বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর যেসব কারণে নিরাপদ

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/১২/২০১২ - ১২:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা ঘটনার বিশ্লেষণ বিভিন্নভাবে করা সম্ভব। একবার স্বাস্থ্যগবেষণার খুঁটিনাটি বিষয়ক একটা সেমিনার শেষে আমাদের এক সহপাঠিনীর মন্তব্য: “কী অসাধারণ রমণী! কী সুন্দর তাঁর উপস্থাপনা! আমি ঠিক একদিন এরকম জায়গায় পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখি!” মুশকিল হচ্ছে, আমার কাছে ওই সেমিনারটি নিছক সময় নষ্ট বলে মনে হয়েছে; বিটিভির সংবাদ এর চাইতে ঢের অর্থবহ ঠেকেছে। কিন্তু এতো বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে আসা এক সহপাঠীর মন্তব্য এতোটা হেলা করা রীতিবিরুদ্ধ— কে জানে, এমন বিশেষ কোনো উপাদান থাকতেই পারে যা আমি হয়তো টেরই পাইনি! তাই জিজ্ঞাসিলাম, ঠিক কী কারণে ওর কাছে এই সেমিনার এতোটা ‘বিস্ময়কর’ লেগেছে। উত্তর: “পাগল নাকি হে! ওঁর বহির্বাস-এর প্রত্যেকটিই বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড থেকে কেনা! তোমার একবারও চোখে পড়েনি!” আর কোনো প্রশ্ন নয়। আফ্রিকার এই মেয়েটির প্রতিটি প্রসঙ্গই শেষমেশ অর্থনীতিতে গিয়ে ঠেকে; ডলার ছাড়া এই মেয়ের আলাপ শেষ হয় না। পড়াশোনার মূল লক্ষ্যও অর্থ কামানো। অতএব ওর সঙ্গে আর বেশি আলাপে না গিয়ে ডরমিটরিতে ফিরে সোজা কিচেন থেকে কফি নিয়ে টিভি রুমে। খানিক বাদে এসে আমাদের অন্য এক সহপাঠী যোগ দিলেন; আমরা দু’জনই ফুটবলের নিরন্তর ভক্ত, অতএব টিভি রুমে দেখা হবে সেটাই দুস্তর। সেও বললো, “আরে আজকের সেমিনার বক্তা তো সেরকম! তাই না?” “কীরকম?” “আরে গাধা, শরীরের বাঁক দেখিস নাই? ও মাই গড, শি ইজ সো পারফেক্ট অ্যান্ড হট!” বুঝলাম!
গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য কিন্তু শ্রেণীকক্ষেই সীমাবদ্ধ থাকা নয়, আনকোরা পরিস্থিতিতে অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগই এর চূড়ান্ত লক্ষ্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সম্ভাব্য পাকিস্তান সফর হোক আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়। দেখা যাক কতোটা জ্ঞান আমরা প্রয়োগ করতে পারি!
এর আগে একবার পদ্ম কামাল (পদ্মলোচন না কিন্তু!!!) একইরকম উদ্যোগ নিয়ে মহামান্য হাই কোর্টের রুলের কারণে পিছিয়ে পড়েছিলেন; কিন্তু এইবার মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছেলে লোটাসের সেই স্বপ্ন উদ্যোগ বাস্তবায়েনে নেমেছেন— এবার ঠেকায় কে!
কিন্তু ঠেকানোর প্রশ্নই বা আসছে কেন? পাকিস্তান সফর কি আসলেই অনিরাপদ? আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর সমস্ত ক্রিকেট খেলুড়ে (এবং অখেলুড়ে) দেশ একমত যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র, সেখানে জনগণের নিরাপত্তা নেই। কিন্তু আমাদের জানা তো ভুলও হতে পারে, তাই না? সবাই তো একদা বিশ্বাস করতো যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে, সেটা কি পরে ভুল প্রমাণ করেননি গ্যালিলিও? আমাদের দেশে কি একজন গ্যালিলিওর আবির্ভাব হতে নেই? এবং আমরা কি নিশ্চিত যে, পাপন সাহেব গ্যালিলিও নন?
অতএব ঘটনাটির আরো গভীরে যাওয়া যাক। প্রথমত পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র, অতএব তাদের ব্যাপারে ‘বাজে’ মন্তব্য করা শরীয়াসম্মত নয়। দ্বিতীয়ত, আমরা তো ’ভাই-বেরাদর’ ছিলাম এইতো কিছুদিন আগ পর্যন্তও! ছিলামই বা বলছি কেন, অনেকের কাছে তো এখনো বেরাদরই; মাঝখানে ভারতীয় (তথা মুশরিক) ষড়যন্ত্রের কারণে আপাত-বিছ্ছিন্নতা! কিন্তু পাকিস্তান কখনোই অনিরাপদ নয়, ছিলো না, থাকবেও না। বিশ্বাস না হয়, অধ্যাপক গোলাম আযমসহ জামাতের যেসব নেতা একাত্তর-পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানে হিজরত করেছিলেন তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা কখনো অনিরাপদে ছিলেন কি না। তারপরও বিশ্বাস না হলে, এবং সম্ভব হলে, তালিবান বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞেস করুন। আপনার পক্ষে সম্ভব না হলে, আমাদের বলুন, আমরা স্কাইপিতে যোগাযোগ করিয়ে দেই (হ্যাক করবো না এই গ্যারান্টি দিচ্ছি)। তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা পাকিস্তানে অনিরাপদ কি না। বিন-লাদেনের প্রসঙ্গ টানবেন না দয়া করে, উনি শহীদ হয়েছেন আম্রিকানদের হাতে, পাকিস্তানীদের হাতে না। অতএব পাকিস্তান নিরাপদ। এরপরও বিশ্বাস না হলেও সমস্যা নেই, আমাদের কাছে আরো তথ্য-প্রমাণ আছে। সবই দেবো, তার আগে বলা উচিত কেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তান পাঠানোর প্রসঙ্গ এসেছে।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে, সাকিব একবার মহামতি লোটাস কামালের সামনে হাঁটুগেঁড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। এই গ্রহের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার যার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি কী ‘মাল’ সেটা কি বুঝিয়ে দিতে হবে? অনেকেই বলেন, এই ছোট্ট একটা দেশের এতো প্রতিকূলতা পেরিয়ে একটা সামান্য ছেলে কী অসামান্য প্রতিভায় বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করে দীর্ঘদিন, সেটা হয়তো আমরা ভাবতেই পারি না। আপনারা ভাবতে পারেন না, সেটা আপনাদের চিন্তার দীনতা। আমরা ভাবতে পারি, এবং ভাবতেই থাকবো। আমরা আপনাদের মতো অ-ভাবী না!
প্রশ্ন হচ্ছে, দল মানেই একাগ্রতা এবং আনূগত্য। সাকিব একাগ্র হতে পারেন, আনুগত্য তাঁর ছিলো না। আর সে-কারণে তাঁকে শাস্তি পেতে হয়েছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে আমরা ভুলের কারণে সবার অগোচরে ক্ষমা প্রার্থনা করি; এবং সে-ক্ষমা প্রার্থনা জুনিয়রকেই করতে হয়, এমনকি ভুলটা যদি সিনিয়রেরও হয়। আমরা সবাই এ-জীবনে কম-বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করেছি, কিন্তু কখনোই ক্যামেরাম্যানের উপস্থিতিতে নয়। সাকিবের ‘অনানূগত্য’ এতোটাই বিশ্বমানের ছিলো যে, সাংবাদিকের উপস্থিতিতে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন বলে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। এটা সবার বোঝা উচিত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এহেন অনানূগত্যের শাস্তি কি শুধু একজন ক্রিকেটারকে দিলে চলে? না, কারণ বাকিরা আবার কোন সময় কোন ভুল করে বসে তার তো ঠিক নাই। অতএব, ১৫ আগস্টের মতো, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাইকে খুন করার মধ্য দিয়ে সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করা দরকার। সে-কারণে দলের বাকি সবার আনূগত্য পরীক্ষা করাও জরুরী। তাই পাকিস্তান সফরের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হবে, কে সত্যি সত্যি অনুগত (কার প্রতি?, এ-প্রশ্ন কেবল নাফরমানেরাই করতে পারে)।
ওই যে বলেছিলাম, আমাদের কাছে পাকিস্তানের নিরাপত্ত-বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ আছে। এবার সেসব বিষয়ে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক। সম্প্রতি আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীসহ আটজনের প্রাণহানির ঘটনায় অনেকেই বিষোদ্গার করতে শুরু করেছেন যে পাকিস্তান নাকি নিরাপদ নয়। কিন্তু এ-ঘটনা যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য বিষয় নয়, সেটা নিচের তথ্যগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে আপনিও স্বীকার করবেন।

