শেষ বাতিঘর--

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শুক্র, ২৩/১২/২০১৬ - ১২:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের বয়েস বাড়ার সাথে সাথে অনেক কিছু পাল্টে যায়---দেখার চোখ, শোনার কান, বোঝার মন। ছোটবেলায় দেখা, শোনা, জানা বোঝা অনেক জিনিস বড় বেলায় আর কাজ করে না। অনেকের কাছে এই পরিবর্তনটা হয়ত আনন্দজনক---আমার কাছে একেবারেই নয়। আমি এক অনিচ্ছুক কিশোর যাকে টেনে হিঁচড়ে বড় করে দেওয়া হয়েছে। আমার শরীর, আমার মস্তিষ্ক সেই টানা-হেঁচড়ায় পরাভুত হয়ে এখন বুড়ো হতে চলল---কিন্তু মনের গহীন প্রকোষ্ঠে এখনো এক চৌদ্দ বছরের কিশোর মাথা উঁচু করে বসে আছে।

জীবনের মধ্যগগনে এসে আমি যখন প্রায়শই মিলিয়ে দেখি এবেলা আর ওবেলার গল্প---তখন একটা জিনিস অবধারিত ভাবে চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়---ছোটবেলায় যাদেরকেই আমি মহাজ্ঞানী, মহাজন ভেবে নিয়ে তাদের দেখানো পথে গমনোদ্যত হয়েছিলাম---পরবর্তীতে আবিষ্কার করেছি, তাদের ৯৫% আসলে তষ্কর। ছোটবেলায় আমাদেরকে তাদের যে জীবনী শোনানো হয়েছিল, যে জীবনী পড়ানো হয়েছিল---তা ছিল ভীষন ভাবে সংক্ষেপিত, পরিমার্জিত। বড় হয়ে যখন তাদের আসল স্বরূপ জানতে পেরেছি---এক ধরনের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। পরে নিজেকে বুঝাতে হয়েছে---ভাল-মন্দ নিয়েই মানুষ---কেউই বিশুদ্ধ পুরুষ নন, কোন মহাপুরুষই তাদের স্খলন, পতন থেকে মুক্ত নন। আর এইটেই সবচেয়ে বড় সত্যি!

হতাশা-স্বপ্নভঙ্গ এসবের পরেও যা বাকী রইল তাহল মহাজনদের প্রদর্শিত পথে চলতে গিয়ে অনুরূপ ফলাফল না পাওয়া। সে আরেক হতাশার ব্যাপার! রবীন্দ্রনাথের ছোটবেলার কাহিনী পড়তে গিয়ে জানলাম, তার ইস্কুলে কোন খেলায় তিনি দৌড়ে অংশগ্রহন করে জিততে পারেন নি। কিন্তু তাতে তার মন ভারাক্রান্ত নয়---তার বন্ধু জিতেছে ফার্স্ট মেডেল টা। উনি আবার বিষম গর্ব নিয়ে বাড়ি ফিরে খাজাঞ্চি বাবুর সাথে এই নিয়ে গল্প করেছেন। উল্লসিত রবিকে দেখে খাজাঞ্চি বাবু জিজ্ঞেস করছিলেন, তুমি কী জিতলে? রবি তখনও খুব আনন্দে হাত-পা নেড়ে বলছিলেন, আমি জিতিনি, তবে আমার বন্ধু জিতেছে! খাজাঞ্চিবাবুর হৃদয় দ্রবীভূত হল। সাথে আমারো। আমি ভাব্লাম আমার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই জিনিসটা করতেই হবে। আমি কোনকালেই দৌড়াদৌড়িতে ভাল ছিলাম না---কাজেই বার্ষিক প্রতিযোগিতার ১০০ মি স্প্রিন্ট ছিল আমার জন্য বিভীষিকার নামান্তর! তবে এই বার আমি অনেক নির্ভার। কারণ আমি জানি আমাকে না জিতলেও চলবে---আমাকে শুধু রবীন্দ্রনাথের মত আমার বন্ধুর গর্বে খুশি হলেই চলবে। বিস্তারিত ঘটনায় না গিয়ে বলি---দৌড়ে বরাবরের মত লাস্ট হয়েছিলাম, বন্ধুর গর্বেও গর্বিত হয়েছিলাম---তবে বাসায় গিয়ে ফলাও করে এই কাহিনী বর্ণনা করে রবিবাবু যে খাতির ও মমতা পেয়েছিলেন--আমাকে পেতে হয়েছিল তার সম্পূর্ণ উল্টো। সেই থেকে শুরু। সেই থেকে বুঝে যাওয়া--জীবনী অনুসরণ করে, পড়ে কেউ কোনদিন মহাজ্ঞানী, মহাজন হয় না। সঠিক মানুষ হবার পথ--প্রতিটি মানুষের জন্যে আলাদা।

