যুগে যুগে থাকব সাথে (কোন নিশ্চয়তা নেই)

আলমগীর এর ছবি
লিখেছেন আলমগীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৭/২০০৮ - ৬:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খবর ইতোমধ্যে বাসী হয়ে গেছে। ঘটনার যখন পূর্বপ্রস্তুতি চলে তখনই অনেকে বুঝে নিয়েছেন। নজরুল ভাইয়ের মতো যারা দিনরাত ওঠেন বসেন তারা হয়ত আরো আগে থেকে জানেন। সুবর্ণা মুস্তফা ডলস হাউসের পরিচালক সউদ কে বিয়ে করেছেন। এর আগে তাকে ২২ বছরের বিবাহিত জীবনের হিসাব চুকাতে হয়েছে হুমায়ুন ফরিদীর সাথে। সউদের কোন কিছু করতে হয়নি।

এটা নতুন কোন ঘটনা না, আবার প্রতিদিনই যে ঘটে তেমনও না। নৈতিক না অনৈতিক সে প্রশ্নও অনর্থক। কেন এমনটি হলো? কার দোষ ছিলো বেশী? এসব প্রশ্ন অবান্তর।

রহিম করিমের জীবন যাপন নিয়ে আমাদের কোন আগ্রহ নেই। আমাদের দৃষ্টি তারকাদের দিকে, তারাই আমাদের কিশোর জীবনের রোল মডেল। এ কারণেই কিনা জানি না পশ্চিমা দেশেও দেখি প্যারিস হিলটনের রোল মডেল হওয়া নিয়ে কিশোরীদের বাবা-মাদের দুঃশ্চিন্তা।

কিশোর বয়স আর নেই। কোন কিছুতেই আর দুনিয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয় না। তবু আমার ভাবনা অন্যত্র।

প্রেমিক - প্রেমিকা হাত ধরে মাথা ছুঁয়ে প্রতীজ্ঞা করে সারা জীবন একসাথ থাকবে। আবেগের বশে বিরহে কাতর হয়ে আত্মাহুতি দেয়- এমন ঘটনাও বিরল নয়। বুক চিরে রক্ত ধরে শপথের কথাও শুনেছি। সব শপথ যে পালন করতে হবে এমন কোন কথা নেই। সবাই যে পালন করতে পারবে তারও কোন কথা নেই।

বিয়ে বন্ধনে প্রায় সব ধর্মেই বিবাহিত নারী-পুরুষ আজীবন একসাথে থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করা হয়; মন্ত্র কালাম পড়ে তার বিহিত ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়। মানুষের মনের জোরের চেয়ে মন্ত্রের জোর কম, তাই সব বিবাহিতরাই যে সুদীর্ঘ সময় একসাথে থাকেন তা নয়। যতদিন থাকেন, মনের সুখে থাকেন, সেটাও নয়।

আমার বিয়ের আকদের পর আমরা যে যার মতো দুই দিকে চলে যাই। আমি যখন আবেগে ডগমগ, সে তখন ঘটনা বুঝে ওঠতেই পারেনি- ফোন করলে ধরে না। একদিন "হামারে দিলছে মাত খেলো, ইয়ে খেলা টুট যায়ে গা" শোনাই, তখন আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করে। আবার আমি যখন দেশে রেখে চলে আসি, সেই আবার কেঁদে কেটে একসার হয়। প্রেমের কোন সম্পর্ক না, বেশিদিনের পরিচয়ও না।

কী হলে একজন মানুষ, নারী বা পুরুষ যেই হোক তার যুগের সাথীকে অসহ্য মনে করতে থাকে? আগুনটা কি একদিনেই জ্বলে ওঠে না, অনেক দিন ধরে জমা হতে থাকে? জনম জনম থাকার প্রতিশ্রুতি আর রাখতে পারছি না, এটা কেমন করে বলে?

মানুষ আসলে তার সঙ্গীর কাছে কী খোঁজে? সেটা পেল কি না তা কখন বুঝা যায়? কত যুগ লাগে?


