ওয়েন রুনি-নামা ও একজন ব্রায়ান ক্লাফ

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২২/১০/২০১০ - ২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

কদিন ধরেই ফুটবলপাড়া সরগরম, সত্যিই কি ওয়েন রুনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে চলে যাচ্ছে? পক্ষে বিপক্ষে নানান সমীকরণ, তবে বুড়ো ফার্গির একরোখা মনোভাবকে মাথায় রাখলে ব্যাপারটা আমলে না নিয়ে পারা যায়না। তার ওপর স্টাম, বেকহাম, তেভেজ ,নিস্টলরয় বা হালের রোনালদোদের কথাই বা ভোলা যায় কী করে? ফার্গির সাথে তাদের বাহাস কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়ে যাওয়ার মাধ্যমেই মিটেছে। মজার ব্যাপার হল, এইসব দলত্যাগীদের সিংহভাগেরই ঠিকানা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রুনির বারেও তেমনটাই ঘটার সম্ভাবনা আপাতত সবচেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। গত বেশ ক ম্যাচেই গোড়ালির ইনজুরির ধুয়া তুলে তাকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ ইংল্যান্ডের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রুনি এই ইনজুরির কথা বেমালুম চেপে গেছেন। তাই দুয়ে দুয়ে যারা চার মিলিয়ে ফেলছিলেন, তাদের ভাবনার পালে হাওয়া দিতে এবার খোদ ফার্গিই স্বীকার করলেন, রুনি সত্যিই ক্লাব ছাড়তে চাইছেন। তবে খবর অনুযায়ী তারকা খেলোয়াড় দলে না ভেড়ানোর কারণেই রুনি দল ছাড়তে পাগলপারা, যদিও অবস্থাদৃষ্টে সে যুক্তি ধোপে টেকেনা বলেই মনে হছে। ফার্গি বরাবরই দাপুটে মেজাজের, তার সাথে একঘাটে জল খাওয়ার হিম্মত তিনি মোটেই বরদাশত করেননা। রুনির সাম্প্রতিক গোলখরা মাথায় রেখেও তাই বলা যায়, এই আকস্মিক প্রস্থান আদপে গুরু শিষ্যের সম্পর্কের চরম অবনতির দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করে। অথচ, গিগস, স্কোলসের আসন্ন বিদায়ের পর রুনিকেই সবাই ম্যানইউর পরবর্তই আইকন হিসেবে ঠাউরেছিলেন। দেখা যাক, জল কদ্দুর গড়ায়। তবে রুনির বিদায়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বেহাল অবস্থা আরো প্রকট হবে, সাধারণ্যে আপাতত এটাই ধারণা।

২.

রুনি ডামাডোলে আরেকটি খবর বিলকুল চাপা পড়ে গেছে, হ্যাঁ, লিভারপুলের হতশ্রী দশার কথাই বলছি। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফলতম ক্লাবটি এখন রেলিগেশনের খাঁড়ায় ঝুলছে। পয়েন্ট তালিকায় নিচ থেকে দুনম্বরে এখন তারা খাবি খাচ্ছে, স্মরণকালে সবচেয়ে জঘন্যতম শুরু তাদের, একথা বোধহয় না বললেও চলে। ফর্মের সাথে যুঝতে থাকা টরেস, জেরার্ডদের মনে হচ্ছে আসল রুপের ছায়া মাত্র, অফেন্স-ডিফেন্স সবখানেই তাদের বেহাল দশা। নয়া কোচ রয় হজসন নবিশ নন, পোড় খাওয়াই বলতে হবে, দলবদলে বাজারসদাই খুব একটা খারাপ করেননি। কিন্তু নতুনরাও একেবারেই হতাশ করছে, আর পুরনো পাপীদের অবস্থাও তথৈবচ। । এরকম আর কিছুদিন চললেই হজসনকে পাততাড়ি গোটাতে হবে ,কিন্তু সেটাই কি সবকিছু বদলে দেবে? মনে হয়না। তারওপর হালে মালিকানা নিয়ে একপশলা নাটকের পর দলটা আসলেই টালমাটাল হয়ে পড়েছে। জাবি আলন্সর বিদায়ের পর থেকে লিভারপুলের পারফরম্যান্সের নিম্নমুখী গ্রাফ এই মৌসুমে মাসকেরানোর দলত্যাগের পর আরো প্রকট হয়েছে। এখন লিভারপুলের খেলা দেখলে চোখ কড়কে নিতে হয়, এই কি সেই লিভারপুল, ইস্তাম্বুলের মাঠে যারা তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও জন্ম দিয়েছিল ফুটবলের অবিস্মরণীয় কামব্যাকগুলোর একটি ? ছন্নছাড়া এই দলটির একটা টনিক এখন ভীষণ প্রয়োজন, কিন্তু সেই টনিক কী হতে পারে... লিভারপুল ভক্তদের জন্য এটি একটি কোটি টাকার প্রশ্ন।

