Archive - ফেব 2006

February 21st

অনুভব

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ৩:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একজন জাফর ইকবাল ,এক জন আলি আসগর যথেষ্ট নয়, বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা এমন যে এখানে একজন গবেষককে গবেষনা বাদ দিয়ে দেশের মানুষকে জাগ্রত করার জন্য ছুটে বেড়াতে হচ্ছে গোটা দেশে।
অথচ এ দায়িত্বছিলো যাদের তারা ব্যার্থ হওয়ায় জাফর ইকবাল আলি আসগরের কাঁধে চেপেছে এ কাজ।
এটাই দেশ প্রেম। যাই হোক দেশ প্রেম নিয়ে প্রবাসিদের কথনে কারো কারো এলার্জি আছে, তাই দেশপ্রেমের কথা বাদ দেই।

উগ্রবাদী দলগুলোর আদর্শিক দুর্বলতার সাথে আরও একটা দুর্বলতা আছে, সেটা হলো সাংস্কৃতিক দৈন্যতা। এক আলমাহমুদের খানিকটা ঝুকে থাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ইসলামি দলগুলোর কর্মিদের সংস্কৃতি বোধ কি খুব উন্নত?
আমার উত্তর, না বরং অনেক নীচু মানের শিল্পবোধ তাদের। আমার খুব বেশি শিল্পি


আজকের আপডেট

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ৩:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েক দিন সামান্য ব্যাস্ততা ছিলো। তবে এর মধ্যেই দেখলাম হীরকের শতক, এর পর দেখলাম আড্ডার শতক। দুজনকেই অভিনন্দন আবারও।

আমার গতকাল কেটেছে খারাপ। ছেলের উথাল পাথাল জ্বর। সেও গত কাল শতকের উপরে রেখেছিলো তাপমাত্রা, না ঘুমানো ক্লান্তিতে সকালে ঘুমিয়েছে যখন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় হয়ে গেলো।
খারাপ লাগছিলো কিন্তু এখানে সময়ের হিসেবে সব চলে আর আচমকা বাইরের তাপমাত্রা কমেছে। আমার ভেতো বাঙালি শরীর এখনও জমাট বাধা জলের তাপমাত্রায় কেপ উঠে, বাইরে বরফ পড়লে ঘরের ভেতরে আমার ঠান্ডা লাগে ভীষন। এসব প্রতিকুলতার মধ্যে গেলাম হাসপাতালে।

নার্সের অহেতউক খুচাখুচিতে ছেলে আকাশ পাতাল এক করে কেঁদেছে, আমি বুক চোখ মুখ শক্ত করে ছিলাম অনেক ক্ষন, শিরা খুঁজতে গিয়ে হাত


ডেভিড আর্ভিং-এর কারাদন্ড ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ১০:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ডেভিড আর্ভিং একজন ইতিহাসবিদ। নাগরিকত্বে ব্রিটিশ। দ্্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের দায়ে অস্ট্রিয়ার আদালত তাকে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। আভিং উচ্চতর আদালতে আপিল করবেন।

আর্ভিং-এর অপরাধ হচ্ছে তিনি বলেছিলেন আউশউইটজের বন্দী নির্যাতন ক্যাম্পে কোনো গ্যাস চেম্বার ছিল না। যদিও তিনি পরে তার ভুল স্বীকার করেছেন তবু আদালত তাকে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছে।

দ্্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবেকার ঘটনা। এখনও সেই স্মৃতি ভুলতে নারাজ পশ্চিমারা।


সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা: একুশের মূল দাবী উপেক্ষিত

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ৯:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ভাষার লড়াই ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য। তারপর আমরা 71-এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছি, কিন্তু ভাষাকে কি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি সর্বস্তরে?

প্রতি বছর একুশে পদক পাচ্ছেন অনেকে। ভাষা প্রতিষ্ঠার কাজে তাদের কী অবদান? পত্রিকায় সংবাদ বেরিয়েছে এবার পদক পাওয়া 13 জনের 6 জন পদক পেয়েছেন রাজনীতির কারণে। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে এ আর এমন কি অসম্ভব কাজ।

ভাষা মতিন আজ বলেছেন গোলাম আজম বাংলা ভাষার লড়াকু সৈনিক ছিলেন না। এই ঘোষণাটা দরকারি


আজ ছিল মাসুদা-ইসমতের বিবাহ বার্ষিকী

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ৯:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সোমবারে কেউ বিবাহ বার্ষিকী করে? এই ছিল আমারএকমাত্র প্রশ্ন। যে দেশে রাণীর জন্মদিনও পালন করা হয় ছুটির দিন মিলিয়ে সেদেশে এরকম যন্ত্রণা করা। কিন্তু মাসুদা ভাট্টি ও তার স্বামী 20 ফেব্রুয়ারিই অনুষ্ঠান করবে।

একদিকে তাতে সুবিধাই হলো। অতিথিদের সংখ্যা বেশি ছিল না। মাসুদা আজ সেজেছিল খুব সুন্দর করে। তবে শাড়ি, টিকলি সব ছাড়িয়ে চোখে পড়ছিল ওর সিঁদুর।আহা বাঙালি মেয়ে সুদূর বিলেত এসেও সিঁদুরের প্রতি আগ্রহ কমে নি। সংস্কৃতি বোধহয় এভাবেই পার হয়ে যায় সাত সমুদ্র ত


