ডারুইনের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শুক্র, ১৩/০২/২০০৯ - ৮:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীতে অল্প যে ক'জন দাঁড়িওয়ালা বিরাট সুনাম কামিয়েছেন(দাঁড়ির জন্যে নয়) তাদের মাঝে কার্ল মার্ক্স, রবীন্দ্রনাথ, আব্রাহাম লিঙ্কন,ডারুইন প্রমুখের কথা কম বেশি সবাই জানি। ইতিহাসের কী বিচিত্র গতি! এদের মাঝে দুই প্রভাবশালী দাঁড়িওয়ালা একইদিনে জন্মেছিলেন এবং দুইজনেই পরবর্ত্তীতে মানুষের মানচিত্র পালটে দিয়েছিলেন।লিঙ্কন আর ডারুইন।

আজ দুজনেরই ২০০ বছর পুর্তি পালিত হচ্ছে । কিন্তু সমান আন্তরিকতায় নয়। সকালে ঊঠে ভাবছিলাম যে সি এন এন -টা খুলব না। বার কয়েক নিজের সাথে লড়াই করে শেষমেষ ঔৎসুক্যের হাতে পরাজিত হলাম।ঠিক যা ভেবেছি, তাই।

ছিঃ এন এন একেবারে উৎসব মুখরিত। না ডারুইন কে নিয়ে নয়। লিঙ্কন কে নিয়ে। বিশাল আয়োজন। লিঙ্কন থেকে ওবামা---এই শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যাতে নানান জায়গা থেকে লোকজন ধরে নিয়ে আসা হয়েছে(যাদের 'বিশেষজ্ঞ' নামে চালান হচ্ছে)। তারা লিঙ্কন-ওবামা'র নানান মিল অমিল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন করছেন।অনুষ্ঠান পরিচালিকা মনে হল আনন্দে আপ্লুত হয়ে এক পর্যায়ে কেঁদেই ফেলবেন---

প্রায় মিনিট ৪৫ অপেক্ষা করে বুঝলাম, আজকে অন্য দাঁড়িওয়ালার কোন খবর শুনতে হচ্ছে না। সেলুকাসের বাচ্চা--এসে দেখে যা, আসল 'বিচিত্র' দেশ কোনটা।

লিঙ্কন আর ডারুইন---অনেকে হয়ত বলবেন তাঁদের কাজের ক্ষেত্র ছিল ভিন্ন। আমি বলব,মোটেই না। তাঁরা দুই জনেই মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন। একজন খুলেছেন পায়ের শেকল, আর আরেকজন খুলেছেন মনের। অথচ আজ দুই জনের অবস্থান দুইস্থানে। একই সম্মান ও সম্ভ্রম নিয়ে দু'জনের নাম উচ্চারিত হয় না।

The Economist গতকাল একটা চার্ট প্রকাশ করেছে যেখানে পৃথিবীর কিছু কিছু দেশে বিবর্তনবাদের হালফিলের দশা দেখানো হয়েছে। সচলদের সুবিধার জন্যে আমি চার্টটা এখানে দিয়ে দিচ্ছি। চার্টটা দেখলেই বুঝতে পারবেন ডারুইনের গ্রহনযোগ্যতা আসলে এক রকমের ধর্মীয় গোঁড়ামি নির্নয়ের কষ্টি পাথর। যে দেশ যত গোঁড়া, ডারুইন সে দেশে তত কম স্বীকৃত। আপনার আমার সকলের প্রত্যাশা পূরণ করেছে আমেরিকা। পৃথিবীর মাঝে যে ক'টি দেশে ডারুইন সব চাইতে কম গ্রহনযোগ্য তাদের অন্যতম হচ্ছে আমেরিকা। তবে তারা শিরোপাধারী নয়। সে 'অমূল্য' সম্মানের নিরঙ্কুশ ভাগীদার হল--তুরস্ক, ইউরোপের মাঝে সবচাইতে গোঁড়া এবং আমার মতে সবচাইতে 'বিভ্রান্ত' জাতি।
এই রাজা-উজীরের ভিড়ে আমাদের দেশের মত চুনোপুটিদের খবর কেই বা নেয়?

