রাসায়নিক প্রেমপত্র এবং শ্রমিক ব্যাকটেরিয়া

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০১/২০১১ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জার্মান দূতাবাসের ভিসা অফিসার আমার কাছে জানতে চেয়েছিল অণুজীব সম্পর্কে এমন কোন তথ্য যেটা সাধারণ মানুষ জানে না। একটু ছেলেমানুষি ধরণের প্রশ্ন বটে। তবে আমিও ওনাকে ছেলেমানুষ (যদিও তিনি নারী ছিলেন! চোখ টিপি ) ধরে নিয়েই উত্তরটা দিয়েছিলাম।

-আপনার শরীরে যতগুলো কোষ আছে, অণুজীব আছে তার কমবেশি দশগুণ!

-বলেন কি! এরা কোন ক্ষতি করে না? [আলোচনাটি তীব্রভাবে সংক্ষেপিত]

জীবাণুদের দিকে কেউ ট্যারা চোখে তাকালে কেন জানি আমার কলিজায় লাগে। কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যাই আর হড়বড় করে জ্ঞান কপ্‌চাতে থাকি! দূতাবাসে আমার সেই সাক্ষাৎকারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জীবাণুদের উপর দীর্ঘ একটা লেকচার ঝেড়ে দিয়েছিলাম। সেই লেকচারের একটা অংশ এখানে আরেকবার লিখছি।

জীবদেহ গঠন করে কোষ। আর কোষ তৈরির ইট হল প্রোটিন। প্রোটিন তৈরির মশলা হল এমাইনো এসিড। আর এমাইনো এসিড মাত্রেই নাইট্রোজেন থাকতেই হবে। সুতরাং ব্যাপারটা পরিষ্কার, নাইট্রোজেন নাই তো জীবন নাই।

প্রকৃতির কুদরতে পরিবেশে নাইট্রোজেনের অভাব নেই। বাতাসের প্রায় ৮০ ভাগ নাইট্রোজেন। কিন্তু প্রকৃতির ইয়ার্কিতে মানুষ-জীবজন্তু বা গাছেদের কেউই বাতাস থেকে নাইট্রোজেন নিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটাতে পারেনা। কারণ বাতাসে নাইট্রোজেন জোড়া বেঁধে থাকে। আর দুটি নাইট্রোজেন অণুর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা সাংঘাতিক শক্ত। সেই শক্ত ভালোবাসা ত্যাগ করে তারা প্রাণীর উপকারে আসতে চায় না। জোড়া বেঁধে নির্বিবাদী হয়ে ঘুরে বেড়াতে চায়।

তাহলে প্রাণিকুল নাইট্রোজেন পায় কোথায়?

প্রাণিকুলের নাইট্রোজেন পাওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় আছে। তার মধ্যে সবচাইতে কার্যকরি আর চমকপ্রদ উপায়টি হচ্ছে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নাইট্রোজেন পাওয়া। এই ধরণের ব্যাকটেরিয়াকে বলে 'সিমবায়োটিক নাইট্রোজেন ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া'। এই ব্যাকটেরিয়ারা বিশেষ কিছু গাছের সঙ্গে একটা চুক্তিতে আসতে পারে। চুক্তিটা হয় এরকম, ব্যাকটেরিয়া গাছকে দেবে নাইট্রোজেন আর গাছ ব্যাকটেরিয়াকে দেবে তার প্রয়োজনীয় খাদ্য আর উপযুক্ত পরিবেশ।

ডাল জাতীয় গাছেরা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে এরকম ভালোবাসার চুক্তি করতে পারে। এসব গাছকে বলে 'লেগিউম'। লেগিউম গাছের শেকড় যখন মাটিতে বাড়তে থাকে তখন তা থেকে এক ধরণের রাসায়নিক বের হয়। যেটা মাটিতে থাকা নাইট্রোজেন ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়ারা বুঝতে পারে। এইসব ব্যাকটেরিয়াও গাছকে সংকেত দিতে পারে বিশেষ রাসায়নিক তৈরি করে। অনেকটা প্রেমপত্র চালাচালির মত। যাকে বলে একেবারে রাসায়নিক প্রেমপত্র।

গাছের প্রেমপত্র পেয়ে ব্যাকটেরিয়ারা যখন শেকড়ের কাছাকাছি পৌঁছায় তখন গাছ তার শেকড়কে ছাতার হাতলের মত বাঁকিয়ে একটা গুটুলি পাকিয়ে ফেলে। সেই গুটুলির মধ্যে থেকে যায় ব্যাকটেরিয়াগুলো। গুটুলিতে ঢুকে ব্যাকটেরিয়াগুলো গলি ঘুপচি ধরে শেকড়ের আরো ভেতরে চলে যায় আর বাচ্চা দিয়ে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। এভাবে জ্ঞাতি গোষ্ঠী বাড়িয়ে একটু জাঁকিয়ে বসে তারা নজর দেয় বাতাসের নাইট্রোজেনের দিকে।