টেবিল ০১: পাকিস্তানের সাম্প্রতিক আক্রমণ, প্রাণহানি এবং গুরুতর আহতের পরিসংখ্যান
মোট সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ
মাস আক্রমণের সংখ্যা প্রাণহানি গুরুতর আহত আক্রমণের সংখ্যা প্রাণহানি গুরুতর আহত
মে-’১২ ১৮০ ৩৭২ ৬২০ ১২১ ১৩২ ৩৪২
এপ্রিল-’১২ ১৫২ ২৭০ ৩৪৫ ১০১ ৯৯ ২০৫
মার্চ-’১২ ১৬৭ ৫২১ ৩৮১ ১১৩ ১৩৬ ১৮৫
ফেব্রু-’১২ ১৫১ ৫২০ ৪২৬ ১১৩ ২১৭ ২৬৬
জানু-’১২ ১৯১ ৫৪৬ ৫৪৩ ১৩৪ ২০৭ ৩৬৯
ডিসে-’১১ ২০৭ ৪৯৯ ৪২০ ১৩০ ৯৯ ২৩৯
নভে-’১১ ২১৫ ৬৬৫ ৪৪৬ ১৪২ ১৩৮ ২৪৬
অক্টো-’১১ ২৫৯ ৪১১ ৩৩৩ ১৮২ ১৫৫ ২৪৯
সেপ্টে-’১১ ২১৫ ৫১৫ ৫২৬ ১৩৮ ২২৪ ৩৬৮
অগা-’১১ ২৪৭ ৬৯৪ ৬৭৬ ১৭১ ২৭০ ৪৬৬
জুলা-’১১ ২৮৪ ৭৮১ ৭০১ ১৬৭ ১৭১ ৩০৫
জুন-’১১ ২৩৭ ৬১৩ ৫৮১ ১৫৬ ২১৬ ৪৫৯
মে-’১১ ২৫৫ ৬৫৫ ৬৯৮ ১৬৫ ৩০৯ ৪৮৭
এপ্রি-’১১ ২৬০ ৭২৮ ৬৬৮ ১৭৪ ২৩৭ ৪৫৮
সর্বমোট ৩০২০ ৭৭৯০ ৭৩৬৪ ২০০৭ ২৬১০ ৪৬৪৪
সূত্র: Pakistan Security Reports, PAK Institute for Peace Studies
লিংক:

টিকা: প্রথম অংশে ’মোট’ বলতে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং উগ্রপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, নিরাপত্তারক্ষীদের আক্রমণ, দ্রোন আক্রমণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘর্ষ, রাজনৈতিক এবং জাতিগত সংঘর্ষ ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে কেবলমাত্র ’সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের’ পরিসংখ্যান।

পাকিস্তান-ভিত্তিক আরেকটি গবেষণা সংস্থার (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিক্যুরিটি স্টাডিজ) হিসেব অনুযায়ী, ২০১১ সালে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মাত্র ৭০০ জন নিরাপত্তারক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন (সূত্র: http://crss.pk/beta/?p=2205)। বিশেষত ‘বিদেশী নাগরিকদের’ জন্য তো পাকিস্তান অবশ্যই অত্যন্ত নিরাপদ; এ-যাবৎ ১৬টি আত্মঘাতী হামলায় মাত্র ২০৫ জন বিদেশী নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন মাত্র ৭৩৫ জন (সূত্র: http://pakistanbodycount.org/suicide_bombing)। সংঘর্ষের টাইমলাইন জানার জন্য ভিজিট করতে পারেন এই লিংক: http://crss.pk/beta/?p=2585
এ-সমস্ত তথ্যই পাকিস্তান-ভিত্তিক সংস্থার সূত্র থেকে নেয়। অতএব, এখানে খানিকটা রেখে-ঢেকে তখ্য দেয়া হতে পারে। তারপরও যদি পাকিস্তানকে নিরাপদ মনে না হয়, তবে নিচের সাইটগুলো চেখে দেখতে পারেন:
আত্মঘাতী হামলার টাইমলাইন:
http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/pakistan/8511518/Pakistan-timeline-of-suicide-bomb-attacks-2007-2011.html
সন্ত্রাসবাদী হামলার টাইমলাইন (২০০১ থেকে):
http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_terrorist_incidents_in_Pakistan_since_2001
কয়েক মাস আগে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (মুনাফেকরা যাঁকে ‘বাচ্চু রাজাকার’ হিসেবে সম্বোধন করে) বাংলাদেশকে অনিরাপদ ভেবে সেই নিরাপদ পাকিস্তানেই কিন্তু ঠাঁই নেয়ার উদ্দেশে হিজরত করেছেন (সূত্র: http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=36974)। অনেকেই আবার বলছেন যে, চলমান যুদ্ধাপরীদের বিচার বানচাল করতে জামাত হয়তো পাকিস্তানের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উপর আক্রমণ, এমনকি জিম্মিও করতে পারে। এসব মুখপোড়াদের কথা। আমরা ক্রিকেটপ্রেমী; খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাবেন না। শুধু ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাবেন, আর ধর্মের নামে বুদ্ধিজীবী হত্যা করবেন বা বড়জোর বিরোধীতাকারীদের রগ কাটবেন; কিন্তু কখনোই ক্রিকেটের সঙ্গে নয়।
এতোসব তথ্য-প্রমাণের পরও যারা পাকিস্তানকে অনিরাপদ মনে করেন, তারা নিঃসন্দেহে কাফির। এদের কথায় ‘কান’ দিয়ে লাভ। অবিশ্বাসীদের প্রতি আহ্বান, বিশ্বাস না করলে আপনি এবার পাকিস্তান সফরে অংশ নিয়েই দেখুন না (টেক কেয়ার অ্যান্ড গড ব্লেস ইউ বেব্।)!
--
আনু-আল হক


