আহ সিলেট ও অন্যান্য
৪.
প্রেম পুরনো হলেও বলে বিলুপ্ত হয় না; তাই ফিরে পাবার আকুতিও মরে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনের, জীবনের অন্যতম সেরা চারটে বছর, এবং এর বাদেও আরো অনন্ত পাঁচটি বছর সিলেটে কেটেছে। মানুষের কথা ফেলে দিলেও জায়গাগুলোর জন্য, অন্তত তাদের নামগুলোর জন্য মায়াটা দেখছি এখনো অটুট।
৫.
যেদিন সিলেট ফিরি, রাতে খুব বৃষ্টি ছিলো। খুব ভোরে ট্রেন থামে, একটা ট্যাক্সি নিই। কিন ব্রিজটার বয়স মোটেও বাড়েনি। তবে নদীর পানি বেশ বেড়েছে। বর্ষার এখনো অনেক বাকি। কিছু রাস্তা দেখি ডিভাইডার দিয়ে চিরে দেয়া হয়েছে। আর তার দু'পাশে বিরাট, আসলেই বিরাট ১২/১৩ তলা অট্টালিকা, সংখ্যায়ও অনেক। ভূমিকম্প হলে এদের কী হবে! সুরমার উপর বেশ কয়েকটা ব্রিজ হয়ে গেছে। বাইপাস হয়ে গেছে, ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগের ভাল উন্নতি হয়েছে।
প্রায় প্রতি রাতেই বৃষ্টি হয়, দেশের অন্যান্য স্থানের খবর ভিন্ন। সারা দেশে এখন বোরো ধান তোলার সময়। সুনামগঞ্জ-ছাতকের ছয়টা হাওরের ফসল ডুবে গেল ছয় ফুট পানির নিচে। পেটের জ্বালায় ছটফট করা মানুষগুলো তাদের গরু বিক্রি করে দিচ্ছে, খড় যোগাতে পারে না, টিভির খবরে দেখাল। একটা কামলার দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা, তার উপর তিন বেলা খাবার। জীবিত অবস্থায় দেখে যেতে চাই বাংলাদেশের কৃষক কতটা নিঃস্ব হয়েও বেঁচে থাকতে পারে। আরো চাই আমাদের নাগরিক পরিবেশে বেড়ে উঠা মানুষগুলো জীবনে একবারের জন্য হলেও চর্মচউক্ষে ধান-পাট-আলু-বেগুন গাছ দেখুক।
৬.
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি খুবই সাধারণ মানুষ। বোধ করি এখনও ৩০০টাকার শাড়ী পরেন, পায়ে রূপসা কি বাটার চপ্পল। এই মানুষটা না থাকলে বাংলাদেশের কৃষকদের বাঁচা খুব কঠিন ছিল। সব সরকারই জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দেয়, ডিজেলে সেটার পরিমাণ বেশী। কিন্তু কৃষিকাজে ব্যবহার ছাড়াও ডিজেলে চলে বাস ট্রাক, পাচার হয়ে যায় আরো কিছু। সারেও ভর্তুকি দেয়। আলীগ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কৃষি ভর্তুকির টাকা কৃষককে সরাসরি দিতে হবে, যেন ১০০০টাকার ভর্তুকি ইঁদুরে-বাঁদরে খেয়ে ১০০টাকা না হয়। এজন্য কৃষি ব্যাংক কয়েক মাসে সারাদেশে প্রায় ৮৫লাখ ব্যাংকহিসাব খুলে কৃষকদের জন্য, মাত্র দশ টাকা জমা রেখে। এটা একটা অসম্ভব কাজ। কৃষকদের ভর্তুকির ৮০০টাকা এখন কৃষকদের ব্যাংক হিসাবে জমা। বলা দরকার, কৃষি ব্যাংক ছাড়া আর কোন ব্যাংকই কৃষককে ঋণ দেয় না। বাংলাদেশ ব্যাংক বহু জোড়াজুরি করে সামান্য কিছু করতে পারছে মাত্র।
৭.
