জীবনের সিলেবাস

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/১০/২০১৩ - ৫:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছরের শুরুতেই হাতে একটা সিলেবাস বই ধরিয়ে দেয়া হতো আমাদের ইশকুলে। কোন পরীক্ষায় কোন বইয়ের কতটুকু থাকবে, কোন অধ্যায় থেকে ক’খানা প্রশ্ন আসবে, অথবা ক’টা প্রশ্ন থেকে ক’টা লিখতে হবে তার সুলুক-সন্ধান। বছর শুরুর হইহই মিলিয়ে এলে মাস্টারমশাইরাও কেমন যেন মিইয়ে যেতেন। ক্লাসের শুরুতে নাম রোল নাম্বার ডেকে কিছু মিছু একটা কিছু লিখতে দিয়ে চেয়ারে বসে ঝিমোতেন। ঝিমোতে ঝিমোতে আমরাও হারিয়ে ফেলতাম সিলেবাসের সেই পাতলা বুকলেট। পরীক্ষার আগ দিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হতো।

সেদিন ভাবতে ভাবতে মনে হলো, জীবনেরও একটা সিলেবাস থাকার কথা। সেটা মোটা হতে পারে, পাতলাও হতে পারে। মানবন্টন কেমন হবে সেই সিলেবাসের পরীক্ষায়? পূর্ণমান ১০০ তে ১০০ কয়জন পাবে? সবাই কি পারবে সব প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক লিখতে? সবার জন্যে প্রশ্নের সেট কি একটাই? বিষয় অনুযায়ী নাম্বার বন্টন যদি এরকম হয়, লেখাপড়া -২০, আয়-রোজগার-২০, শরীর স্বাস্থ্য-২০,ঘর-সংসার-২০, সুখ-২০। সবমিলিয়ে ১০০।

লেখাপড়ার ২০ নাম্বার এ যদি ধরি ইশকুলের জন্যে ৫, কলেজের জন্যে ৫, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে ৫। মোট হলো ১৫। বাকি ৫ কিসে দেবো ভাবতে গিয়ে মনে হলো প্রথাগত শিক্ষা খতম হয়ে যাবার পরেও আপনি যদি কেবল জানার আগ্রহে পড়াশোনা চালিয়ে যান তাহলে বাকি ৫ আপনার। এখন কেবল ইশকুল কলেজে গেলেই নিজেকে নাম্বার দেবেন নাকি কতটা শিখলেন, কতটা মানুষ করতে পারলো আপনার শিক্ষা আপনাকে সেটার ভিত্তিতে দেবেন, সেই দায় আপনার।

আমাদের দেশে মানুষ পড়াশোনা শেখে চাকরি পাবার জন্যে। মানবসেবা, দেশসেবা, নিজের ভালোলাগা এসব ধুনফুনের ধোঁয়া সরে গেলে দেখা যাবে পেট চালানোর জন্যেই আসলে এত হুলুস্থুল। আয়রোজগার এর সাথে পড়াশোনার কোনো সরলরৈখিক যোগসূত্র নেই। বড় বড় ডিগ্রী নিয়েও আপনার তেমন রোজগার নাও হতে পারে। নিজের এবং পরিবার এর জন্যে ভাত-কাপড় এর ব্যবস্থা করতে পারলে ৫, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারলে আরও ৫, মাথাগোঁজার একটা পাকাপাকি বন্দোবস্ত করতে পারলে আরো ৫। শেয়ার বাজারে না বুঝে ধরা খেলে মাইনাস ৫। বাকি ৫ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না, ব্লাড প্রেশার বেড়ে যেতে পারে। বুড়ো বয়সে যদি নিজের খরচ নিজে চালাতে পারেন তাহলে আপনি বিশে বিশ। এখন এই আয়-রোজগার সৎ ভাবে করবেন নাকি পাবলিকের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে করবেন সেই হিসাব অন্য সিলেবাসের অংশ।

শরীর স্বাস্থ্য এই প্রশ্নে কোনো ভাগ নাই। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় হাজার রকমের রোগে কাবু না হয়ে যদি টুপ করে মরে যেতে পারেন তাইলেই বিশ। বেহিসাবি খানাদানার ফলে আপনার কোমরের মাপ যদি হয় ৪০+, আর একেবারেই হাঁটাচলা না করার জন্যে হাঁটু কটকট করে, নিজেরে নাম্বার কত কম দেবেন সেইটা আপনার বিবেচনা।