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার স্যাটায়ারমূলক লেখাটির মূল পয়েন্ট বুঝতে আমার খানিকটা কষ্ট হয়েছে। ডেটার পুরো টেবিল তুলে না দিয়ে কিছু "কি" তথ্য বর্ণনার আকারে তুলে দিলে পাঠকের সুবিধে হতো। সেইসাথে পাকিস্থানের মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে অন্য জায়গার (যেমন: বাংলাদেশের) মৃত্যুহারের সাথে তুলনা করে দিলে আরো পরিষ্কার হতো ব্যাপারটি।

লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আরো লেখা চালু থাকুক।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল লেগেছে স্যাটায়ার। আরও লেখা আসুক।

*প্যারাগুলোর মাঝে একলাইন করে গ্যাপ দিলে চোখের একটু আরাম হয় (দুইবার এন্টার চাপুন)। আশাকরি ভবিষ্যতে ফরম্যাটিংএর এই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। আপনার আরও লেখার আশায় রইলাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় এস এম মাহবুব মুর্শেদ,
লেখাটা বুঝতে আপনার কষ্ট হয়েছে জেনে খানিকটা কষ্ট পেলাম; লেখা হিসেবে এটা প্রধান ব্যর্থতা। আরো পরিস্কারভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা রাখি।
টেবিলটার (ডেটা) ফরম্যাট ভেঙে সর্বনাশ করেছে; আমি আসলে জানি না, এরকম যেটা কীভাবে পোস্ট করতে হয়। অনেক তথ্য বলেই, অনেকগুলো সূত্র থেকে নিয়ে এক জায়গায় বিন্যস্ত করতে কষ্ট হলেও, চোখের আরামের জন্য এবং তূলনা করতে সুবিধে হবে ভেবে টেবিল আকারে সাজালাম; কষ্ট কিঞ্চিত ব্যর্থ হলো বটে খাইছে
আর ক্রুড ডেথ রেট দিলে তো স্পেসিফিক মৃত্যু হার আড়াল হয়, তাই কেবল সন্ত্রাসবাদহেতু মৃত্যুর তথ্যটাই দিলাম। (ডাজ ইট মেক সেন্স?) তবু বলে রাখি যে, পাকিস্তানের ক্রুড (এটার সঠিক বাংলা জানি না, দুঃখিত) মৃত্যু হার দক্ষিণ এশিয়ার* মধ্যে তৃতীয় (সূত্রহাসি
*: ’দক্ষিণ এশিয়া’র সম্প্রসারিত সংজ্ঞা অনুযায়ী নয়; অর্থাৎ, বার্মা, আফগানিস্তান, ইরান, চীনের তিব্বত-স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল এবং বৃটিশ-ইন্ডিয়ান ওশ্যান অঞ্চল বাদ দিয়ে।

প্রিয় ত্রিমাত্রিক কবি,
আপনার অনুপ্রেরণা এবং পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। আসলেই চোখের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে; পরেরবার থেকে এ-সমস্যা থাকবে না আশা রাখি।

দু’জনের প্রতিই কৃতজ্ঞতা; আপনাদের মতো ভালো লিখিয়ে এবং ভালো মানুষ হতে চাই--এ-বাসনায় খাদ নেই।
ভালো থাকবেন।

পুনশ্চ: মডারেটরের প্রতি প্রশ্ন করা যায় কি-না জানি না। তবু করছি, একবার প্রকাশের পর কি এডিট করা যায় লেখা? যেমন, প্যারার মাঝখানে স্পেস দেয়ার পরামর্শটা প্রয়োগ করা যায় কি?