জিন্দাবাজারে হাসন রাজার উপর জাদুঘর বানিয়েছে দেখলাম। সেখানে গত মাসে দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের একটা মেলা বসেছিল। আমার অনুমান ছিলো আমাদের দেশী বাদ্যযন্ত্রের সংখ্যা খুব বেশী হবে না। ধারণা ভুল, সংখ্যাটা কয়েক শয়ের মতো। মেলা ধরতে পারিনি, স্মরণিকাটা পেয়েছি। নজরুল একাডেমির অবস্থা খুবই সঙ্গীন। নিজেরাও তা ব্যানার লিখে জানান দিচ্ছে: ভূমিখেকোদের হাত থেকে রক্ষা কর। ঢাকার তুলনায় সিলেট শহরে ভিড় খুব একটা বেড়েছে বলে মনে হয় না। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, কিছু আবার কমেছেও। আগে একটা কাগজের দুই পৃষ্ঠা ফটোকপি করতে লাগত ৳২, এখন ৳১.৩০। এক জোড়া বাটা চপ্পল আগে ছিলো ৳৪০ এর মতো, এখন ৳৮০ উপরে। সারা দেশেই সম্ভবত জিনিসের দাম বেড়েছে। তবে সে তুলনায় সিলেটে বাসা ভাড়া মনে হয় একেবারেই বাড়েনি।
৮.
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পরিবর্তন। প্রবেশরাস্তার দু'পাশের কড়ই গাছগুলো বিশাল হয়ে গেছে, রাস্তা প্রায় ঢেকেই ফেলেছে। নতুন শিক্ষাভবন হয়েছে, ক্যান্টিন হয়েছে, অডিটোরিয়াম হয়েছে, ছাত্র/ছাত্রীদের হল হয়েছে। আর গজিয়ে উঠেছে গোটা বিশেক টঙ যেগুলো সন্ধ্যার পরও খোলা থাকে। এগুলো নাকি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নীলদল জিতল তবে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিলে গিয়ে হেরে গেল। কারণ নীলদলের ভেতর ৩০/৩৫ জনের এক উপদল। এরা শুধু জামাতকে ভোটই দেয়নি, রীতিমতো এন্টিক্যাম্পেইন করেছে। এ ৩০জনের মধ্যে অন্তত অর্ধেক একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা, বাম ধারার দাবীদার; দু'জনের চাকরি চলে গিয়েছিল গত জামাতি ভিসির সময়ে। সে সময় তাদের চাকরি বাঁচানোর জন্য ভিসি খেদাও আন্দোলনে ছিলাম। জীবনে কত ছোট-খাট ভুল হয়ে যায়!
৯.
মুড়ি, বোম্বে চানাচুর আর সাথে নিকোবিনার সাতকরার আচার। এ আইটেমটা একসময় আমাদের বন্ধুআড্ডার হট আইটেম ছিল। বোম্বে চানাচুরের সেই ঝাঁঝ নাই, সাতকরার আচার নাকি ১২০টাকা বোতল। তবু যদি বন্ধুদের কেউ থাকত!
মন্তব্য
অনেক গুলো মতিয়া চৌধুরি দরকার ছিল, মাত্র একজনে আর কত!
আব্দুর রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও অনেক ভাল কাজ করছেন।
- থাকতো মানে কী, কৈলাম না আইতাছি! সাতকরার আচার জমা করতে থাকেন। জিনিসটার নামই শুনলাম খালি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আইচ্ছা।
চারপাশের চেয়ে মানুষগুলো হয় আরো বেশী দ্রুত বদলায় নয়তো দূরে সরে যায়। থাকেনা সেই পুরনো আমেজ, পাওয়া যায়না ফেলে আসা সেই সময়গুলো; স্মৃতিগুলো এসে অহেতুক যাতনা বাড়ায় কেবল।
বেয়শক।
এই সিরিজ কি পাঁচ পর্বের? পড়তে খুব ভাল লাগছে
তাই ইচ্ছা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
সাতকড়ার আচার খাইনি, তবে নিকোবিনার অন্য আচার আমাদের নিত্য সঙ্গী। যেমন, নাগা আচার, মিক্সড হট ইত্যাদি।
এই ব্র্যান্ডের আচার দেশে কখনো পাইনি। সম্ভবত সিলেটের বাইরে আসেনা, আর খালি রপ্তানি হয়।
----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
ঢাকাতে দেখেছি, আলমাসে। আমার অবশ্য সাতকড়ার আচারটাই দারুণ লাগে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
স্বাদ বিচারে সাতকড়ার কোন তুলনা হয় না। কাঁচা সাতকড়া দিয়ে মাংসও রান্না হয়। তবে নিকোবিনা সম্ভবত সিলেটেই বেশী পাওয়া যায়।
এই পর্বটাও গত পর্বের মতো ভালো লাগলো- কিন্তু একটা প্রশ্ন- কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে পাঁচ পর্বই লিখবেন !!