মন্তব্য

নিঝুম এর ছবি

এইসব প্রশ্নের উত্তর নেই, উত্তর হয় না ।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অম্লান অভি এর ছবি

হাওয়া কি হাত দিয়ে পেড়ে গন্ধম খেয়েছিল? আদম কি উসকে দেয়নি? হাওয়া কি খুব ক্ষুর্ধাত ছিল? অন্য কোন ফল কি ছিল না? মন বৈঠায় হাওয়া লাগলে গন্ধম আর খেজুরের তফাত্ থাকে না। তখন থিত হয়ে আসে আর আদম-হাওয়া ঘন হয়ে বসে। যাচ চলে আপনার ভাবনাকে সেল্টু জানানো হয়নি। সেল্টু। সালাম আদম.... সালাম হাওয়া..................।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

মিলন যেমন একটি পর্ব, বিচ্ছেদও তেমনি একটি। কেউ কেউ চিন্তার পার্থক্য, মানসিকতার পার্থক্য, নৈতিকতাবোধের পার্থক্য, কালচারের পার্থক্যের কারণে বিচ্ছেদের মতো বেদনাদায়ক পথ বেছে নিতেই পারেন। তাতে অসুবিধের কিছু নেই।
আবার বিয়েও করতে পারেন, তাতেও অসুবিধের কিছু নেই।
কিন্তু পুরো ব্যাপারটা জুড়ে একটিই বিষয়, সেটি আপনার ব্যক্তিত্বকে বজায় রাখে কি রাখে না...
জানি, তর্ক হলে এটি আপেক্ষিক একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এটি যার যার ব্যক্তিগত পছন্দের এবং বিচারের ব্যাপার।
তবে এ ধরনের বিচ্ছেদের কারণ একটিই আমার মনে হয়, ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব। এর মধ্যে মিশে যায় আরো অনেক কিছু। মিডিয়াতে তো অনেক কিছুই ঘটে। মিডিয়া হচ্ছে সেই ফাইভ স্টার হোটেলের মতো, যার একপাশ দিয়ে সোয়ারেজ লাইনের খোলা নর্দমা বয়ে যাচ্ছে। সাবধানে হাঁটতে চাইলে হাঁটতেও পারেন, আবার নাও পারেন।
সউদ আর সুবর্ণার বিয়েটা নিয়ে কমেন্ট করতে চাচ্ছি না। সুবর্ণা আপাই জানেন, তিনি কেন এরকম একটা ছবি আমাদের দেখতে দিলেন আর কথা শুনতে দিলেন...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মৃদুল ভাই, সৌদ আর সূর্বনার বিয়ে নিয়ে মন্তব্য করবেন না বলেও কিন্তু মন্তব্য করে বসলেন। আর সে মন্তব্যে দেখা যাচ্ছে, সূর্বনার বিয়েটা মোটেই মেনে নিতে পারছেন না। সূর্বনাকে দুষছেন, কেন তার এক ভক্তকে লোকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলেন- হাজার প্রশ্ন আর সমালোচনার ডালপালার সামনে। এই প্রশ্নটা কিন্তু আপনি সৌদকে করেননি। আমার ধারণা, মৃদুল ভাই, মিডিয়ার নারীর প্রতি যে ব্যবহার, যে আচরণ, তার থেকে আপনি উর্ধ্বে।

সূর্বনার বিয়ে নিয়ে গতকালই কয়েকজন বিনোদন সাংবাদিকের সাথে কথা হচ্ছিল। তাদের বক্তব্য, সূর্বনা পাবলিক প্রপার্টি। তার এ কাজ করা মোটেই সঙ্গত হয়নি। বিশেষত, ছেলের বয়সী একজনকে বিয়ে করা (!!!)। আচ্ছা, পাবলিক প্রপার্টি'র কী কোনো ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা নেই?

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কেবল সুবর্ণা-ফরিদী বলেই নয়- আমাদের সমাজে আরো অনেক দাম্পত্য বিচ্ছেদ আসছে মৃদুলের মিডিয়ার ব্যাপারটাকে সঙ্গে ছুঁয়ে বলছি এখানে হাজারো কারণ থাকতে পারে। ভালোবাসা থাকলেও দেখা গেছে বিচ্ছেদ কখনো কখনো অনিবার্য। কারণটিকে মূলতঃ মনোদৌহিক বলেই আখ্যা দেবো আমি। কোনো একটি অপূর্ণতা থেকেই এ বিচ্ছেদ অনিবার্য হয়ে উঠে।

বেশ ক'বছর আগে রাজার বাগের হোটেল হিলটনে ফরিদী হাতে নাতে ধরা পড়েছিলেন যৌন সংক্রান্ত কেলেঙ্কারীতে। সুবর্ণা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

তা ছাড়া দু'জনের বয়সের ব্যবধানটিও দেখতে হবে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য বিসর্জন দিয়ে ফরিদী সুবর্ণার কোঁচড়ে প্রবেশ করেছিলেন। প্রথম সংসারের সন্তানের প্রতি ফরিদীর দুর্বলতাও অনেক সমস্যার জন্ম দিয়েছে।