হিমু এর ছবি

আপনি সংরক্ষণ বাটনে চাপ দেওয়ার আগে প্রিভিউ করে নিতে পারেন একবার।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সত্যপীর এর ছবি

মজা পাইছি।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

গুল্লি

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

ফারাসাত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

টেবিলটার একটা স্ক্রিনশট দেন। এভাবে একদম বোঝা যাচ্ছে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে।
প্রকৃতিপ্রেমিক: আপনার পরামর্শ অনুযায়ী টেবিলটার একটা জেপেগ (JPEG) ভার্সন বানালাম; ভাবলাম মন্তব্য করবার সময় আপলোড করে দেবো। কিন্তু হায়, এখানে মন্তব্য করতে গিয়ে টের পেলাম, ছবি সরাসরি আপলোড করা যায় না, ওয়েবলিংক দিতে হয়। আইডিয়া দিতে পারেন কোনো, কীভাবে করা যেতে পারে!

হিমু এর ছবি

ইমেজ হোস্টিং কোনো সাইটে গিয়ে আপ করে ইউআরএলটা কপি করে নিন। তারপর মন্তব্যের সময় মন্তব্যের বক্সের ওপরে টুলবারের সর্ববামের বাটনে ক্লিক করে সেটা পেস্ট করে ইনসার্ট করে দিতে পারবেন। পোস্টে ইমেজ ইনসার্ট সরাসরি হার্ড ডিস্ক থেকেও করতে পারবেন।

savage_mountain এর ছবি

প্রথম আলো তে দেখলাম তাদের প্রতিদিনের জরিপে ৫৩% মানুষ পাকিস্তানে যাবার পক্ষে ভোট দিসে। দেশে যে এত আবাল আছে আগে বুঝি নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইমেজ হোস্টিং ট্রাই করলাম। লিংক দিয়ে দেখি কাজ করে কিনা!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি ইমেজের ডিরেক্ট লিংকটা কপি করেননি। সেজন্য দেখা যাচ্ছে না। ডিরেক্ট লিংক দিলে এরকম দেখাতো। মন্তব্য করার আগে যদি চোখের আইকনের উপরে ক্লিক করতেন তাহলে প্রিভিউ দেখতে পেতেন।

টেররিস্ট আক্রমনে হিউম্যান ক্যজুয়ালটি:

লক্ষণীয় বিষয় হলো হতাহতের পরিমান আস্তে আস্তে কমছে মনে হলেও টেররিস্ট আক্রমনের সংখ্যা প্রায় অপরির্তিত রয়ে গেছে। আরো যেটা মনে হচ্ছে প্রায় চার-পাঁচ মাস পরপর বড় আকারের হামলা হচ্ছে যে কারণে হতাহতের পরিমাণ সেই মোতাকে কমছে-বাড়ছে-কমছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

savage_mountain: প্রথম আলোর মতো জরীপগুলো থেকে এইটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে ছাগুরা কতোটা অর্গানাইজড এবং কমিটেড। এটা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে রায়হান রশীদ এবং নিঝুম মজুমদারও শংকা প্রকাশ করেছেন; আমাদের যৌথ-নীরবতার ফসল কার ঘরে উঠছে?
আমার মনে হয়, এর জন্য দায়ী আমাদের ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক’ অহংবোধ। আইনস্টাইন যেমন বলেছিলেন, “The only thing that interferes with my learning is my education.” আমাদের দেশে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকার পরও বাম রাজনীতি যে-কারণে সফল হয়নি, তার মূলেও ওই ব্যক্তিত্বের সংকট। স্বাতন্ত্র্য নিঃসন্দেহে প্রত্যাশিত এবং প্রশংসিত; তাই বলে মৌলিক বিষয়গুলোতেও কি আমরা এক হতে পারি না?
থিসিস কি বেডরুমে স্বাতন্ত্র্য দুস্তর মানি; যূথবদ্ধ হতে হবে সুদীর্ঘ জনসরণিতে।

”কিছুই কোথাও যদি নেই
তবু তো কজন আছি বাকি
আয় আরো হাতে হাত রেখে
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি। “ --শঙ্খ ঘোষ

অতিথি লেখক এর ছবি

উফ্‌, আবারও। আমি তো রীতিমতো প্যাথেটিক খাইছে
অনেক ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক!

তারেক অণু এর ছবি

চলুক

লোটা তো মনে হয় চাইলেই জাতীয় টিমে ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারে, তাকে আর তাঁর চামচাদেরই পাঠানো হউক, কিন্তু বাংলাদেশের জার্সিতে না।

আনু-আল হক এর ছবি

হাততালি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।