ঘর-সংসার ব্যাপারটা শরমের, তয় এইটার দরকার আছে। এখানে আবার নীতিমালাও টনটনে। নিজের পছন্দের মানুষরে বিয়া করলেও ৫ বাপ-মার পছন্দে করলেও ৫। সংসার টিকে গেলে আরও ৫। যত বেশিদিন টিকবে তত বেশি মার্কস। এখন ভালোবাসার কারণে সংসার টিকলো নাকি সামাজিক চাপে, এগুলান আলাপ করতে গেলে সিলেবাসের সাইজ এনসাইক্লোপেডিয়া ছাড়াবে তবু ধারা-উপধারা শেষ হবে না।

এইবার শেষ প্রশ্ন। অধিকাংশ মানুষই প্রথম চার প্রশ্নে এত সময় দেয়, পাঁচ নাম্বার পর্যন্ত আসার আগেই জীবনের ঘন্টা বেজে যায়। সব প্রশ্নে ফুল নাম্বার পেয়েও এইখানে আপনি ডাব্বা মারতেই পারেন। আবার পেটে ভাত নাই, মাথার উপরে ছাদ নাই, তারপরেও আপনি বেজায় সুখী হতেই পারেন। যে কারণে সুখী মানুষের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তালিকার উপরেই থাকে।

কাল রাত থেকে এরকম একটা সিলেবাসের আইডিয়া মাথার মধ্যে পিনপিন করছিলো। ভাবছিলাম ব্যাপারটা একেবারেই ইউনিক। পরে খানিক নেট ঘেঁটে দেখলাম, এমআইটির ঘোঁচু শালারা এরকম একটা কোর্স চালু করেছে, ‘ Designing your life’ এই শিরোনামে। মোটামুটি পড়ার পরে যা বুঝলাম, এই কোর্সটি করলে আপনি জানতে পারবেন,

  • জীবনে আপনি এখন আসলে কোন পর্যায়ে আছেন
  • জীবনের পরবর্তী ধাপে আপনার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে আপনার কি করণীয়
  • আপনার জীবন দর্শন তৈরি করতে এবং
  • তদনুযায়ী আমল করতে।

যাই হোক, মিলিয়ে দেখুন A+ পেলেন ক’জনে। পেলে আঙ্গুল উঁচিয়ে ‘V’ দেখান। নাহলে উপুত হয়ে শুয়ে থাকুন। এই সিলেবাস আমার স্বল্পবুদ্ধির সিলেবাস, আপনার সিলেবাস ভিন্ন হতেই পারে। সেটাই স্বাভাবিক। ইচ্ছেমত বদলে দিন। জীবন আপনার, সিলেবাসও আপনার। বাকিদের অনুমোদন নেবেন কি নেবেন না, সেই স্বাধীনতাও আপনার।


মন্তব্য

গান্ধর্বী এর ছবি

সিলেবাস নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করে নি কোনোদিন!
ভাল্লাগলো! চলুক

আব্দুর রহমান এর ছবি

না ভাবতে চাইলেও, এড়ানো বোধহয় যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অতিথি লেখক এর ছবি

তা ঠিক! ইয়ে, মানে...

গান্ধর্বী

সাইদ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

আব্দুর রহমান এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... ইটের বদলা ইট। চোখ টিপি

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

সাইদ এর ছবি

ভাই আপনার লেখার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম।
ভাল থাকবেন

সত্যপীর এর ছবি

আমিও।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুর রহমান এর ছবি

আপনাদের মেহেরবানী, অনেক ধন্যবাদ এই অপেক্ষার জন্যে।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

মন মাঝি এর ছবি

চলুক

****************************************

আব্দুর রহমান এর ছবি

হাসি

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

এক লহমা এর ছবি

তাইত, জীবন-টা কি আর সিলেবাস-এর মাপে চলে! হাসি চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুর রহমান এর ছবি

চলে মনে হয়, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুর রহমান এর ছবি

দেঁতো হাসি কি বুঝাইলেন? লেখা পড়ে বিরক্ত?

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষমেষ যখন সব কিছু শূণ্য তাই জীবনের যোগ বিয়োগ কোনদিন করতে ইচ্ছে করেনি। যেমন জীবন পেয়েছি সেইতো বেশ, সুখে দু:খে কষ্টে, অনুতাপে, অভিমানে, আলোয় অন্ধকারে, তাপে-জোৎস্নায়, কোলাহলে নীরবতায়, শিশির আর জলে, সবুজ আর রক্তের লাল দাগে যাচ্ছেতো জীবন চলে একি নিয়মে। অভিযোগ নেই কোথাও, প্রত্যাশাও নেই। শুধু বেঁচে থাকতে চাই অনন্ত সময়, দেখে যেতে চাই সবুজ প্রকৃতি, একে বেঁকে বয়ে চলা নদী, ধু-ধু মাঠ, জোনাকির আলো, ঝুম বৃষ্টি, পাহাড় ছোঁয়া মেঘমালা, আর পড়ে যেতে চাই ভালোলাগার সব বইগুলো। এরপর একদিনতো ঘুমিয়ে যাবো, হারিয়ে যাবো মহাকালের গর্বে। স্বর্গ-নরকের আষাঢ়ের গল্পে বিশ্বাস নেই তাই আমি জানি মিশে যাবো একদিন মাটিতে, জানবো ও একদিন আমি ছিলাম জীবনের এই স্রোতে।