ফরিদী নিতান্তই বুড়ো বলে তাকে সুবর্ণা ত্যাগ করেননি। সেই হিসেবে সুবর্ণারও বয়স পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে(৩২+২২)। কাজেই বুড়োবুড়িদের তেমন কিছু নিয়ে সমস্যা নয়- মূল সমস্যা পরস্পরকে মেনে নেওয়ার অক্ষমতা। যেহেতু পাস্পরিক প্রয়োজন ফুরিয়েছে, কাজেই একসঙ্গে থাকারও কোনো মানে হয় না।

পরিশেষে আলমগীর, আপনাকে আরেকটি দুঃসংবাদ দেই- সত্যিই স্বামী-স্ত্রী যুগযুগ এক সঙ্গে থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর তা থেকেই অনুমান করি- পাশ্চাত্যে বিবাহবিহীন একত্রে বসবাসের প্রচলন শুরু হয়েছিলো। আমাদের দেশেও পোশাকশীল্পে কর্মরত অনেক যুবক যুবতীই বিয়ের ঝামেলায় যায় না। ফলে তালাক নামক অপশব্দেরও স্থান নেই তাদের জীবনে।
পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আহসান হাবিব এর ছবি

বলতে পারেন আমি চিন্তা-ভাবনায় অনেকটাই পুরুষতান্ত্রিক কিংবা সনাতনপন্থী।হয়তোবা,আসলেই তাই!কিন্তু প্রিয়লেখক দস্তয়েভ্‌স্কি একটা কথা মনে-প্রানে বিশ্বাস করি,"আর যাই করো কখনো নিজের সাথে,নিজের অকপট ভাবনা'র সাথে মিথ্যা বলোনা"।আমিও তাই নিজেকে মিথ্যা না বলার চেষ্টা করি।সবসময় যে পারি,তা না।হুয়ামন আহমেদ-শাওন কিংবা সূবর্ণা মুস্তফা-সউদ ঠিক এই ধরনের সম্পর্ককে ঠিক মেনে নিতে পারিনা।অবশ্য আমি মতো এক ক্ষুদ্র মানুষের মানায় না মানায় কি আসে যাই!বয়স বিবেচনায় প্রথম দম্পতি পাত্র- কন্যার বয়সী পাত্রী কিংবা দ্বিতীয় দম্পতি পাত্রী-পুত্রের বয়সী পাত্র।যে কোন সম্পর্কের পুর্বশর্ত মানষিক ভাবনা,ফ্রডেয়ীয় সাইকোলজী'র ভাযায় ইনফ্যাচুয়েশন(যদিও এইটা "মানষিক ভাবনা"র প্রতিশব্দ নয়)।তাইলে দেখা যাচ্ছেএদের ধরনের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক পরিণতির পূর্বেই একজন বিবাহিত লোক তার কন্যার বয়সী মেয়েকে মানসিকভাবে কামনা করছে অথবা একজন তরুণ তার মায়ের বয়সী বিবাহিত মহিলা'কে কামনা করছে।আমাদের প্রাচ্যসমাজে যেটা কিছুটা অস্বাভাবিক।সেই সংগে মেনে নিতে কষ্ট হলেই ফ্রয়েডের কথা আবার ফলে' যে কোন সম্পর্কের ভিত্তি চেতন কিংবা অবচেতন সেক্স"।সেই সংগে আমরা চারপাশের অনাত্মীয় বড় আপা,আন্টি,খালা,চাচি এদের প্রতি আমাদের যে স্বাভাবিক সামাজিক সম্পর্ক-সেইগুলো নিয়েই আমাকে ধাধায় ফেলে দেয়।আমি এই ধরনের সম্পর্কে আদৌ কোন ফ্রয়েডীয় প্রভাব আছে কিনা, সেটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি।
হয়তোবা আমি ফ্রয়েড'কে অস্বীকার করা এক প্লেটনিক মুর্খ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

সূবর্ণা পাবলিক ফিগার, পাবলিক 'প্রপার্টি' হয় কি বলে??
পান্থ রেজা, আপনার সাথে একমত। আমাদের দেশে মানসিক প্রাপ্তবয়স্কতা আসতে বা পরিণত আচরণ শিখতে আরো কদ্দিন লাগবে, একটূ ওইসব লোকদের জিজ্ঞেস করবেন তো!