আমি বড় হলাম, স্মৃতির নির্মোকের মতন খসে পড়ে গেল আমার জীবনী-প্রীতি। শুধু তাই নয়--বড় হবার সাথে সাথে জানতে পারছিলাম প্রিয় সাহিত্যিকের, প্রিয় বিজ্ঞানীদের, প্রিয় রাজনীতিবিদদের অপ্রিয় সব ঘটনা। বড় হয়ে জানতে পারা যে ছেলেবেলার ‘হিরো’ এডিসন আদতে এক কুশলি ম্যানেজার ছাড়া কিছুই ছিলেন না---তার ‘আবিষ্কৃত’ অনেক জিনিসের কৃতিত্বই আসলে তাদের অধীনে নামমাত্র মুল্যে কাজ করা বিজ্ঞানীদের অবদান--যাদের মাঝে আমাদের নিকোলাস টেসলাও আছেন। আমি জানতে পারি ‘মহামতি’ টলষ্টয় তার বিয়ের রাতেই তার সতেরো বছরের স্ত্রীকে ধর্ষন করে উপুর্যুপরি। জানতে পারি নিষিদ্ধ লোবানের লেখকের অন্তঃসারশূন্যতার কথা।

আজ এতদিন পরে যখন অনিচ্ছুক চোখে পেছন ফিরে তাকাই--আমি দেখি, আমি দাঁড়িয়ে আছি কোন এক মহাশ্মশানে। চারিদিকে রাজপুত্র আর কোটালপুত্রের শব। দিগন্তস্পর্ষী হোমানলের মাঝে নিরস্ত্র নিঃস্ব আমি চেয়ে চেয়ে দেখি আমার সকল স্বপ্নের সৎকার।

আমি যখন প্রায় ধরেই নিয়েছি---ছেলেবেলার কোন মানুষই আর বড়বেলায় স্বীয় মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারেন না---ঠিক তখন দেখি একজনকে--মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে! আমার মহা পুরুষের ছোট হতে হতে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়া লিস্টিতে একমাত্র নাম যা এখনো মাথা উঁচু করে জ্বলজ্বল করে জ্বলে চলেছে।
সেই কোন ছোটবেলায় দীপু নাম্বার টু পড়ে আমার হাতে খড়ি। তারপর পেরিয়ে গেছে যুগযুগান্তর। তার প্রতি ভালবাসা আর শ্রদ্ধা আমার কমে নি এতটুকুও। হ্যা, মাঝে মাঝে মতবিরোধ হয়ত হয়েছে---কিন্তু আদর্শিক দিক থেকে তিনি আমাকে কখনো বঞ্চনা করেন নি। আমাদের দুর্ভাগা দেশ! স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই আমরা সার্থিক ভাবে নিকেশ করেছি স্বাধীন দেশের রূপকারকে, তার সুযোগ্য অধিনায়কদের। তারপরেও আমরা থেমে থাকিনি--বিকৃত বাংলা উচ্চারণে কথা বলা ভীষন স্বার্থপর এক সেনানায়ককে রাষ্ট্রপতির আসনে বসিয়ে রেখেছি যে ভদ্রলোকটি একে একে সেনাবাহিনী থেকে সরি ফেলেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সৈনিকদের, ইমডেমনিটি আইন করে করেছেন সুবিচারের পথ অবরুদ্ধ--- সবচেয়ে বড় কথা পুনর্বাসিত করেছেন সকল রাজাকার ও জামাতীদের যারা এক সময় এই দেশের বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরে ছিল। এরপর বছরের পর বছর প্রবঞ্চনা আর গঞ্জনার ইতিহাস। আমি ক্লাস টেনে উঠে প্রথমবার শুন্তে পেলাম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক---৭ই মার্চের ভাষন। নব্বইয়ের আন্দোলনে শেষ স্বৈরাচারটিকে হটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম বারের মত দীর্ঘকালীন একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারল। কিন্তু ততদিনে সর্বনাশ যা হবার হয়ে গেছে। আমরা অসামান্য সাফল্যের সাথে তৈরি করে ফেলেছি সামপ্রদায়িক, ইতিহাস অচেতন, বুদ্ধি ভ্রংশ এক জাতি।