মাসুদ সজীব

আব্দুর রহমান এর ছবি

খানিক বাজে তর্ক করি।
অভিযোগ নেই কোথাও, প্রত্যাশাও নেই

তারপরেই বললেন, শুধু বেঁচে থাকতে চাই অনন্ত সময়, দেখে যেতে চাই সবুজ প্রকৃতি, একে বেঁকে বয়ে চলা নদী, ধু-ধু মাঠ, জোনাকির আলো, ঝুম বৃষ্টি, পাহাড় ছোঁয়া মেঘমালা, আর পড়ে যেতে চাই ভালোলাগার সব বইগুলো।

এত চাওয়া, এই যে বেঁচে থাকার সুতীব্র আকুতি, এগুলো প্রত্যাশা নয়? মেনে নিচ্ছি, এগুলো জায়গা-জমি, সোনা-দানার লোভাতুর আকাঙ্ক্ষা নয়, তবু এক স্বপ্নালু সিলেবাসের অংশ তো বটেই।

ভালো থাকবেন।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

রিক্তা এর ছবি

ইন্টারেস্টিং। অফিসের প্রজেক্টের বিভিন্ন লেভেলের ইভালুয়েশন করতে করতে ইভালুয়েশনের প্রতি মন উঠে গেছে। মনে হয় জীবন চলুক জীবনের মত। এতো মেপে কি হবে আর মন খারাপ

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

আব্দুর রহমান এর ছবি

মেপে কি হবে তা জানি না। তবে পৃথিবীটা চলছে মাপামাপির উপরে। আপনি না চাইলেও কেউ না কেই আপনাকে মেপে নেবে। সামনে বা পেছনে জানিয়ে দেবে।

এই সচলায়তনের কথাই ধরুন। সব লেখা কি এখানে প্রকাশিত হয়? আবার যা প্রকাশিত হয় সব কি আমরা পড়ছি? এই যে এত লাইক, শেয়ার আর মন্তব্যের ওঠানামা, সেও কি পাঠকের মনের মাপ জানায় না?

জীবন জীবনের মতন চলে ঠিকই, তবে তাতে অনেক রকম মাপ, কারো ঢিলেঢালা ঢিমেতালের মাপ, কারো বেশ টাইট ফিটিং মাপ, গলায় চেপে বসা টাইয়ের মতন। মাপ থেকে মাফ নেই।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অতিথি লেখক এর ছবি

রহমান ভাই ত্যানা প্যাঁচাবো কিনা ভাবছি গুল্লি

বেঁচে থাকার ইচ্ছে টা সহজাত। আপনার সিলেবাসের বাইরে ও প্রত্যাশা আছে। যেমন অমর হয়ে থাকা, স্বর্গ লাভ, ইত্যাদি ইত্যাদি। যতক্ষন বেঁচে আছি ততক্ষন প্রকৃতি আর নিজের মাঝে থাকতে চাই কিংবা বলতে পারেন থাকবো। মৃত্যু চলে এলে দুয়ারে খুব বেশি আফসোস নেই। মৃত্যুইতো একমাত্র সত্য। হুমায়ুন আজাদ স্যারের ভাষায় বলি, আমি প্রস্তুত তবে আজ নয় এখনি নয়। বেঁচে থাকতে চাইনা আমি ১০০ বছর, তবে চলে যাওয়ার আগে আমি আরো একটু হেসে যেতে চাই, আরো একটু কেঁধে যেতে চাই। একদিন তো নামবে মহাকালের থেকে বিপুল অন্ধকার। সেই অন্ধকার নামার আগে আমি আরো কিছু দূর যেতে চাই। ভালোথাকবেন। কোলাকুলি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত

ভাবতে হবে ঠান্ডা মাথায়।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

আব্দুর রহমান এর ছবি

ঠান্ডা মাথায় ভাবতে শুরু করেছিলাম, ভাবতে গিয়েই গরম হয়ে গেলো।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

বন্দনা এর ছবি

ইন্টেরিস্টিং লাগলো। আপনার লেখা পড়েই আমার আবার ও মনে হল ইচ্ছে মৃত্যু লিগাল করলে আসলে মন্দ হয়না যেহেতু জীবন আমার, সিলেবাস ও আমার।