@ আহসান হাবিব, ফ্রয়েড টয়েড সব বাদ দিলাম (যদ্দূর জানি, ফ্রয়েডের অনেক তত্ত্বকে পরে ডিবাঙ্ক করা হয়েছে) আপনি শুধু একটা প্রশ্নের জবাব দেবেন দয়া করে? বাবা-মেয়ের বয়সী বা মা-ছেলের বয়সী দম্পতি বা যুগল হলে তাতে কি ক্ষতি হয়? সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়? পরবর্তী প্রজন্ম খারাপ উদাহরণ দেখে? না কি তারা অন্যদের ধরে ধরে পেটায়? ঠিক কি সমস্যা হয়?

@আলমগীর - না নেই। কোন গ্যারান্টি নেই, কোন নিশ্চয়তা নেই, কোন এমনকি ফর্মূলাও নেই যে 'এই করিলে ওই হয়'। তো ? তাতে কি হলো? আমরা কেন এত ভঙ্গুর হবো? যাই হোক, যাই ঘটুক, যদ্দূর সাধ্যে কুলোয় ভালো থাকার চেষ্টা কেন করবো না? আমি যে এমনকি আপনার পরবর্তী মন্তব্য বা পোস্ট দেখার জন্য বেঁচে থাকবো সেটাই তো কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারে না! সেখানে মানুষের মনের মত অস্থির আর পরিবর্তনশীল একটা জিনিষ থাকবে ধ্রুব?!

পদ্মপাতায় জল ফল সব আমার জানাও আছে, মনেও আছে - কিন্তু তাই বলে কিচ্ছু বাদ দিতে আমি রাজী নই হাসি

তানবীরা এর ছবি

মানুষ কি চায়, সে যদি জানতো তাহলে জীবন হতো এ্যাকাউন্টেসীর মতো।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো মাথা আর হ্রদয় এর অবস্থান ও কার্যকলাপ আলাদা। মাথা হয়তো বুঝতেও পারে যা করছে ঠিক করছে না কিন্তু সবার মানসিক শক্তি এতো বেশী নয় যে যা বুঝে তা সে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। বুঝলেও নিয়ন্ত্রন আনা সোজা ব্যাপার না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মানুষ আসলে তার সঙ্গীর কাছে কী খোঁজে?

মানুষ আসোলে তার সঙ্গীর কাছে সেই জিনিসটাই খোঁজে যা তার সঙ্গীর চৌদ্দগুষ্ঠির কাছেও নাই কিংবা থাকার কথা না

০২
বিয়ে টিয়ে কিংবা প্রতিজ্ঞা কিংবা চুক্তি ওগুলোর কোনোটাইতো ন্যাচারাল না। সবগুলোই হয় লৌকিক না হয় লৈখিক আইন
ওগুলোর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের কোনো সম্পর্ক কোনোকালেও ছিল না। থাকার কথাও না

০৩

যে কোনো মানুষের সাথে থাকা যেমন মানুষের স্বাধীনতা। না থাকাও স্বাধীনতা
আমি বিষযটাকে ওভাবেই দেখি
এখন আমার দাদীর যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না কিংবা যাওয়া যে যায় সেটা সে ভাবতেই পারতো না বলে দাদার সাথে থেকে গেছে আজীবন

সেই সূত্র এই সময়ে উদাহরণ হিসেবে টানতে আমার আপত্তি আছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এর আগেও এহছান লেনীন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন এই বিষয়ে... সেটা দেখেও মন্তব্য করিনি। চাইনি করতে। মডারেটররা সেটাকে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বলে খুশি হয়েছিলাম... আর যারা যারা ফোন করেছিলো তাদের সবাইকেই বলেছিলাম দেখ... এই সারাদিনে দেশে এই একটাই স্মার্ট আচরণ দেখলাম।
আজও এই পোস্ট দেখে ভেবেছিলাম মন্তব্য করবো না। কিন্তু তারপরও হাত বাড়ালাম।
সুবর্ণা ফরিদী দুজনেই আমার অত্যন্ত কাছের মানুষ... সাবেক সচল জামাল ভাস্কর বলতেন যে সুবর্ণার বাড়িতে গরুর মাংস রান্না হলে নজরুলের কাছে প্রথম ফোন আসে। আসলেই। ২২ বছরের কথা জানি না কিন্তু গত ৩/৪ বছরে এই পরিবারকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছি মিশেছি।
তার আলোকে বলতে পারি যে তাদের দাম্পত্যটা যদি টিকেই থাকতো আমৃত্তু তাহলে দেশের লোকের হয়তো শান্তি হতো খুব। কিন্তু আমি জানি তারা কতটা অশান্তিতে থাকতো। বিশেষ করে সুবর্ণা আপা...
এখন সুবর্ণার তাহলে কি করা উচিত? পাবলিকের কথা বিবেচনা করে করে সারাজীবন অশান্তিই বয়ে বেড়ানো উচিত?
এটা কি অনেক বেশি নির্মম চাওয়া নয়?