এর মাঝে জাফর স্যার বিদেশের পাঠ চুকিয়ে দেশে চলে আসেন। এইটা এমন একটা প্রক্রিয়া--যা আমরা সাধারনত দেখে অভ্যস্থ নই। আমরা পলাতক দেখে অভ্যস্ত--আমরা প্রত্যাবর্তন দেখে অভ্যস্ত নই। নানা সাক্ষাৎকারে মানুষ এখনো তাকে জিজ্ঞেস করে---কেন ফিরে এসেছিলেন স্যার। লোকটা কোন বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দেয় না--মাথা নীচু করে একটু হেসে জানান, আসলে দেশের বৃষ্টিটা খুব মিস করতাম--- আমাদের সন্নিগ্ধ মন এত সহজ উত্তর মানতে পারে না। যাহ--কেউ বৃষ্টি দেখার জন্যে বিদেশের বিলাস-ব্যসন ছেড়ে ছুড়ে বুঝি চলে আসে এই মরার দেশে?! আচ্ছা যা হোক---বড় জোর এক বছর--তারপরই দেখা তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরে যাবেন আম্রিকা।

বছর গড়িয়ে যুগ যুগান্তর হতে চলল। জাফর স্যার এখনো আছেন। তাও রাজধানীতে নন। কারণ বিশ্ববিখ্যাত ঢাকা ভার্সিটি উনাকে নিতে পারেনি---তাদের আবার পড়াশুনার স্ট্যান্ডার্ড খুবি উঁচু লেভেলের কি না! জাফর স্যার তার পরিবারবর্গ নিয়ে থাকা শুরু করলেন সিলেটে শাবিপ্রবির টিচার্স কোয়াটারে। তখন ভাগ্যক্রমে আমরাও সেখানে থাকি। স্যারের বাসা হল আমাদের বাসার ঠিক ওপর তলায়। সারা দিন শুনি স্যার আর ইয়াস্মিন ম্যাডাম টুকটুক করে ঘর সাজাচ্ছেন---ওদের খোলা জানালা দিয়ে ভেসে আসে সাদী মহম্মদের গলায় হেমন্তের গান---এমন আমি ঘর বেঁধেছি, আহা রে যার ঠিকানা নাই! আমার মনে হল--আমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটাচ্ছি তখন। সকাল-বিকাল স্যারের সাথে দেখা হয়। মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় স্যারের বাসায় গিয়ে আড্ডা হয়--ইতিহাস,রাজনীতি,ধর্ম,প্রযুক্তি---সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়--আর আমি মাঝে মাঝে গোপনে আমার বিস্ময়মিশ্রিত নিঃশ্বাস গোপন করে ভাবি---এ কি সত্যি ঘটছে নাকি? নাকি এটাও আমার আরো অনেক মধুর স্বপ্নের মত কেবল স্বপ্নদৃশ্য?!!

এরমাঝে আমার সরকারী কলেজে চাকরি হয়ে গেল। চাকরির জায়গা কুমিল্লার প্রায় অনাবিষ্কৃত এক গ্রাম--বরুড়া। খবর শুনে আমি খুব মনমরা। স্যার এলেন দেখা করতে, বই হাতে। বইয়ে অটোগ্রাফ দিলেন, বললেন লোকজন লাউ-টাউ নিয়ে দেখা করতে আসলে চমকে যেওনা যেন!

এর দুই বছর পরে আমি বরুড়া গ্রাম থেকে সরাসরি ইলিনয়ে চলে আসি। মাস্টার্স করতে। নানা কারণে আগের মত আর যোগাযোগ হয় না। তবুও যতবার দেশে গেছি---চেষ্টা করেছি তার সাথে দেখা করতে। শেষ যেবার গিয়েছি---উনি ক্যাম্পাসে ছিলেন না। আমি তার দরজার নেমপ্লেটের ছবি তুলে নিয়ে এসেছি।