বাতাসে জোড়া বেঁধে থাকা নাইট্রোজেনগুলোকে গুটুলিতে থাকা ব্যাকটেরিয়ারা ধরে ধরে এক আলাদা করে ফেলে। আর তারপর সেই আলাদা করা নাইট্রোজেনের সঙ্গে আরো কিছু মৌল মিশিয়ে গাছের খাবার বানিয়ে দেয়। এই কাজে ব্যাকটেরিয়া ব্যাবহার করে 'নাইট্রোজিনেজ' নামের এক বিশেষ অস্ত্র। 'নাইট্রোজিনেজ' জাতিতে এনজাইম। হাতেগোনা কিছু ব্যাকটেরিয়া ছাড়া সৃষ্টিকুলে আর কারো এই অস্ত্র নেই। এই অস্ত্র দিয়ে একজোড়া নাইট্রোজেনকে ভেঙে ফেলতে ব্যাকটেরিয়ার প্রয়োজন হয় ১৬টি এটিপি (ATP: জীবদেহের জ্বালানি)। কিভাবে বোঝাব বুঝতে পারছি না, কেবল বলে রাখি ১৬টি এটিপি মানে বেশ দস্তুরমত শক্তি।

ব্যাকটেরিয়ার যে নাইট্রোজেন ভাঙার অস্ত্র নাইট্রোজিনেজ, এটির আবার মস্ত একটা দুর্বলতা আছে। বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসলে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। তাই শেকড়ের যেসব গুটুলিতে এসব ব্যাকটেরিয়ারা থাকে, গাছেরা সেখানে তৈরি রাখে 'লেগহিমোগ্লোবিন' নামের এক বিশেষ চুম্বক। এই চুম্বক বাতাসের অক্সিজেনকে আটকে ধরে রাখে যাতে অক্সিজেন ব্যাকটেরিয়ার নাইট্রোজিনেজের কোন ক্ষতি করে ফেলতে না পারে। এরকম উপযুক্ত পরিবেশ আর দুবেলা গাছের দেয়া ডালভাত পেয়ে ব্যাকটেরিয়ারা একেবারে জানপ্রাণ দিয়ে নাইট্রোজেন বানাতে লেগে পড়ে। এভাবে ব্যাকটেরিয়ারা গাছকে দেয় নাইট্রোজেন। আর গাছ থেকে নাইট্রোজেন পায় সারা প্রাণিকুল।

কেউ যদি একটা বাড়ন্ত ডাল গাছ উপড়ে ফেলে তাহলে তার শেকড়ে দেখতে পাবে ছোট ছোট পুটুলি। সেই পুটুলি কোন সাধারণ বাজারের থলি নয়। ওগুলো আসলে প্রাণিকুলের প্রোটিনের কারখানা। সেখানে ব্যাকটেরিয়ারা দিনরাত খেটে চলেছে সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখতে। যেসব শ্রমিক ব্যাকটেরিয়ারা ওইসব কারখানায় খাটছে, ভালো শ্রমিক হওয়ার জন্যে ওদেরকে শারিরিক ভাবে বদলে যেতে হয়েছে। সেই বদল কেবল একমুখী বদল। ওরা কখনোই আর আগের অবস্থায় কখনোই ফেরত যেতে পারবে না। গাছটির আয়ু ফুরালে ব্যাকটেরিয়ারাও মরে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে।

প্রকৃতিতে এরকম শ্রমিক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কম নয়। এদের সংখ্যার তুলনায় চোর-ছ্যাঁচড় ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা নিতান্তই হাতে গোনা। মানুষের শরীরে যে তার কোষের চাইতে দশগুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে তারাও আদতে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। এরা না থাকলে মানুষ জন্মের পরেই মরে ভুত হয়ে যেত। দুয়েকটা দুশ্চরিত্র জীবাণুর জন্যে এরকম উপকারি হাজারো জীবাণুর দিকে যখন কেউ ট্যারা চোখে তাকায় তখন রেগে না গিয়ে উপায় থাকে বলুন?