একটা কথা খুব বলা হচ্ছে... সুবর্ণা যদি সুইচ করবেই তাহলে তার সমস্থানীয় কাউকে করলেই পারতো... কেন সউদের মতো একজনকে বিয়ে করতে গেলো?
এই প্রশ্নটা বা ভাবনাটা আমাকে খুব অবাক করে... একজন পূর্ণ বয়স্ক শিক্ষিত নারীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার আমি কে? সুবর্ণা মুস্তাফাকে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার দায় আমাকে বা কাকে কে দিয়েছে? সে যদি একটা কলা গাছকেও বেছে নেয় তবে তাই সই... বাকী জীবন সে কাটাবে। সেখানে তো সৌদ আমার খুব ঘণিষ্ঠ বন্ধু। তাকে নিয়ে আমার কিই বা বলার থাকতে পারে?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্নিগ্ধা এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ইসলাম! একদম একমত!

s-s এর ছবি

সুন্দর বলেছেন।
আমাদের মরালিটিগুলো কেমনভাবে চাপিয়ে দেই অন্যর ওপর এর যথার্থ উদাহরণ এটা। ডেমি মুর- আ্যশটন কুচারকে নিয়ে যত কথা হয়, মাইকেল ডগলাস- জেটা জোনসকে নিয়ে তার চেয়ে অনেক কম হয় যদিও দ্বিতীয় দম্পতির বয়সের পার্থক্য বেশি। পুরুষের ক্ষেত্রে প্রাচ্য কি পাশ্চাত্য সবারই acceptance টা একটু বেশি দেখি।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এইসব বিষয় নিয়ে মাতামাতি আমি খুবই ঘৃণা করি। যে পরিমান মিডিয়া এটশন এসেছে ততটা আসার কোন কারন নেই। নজরুলের মন্তব্যে অনেকাংশে আমি একমত।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আলমগীর এর ছবি

পশ্চিমা দেশে বিনোদনের কত অংশ জুড়ে গসিপ বলুন দেখি? ওগুলো দেখতে বা শুনতে ঘৃণা লাগে?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আলমগীর ভাই... উপরের মন্তব্যে অনেক কথা বললাম... আসলে আরো অজস্র কথা বললাম না।
এগুলোর অনেক কিছুই আপনার পোস্টের জন্য না... আপনার পোস্টের মূল উদ্দেশ্য বোধহয় হুমায়ূন ফরিদী বা সুবর্ণা মুস্তাফা ছিলো না। তারা স্রেফ উপলক্ষ্য ছিলো। কিন্তু যেহেতু ঘটনাটা টেনেছেন তাই মন্তব্যটা করে ফেললাম।
দুঃখিত।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আলমগীর এর ছবি

@নজরুল ভাই
মন্ত্যবে ঝাঝা। আমার লেখায় কোন নীতি ঠেলে দেইনি। আমিও মনে করি না সুবর্ণা খারাপ কিছু করেছে। আমাদের নিজেদের পরিচিত পরিবেশের মধ্যেও এ রকম হয়। নামটা দিয়েছি সবাই চিনবে বলে। ভিন্ন উদ্দ্যেশ্য নাই। আমার মনে হয় আরেকটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।

@স্নিগ্ধা
কারোরই কোন ক্ষতি নাই। সমাজ তো একটা কনসেপ্ট মাত্র। কিন্তু ধরুন আমি জানি জীবনে অনেক ভুল করেছি। সেই ভুল বুঝতে যদি দুই যুগ চলে যায় জীবন থেকে তো আমি শোধরাব কখন?