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, আমাদের দেশে যদি এখন জরীপ চালান হয় বিবর্তনবাদের গ্রহনযোগ্যতার উপর, কেমন করব আমরা?? গত বছর হলেও আমি হয়ত এই রকম প্রশ্ন করার আগে দু'একবার ভাবতাম। ভাবতাম, একটা জানা উত্তর আবার নতুন করে জানার কি আছে? কিন্তু এ বছর আমার বুকে নতুন হাওয়া ভরে দিয়েছে। আমি নতুন করে ভাবতে বসেছি---আমরা এখনো মৌলবাদের হাতে দাসখত লিখে দেই নি। এখনো আমাদের আশা আছে।

সেই আশার আলোয় দাঁড়িয়ে, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই---বিবর্তনবাদকে আপনি কতটুকু গ্রহনযোগ্য মনে করেন?

আমি জানিনা সচলে কিভাবে জরীপ চালাতে হয়। এই বিষয়ে কেউ আমাকে সাহায্য করলে কৃতার্থ হই।

পুনশ্চঃ কিঞ্চিত অপ্রাসঙ্গিক শোনালেও বলার লোভ সামলাতে পারছি না, ভ্যাটিকান সিটি থেকে পোপের পক্ষ থেকে একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ঘোষনা
দিয়েছেন যে ডারুইন এর বিবর্তনবাদের সাথে খ্রীষ্টীয় ধর্মবিশ্বাসের কোন দ্বন্দ্ব নেই। 'আসলে বিবর্তনবাদ বলতে আমরা ঈশ্বর যেভাবে এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, সেইটাই বুঝিয়ে থাকি', বলেছেন আর্চ বিশপ জিয়ানফ্রাঙ্কো রাভাসি।
হুমম, কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে, তাই না? হুমম, বাংলা প্রবাদ মনে পড়ে যাচ্ছে---মামলার রায় যাই হোক না কেন, তালগাছটা মনে হচ্ছে পোপের কাছেই থাকছে----