আজ স্যারের জন্মদিন!
তাকে এই বলে শুভাশিষ জানাতে চাই----তিনি একা হাতে এখনো একটা মশাল জ্বেলে রেখেছেন। দেশপ্রেমের মশাল। হাজার হাজার বাধা-বিপত্তির ঝড় পেরিয়েও এখনও তিনি একা দাঁড়িয়ে আছেন মশালটা নিয়ে। হাজার হাজার দুর্বৃত্ত, বিক্রী হয়ে যাওয়া মস্তিষ্ক, পঙ্গপালের মত ধেয়ে আসা স্বাধীনতা বিরোধীদের কটু-কাটব্য ---সব কিছু সয়ে স্যার এখনও রয়ে যান তার নিজের জায়গায় অটুট। আমরা একটা হতভাগা জাতি---জন্মেই পিতাকে খেয়েছি! ধীরে ধীরে পুনর্বাসিত করেছি তাদের, যারা একদিন আমাদেরই পাকা ধানে মই দিয়েছিল। আমাদের সামনে সর্বতোভাবে একজন মাঙ্গলিক পুরুষের কোন উদাহরন নেই। গ্যালিলিওর মেয়ে তার বাবাকে বলেছিলেন, দুর্ভাগা হল সেই দেশ যার গর্ব করার মত কোন মহাপুরুষ নেই। গ্যালিলিও মাথা নেড়ে বলেছিলেন---দুর্ভাগা সেই দেশ--যার গর্ব করার জন্যে মহাপুরুষ লাগে। আমাদের দেশ সর্বোতভাবেই দুর্ভাগা। আর এই দুর্ভাগা দেশের মাঝে অল্প যে ক’জন মানুষ আপোষহীন ভাবে দেশের ভাল চেয়ে আসছেন, দেশের জন্য কথা বলে যাচ্ছেন--তাদের মাঝে অন্যতম আমাদের জাফর স্যার! দেশের কথা ভেবে এখনো এই একটি লোক অঝোর বৃষ্টিতে নিজেকে ভিজতে দেয়।

শতবর্ষ আপনার পরমায়ু হোক--
আপনাকে দেখে এই অভাগা দেশের মাঝে জন্ম নিক কিছু হীরক খন্ড! এই কামনা--


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভ জন্মদিন প্রিয় লেখক! আজীবন এমন সুস্থ-সবল-কর্মচঞ্চল থাকুন, আনন্দে থাকুন।

***********

ব্যক্তিপূজা আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবে এই সংস্কৃতি ধনাত্মক অর্থে নয়। যাকে ব্যক্তিপূজা করা হয় তাতে তার যতটুকু ক্ষতি হয় তারচেয়ে ঢেড় বেশি ক্ষতি হয় যারা ব্যক্তিপূজা করলো তাদের। নির্মোহ অবস্থান থেকে, মানবিক দৃষ্টি দিয়ে, যুক্তির আলোকে ব্যক্তির কর্মকাণ্ডকে দেখলে তা থেকে যে শিক্ষা লাভ হয় অন্ধ আবেগের চোখে দেখলে সেগুলো বোঝা যায় না। তাই আমাদের উচিত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে মহামানব বা মহাপুরুষ হিসেবে না দেখে সাধারণের মধ্যে অসাধারণ মানুষ হিসেবে দেখা। উনি নিজেও সম্ভবত মহামানব বা মহাপুরুষের তকমাটা পছন্দ করেন না। আর কোটি কোটি লোকের দেশে সাধারণের মধ্যে অসাধারণ মানুষ আরও আছেন, পরিসরে একটু ছোট হয়তো, পাদপ্রদীপের আলোয় হয়তো আসতে পারবেন না কখনো, তবে তাঁরা আছেন। কাউকে সব ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল ভাবলে শেষে শুধু হতাশা অবশিষ্ট থাকবে।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ !

মেঘলা মানুষ এর ছবি

একটা বিশ্বাস অন্তত উনার উপর আছে: উনি স্বাধীনতার বিরোধি পক্ষের সাথে কখনও হাত মেলাবেন না।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ--

সোহেল ইমাম এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ

তিথীডোর এর ছবি

চমকার লেখা! চলুক

[ছবিটা দু'বার দেখাচ্ছে কেন? দেখুন তো চেক করে। হাসি ]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ--দেখতেসি

জিজ্ঞাসু এর ছবি

সুন্দর লেখা !

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ--

abdur rouf66 এর ছবি

শুভ লেখাটি ভাল এবং সময়উপযোগী হয়েছে । বর্তমানে এই রকম একজন মানুষই এ দেশে খুজে পাওয়া ভার ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।