স্নিগ্ধা এর ছবি

বোঝার পর যদি একদিনও সময় পান তাহলে তখন।

কিন্তু, এটা আসলে তর্কের কথা। আসল কথা হলো - ভুল আর ঠিক তো বদলে যায়, সময় বা পারিপার্শ্বিকতা বা বয়স/অভিজ্ঞতা যে কারণেই হোক না কেন। কাজেই আজকের যা ঠিক, দু'যুগ পরে তা ভুল মনে হতেই পারে - কিন্তু সেজন্য থেমে থাকবো কেন? ভুল টুল করলামই নাহয়? করারই তো কথা ? শুধু অন্য কারুর ক্ষতি না করলেই হলো, সচেতনভাবে।

একেবারেই আমার ব্যক্তিগত জীবনদর্শন। ভালো থাকবেন।

নন্দিনী এর ছবি

আমাদের বোধ হয় সময় এসেছে আরেকটু পরিণত চিন্তা চেতনা লালন করার । কে কার সাথে কদ্দিন থাকবে, কখন কাকে বিয়ে করবে, কার বয়স কত হবে,এই ব্যাপারগুলো প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব ব্যাপার । আর পাব্লিক প্রোপ্রার্টি মানেটা কী?! কারো জীবন অন্য আরেকজনের প্রপার্টি হতে পারে কী ? কিভাবে হয় ?

ছেলের বয়সী বলেই বা কি বোঝানো হচ্ছে ? বয়স যদি তাদের দুজনের কাছে কোন বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়, তাতে অন্যদের এত মাথাব্যাথার কি কোন দরকার আছে? আর রোল মডেল ব্যাপারটাই বা কি ? তারা কি কোন ধরনের ক্রাইম করেছে? করে থাকলে ক্রাইমটা কি ধরণের ?

নন্দিনী

আলমগীর এর ছবি

কোনটাকে পরিণত চিন্তা বলছেন জানি না। তবে সমাজের, ধর্মের, লোকিকতার প্রয়োজন এখনও শেষ হয়নি (আমি বিশ্বাস করি বা না করি)। প্রাপ্তবয়স্ক দুজন কী করবে কার সাথে থাকতে তা যদি একান্ত তাদের বিষয় হয়, সমাজের কিছু না হয় তবে তো ইনসেস্ট সম্পর্কও মানতে হবে। (অস্ট্রেলিয়ায় কদিন আগেই দুজন সেটা ঘোষণা করেছে)।

লেখার মূল বক্তব্য প্রকাশ করতে আমি ব্যর্থ, না হয় সবাই সুবর্ণাকে নিয়ে যুক্তি তর্কে মেতে ওঠার কারণ নেই। আর অনেকে দেখছি মন্তব্য না করে ভোট মেরে গেছেন।

অম্লান অভি এর ছবি

ধন্যবাদ............এসব মন্তব্য বাদ। স্নিগ্ধা, আলগীর আর নজরুল ভাই- কি এসে যায় কষ্টে গড়া নৌকায় ভেসে জীবন পার করায়। তাই আসুন তাদের সম্পর্ক গুলি তাদের নির্মল চোখে দেখার চেষ্টা করি। সমাজ। সেতো কচু পাতায় জল। পতিত'কে হাত বাড়িয়ে তোলার চেয়ে পতিতা'কে নিয়েই বেশী কথা হয় এখানে। তাই আসুন ওদের মনষ্কামনা পূরণের প্রার্থনায় ব্রতী হই। সর্ব সুখী ভবঃ..........মন পাত্রে (পাত্রী'তেও)।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

আলমগীর এর ছবি

নজরুল ইসলাম লিখেছেন:
আপনার পোস্টের মূল উদ্দেশ্য বোধহয় হুমায়ূন ফরিদী বা সুবর্ণা মুস্তাফা ছিলো না। তারা স্রেফ উপলক্ষ্য ছিলো। কিন্তু যেহেতু ঘটনাটা টেনেছেন তাই মন্তব্যটা করে ফেললাম। দুঃখিত।

আমার দুঃখ সেটা পাঠককুল ধরতে পারলেন না।
ভাল কথা, আপনার ভাল লাগেনি বলেছেন তাই আমিই লেখাটাকে প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরিয়ে দিলাম। এবার আরামে মদালাপ করেন।

কী নিয়ে ব্লগ লেখা যাবে শালার আমি এটাই বুঝে ওঠতে পারছি না।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রথমত বলি আপনার এই ভাষাভঙ্গি বা হতাশা প্রকাশের ভঙ্গিটা ভালো লাগলো না। আপত্তি জানালাম।

আপনার পোস্টের মর্মার্থ পাঠককুল ধরতে পারলো না বলছেন। সেটা বোধহয় সচলায়তনের পাঠকদের ব্যর্থতা বা অপরাগতা। আমার পাঠযোগ্যতার অভাব স্বীকার করছি, আর আশা করছি সচলায়তনে আরো আরো সমৃদ্ধ পাঠক আসবেন যারা আপনার লেখার মর্ম অনুধাবন করতে পারবেন। এবং আশা করছি আপনার লেখা বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে। শুভকামনা রইলো।