৩.

লোকটাকে বলা হয় কখনো ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচিং না করানোদের মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাতজন।পাঁড় ফুটবলানুরাগী না হলে নামটা হয়তো আপনার কাছে খানিকটা আনকোরাই ঠেকবে, তবে এটা হলফ করেই বলা যায়, ব্রায়ান ক্লাফের মত ক্যারিশম্যাটিক কোচ ফুটবল ইতিহাসে কমই এসেছেন। দ্বিতীয় বিভাগের নিচু সারির দল ডার্বি কাউন্টিকে যিনি প্রথম বিভাগে তোলেন এবং সেখানেই ক্ষান্ত না দিয়ে ৮৮ বছরে প্রথমবারের মত শিরোপা এনে দেন, আবার ফিনিক্স পাখির পুনর্জন্মের মত আরেকটি অখ্যাত ক্লাব নটিংহাম ফরেস্টকে টানা দুবার ইউরোপিয়ান কাপ জেতান ,তাকে ক্যারিশমাটিক ছাড়া আর কীই বা বলা চলে। আর বলাই বাহুল্য, এই রত্নখচিত ক্যারিয়ারে প্রায়ই বিতর্কের আঁচ লেগেছে, মিডিয়ার আঁতশকাচের নিচেও তাকে হরবখত থাকতে হয়েছে।

ব্রায়ান ক্লাফ যেখানেই গিয়েছেন, বিতর্ক বরাবরই তার পিছু নিয়েছে। তবে বীণাপাণি দুহাত ভরে এই একরোখা দুর্বিনীত স্বভাবের ডাকসাইটে কোচটিকে বর দিয়েছেন ,সাফল্যের জন্য মাথা খুঁড়ে মরতে হয়নি তাকে কখনোই। দ্য ড্যামড ইউনাইটেড ছবিটি এই বর্ণাঢ্য লোকটিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। মোটাদাগে বললে ছবিটি ফুটবলসংশ্লিষ্ট বলা যায়, কিন্তু ফুটবলকে ছাপিয়ে ক্লাফ সাহেবের ক্যারিশমা বারবারই ছবিতে মূর্ত হয়ে ওঠেছে।সিনেমায় অবশ্য ক্লাফের কীর্তিগাঁথা দেখার আশা করে থাকলে খানিকটা হতাশ হতে হবে, ছবির মূল কাহিনি তার লিডস ইউনাইটেডের কোচ থাকার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ কয়েকটা দিন। পিটার টেলরের সাথে তার যুগলবন্দি ছিল ডার্বি কাউন্টির জিয়নকাঠি, কিন্তু উচ্চাকাংখী ক্লাফ ডার্বির মায়া কাটিয়ে লিডস ইউনাইটেডের হাল ধরেন। তবে আরেক দুঁদে কোচ ডন দেভির ছায়ায় মাথা খুঁড়ে মরতে থাকা লিডসে তার সময়টা সুখের কাটেনি মোটেও, নানান সংকটে তিনি জেরবার হয়ে পড়েন।তারপর... বাকিটা না হয় নাই বলি।