আজ ছিল মাসুদা-ইসমতের বিবাহ বার্ষিকী

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ৯:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সোমবারে কেউ বিবাহ বার্ষিকী করে? এই ছিল আমারএকমাত্র প্রশ্ন। যে দেশে রাণীর জন্মদিনও পালন করা হয় ছুটির দিন মিলিয়ে সেদেশে এরকম যন্ত্রণা করা। কিন্তু মাসুদা ভাট্টি ও তার স্বামী 20 ফেব্রুয়ারিই অনুষ্ঠান করবে।

একদিকে তাতে সুবিধাই হলো। অতিথিদের সংখ্যা বেশি ছিল না। মাসুদা আজ সেজেছিল খুব সুন্দর করে। তবে শাড়ি, টিকলি সব ছাড়িয়ে চোখে পড়ছিল ওর সিঁদুর।আহা বাঙালি মেয়ে সুদূর বিলেত এসেও সিঁদুরের প্রতি আগ্রহ কমে নি। সংস্কৃতি বোধহয় এভাবেই পার হয়ে যায় সাত সমুদ্র ত


আমার ছেলেমানুষি, মলিদিদির লেখা ও মুক্তমনস্কতার আকাশ

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


শতক হাঁকানোর পর আমি যে লেখা লিখেছিলাম তাতে মলি সমালোচনা করেছিলেন। তো মন্তব্যতে আমি লিখেছিলাম, সমালোচনাটুকু বুঝলাম, কিন্তু ধন্যবাদ দেবেন না। তার উত্তরে মলি আজ একটি লেখা লিখেছেন যার শিরোনাম 'ছেলেমানুষি: হীরকদাদাকে ধন্যবাদ কিন্তুকেন'।

মলির লেখাটা পুরোটা তুলে ধরতে পারছি না। দৈর্ঘবেড়ে যাবে। আগ্রহীরা সেটি পড়ে নিন। আর তার লেখার বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়া দিলাম নীচে:

ধন্যবাদ দিতে কৃপণতা আমি করিনা মলিদিদি। ধন্যবাদ, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে কারণে ধন


নারী বনাম পুরুষ: সহানুভূতির পথে মর্যাদা আসে না

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০০৬ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সতীর্থ ব্লগার সামিয়া জামান তার নারী বনাম পুরুষ লেখায় অভিযোগ করেছেন যে অনেক পুরুষ কর্মকর্তারা নারী কর্মীদের প্রতি অবহেলা দেখান। তার কোনো এক সিইও বন্ধুর বরাত দিয়ে তিনি লিখেছেন যে, সেই বন্ধু মনে করেন নারীকর্মীকে কাজ দিলেই তারা পরিবার, সন্তান ও স্বামীর অজুহাত দেখিয়ে কাজ থেকে মুক্তি চান। অর্থাৎ তারা দায়িত্ব নিতে চান না। সামিয়া তার লেখায় সেই বন্ধুর ধ্যান-ধারণা কে নিন্দা করেছেন।

সামিয়ার লেখার জবাব আমি মন্তব্যে দিয়েছি। এখানে তা বিস্তারিত করে বলতে


ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ছাড়া লেখা কঠিন

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: সোম, ২০/০২/২০০৬ - ৭:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রচুর লেখার চেষ্টা করেছি ব্লগে। যাকে বলা যায় আঙুল আর কি-বোর্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চিন্তা করা। তো দেখলাম, লেখাটা তখনই সহজ যখন তা আসতে থাকে স্বতোস্ফূর্ত ভঙ্গিতে। ভেতর থেকে, খুব একটা চেষ্টা চরিত্র ছাড়া।

তবে মৌলিক কিছু লেখার জন্য চাই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। নানা রকম ঘটনা, স্থান ও চিন্তার সাথে নিজের যোগাযোগ ঘটতে হবে। তা হতে পারে বেড়ানোর মাধ্যমে। সশরীর উপস্থিতিতে। পড়ালেখা করে। ছবি দেখে।

একান্তে চিন্তা করে অনেকে নিজের ভাবনাগুলোকে গুছিয়ে নেয়। অন


February 20th

প্রবাসে বাঙালি পুরুষের রান্না

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: সোম, ২০/০২/২০০৬ - ৯:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আর সব বাঙালিদের কথা জানি না। তবে আমাদের বাসায় ছেলেদের রান্নাঘরে যাওয়াটা প্রায় নিষিদ্ধ ছিল। ঠিক কারণ কি জানি না। তবে আমরা যখনই রান্নাঘরে ঢুকতে চাইতাম, মা-চাচীরা তাড়িয়ে দিতেন। আমরা তাদের গোপন নৈপুন্য শিখে যাবো বলে?

প্রবাসে এসে আমার রান্নায় প্রথম হাতে-খড়ি। প্রথমে মুরগি। কামালভাই পরামর্শ দিলেন, তেল মশলা মাখিয়ে একবারে মুরগি বসিয়ে দিও চুলায় হয়ে যাবে। তো এই অদ্ভুত পদ্ধতিতে রান্না করে দেখলাম মন্দ হয়নি। প্রায় একইরকম স্বাদ। রান্নার আনন্দ তখন পেয়ে গেল