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হুবহু এই মন্তব্য করার জন্যই ঢুকেছিলাম!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পর্ব পাঁচটাই হবে। লিখে ফেলে রাখছি, কয়দিন পরে পরে একটা করে ছাড়ছি টিভিতে ধারাবাহিক দেখে বিরক্ত।
৮ নম্বর সেকশনটা বুভুক্ষুর মত গিললাম। বাকী অংশগুলোও।
একটা একান্তই অসঙ্গত অনুরোধ, কিছু ছবি দেয়া যাবে কি? ভালবাসার এই জায়গাটি ইদানিং দেখতে কেমন ডাগর হয়েছে, তা জানতে বড় ইচ্ছে করে।
লেখাটার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
আমার কাছে কোন ক্যামেরা নাই। তুলতে হলে মোবাইল ভরসা। দেখি।
সাতকড়ার আচাড় আমিও খাইনি কোনোদিন। তবে বর্ণনা শুনে এখন খেতে ইচ্ছে করছে।
লেখা বরাবরের মতোই উপাদেয়। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার লেখা উপাদেয় কন, মাথা ঠিক আছে? মেলবোর্নে সাতকড়ার আচার পাইতে পারেন। মীনাবাজার (ফুটস্ক্রে, নিকলসন স্ট্রিট মলে) একসময় আমদানি করত।
প্রথম পর্ব পড়েও আলসেমির কারণে মন্তব্য করা হয়নি। সিরিজ দারুণ লাগছে। পরবর্তী পর্বের জন্য আপেক্ষায় থাকলাম।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুধু ফেসবুকেই জনাব রেনেটের কোন আলসেমি নাই, ক্লান্তি নাই :;
দেশে ফিরছেন, ভালমন্দ খাচ্ছেন, ফেসবুক বন্ধ, হাতে সময় বেশী, একটা দুটা লেখা দেন না কেন?
ভয়াবহভাবে সমর্থন জানাইলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বস,
লেখা ভাল হয়েছে।
তবে অতিথি 'কৌতুহলী'র মত আমারও একটা অনুরোধ রইল---সম্ভব হলে জায়গা গুলোর ছবি দিও।
আজ প্রায় সহস্র দিন আমার প্রিয় শহরটা দেখি না। আর কত হাজার রাতের পর দেখা পাব, তাও জানিনা। শুধু জানি ওই ধুলোমাটি-পাহাড়-টিলা ঘেরা সবুজ স্বর্গ-খন্ডটির জন্যে এক অসহ্য রকমের তীব্র ভালবাসা বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই।
তোমাকে অনেক অ-নে-ক হিংসা--!!