ব্রায়ান ক্লাফ আদপেই ছিলেন একজন খ্যাপাটে মানুষ, সহকারী পিটার টেইলর ছিলেন তার সর্বান্তকরনেই তার পরিপূরক, আর মেজাজী ক্লাফের রাশ টেনে ধরার কাজটা প্রায়ই টেলরকেই করতে হত। ক্লাফের মতিভ্রমে মানিকজোড়ে সাময়িক ছাড়াছাড়ি হলেও অচিরেই তাদের ফের মিলন ঘটে, তারপর বাকিটুকু স্রেফ ইতিহাস। ক্লাফের চরিত্রে মার্টিন শিন ছিলেন অনবদ্য, ফুটবল কোচের ভূমিকায় বেশ ভালই মানিয়েছিলেন তিনি। বাকিরাও যে যার ভূমিকায় উতরে গেছেন।তবে পিটার টেইলরের চরিত্রে টিমোথি স্প্যালের কথা না বললেই নয়(এই লোককে অনেকেরই চেনা ঠেকতে পারে)। মোদ্দা কথা, ফুটবলভক্তরা ছবিটি দেখলে পস্তাবেননা, এ গ্যারান্টি দেওয়াই যায়।

এতক্ষণ বেশ ইতিহাস কপচালাম ,মনে মনে হয়তো ভাবছেন, আরে ক্লাফের সাথে তো আরেক সাফল্যপ্রসূ কোচ হোসে মরিনহোর ভালই মিল। আমি অবশ্য মরিনহোকে আধুনিক ক্লাফ বলতে নারাজ, সাফল্যের বিচারে কার পাল্লা ভারি সেটাও নির্ণয় করা দুরুহ বটে। তবে মরিনহোর সাথে ক্লাফের যে কিছু মিল আছে ,সেটা অস্বীকার করার জো নেই। আর আজকের খাবি খেতে থাকা লিভারপুলের যে আরেকজন ক্লাফ দরকার , খুব খুব করে দরকার, সে বিষয়েও কোন দ্বিধার অবকাশ নেই। কিন্তু সেই কান্ডারী কে হবেন, এ সওয়ালের জবাব আপাতত আমাদের কাছে নেই।


মন্তব্য

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

শেষে এসে একটু কড়কে গেছে... ব্যাপার্না, ছবিটা কলম্বাক্সস্থ করছি অচিরেই তোর কাছ হতে...

ফুটবল বিশ্লেষণ ঠিকাসে।

_________________________________________

সেরিওজা

অদ্রোহ এর ছবি

ফুটবল নিয়া ছায়াছবি হামেশাই ভালু পাই।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

আবির [অতিথি] এর ছবি

লিভারপুলের যে অবস্থা দেখা যাচেছ তাতে গোটা কয়েক ক্লাফ, বোরা মিলুটিনোভিচ, ফার্গুসন মায় মরিনহো পর্যন্ত গুলে খাইয়ে দিলেও কোন সদগতি হওয়ার মতো আশা আপাতত দেখা যাচ্ছে না ... অবশ্য পৌনে দুই মাসের অবস্থা দেখে লিভারপুল সম্পর্কে কোন ভবিষ্যৎবাণী করতে গেলে ভক্তকুলের রোষনজরে পড়তে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই ... তাই আপাতত চেলসি আর সিটির ভেল্কি দেখতে থাকি, যো হোগা দেখা যায়েগা।

ও বিটিডব্লু, লেখা ড্যামনড ইউনাইটেড ছবিটার মতোই উপাদেয় হয়েছে।

অদ্রোহ এর ছবি

আমাদের অবিসংবাদিত লিভারপুল ওরফে ইন্টার ওরফে দেপোর্তিভো সাপোর্টারের মতে, এবার লিভারপুল দশ-এগারো নম্বরে থাকবে। দেখা যাক...