মন্তব্য

বন্যা এর ছবি

অনিকেত, ধন্যবাদ আপনাকে ডারউইন দিবস নিয়ে লিখার জন্য। এটা ঠিকই যে, ডারউইন বুড়োকে নিয়ে পপুলার মিডিয়ায় কোন কর্মকান্ডই চোখে পড়ে না। তবে এবছর মনে হয় আগের চেয়ে অনেক বেশী সাড়া পাওয়া গেছে বিভিন্ন মহল থেকে, সারা বিশ্বজুড়েই। আমরা মুক্তমনা থেকে একটা বিশেষ ওয়েব সাইট করেছি ডারউইন দিবস উপলক্ষ্যে। আপনার লেখাও দেখলাম সেখানে, পড়ে বেশ ভাল লাগলো। এখানে ভবিষ্যতে বিবর্তনের উপর বাংলায় একটা আর্কাইভ করার ইচ্ছে আছে। ডারউইন দিবস নিয়ে মুক্তমনার বিশেষ আয়োজন এখানে দেখতে পাবেনঃ
http://mukto-mona.com/
তবে আশা যে একেবারে নেই তা নয়। বাংলাদেশে দেখলাম সুন্দর একটা শোভাযাত্রা হয়েছে, বিজ্ঞান চেতনা পরিষদ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ছবি দেখে মনে হল – লোক কিন্তু কম হয় নি একেবারে। সারা বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন আমাদের মনে ক্ষীণ হলেও আশা জাগায়। বাংলাদেশের অনেক প্রগতিশীল সংগঠন এতে অংশগ্রহন করেছে এবং সারা বছর ধরেই বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এখানে প্রথম আলো এবং সমকালের খবর এবং সেমিনারের অ র্যা লির ছবি দেখতে পাবেনঃ
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=965
শিক্ষানবিশের ফেসবুক একাউণ্টে এর অনেক ছবি দেওয়া আছেঃ
http://www.facebook.com/photo_search.php?oid=45409314487&view=all
মুশকিল হল আমরা চুপচাপ অলস সময় কাটালেও মৌলবাদী প্রতিপক্ষরা কিন্তু বসে নেই। আমি ভাবতাম বাংলায় আর ইউটিউবে এমন কি আছে! বিশেষ করে বিজ্ঞান এর কিছু থাকার প্রশ্নই আসে না। আসলেই তেমন কিছু নেইও। কিন্তু বিবর্তনবাদ নিয়ে ডঃ আখতারুজ্জামানের একটা ইন্টারভিউ নিয়ে সেটা ইউটিউবে দিতে গিয়ে তো হতবাক হয়ে গেলাম। দেখলাম সেখানে জাকির নায়েক সাহেবের 'কলাপ্স অব ডারউইনিজম' বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে। বাংলায় মহা ঘটা করে অনুবাদ করা হয়ে গেছে অনেকগুলা পর্বে। আসলেই এই মৌলবাদীরা আমাদের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে আছে, আর আমরাই শুধু চুপ করে বসে থাকি। আপনার প্রস্তাব অনুযায়ী, সচলায়তনের পাঠকদের মধ্যে একটা জরীপ চালানো গেলে কিন্তু মন্দ হত না। বোঝা যেত আমরা কোথায় আছি।

অনিকেত এর ছবি

বন্যা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সদয় কিছু মন্তব্য করার জন্য।
আপনি এবং অভিজিৎ দা মিলে যে দুরূহ কার্য সম্পাদন করেছেন, বাংলা ব্লগিং জগতে মুক্ত মনের প্রসারে যে ভুমিকা রেখেছেন এবং এখনো রেখে চলেছেন, সে জন্য আমি আপনাদের দুই জনকেই অনেক উঁচু একটা আসনে বসিয়ে রেখেছি।

আপনার সাথে আমি একমত যে, এইবার ডারুইন অনেক বেশি মনোযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও তুলনামুলকভাবে কিছুই হয়ত না। কিন্তু এই যে প্রক্রিয়াটা শুরু হল, এইটাই জরুরি জিনিস।

জরীপের মত কিছু করতে পারলে আসলে ভাল হত। জরীপ হলে সেখানে আসলে যে কেউ তার মতামত ব্যক্ত করতে পারবেন নির্ভয়ে এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অক্ষুন্ন রেখে। দেখি মোডারেটররা এই বিষয়ে কিছু সাহায্য করতে পারেন কিনা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ব্যক্তিগতভাবে বিবর্তনবাদকে সমর্থন করি।
কিন্তু আমাদের দেশে মৌলবাদকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা ঘৃণা করলেও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বিবর্তনবাদকে গ্রহণ করতে নারাজ। মৌলবাদ আর ধর্মভীরু- দুইটা মনেহয় এক কথা না। -এটা আমার মত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

হুমম, মানছি তোমার কথা।

অভিজিৎ এর ছবি

ধর্ম মানার কারণে যদি বিজ্ঞানকে বিসর্জন দিতে হয়, আর মানতে হয় রূপকথাকে তবে সেই ধর্মভিরুতা মৌলবাদ থেকে বোধ করি খুব একটা বেশি দূরে আর থাকে না।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

রূপকথা বিশ্বাস করি না। বিবর্তনবাদই গ্রহণযোগ্য!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এনকিদু এর ছবি

মিথলজী আমার খুব প্রিয় জিনিস । কিন্তু তারপরেও "আমি কোত্থেকে এলাম" তা জানার জন্য সেমাইট মিথের (বা অন্য কোন মিথের) সৃষ্টি তত্ত্বের গল্পের চাইতে বিবর্তনবাদের দিকে তাকাতেই বেশি পছন্দ করি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