সহস্রদিন মাত্র? তিনবছরও না তাইলে। কোন কোন জায়গার ছবি দেখতে চান বলেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সিলেটে গিয়েছিলাম একবার।সব কিছু দেখা হয় নাই।লেখাটা পড়ে ভাল লাগল।
সবকিছু কি আর দেখা হয়। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে মতিয়া চৌধুরি ছাড়া আর একজনও ট্রু পলিটিশিয়ান নাই। বর্তমান না আসলে কয়েক দশক ধরেই নাই। এই ভদ্রমহিলাকে আমার ফাটাফাটি লাগে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিজে একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, নিজ হাতে চাষবাস করেছেন, তাই তিনি এর মর্ম আর প্রয়োজনীয়তাটা বোঝেন। এভাবে যদি প্রতিটা মানুষ যার যার জায়গা থেকে যার যার কাজটা সততার সাথে করত, অন্তত নিজের এলাকার জন্যও করে তাহলে দেশটার চেহারাই আগামী সময়ে পালটে যেত।
নিকোবিনার আমের আর নাগা মরিচের আচার আমার চরম লাগে। কিন্তু সাতকড়া কেন জানি ভাল পাই না। একবারই অবশ্য চেখে দেখেছিলাম। হয়তো আরো কয়েকবার খেয়ে দেখলে ভাল লেগে যেতেও পারে।
সেই গুড়াকালে মাত্র ৬ দিনের জন্য সিলেট গিয়েছিলাম। ঝাপসা স্মৃতির সুন্দর শহরটা এখনও মাঝে মাঝে টানে। এই বছর একবার অবশ্যই ঘুরতে যাবোই যাবো।
সিরিজটা দারুণ হচ্ছে।
দৃশা
গুড়াকালে আসছেন, আরেকবার বুড়াকালে আসবেন। পুরা জীবন কাভার হয়ে যাবে
আমি সিলেটে গেলেই নিকোবিনার সাতকড়ার আচার নিয়ে আসি। বউ পছন্দ করে না বলে আমি একা একাই আয়েশ করে খাই। অথচ প্রথম যেদিন খেয়েছিলাম, সেদিন মোটেও ভালো লাগে নি! আর এখন! ফুরিয়ে যাবে বলে আগেই কিনে রাখি দু-এক বোতল!
আবার কবে সিলেট যাওয়া হবে কে জানে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বলতেই হয় আপনি বিরল ভাগ্যের অধিকারী
আমি গত বছর সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম। ওটাই এখন পর্যন্ত প্রথম এবং শেষ। ফিরে আসার সময় খুব মন খারাপ লাগছিল। খুব মিস্ করি।
একবার দেখেই এতো মায়া।
আর অনেক বছর থাকার মায়া.....................!!
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১.
ব্যাংকে কাজ করার সূত্র থেকে জানি আসলেই বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষিক্ষেত্রে অর্থায়নে যথেষ্ট সিনসিয়ার না।আমার ব্যাংকের পলিসি অনুযায়ী লাইভস্টক এবং ননডুরেবল প্রডাক্ট ডিসকারেজ্ড সেক্টর।যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন মতে কৃষিক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হার বরাদ্দ করা বাধ্যতামূলক,সেটা মূলত দেখানো হয় বীজ ব্যবসায় ঋণদানের মাধ্যমে।
২.
নতুন একটা চানাচুর বেরিয়েছে রুচি বারবিকিউ।ভিন্নস্বাদের।চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
লুঙ্গি পরা কাউকে কোন বেসরকারি ব্যাংক বসতে দিবে কিনা আমার সন্দেহ আছে, লোন তো দিল্লী।
বারবিকিউ চানাচুর খেয়ে দেখব, ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে প্রায় ভাবি আমি ওদের ফেলে আসছি নাকি ওরাই আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছে ?
বুঝিনা কেবল বুঝি ছেড়ে চলে যাওয়ার নাম টাই গতি আর জীবন এর আরেক নাম গতী । গতী তে গতী তে মিলে মিশে আমরা কেবল ছেড়ে চলে যাই
নিরবিচ্ছিন্ন গতি কিংবা যতি কোনটাই ভাল লাগে না। পরিবর্তনই জীবনের আশা।
থাকেন কয়দিন, আসতেছি দেখা হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
১০/১২ পরে আসেন। আমি একটু চক্কর দিবো সামনের সপ্তাহে।
চরম পেরেশানিতে আছি। তারপরও আপনার ব্লগটি পড়ে ফেললাম। কারণ একটাই-প্রথমেই লেখা সিলেট, আহা সিলেট!
ভুল করেও কি কোনদিন ভোলা যাবে সেইসব দিনগুলো! মালিনীছড়ার সামনের টং দোকানে, আম্বরখানার সেই বাসাটায়, জিন্দাবাজারের ঝালবিতান অথবা মিলিনিয়াম মার্কেটের সামনে বসে আড্ডা-কত চমতকার সেইসব দিন!
অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। সিরিজ পড়তে থাকব।
পেরেশানির মধ্যেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সিরিজ পড়ে যাচ্ছি। তবে, খাওয়া দাওয়ার বর্ণনা বেশি থাকলে পড়া ছেড়ে দিবো!