মন্তব্য

নীল রোদ্দুর এর ছবি

আপনাকে সবাই জীবাণুদা বলে ডাকে, তাই আমিও ডাকলাম। হাসি
আপনার লেখাগুলো পড়লে আমি আসলেই আপনার জীবাণুর প্রতি ভালবাসা টের পাই। যথারিতী, এই লেখাটাও তাই। ভালো লাগা রেখে গেলাম। হাসি

আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই, ইমেইল ঠিকানা দেয়া যাবে?
আমারটা দিয়ে গেলাম। jawshan@জিমেইল

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হো হো হো জীবাণুদা ডাকলে সমস্যা নেই। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন meetsangeet@জিমেইলে।

[অ.ট. আপনার সিগনেচার আর আমার সিগনেচারের মিল দেখে চমৎকৃত হলাম!]

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অমিত এর ছবি

চমৎকার লেখা

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সচল জাহিদ এর ছবি

যথারীতি সাবলীল, মজাদার ভাবে বিজ্ঞান শেখানো।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

চমৎকার। এই লেকচারের পরে ভিসা দিতে দেরি হওয়ার কথা না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ভিসা দিয়েছিল হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

চমৎকার লেখা হাসি

তানজিমুর এর ছবি

লেখা পড়ে খুব ভাল লাগল...তার চেয়ে বেশি পেলাম বিজ্ঞানকে সহজ করে তুলে ধরা যায় এমন লিখার অনুপ্রেরণা...দেখি চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে এরকম মজার কিছু লিখা যায় কিনা

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্পর্শ এর ছবি

সাধেই কি তোমার লেখা এত পছন্দ করি! দেশের সব টেক্সট বই তোমারে দিয়ে লেখানো দরকার।
আর,

-আপনার শরীরে যতগুলো কোষ আছে, অণুজীব আছে তার কমবেশি দশগুণ!
-বলেন কি! এরা কোন ক্ষতি করে না? [আলোচনাটি তীব্রভাবে সংক্ষেপিত]

এর পরে যে একথা... ওকথা..... বলে ছলে-বলে-কৌশলে দূতাবাসের সেই বালিকাকে রাতে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাইলা... তার পরে যে জীবানু আদান-প্রদান...

সেইসব তীব্র কাহিনি সংক্ষিপ্ত করলে চলবে?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দূতাবাসের কথোপকথন মনে হয় আপনি পড়েছেন ব্লগস্পটে। ভাবছি দেশে গিয়ে ডিনারের ব্যাপারটা সফল করা যায় কিনা এবং পরবর্তী যা কিছু আদান প্রদানের কথা বললেন তাও বেশ লোভনীয়... চোখ টিপি দেঁতো হাসি

টেক্সট বই?! অ্যাঁ আন্নের মাতা খারাপইগেছ গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অপছন্দনীয় এর ছবি

আসলেই বইগুলো আপনাকে দিয়ে লেখানো উচিত ছিলো :)। লেখাপড়া থেকে আর কিছু না পাই (মাথায় বস্তু কম বলে) অন্ততঃ কিছুটা আনন্দ পেতাম :)।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

ইশ, অকালে বায়োলজি পড়ছি। আপনেরে শিক্ষক হিসাবে পাইলে অন্তত আমার ঘিলুতে মুখস্তের চাপে নাইট্রোজেনের অভাব হইত না। মন খারাপ

লেখা এত্ত এত্ত যে কত্ত মজার হইছে কইয়া বুঝাইতে পারুম না। চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক

-অতীত

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হো হো হো আমি আমার ক্লাসে কখনো কিছু পড়াতাম না। খালি গপ্প মারতাম!

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সত্যি বলতে কি, আপনার মতো শিক্ষক পেলে আমি আবারো ছাত্রজীবনে ফেরত যেতে পারি। এত সুন্দর করে গিলিয়ে দেবার কেউ থাকলে বায়োলজিকে অপশনাল না বানিয়ে ফিজিক্স কেমিষ্ট্রিকে বানাতাম। ব্যাকটেরিয়াদের উপর থেকে এদ্দিনকার অভিশাপগুলো তুলে নিলাম। হাসি

কি জানি বলে, সচলত্বের অভিনন্দন, আজই প্রথম চোখে পড়লো কিনা। হাততালি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দেশ ছাড়ার আগে আমি যেখানে পড়াতাম সেখানে ছাত্রদের ভর্তি নেয়া হতো না হো হো হো

অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

বিজ্ঞান ও সাহিত্যের এই মহামিলনের কল্যানে ব্যাক্টেরিয়ার জন্য ভালবাসা চলুক

--- নুশান

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি

তুই খুব সহজ করে এসব ব্যাপার বুঝিয়ে দিস যে আমার মত ফেল্টুসরাও কীভাবে কীভাবে জানি অনেক কিছু বুঝে ফেলে।

