্থাৎ রিমন,কিরন, আমি মিলে সিলেট থেকে রওনা দিলাম ঢাকা, ঢাকায় তাবু রাখা ছিল- ঢাকায় জুটলো দুইজন- রফি ভাই এবং তুর্য। ঠিক হল তিন দিন এর ট্যুর হবে সুতরাং তিন দিনের রসদ কিনে নিলাম রেডি মিক্স খিচুড়ি, নুডুলস- চকোলেট, চা চিনি ইত্যাদি- বালিশ ছিলনা পাঁচ টা ইনফ্লাটেবল বালিশ কিনে নিলাম বায়তুল মোকাররম থেকে। সিলেটে এবং ঢাকায় তখন
[justify]দেশ ছাড়ার আগে এনটিভিতে একটি সিরিজ নাটক দেখতাম, আমাদের আনন্দবাড়ী। মন খারাপ করা একটা নাটক, তারপরেও দেখতাম। কিভাবে যৌথ পরিবার গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে সেই নিয়ে গল্প। নাটকটির শেষ পর্ব আরো মন খারাপ করা। সবাই একেক দিকে চলে যায়, যৌথ বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয় নতুন কোন উঁচু এপার্টমেন্ট গড়ার জন্য। রাস্তা দিয়ে সেই বাড়ির মেয়েটি একা একা হাঁটতে হাঁটতে একরকম দম বন্ধকরা কষ্টকর অনুভূতি নিয়ে নাটকটি শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার আনন্দবাড়ী বলতে ছিল আমার হল, আমার ক্যাম্পাস। আমাদের আড্ডামুখর সেই সময়গুলি হারিয়ে গেছে, আমরা চলে গেছি একেক জন একেক দিকে। আমাদের আনন্দবাড়িটি অবশ্য ভেঙে ফেলা হয়নি, তবে সেখানে এসেছে নতুন মুখ।
‘একদিন সকালে একমনে খবরের কাগজ পড়ছি, বলাই আমাকে ব্যস্ত করে ধরে নিয়ে গেল বাগানে। এক জায়গায় একটা চারা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কাকা এ গাছটা কী।”
দেখলুম একটা শিমুল চারা বাগানের খোওয়া দেয়া রাস্তার মাঝখানে উঠেছে।’
১.
আমি তো শুধুই কথা বলে যাই- বলার জন্য বলা। বলতে হয় তাই বলা। আমার কথায় তো গভীরতা নেই। শুধুই কথা, একগুচ্ছ শব্দের নিছক শব্দ। চোখে আমার নদী নেই, সমুদ্রের বিশালত্ব নেই। মৃতপ্রায় চোখ দু’টি শুধুই চেয়ে থাকে। কথা বলে না সে চোখ। কোনো ভাষা নেই তাদের। তাই নির্জনতাই স্থায়ী হোক। একান্ত নীরবতায় কাটুক সময়। রাত্রির গভীরতা পাক রহস্যকে আর রহস্য তোমাদের; যেমনটা পেয়েছি আমি।
২.
আমাদের দেশে আমরা কিভাবে কিভাবে যেন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যে বা মনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করার জন্যে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদকাল ঠিক করে ফেলেছি। সর্বজনবিদিত গ্রহণযোগ্য সময়সীমার আগে পিছে হয়ে মেয়াদত্তীর্ন হয়ে গেলেই আমাদের ভ্রূ কুঁচকে যায় আর মনে মনে ভাবতে থাকি- এই সময়ে এটা একটু কি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল নয় কি?