সুশীলশুমারী

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৯/১১/২০১৪ - ৬:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঘটনায় আমরা বহু কামিলের ল্যাঞ্জা দেখতে পাইছি। যারা টকশোতে নিয়মিত বক্তিমা দিসেন, এবং/অথবা পত্রিকায় লেখসেন, তিনাদের ল্যাঞ্জার জেনেটিক ম্যাপিং মোটামুটি হইসে। আজ থেকে কয়েক দশক পর এইসব ইতিহাস কথা বলবে।

কিন্তু, স্থানীয় পর্যায়ে বহু মানুষের ল্যাঞ্জা আমরা স্থানীয় পর্যায়েই দেখসি। ইহাদের অনেকেই অন্যত্র সেলিব্রেটি, বা জ্ঞানী, বা ভালো মানুষ হিসাবে যথারীতি পরিচিত, অনেকটা দেইল্লা রাজাকার সময়ের পরিক্রমায় যেমন আল্লামা সাঈদী। এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে না হইলেও, সময়ের আবর্তে একদিন এই ল্যাঞ্জাগুলাই গুরুত্বপূর্ণ হইয়া উঠতেও পারে। এইসব স্থানীয় লাহোরের বাচ্চাগুলার একটা শুমার করা দরকার, সঙ্গে থাকবে এদের ইতিহাস। নাইলে পরে একদিন এরাও বলবে যে, বৈদেশে থাকা অবস্থায় ইনারাও অনেক *াল ছিঁড়সিলেন। শুধু তাই নয়, সময়মতো এরাও হয়তো বলবে, এই *ুদির ভাই সেই *ুদির ভাই না।

সবাই রাজি থাকলে শুরু করি চলেন।


মন্তব্য

শেহাব এর ছবি

দরকার আছে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমি শুরু করব? কিন্তু আমি তো বোলোক।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আনু-আল হক এর ছবি

শুরু করেন ত্রিমাত্রিক। বোলোক তো কী, ওই সময়ের ইতিহাস তুইলা ধরলেই হবে।

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

অতিথি লেখক এর ছবি

পোস্টটা খুবই দরকারী। ইতিহাসের কাজে আসবে একদিন।

আমি কয়েকজনের কথা জানি, সরাসরি কিংবা অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধুদের মাধ্যমে। একে একে তাদের কথা বলি।

(১) তাসপিয়া রাকা: ফেসবুকে খুবই এক্টিভ ইউজার, এবং লেখক হিসাবেও নিজেকে তুলে ধরতে চায়। কানাডার ভ্যাংকুভারে থাকতো, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া অথবা ইউনিভার্সিটি অব নর্দান ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় (বা দুইটাতেই স্যান্ডউইচ প্রোগ্রাম মে বি) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। এখন চাকুরি করে।

বড় বড় সুশীল কথা ফেসবুকে দেখি বলে গনজাগরণ আন্দোলনের সময় ভ্যাংকুভারের সমাবশে তারে দেখবো আশা করসিলাম। তাছাড়া ইভেন্ট পেজে "ইয়েস" দিয়েছিলো। পরে সমাবেশে তাকে না দেখে অন্যান্য বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলাম। বলা হলো, তার পরীক্ষা, Bus Pass নাই, গাড়ি দিয়ে নিয়ে আসতে হবে...কত কী যে তার আবদার!

পরে আস্তে আস্তে তার ল্যাঞ্জা বাইরে আসলো। গনজাগরণ বা ট্রাইবুনাল নিয়ে যে কোনো ত‌্যানা পাইলেই শেয়ার দেয়, সঙ্গে নিজের কিছু মন্তব্য। আবার ফাঁসির রায় না হইলে বাকশালকে ধুয়ে দেয়। আঁতাতের গন্ধ পায়।

সাম্য এর ছবি

(২) উঠতি ফেইসবুক সেলেব্রিটি, বহু আবিয়াত্তা ছেলে-মেয়েদের নয়ন-মণি এবং হিজাবের ঝাণ্ডা-বহনকারী কানিজ ফাতিমা ছন্দ ওরফে ফিনিক্স। উনি আমাদের ভবিষ্যতের আরিফ আর হোসাইন। নমুনা , ,
(আচ্ছা, ফারজানা মাহবুবা নামে যে এক আদি ছাগু ব্লগার ছিল, উনি কি শুরুর দিকে এই টাইপ ছিলেন চিন্তিত)

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

আনু-আল হক এর ছবি

ওরিব্বাস, ইনিও তো দেখি ত্যানার আধার। এই ত্যানা বেইচাই বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্পে স্বয়ংসম্পুর্ণ হইয়া উঠতে পারবে।

ফারাজানা মাহবুবা’র সম্পর্কে তেমন জানি না। আরেক বি-খ্যাত তাফসীরকারী ছিলেন আমাদের নয়নমনি নুসরাত আফা।

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাহ, ছাগুদের আর্কাইভ থুক্কু খোঁয়াড় হয়ে উঠছে চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।