আব্দুর রহমান এর ছবি

একমত হতে পারলাম না। আমাদের সবার বড় হয়ে ওঠার পেছনে, বেঁচে থাকার পেছনে, নিজ নিজ পরিবার এবং সমাজের বিশাল অবদান আছে। সেই দায় শোধ করার আগে চলে যাবার অনুমতি দেয়া যায় না।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

বন্দনা এর ছবি

এক্টাই জীবন, তাও যদি সে জীবনটা নিজের জন্য না বেঁচে অন্যের জন্য বাঁচতে হয়, তাহলে আর কেমনে হয়। যারা ইচ্ছে মৃত্যু বেছে নেয় এমন না যে তাদের জন্য সেটা খুব সহজ কাজ।

এক লহমা এর ছবি

প্রাণীরা নিজের জন‌্য বাঁচে, সন্তানের জন্য বাঁচে; সন্তানের জন্য মরেও কেউ, কেউ। কিন্ত নি:সম্পর্কিত কারো জন্য বাঁচা এবং মরা সে মহত্ত্ব মানুষ দেখিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেখাবে বহুবার!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুর রহমান এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

হ্যাঁ, এই জন্যই মানুষ হচ্ছে মানুষ- "মানুষেতে সুরাসুর"।

____________________________

তাপস শর্মা এর ছবি

হ। জীবন মানেই সংখ্যা

আব্দুর রহমান এর ছবি

হ, অসংখ্য সংখ্যা।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

জীবনের মানে কি? এর মান - ই বা কী? থাক, এসব বড় বড় দার্শনিক কথা বার্তা বাদ দিই। শুধু এটুকু বলে যায় লেখা ভালো লাগলো।

____________________________

আব্দুর রহমান এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো মানে কি? ভালো লাগা মানেই বা কী? এইসব ছোটখাটো প্যাচাল না পারি, লেখা পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

guest_writer এর ছবি

শুধুমাত্র 'দারুণ লাগল' বলে একঘেয়ে মন্তব্য না করে বলি, আপনের সিলেবাস কমিটিতে চুপিচুপি ঢুকে পড়তে ইচ্ছে করছে যে ! সুমিতা

আব্দুর রহমান এর ছবি

আমরা সবাই সিলেবাস কমিটির সম্মানিত সদস্য। কাজেই চুপিচুপি ঢোকার কোনো উপায় নাই, সদর দরজায় দিয়েই তশরীফ রাখেন।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

চিন্তার খোরাক দিলেন কিন্তু চিন্তা করতে ইচ্ছে করছে না।
অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়ছি।
আমি খুব দ্রুত কাজ করি, চেষ্টা করেও ধীরে করতে পারি না, লেখাট পড়ে নিজেরে ২২ ও দিতে পারলাম না প্রায় তিন দশকের জীবনকালে। দেখি সামনে কী হয়। হয়ত ২০ বছর পরে মূল্যায়ন ভিন্ন হতে পারে।

আব্দুর রহমান এর ছবি

বেস্ট অফ লাক। হবেই, হতে বাধ্য।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সারাজীবন ব্যাকবেঞ্চে কাটিয়ে দেওয়া কারও কাছে টাইন্যাটুইন্যা তেত্রিশ পাইলেই শোকর আলহামদুলিল্লাহ! সেঞ্চুরী হাকায়া কী ফায়দা! লাইনে আসুন।

আব্দুর রহমান এর ছবি

লাইনেই তো আসতে চাই। কিন্তু আমার লাইন হইয়া যায় আঁকাবাকা, ভালো না হাতের লেখা। অহন জিপিএ ৫ এর যুগে ৩৩ নিয়া পইড়া থাকলে চলপে? বিয়াশাদী করেন, লাইনে আসুন, জীবনের স্কোর বাড়ান।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অতিথি লেখক এর ছবি

শেয়ার বাজার পর্যন্ত এসে হাইসা দিছি!
ভালো লেগেছে লেখা। তয় নিজেরে আজীবন সিলেবাসের বাইরেই রাখছি। কিছু সিলেবাসের মাঝে তো ছিলাম। লেখায় ভালো লাগা রইলো ভাই।
চলুক
-অনিমেষ রহমান

আব্দুর রহমান এর ছবি

লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। এই লেখাটা না সিরিয়াস না হাসির। আপনি হাসির উপাদান খুঁজে পেয়েছেন, সেই জন্যে আবারো ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

তিথীডোর এর ছবি

আপনার ব্যাপারে বিজ্ঞ মতামত হলো--
লেখার হাত : ভালই।
সেন্স অফ হিউমার : বেশ ভাল।
লেখার গতি : খুবই খারাপ।

আইলসামিটা কমান, লেখার রেট বাড়ান। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।