আপনার লেখাটা আমার ভালো লাগেনি এই কথাটা কোথায় বলেছি তা যদি একটু দেখিয়ে দিতেন তবে খুব উপকৃত হতাম। যদি সেটা না বলে থাকি তবে আমার না বলা কথা বলে দেওয়ার মতো অসাধারণ পাণ্ডিত্যপূর্ণ আপনাকে অগ্রীম কুর্ণিশ জানাই।

আমিই লেখাটাকে প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরিয়ে দিলাম

এটা একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত। এখানে আমাকে না জড়ানোর অনুরোধ করছি।
এবার আরামে মদালাপ করেন।

আপনার আদেশ পেয়ে ধন্য হলাম। চেষ্টা করবো তা পালন করতে।
কী নিয়ে ব্লগ লেখা যাবে শালার আমি এটাই বুঝে ওঠতে পারছি না।

হতাশ হবেন না, আপনার অনেক লেখার আমি মুগ্ধ পাঠক। তারে জমিন পার বিষয়ে আপনার লেখাটা আমাকে মুগ্ধ করেছিলো, এবং মজার কথা আজ সকালেও আমার স্ত্রীকে সেই লেখার কথা বলছিলাম, বলেছিলাম আপনার সুন্দর বিশ্লেষনের কথা। স্পর্শ এবং তার বোনের গানে আপনার বাদন ছাড়াও আপনার করা কিছু কাজের আমি ভক্ত। আপনি বাংলা স্পেলচেকার সফটওয়্যারটার অপেক্ষায় আমি বসে থাকি। বুকমার্কে রেখে দিয়েছি।
হয়তো সেগুলোর মর্মার্থ আমি অনুধাবন করতে পারি না মূর্খতাহেতু। তবু পড়ি। তবু মুগ্ধ হই।

আপনার সুন্দর লেখার প্রতীক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকবেন
নজরুল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আহসান হাবিব এর ছবি

@স্নিগ্ধা,আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে একটূ দেরি হয়ে গেল।আর একটা কথা বলতে হচ্ছেআপনি মনে হয়ে আমার কমেণ্টটা ঠিকমত পড়েন নি কিংবা আমি ঠিকমত বুঝাতে পারিনি।বেশি বয়সের বিয়ে কিংবা হু,আ-শাওন, সু,মো-সউদ এইগুলা আমার কমেণ্টে আদৌ গুরুত্বপূর্ণ ছিলোনা।সহজকরি বলি,ধরুন আমি আমার বন্ধুর মাকে বিয়ে করলাম।কিন্তু সম্পর্ক তো এমনি তৈরি হয়না,তার আগে আসে ভাবনা;এই ক্ষেত্রে সেটা অবশ্যি যৌন-ভাবনা।আমাদের প্রচলিত সামাজিক নিয়ম অনুযায়ী আ বন্ধুর মাকে আমি মাতৃসম দৃষ্টি ভংগিতেই দেখি।এই ধরনের ঘটনা আসলে আমার এই দৃষ্টভংগি কতটা সৎ সেইটা'কে প্রশ্নবিদ্ধ করে।এইটা একান্তই নিজস্ব বিশ্লষন।সুতরাং এইক্ষেত্রে আপনার "বাবা-মেয়ের বয়সী বা মা-ছেলের বয়সী দম্পতি বা যুগল হলে তাতে কি ক্ষতি হয়? সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়? পরবর্তী প্রজন্ম খারাপ উদাহরণ দেখে? না কি তারা অন্যদের ধরে ধরে পেটায়? ঠিক কি সমস্যা হয়?" আক্রমনাত্মক ঢংয়ে করা এই প্রশ্নগুলো মাজেজাই আমি বুঝলাম না।
আর উত্তর যদি একান্তই জানতে চান আমি বলব না,"আমার কোন সমস্যা নাই"।আমাদের পারিবারিক সম্পর্কগুলা যে ফর্মে দেখি,সেইটা তো মনুষ্য সৃষ্ট নাকি?আর মনুষ্য সৃষ্ট যে কোন কিছু মানুষের প্রয়োজনেই পরিবর্তিত হয়।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি আপনার প্রথম মন্তব্য মন দিয়েই পড়েছিলাম। আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যে আপনি বলছেন আপনার বন্ধুর মা কে আপনি মাতৃসম মনে করেন। আপনার যুক্তি বা/এবং আমাদের সামাজিক রীতি অনুযায়ী হু আ'র উচিত ছিলো তার মেয়ের বন্ধুকে কন্যাসম দেখা, আর তাহলে শাওনের প্রতি তার কোনরকম যৌন আকর্ষণ তৈরী হওয়ার কথা নয়, অতএব প্রেমের সম্পর্কও হওয়ার কথা নয় - তাই তো?

