Archive - ডিস 14, 2017

ফসল বিলাসী হাওয়া (১.১)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/১২/২০১৭ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

*****শীতনিদ্রা কাটিয়ে আবার লিখতে শুরু করেছি। লেখার শেষে প্রথম কিস্তির লিংক।

সাত।।
সেই রাত্রেই পালিয়ে এসেছি। পেওলার মুখোমুখি হাবার সাহস হয়নি আমার।

প্রথম বিশ্বের কোন দেশে থাকার অনেক সুবিধা। না খেয়ে মরতে হয় না, নিতান্ত অপদার্থ না হলে ঘুমুতে হয়না খোলা আকাশের নিচে, একটা না একটা কাজ জুটেই যায়। ওয়ান টু পিৎজা ছেড়ে পালিয়ে আসার সময় তবুও খুব চিন্তা হচ্ছিলো। কোথায় যাবো, করব কী, জমানো টাকা ফুরিয়ে গেলে কেমন করে চলবে, এই সব। শেষমেশ বুদ্ধি করে একটা ট্রেনে উঠে পড়েছি। টরোন্টো থেকে ভ্যানকুভার, প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটারের পাড়ি। টিকিটের দাম পড়েছে চার’শ ডলার, প্লেনে গেলে দু’শ ডলারেই হয়ে যেতো। কিন্তু আমিতো আর বেড়াতে যাচ্ছি না। আমার দরকার কিছুটা সময়, ভাবনাগুলোকে গুছিয়ে নেবার জন্য। প্লেনে সেই সময় কোথায়! মাত্র তো পাঁচ ঘণ্টার পথ। রেলগাড়ি চলবে চার রাত তিনদিন। থাকা খাওয়ার খরচ ধরলে চার’শ ডলারে চার দিনের জন্য একটা হোটেলও মেলেনা আজকাল।

ভিয়া রেলের কর্তারা রসিক বটে। ইকোনমি ক্লাসের টিকিটে ভাড়ার জায়গায় লিখে রেখেছেন ‘এস্কেপ ফেয়ার’। আমি নাকের উপর একটা বই রেখে আড়ে আড়ে সহযাত্রীদের দিকে তাকাই। পাশের চেয়ারটা খালি। পরের সারিতে প্রথম সিটে যে বসে আছে তার গায়ে হাওয়াই জামা, মাথায় উল্টো করে ঝোলানো বেসবল টুপি, আসার পর থেকেই সে ফোনে বকবক করে চলেছে সদ্য গোঁফ গজানো কিশোরের মতো। সুখী সুখী চেহারার ওই আধবুড়োটা পালিয়ে যাওয়ার মানুষ নয়।


মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মতদ্বৈততা

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/১২/২০১৭ - ৬:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একাত্তরের ১০ ডিসেম্বরের পর থেকেই নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ বন্ধের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে দেয়। মার্কিন হস্তক্ষেপের জন্য পাকিস্তানের এই প্রচেষ্টা অবমুক্ত করা মার্কিন নথিতে পাওয়া যায়। ১৪ ডিসেম্বরে (১৯৭১) পাঠানো বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল স্পিভাকের টেলিগ্রামে (নং ৫৬২৭) জানতে পারি তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মালিক এবং জেনারেল ফরমান আলী স্পিভাকের সাথে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।