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

দিফিও [অতিথি] এর ছবি

প্রবল ফুটবল অনুরাগী আর ম্যান ইউনাইটেড ফ্যান, তাই মন্তব্য না করে পারলামনা হাসি

বিশ্লেষণ মোটামুটি ঠিক আছে, তবে রোনালদোর সাথে ফার্গির "বাহাস" ছিল বলে মনে পড়েনা। আর রুনির ব্যাপারটা ম্যান ইউনাইটেড-ভক্তদের জন্য হৃদয় বিদারক। রুনি দলে ভেড়ার পর থেকেই সবাই জানত, একদিন সেই হবে দলের ১ নম্বর খেলোয়াড়, ওল্ড-ট্রাফোর্ডের রাজা। কিন্তু হায়, বিধি বাম। এখন পর্যন্ত, এই পুরো ঘটনায়, রুনি আর তার এজেন্টের ভূমিকাই মূখ্য দেখতে পাচ্ছি।

তবে "চুয়িং-গাম চাবানি বুইড়া"(এলেক্স ফার্গুসন) যতদিন আছে, ততদিন ভরসা রাখা যায়। আর দল গড়ে তোলায় এই লোকের জুড়ি নেই। ৯৫-৯৬ মৌসুমে এই লোকই সকল ফুটবল-পন্ডিতের মুখে ছাই দিয়ে শিরোপা জেতান ম্যান ইউকে, প্রায় আনকোরা নতুন সব খেলোয়াড় নিয়ে।

তবে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতিতে এবার এটা কতটুকু সম্ভব, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

অদ্রোহ এর ছবি

প্রথমেই বলি, রেড ডেভিল ফরেভার!

রোনালদোর সাথে বাহাস ছিলনা বৈকি, তবে ম্যানইউ-রিয়াল ট্রানজিট রুটের ওই তো সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণ।

ইদানীং বুড়োর ওপর কিছুটা বিরক্ত, এক জাভিয়ের হার্নান্দেজ ছাড়া এই সিজনে এখনো কোন বলার মত খেলোয়াড় আসেনি, অথচ স্নেইদারের মত খেলোয়াড় ম্যানইউতে আসতে কিন্তু ঠিকই মুখিয়ে ছিলেন। কেন তাকে আনতে কোন বিড করা হয়নি আমি জানিনা।

রুনির রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া কঠিন, হয়তো অসম্ভব, দেখা যাক কি হয়...

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

হাসিব এর ছবি

তাহলে বুঝলাম ফুটবলপাড়া নট ইক্যুয়ালটু বিশ্ব ফুটবল।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

অদ্রোহ এর ছবি

একটু সবিস্তারে বললে ভাল হত হাসিব ভাই।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

হাসিব এর ছবি

রুনি নামে এক প্লেয়ার নাকি কোথায় যাইতেছে এইটাতে নাকি ফুটবলপাড়া সরগরম এইটা দিয়ে লেখা শুরু। ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে বা ল্যাটিন এ্যামেরিকাতে কে এইটা নিয়ে হট্টগোল করতেছে সেইটা জানা নাই। রুনির আবেদন ইংল্যান্ডের মিডিয়া আর দুয়েকটা ক্লাবেই সীমাবদ্ধ। আর আমাদের দেশে ঐ কাটপেস্ট খবর হিসেবে রুনির নিউজ আসে পত্রিকায়।

________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

অদ্রোহ এর ছবি

রুনির আবেদন ইংলিশ মিডিয়া আর দুয়েকটা ক্লাবেই সীমাবদ্ধ, কথাটা ঠিক মানতে পারলামনা। রুনির দলবদলের খবরে লা লিগা, সিরিআর বড় দলগুলো কিন্তু রীতিমত নড়েচড়ে বসেছিল হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

দিগন্ত এর ছবি

লিভারপুল এই সিজনে মিড টেবলে শেষ করলে একটা বিরাট ব্যাপার হবে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অদ্রোহ এর ছবি

আমার নিজের প্রেডিকশন - ওরা আট- নয় নম্বরে থাকবে, তবে জানুয়ারির ট্রান্সফারে কিছু হয় কিনা কে জানে...