শিক্ষানবিস এর ছবি

ধর্মভীরু বা মৌলবাদী যে যাই হোক না কেন, আমার মনে হয় তারা বিবর্তন মানে না কারণ, বিবর্তন সম্পর্কে জানে না। নিউটনের সূত্র নিয়ে তো কোন ডাউট নেই। তাহলে বিবর্তন নিয়ে কেন সবার সন্দেহ। কারণ মানুষকে যা শোনানো হয় তারা তাই বুঝে। জন্মের পর বাপ-মার কাছ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা যতটা পায় বিবর্তন শিক্ষা তারা তার ১০০ ভাগের এক ভাগও পায় না। এটা শিক্ষার ব্যর্থতা। সবাইকে যদি জানানো যেত, বিবর্তন বিজ্ঞানীমহলে একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য, তাহলে শতকরা ৫০ ভাগই তা মেনে নিতো।

এমনকি ধার্মিকেরাই বিবর্তন মেনে নিতো। পোপের কথা শুনেই আমরা তা বুঝতে পারি। যখন তারা দেখে সব প্রমাণ হয়ে গেছে, তখন প্রমাণিত সত্যের সাথেই ধর্মকে মেলানোর চেষ্টা করে। ধর্ম নামক জঘন্যতম কুসংস্কারটি এমনই কপট এবং ভণ্ড, যে সে সবকিছুর সাথে নিজেকে মিলিয়ে নিতে পারে। তাদের কোন চিন্তা নেই। আজ বিবর্তন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানে বলে তারা বিবর্তনের সাথে ধর্মকে মেলাচ্ছে না। আজ থেকে ৫০ বছর পর যখন বাংলাদেশের মত দেশেও বিবর্তন সম্পর্কে সবাই জেনে যাবে,, তখন তারা বলবে, কস্কি, এইটাতো ১৪০০ বছর আগেই কুরআনে ছিল।
ধিক্কার জানাই পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থ এবং বকধার্মিককে।

আজ থেকে ১০০ বছর পর পৃথিবীতে সবচেয়ে নন্দিত দিবস হবে ডারউইন দিবস। সেদিন হয়ত আমি থাকব না, কিন্তু মানবতা থাকবে- যে মানবতার একটা বিল্ডিং ব্লক আমি নিজেও ছিলাম।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আপনাকে স্যালুট জানাই শিক্ষানবিস, আমার কথাগুলো আপনি লিখে দিলেন।
অনিকেতদা, এত ভালো একটা লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, দেবোত্তম!

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আপনাকে স্যালুট জানাই শিক্ষানবিস, আমার কথাগুলো আপনি লিখে দিলেন।
অনিকেতদা, এত ভালো একটা লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অনিকেত এর ছবি

বস, অ-সা-ধা-র-ন!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

অনিকেত, বন্যা আহমেদ, অভিজিৎ রায়, শিক্ষানবিস এবং দিগন্ত - বিজ্ঞান, বিবর্তন, ডারউইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এখানে বিশেষ ধন্যবাদ অনিকেত-কে।
ভ্যানগার্ড

অনিকেত এর ছবি

আপনাকেও আমার তরফ থেকে শুভাশীষ।

সাইফ এর ছবি

পৃথিবীর মাঝে যে ক'টি দেশে ডারুইন সব চাইতে কম গ্রহনযোগ্য তাদের অন্যতম হচ্ছে আমেরিকা

গড়াগড়ি দিয়া হাসি , বস এরা তো জানেই না, ইউ (U) দিয়ে একটা দেশের নাম, তাদের কাছে বিবর্তনবাদ আদার বেপারীর কাছে জাহাজের খবরের মতই। জোশ একটা লেখা। কত শহজ করেই না কঠিন কথা গুলো লিখেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।