আমার (আক্রমণাত্মক নয়, যেটা ছিলো তা হলো ধৈর্য্যহীন হতাশা) প্রশ্নের উদ্দেশ্য ছিলো - কি হয় যদি এই সামাজিক চলে আসা রীতিগুলো না মানা হয়? এতে ক্ষতিটা কি হয়? আমি আসলেই সেটাই জানতে চাচ্ছি। সমাজে খুন, বা ধর্ষণ, বা পরিবেশ দূষণ এসব নিয়ে যে নিয়ম তা মানার কারণ বুঝি - বৃহত্তর কল্যাণ ইত্যাদি। কিন্তু ছোট ছোট এ ধরনের যে সব হাজারো 'চলে আসা' নিয়ম আছে সেগুলো আসলেই কি আমাদের খুব উপকারে আসে?

বিশেষ করে, আপনিই যেখানে বলছেন -

আমাদের পারিবারিক সম্পর্কগুলা যে ফর্মে দেখি,সেইটা তো মনুষ্য সৃষ্ট নাকি?আর মনুষ্য সৃষ্ট যে কোন কিছু মানুষের প্রয়োজনেই পরিবর্তিত হয়।
অর্থাৎ মানুষ তার নিজের গড়া নিয়ম, নিজের দরকারেই বদলায়?

সময় নিয়ে আমার মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আহসান হাবিব এর ছবি

আমি কিন্তু উচিত কিংবা অনুচিত এইসব নিয়ে ডেফিনিটিভ কিছু বলিনি।শুধু বলেছি আমার ভিতরে এক প্রবল সংশয় তৈরি হয় সমাজে প্রচলিত সম্পর্কের ভিত্তি নিয়ে।
" ছোট ছোট এ ধরনের যে সব হাজারো 'চলে আসা' নিয়ম আছে সেগুলো আসলেই কি আমাদের খুব উপকারে আসে"?
উপকারে আসেনা হয়তোবা কিন্তু স্বাভাবিকতা তো অবশ্যই কিছুটা ক্ষুন্ন হয়।আমার যদি এমন কাউকে(একই উদাহরণ দ্বিতীয়বার দিতে চাচ্ছিনা) মনে প্রানে কামনা করি যে আমাদের প্রচলিত সামাজিক সম্পর্কে কিছুটা বেমানান, তাইলে তার প্রতি কি আমার আচরণ কি স্বাভাবিক হবে?যেটা হবে বাইরে-ভিতরে সম্পূর্ণ বিপরীত-মুখী এই কপট আচরণ।
'চলে আসা' নিয়ম এইটা নিয়ে টান দিলে কিন্তু অনেক কিছুই চলে আসে।এমন কিছু বিষয় চলে আসে আসে যেটা আপাতদৃষ্টিতে চিরন্তণ মনে হয় বা আমরা চিরন্তণ ভাবতে ভালোবাসি।যেমন ধরূন ইনসেস্ট সম্পর্কগুলো।রাহুম সাংকৃত্যায়নের "ভোল্গা থেকে গংগা" তে কিন্তু আছে "মাতা তার নিজের ছেলেদের মধ্যথেকে সবচেয়ে শক্তিশালী জণকে যৌন সংগী হিসেবে বেছে নিতো"।তাইলে দেখা যাচ্ছে আমাদের ইনসেস্ট সম্পর্কগুলোও কিন্তু চলে আসা নিয়মের মধ্যে পড়ে। অথচ দেখুন সফেক্লিসের ইডিপাসের কতই না আর্তনাদ এই "চলে আসা নিয়ম"কে ভূলে অবমাননা করেছে বলে?
ধন্যবাদ আপনার তড়িত্‌ মন্তব্যের জন্য।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অন্যের কোনও ক্ষতিসাধন না করে কোনও পদক্ষেপ/সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তাতে অপরাধের কী আছে, ভেবে পাই না। বরং তা নিয়ে কিছু লোকের মাথা কুটে মরার দৃশ্যটিই অশ্লীল।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।