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সাফি এর ছবি

১। রোনাল্ডো নিজের ইচ্ছেয় রিয়েলে গেছিল, ক্লাব বা ফার্গির সাথে ঝামেলা করে না।
২। বর্তমানে ম্যানঊ এর যে বাস্তবতা তাতে রুনিকে বিক্রি করা ম্যানঊ এর জন্য খুবই ভাল হবে। ক্লাবটি দেনায় জর্জরিত, রুনির মূল্য সেখানে কিছুটা সুদ শোধে লাগবে (খুঊপ খেয়াল কইরা - দেনা মেটাতে না)। এছাড়া গত মার্চ মাস থেকে রুনি নিজের ছায়া হয়ে আছে। মাঠের বাইরের বিভিন্ন ঘটনাও তার পারফর্মেন্সে প্রভাব ফেলছে। ইংল্যান্ডের ট্যাবলয়েডগুলো এমনিতেও আগামী কিছুদিন তাকে স্বস্তিতে থাকতে দেবেনা, তাই আমার মতে ইংল্যান্ড ছাড়ার সিন্ধান্ত দল ও রুনি উভয়ের জন্যই win win
৩। তবে আর্সেনালের পাড় সমর্থক হিসেবে তাই আমি চাই রুনি ম্যানচেস্টারেই থাকুক দেঁতো হাসি

অদ্রোহ এর ছবি

রুনির ভাষ্যমতে ম্যানইউর নির্বাহী ডেভিড গিলের সাথে সাক্ষাতে কোন বড় সাইনিং এর আশ্বাস দিতে না পারার কারণেই রুনি ক্লাব ছাড়তে চাইছেন।

এখন দেনার ধুয়ো তুলে যদি রুনিকে বিক্রির পাঁয়তারা করা হয়, তবে বলার কিছু থাকেনা, কারণ সেটা একান্তই অন্দরমহলের খবর। কিন্তু রুনি দল ছাড়লে সেটা উভয়ের জন্য লাভবান হবে, এমন কথায় দ্বিমত জানাই। শত হোক, দলকে দেওয়ার মত রুনির এখনো অনেক কিছু আছে।

আর আর্সেনাল সাপোর্টার হিসেবে আপনি চাইতেই পারেন এটা, কিন্তু সেটা পরের বিষয়, আপাতত সামনে ম্যানসিটির সাথে ম্যাচ, হে হে চোখ টিপি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লাভ হিম অর হেইট হিম... এটা মানতেই হবে যে অ্যালেক্স ফার্গুসন প্লেয়ার তৈরি করতে জানে। এই সিজনে ম্যানইউ কিছু জেতার সম্ভাবনা কম হলেও শূন্য না। অফ-ফর্ম রুনিকে নিয়েও সিজনের শুরুতে চেলসিকে নাচিয়েছিলো ম্যানইউ। রুনি চলে গেলেও খুব একটা ক্ষতি হবে না। ঠিক যেমন বেকহাম, নিসলারয়, বা রোনাল্ডো যাওয়ায় অত একটা ক্ষতি হয় নাই। বার্বাটভ-হার্নান্দেজরাই হয়তো জিতিয়ে বের করবে। ওয়েঙ্গার যদি ফার্গুসনে অর্ধেক পরিমাণ কার্যকর কোচও হতো, তাহলে এত ট্যালেন্ট নিয়ে আর্সেনাল ৫ বছর শিরোপাহীন থাকতো না।

ম্যানসিটি এবারে বড় দলগুলোকে হারালেও ছোটো দলের কাছে ভালোই ধরা খাচ্ছে। মুড়ি-মুড়কিই ভরসা এখন। চেলসি আরও দুই বছর ভালোই চলবে, কিন্তু এর পর কী হয় দেখার অপেক্ষা। মরিনহোর কেনা স্টারগুলা তো সব বুড়া হয়ে গেল।