দেন, তবু খাওয়া দাওয়া ছাড়তে পারব না। আগামী সপ্তাহে একটা বিয়া খাব, ভাবছি সচিত্র রিপোর্ট করব
এবার সিলেট গেলে সাতকড়ার আচার কেনা মাস্ট!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ক'দিন অপেক্ষা করেন। বেশী চাহিদা থাকলে একটা হুছালা এজেন্সি নিয়া নিমু।
সিলেট হলো আমার সেকেন্ড হোম। এখন পর্যন্ত ৭-৮বার মতো গিয়েছি। যতোবার যাই, ততবারই মুগ্ধ হই। এ মাসেই আবার যাবো ... যেতেই হবে ...
বাসায় এখনও নিকোবিনার সাতকড়ার আচার এক বোতল আছে। আমাদের প্রিয় ছড়াকার আকতার ভাই সিলেট গিয়ে কিনে দিয়েছিলেন। মুড়ি-চানাচুর দিয়ে আর খিচুড়ি-মাংশ দিয়ে খুব আয়েস করে খাই। আজ রাতেও খাবো ... মু হা হা হা ...
কৃষকদের নিয়ে আসলে আমরা ভাবতেই চাইনা। সবাই সবার কর্পোরেট মোড়ক নিয়েই ব্যাস্ত আছি। আর চান্স পেলে মাঝে-মধ্যে 'চাষা' বলে গালি দিতে কিন্তু ভুলি না !!!
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আসেন আবার, আমি নিজেও যদিও অতিথি।
খুব ভালো লাগলো। আমার দুইবন্ধু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেই সুবাদে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য সিলেট আমার কাছে সব সময় প্রিয়। সিলেটের চা বাগান, মাধবকুন্ডু, জাফলং, মুনিপুরী পাড়া, সব আমি ঘুরে দেখেছি। অসম্ভব ভালো লাগা হৃদয়ে দোল খেয়ে যায়। লেখাটা পড়ে সিলেটের কথা মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
হ্যাঁ, সিলেটের আলাদা একটা আবেদন আছে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভুল এবং পরিবর্তন... এই না হলে মানবজন্ম!!!
---থাবা বাবা!
গতবছর সিলেট গিয়ে বস্তা ভরে নিকোবিনার হরেক স্বাদের আচার এনেছিলাম। এখনো চলছে। সাতকড়া ভালো, তবে নিকোবিনার নাগা আচারটা জোশ লাগে আমার।
আজকেই ভাবতেছিলাম ঢাকা শহরে আর থাকবো না, স্থায়ীভাবে সিলেট চলে যাবো। আলবাব সাহেবরে ফোন করে সেখানকার বাড়িভাড়া এবং অন্যান্য খোঁজও নিয়ে রেখেছি। চলে আসতে পারি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভালো লাগছে লেখাটা।
সিলেট আমার দারুণ লাগে, অনেক বছর আগে কয়েকদিন ছিলাম, সেই ভালো লাগাটা এখনো আছে।
নিকোবিনার আচার রেগুলার খাই। সাতকড়ার আচারও খেয়েছি বেশি ভালো লাগেনি।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রুচি বার-বি-কিউ চানাচুরটা ট্রাই করে দেখতে পারেন
ভালো লাগলো লেখাটা।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
সিলেট সম্পর্কে আমার ধারনা খুবি কম অনেকটা কচুপাতার জলের মত। তবে সেই ছোট্ট বেলায় যাওয়া সুরমা নদী, শ্রীমংগলের চা বাগান, মাজার -- আমার স্মৃতিতে আজও জ্বলজ্বল। মাংস দিয়ে সাতকরা খাওয়া সৌভাগ্য একবারই হয়েছিল; আর সাতকরার আচারটা আমার কাছে এখনো সবচেয়ে আকর্ষনীয় আচার। চলুক আপনার হয়তো সাথে আমাদের স্মৃতি রোমন্থন।
--শফকত মোর্শেদ
নজু ভাই, তাসনীম ভাই, শিমুল, সংশপ্তক, শফকত
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
লেখা পড়ে ভাল লেগেছে।
নতুন মন্তব্য করুন