আসলেই তুই একটা ইয়ে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হো হো হো হুঁ। আমরা ইয়েগণ হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

ঘেঁটে ঘেঁটে আপনার জৈব-রাসায়নিক পোস্টগুলো পড়লাম। যাবতীয় অণুজীবরে জা ঝা ! দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বাউলিয়ানা এর ছবি

দারুন দারুন হাততালি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভাইরে, সাদা-ধবলা রুগী ঐসব বালিকার লগে এতো ঘেঁষাঘেঁষি কৈরা ফটুক তুলিচ্ছা! কৈলজায় পোঁচ লাগে! মন খারাপ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হো হো হো আপনার জন্য শালিকা জোগাড় করতেই তো... চোখ টিপি দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আইচ্ছালা, পুরাই কশা। জুশ লেখছতো তুই। যাহ, দেখি নেক্সট ফেব্রুয়ারীতে তোর জন্য একটা 'জীবানুতে একুশে পদক' ম্যানেজ করতে পারি কী না ... দোয়া রাখিস ...

সচলত্বে অভিনন্দন রইলো।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কষা মানে কী ইয়ে, মানে... তুমি একটা আস্তা ইয়ে!
সচলত্বে অভিনন্দন রইলো দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কীর্তিনাশা এর ছবি

আহা ! দারুণ সুখপাঠ্য !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ওডিন এর ছবি

হায় জীবাণুবিদ্যা! মিয়া, তুমি বছরচল্লিশেক আগে জন্মাইলে কি আজকা মাইক্রোবায়োলজিতে আমার এই অবস্থা হইতো? ধিক্কার! ওঁয়া ওঁয়া

লেখা যথারীতি দুর্ধর্ষ! গান শোনার সময়টময় কি পাও নাকি?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গান না শুনে মানুষ বাঁচে কিভাবে ভাই! হাসি লাইন দিয়ে শুনতেছি গানগুলো। আপনার দেয়া গানগুলো জীবনে আমার পাওয়া সেরা উপহারগুলোর একটি।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চমৎকার লেখা! কঠিন বিষয়গুলা এইরকম সহজ ভাষায় পড়ার সুযোগ সচরাচর হয় না। খুব ভালো লাগলো। হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ প্রহরী'দা হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধূসর স্বপ্নরা এর ছবি

ভাই অসাধারণ লাগল লেখাটা, অনেক আগে পড়েছিলাম ... কিন্তু আপনার লেখাটা পড়ে নতুন ভাবে উপলব্ধি করলাম। ধন্যবাদ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্য দুবার চলে এসেছে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দ্রোহী এর ছবি

হে অণুজীব,

আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জীববিজ্ঞান বই লেখার কথা মাথায় রাখেন। আমি যদি বেড়ে ওঠার কালে এধরনের লেখা সমৃদ্ধ বই পেতাম তাহলে হয়ত জীববিজ্ঞান নিয়েই পড়তাম।

নুয়ে পড়ে শ্রদ্ধা দেখালাম।
গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার লেখা পাঠ্যবই পড়লে দেশের ছেলেমেয়ে সব উচ্ছন্নে যাবে হো হো হো

...কী বলব বুঝতে পারছি না...!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মাহবুব রানা এর ছবি

চলুক
আপনার বিজ্ঞান লেখার ধরন ভালো লাগে, তবে একটুখানি খেয়াল রাখবেন মজাটা যেন বিষয়কে ছাপিয়ে না যায়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

মজার লেখা। হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মৃদুল'দা হাসি মৌনামি সৌরাত্রি কেমন আছে?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ojana এর ছবি

খুব -----ই সুন্দর লেখা ,অনেক ভাল লাগল, ধন্যবাদ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক চলুক চলুক
------------------------------
Sad Stories

guest writer rajkonya এর ছবি

তবে একটা জিনিষের অভাব বোধ করেছি। ছবি যদি দিতেন! লেগিউম গাছগুলো আসলে কোন ধরনের গাছ সে সম্পর্কে বললে আরো ভাল হত। সেই সাথে লেগিওমের মূলের ছবি।
সেই সাথে কেন পর পর দুইবার ধান চাষ না করে একবার ডাল জাতীয় ফসল আরেকবার ধান জাতীয় ফসল আবাদ করা উচিত, সেটাও আসতে পারত।

তারপরেও এটা একটা মারাত্নক লেখা। জয় হোক আপনার।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।