অধম লিভারপুলের সমর্থক। ঈমান শক্ত না হলে এই দলের সমর্থক হওয়া যায় না। চোখ টিপি এই জন্যই রেলিগেশনের ভয়ও গায়ে লাগে না। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডো আসার আগ পর্যন্ত প্রথম ১০-এর ভেতর থাকলেই চলবে। বাকিটা নতুন প্লেয়ার এলেই ঠিক হয়ে যাবে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে যাবে, আশা আছে। জেরার্ড-মেইরেলেস পার্টনারশিপে কেমিস্ট্রি একটু বাড়ুক। বাকিটা আসবে সময়ের সাথে সাথে। তোরেসের মানের প্লেয়ারও বেশিদিন অফ-ফর্ম থাকে না। উইং নিয়েই চিন্তা। কোল জঘন্য ফর্মে, আর গ্লেন জনসন তো ডিফেন্সে প্যাথেটিক! স্কেজ্যুলও বেশ বাজে ছিলো। ব্ল্যাকপুলের সাথের খেলাটাই বাজে হয়ে গেছে বেশি। কপাল সাথে থাকলে এভার্টনের বিরুদ্ধের খেলাটাও এত বাজে হতো না। ব্যাপার না। আরও তো ৩০টা খেলা আছে।

অদ্রোহ এর ছবি

ইশতি ভাই, আমাদের মত ডাইহার্ড ম্যানইউ ফ্যানরাও এবারে আশায় বুক বাঁধতে পারছিনা, এখন পর্যন্ত কোন বিগ ট্রান্সফার নেই, হওয়ার সম্ভাবনাও তথৈবচ, ভ্যালেন্সিয়া লম্বা মেয়াদের জন্য বাইরে, তার ওপর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ব্রমের মত দলের সাথে দুগোলে এগিয়ে থেকেও ড্র করা...আর কিছু জেতা ম্যাচ ফস্কে যাওয়া...নাহ এই সিজনে কিছু জিততে মেলা কাঠখড় পোহাতে হবে।

ম্যানসিটি- চেলসিই মূল লড়াইটা লড়বে মনে হচ্ছে, যদিও আর্সেনালকে গনায় না ধ্রলে ভুল হবে।

লিভারপুলের মুল গলদ ট্যাকটিকসে নাকি অন্য কোন সমস্যা জানিনা। আমার মনে হয় মাসকেরানর জায়গায় লুকাস- মেরেলেসরা বেশ মিডিওকার প্লেয়ার, ডিফেন্সেও ওই ক্যারাঘারই ভরসা, তবে মূল চাবিকাঠি কিন্তু জেরার্ডের কাছেই, জেরার্ড- টরেস জ্বলে উঠুলে সব ঠিক।তবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের আশা কি সত্যিই করেন ? হাসি

বিটিডব্লিও, এই খবর পড়েছেন কি?

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আর্সেনালের জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো ওদের গণায় না ধরা। গতবার ১০-১২ খেলা বাকি থাকতে হিসাব করে দেখলাম যে আর্সেনালের পথই সবচেয়ে সহজ। কঠিন সব খেলা শেষ হয়ে গেছিলো, ছোটো দলগুলাকে ৩/৪টা করে গোল দিচ্ছিলো। বেকুব শালারা কেমনে কেমনে ৩য় হয়ে গেল!! এলেম লাগে এই ভাবে ভচকাতে...

ম্যানইউ-র জন্য এটা ট্রানজিশন সিজন বলা যায়। বার্বাটভ অবশেষে নাম/দামের প্রতি সুবিচার করছে, নানি-রাফায়েলরা উঠে আসছে। রুনি খারাপ খেলাটাই বরং ভালো। গত সিজনটা পুরো রুনির কাঁধে চেপে কাটিয়েছে ম্যানইউ।

তবে শেষ পর্যন্ত তো গেল না আর। আমি তোরেসকে নিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম, তবে সেটা চেলসিতে চলে যাওয়ার ভয়। ম্যানইউ এই ল্যাংড়া ঘোড়াকে নিতো না। চেলসি বা ম্যানসিটি পারতো দুই-এক সিজন অপেক্ষা করতে।

লিভারপুল ঠিক হয়ে যাবে ধীরে ধীরে। স্কোয়াডের অবস্থা জঘন্য বাজে। হুদা কিছু প্লেয়ার নিয়ে হজসন বেচারা আটকা পড়ে আছে। ম্যানেজার নিয়োগের আগেও ২ মাস সময় নষ্ট করা হয়েছে। কম বাজেট, কম সময়, ইত্যাদির মধ্যে যেটুকু করেছে তা নিয়ে অভিযোগ করা অনুচিত। মেইরেলেস-জেরার্ড দাঁড়িয়ে যাক, কোল ফর্মে আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে। ট্যাকটিক্স নিয়ে সমস্যা আছে কিছু, কিন্তু ভালো প্লেয়ার না থাকলে সবই বৃথা। মন খারাপ

সিরাত এর ছবি

তুই হালা এই লেভেলে ফুটবল ফ্যানাটিক জানতাম না! দুইটা কমেন্ট মিলায় তো আলাদা লেখাই হইয়া যাইতো। হাসি

মজা পাইসি পড়ে যদিও। ওকে, এসব নিয়াই ল্যাখ!

অদ্রোহ এর ছবি

সিরাত ভাই, লিখলাম আমি, বাট অল ক্রেডিট গোস টু ইশতি ভাই, দুঃখ পাইলাম মন খারাপ

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সিরাত এর ছবি

হায় হায় কয় কি! নারে ভাই, মন খারাপ করার কি আছে! হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হুঁহ, এইসব হুলিগানেদের কিছু বলাই দায় ... কোথায় বার্সার পতাকাতলে আসবে, তা না- আছে কীসব রয় ফার্গুসঅন আর এলেক্স হজসন নিয়ে... দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

অদ্রোহ এর ছবি

ওহে খ্যাপ গাড়ডিওলার শিষ্য, "তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবার দাও শকতি" কথাটা খিয়াল কইরা চোখ টিপি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অদ্রোহ এর ছবি

আর্সেনাল গতবার আসলেই একটা দারুণ পজিশনে ছিল, চেলসি, সিটি, ভিলাদের সাথে ম্যাচগুলো মোটামুটি ভালয় ভালয় পার পাবার পর শেষমেশ তাদের রীতি অনুযায়ী পচা শামুকেই পা কাটল। আর্সেনালের নতুন রিক্রুটরা কিন্তু এবার দুর্দান্ত সার্ভিস দিচ্ছে, ডিফেন্সে স্কোয়ালাচি,কশ্চিনি অ্যাটাকে শামাখ ভালই খেলছে, আর পুরনোরা তো আছেই। ওদের গনায় না ধরলে ভুল হবে।

ম্যানইউর এবার বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হবে, রুনি শেষ পর্যন্ত আছে,কিন্তু একটা ভয়াবহ হপ্তা শেষে সবকিছু ঠিকঠাক হতে সময় নেবে। তবে এত দ্রুত ঘটনা উলটো দিকে মোড় নেবে, এটা আমি আঁচ করতে পারিনি।

লিভারপুলের শুরুটাই বাজে ছিল, জোকোল পয়লা ম্যাচে রেডকার্ড, ক্লিক করার সময়ই পেলনা। তবে হজসন সামলে নিতে পারবে কিনা, এটা নির্ভর করছে এখন ওর মোটিভেশনের ওপর, কারণ ট্যাকটিকালি হজসনকে আমার বেশ ভালই মনে হয় ।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ম্যানসিটির এখনকার পার্ফরমেন্সের সাথে কোচ রবের্তো মানচিনির সম্পর্ক গভীর। মানচিনিকে নিয়ে আমার একটা পার্সোনাল অবজারভেশন আছে। তাঁর খেলা আমি ১৯৮৮-১৯৯১-এ (সাম্পদোরিয়া আর ইটালীর হয়ে ভিয়াল্লির সাথে) দেখেছি। ম্যানসিটি বা মানচিনিকে নিয়ে কোন পোস্ট আসলে সেখানে বলবো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অদ্রোহ এর ছবি

পাণ্ডবদা, আপনিই একটা পোস্ট দেন, আমরা না হয় দুআনা যোগ করব সাধ্যমত।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ম্যানসিটিকে নিয়ে কোন পোস্ট লেখার প্রশ্নই ওঠেনা, সময়ের অপচয়। শুধু মানচিনিকে নিয়ে পোস্ট লেখার কথাও ভাবিনা। ইটালীর '৯০-এর ফুটবল টিম নিয়ে লেখার কথা মাঝে মাঝে ভাবি। পরে মনে হয় চিরতরে শেষ হয়ে যাওয়া, আবেদনহীন, প্রয়োজনহীন একটা বিষয়ে কেন লিখবো?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অদ্রোহ এর ছবি

ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ আছে, ফুটবলে তো মজে থাকি হামেশা, তাই ইতিহাস যদি ফুটবলের হয় তাহলে এর চেয়ে লোভনীয় আর কিছু নেই। নব্বই দশকে আমাদের মত যাদের মাত্রই চোখ ফুটেছিল , তাদের কাছে কিন্তু ইতালির ওই সময়ের দলটি বিলকুল অচেনা। আর আপনি যদি সময় না পান তবে সে ভার আমরাই না হয় বইলাম, আপনার খানিকটা সঙ্গ পেলেই সেটাই হবে মহার্ঘ্য।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সাফি এর ছবি

ওয়েঙ্গার যদি ফার্গুসনে অর্ধেক পরিমাণ কার্যকর কোচও হতো

কার্যকারিতার পরিমাপক কি শুধু ট্রফি জেতায় সীমাবদ্ধ?

এই খবরটা দেখেন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

টু সাম এক্সটেন্ট, হ্যাঁ... ট্রফি না জিগলে কেম্নে কী? বিশেষ করে এত প্রতিভাবান দল নিয়ে। ওয়েঙ্গার প্রতিভা খুঁজে বের করে, ভালো প্লেয়ার বানায়, তারপর বেশি দামে বিক্রি করে দেয়... এই-ই তো চলছে গত ৫ বছর ধরে। সবচেয়ে লাভজনক দলগুলোর একটা হওয়ার পরও এই সিজনে একটা গোলকিপার কিনলো না! গত সিজন স্রেফ একটা গোলকিপারের অভাবে ধরা খাওয়ার পরও এমন কৃপণতার কোনো অর্থ নাই। আর্সেনাল জিতবে, এই ভরসা করতে করতে ক্লান্ত আর কি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ম্যানিউ'র পর লিভারপুল আমার ফেভারিট তিম ছিল। কারন খানিকটা টোরেস। মুগ্ধ হয়ে ওর খেলা দেখতাম। দুটো দলের অবস্থাই এ মৌসুমে খারাপ মন খারাপ

---আশফাক আহমেদ

অদ্রোহ এর ছবি

ম্যানইউর অবস্থা তুলনামূলক খারাপ- মানি, কিন্তু লিভারপুলের সাথে এক পাল্লায় মাপার সময় এখনো আসেনি। তবে একথা ঠিক, টরেস আসলেই একটা ক্লাস প্লেয়ার।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

দ্রোহী এর ছবি

লিভারপুলের খেলোয়াড়দের কোচিং দেবার দায়িত্ব শেখ মোহাম্মদ আসলাম বা নির্মলেন্দু গুণের উপর ন্যস্ত না হলে ভবিষ্যত অন্ধকার।


কাকস্য পরিবেদনা

অদ্রোহ এর ছবি

দেঁতো হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।