অনেকদিন কোন গান পোস্টাই না। সেদিন হযুদাও বলল কোন গান পোস্টাতে। আজকে তাই আমার প্রিয় youtube ঘাটতে গিয়ে Evanescence ব্যান্ডের Bring me to life গানটার কথা মনে পড়ল। আগে শোনা হলেও প্রথম সেভাবে আকৃষ্ট হই Rockstar: Supernova অনুষ্ঠানটার প্রতিযোগী Zayra Alvarez এর কন্ঠে
ইউএনডিপি-তে চাকরীটা হয়ে যাবে সরণ কল্পনাও করেনি। সিটিসেলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেতন। এক বছরের কন্ট্রাক্ট শেষ করে সরণ যখন পার্মানেন্ট হলো তখন তার জন্য অফিস থেকে গাড়ী। বছরে দু'য়েকবার দেশের বাইরে কনফারেন্সে অফিস ট্যুর। ভীষণ ব্যস্ত সময়। সকাল আটটায় অফিস যাওয়া, ফিরতে ফিরতে রাত। কখনো রাত দশটা। ব্যস্ততায় সময় চলে যায় দ্রুত। মাঝে মাঝে কাক দেখলে কী যেন মনে পড়ে যায়। সরণের মনে হয় - ব্রেনের স্মৃতি কোষের কোনো একটা অংশ জেগে উঠতে চায়। অথচ ঐ অংশটা সরণ অনেকদিন যাবত ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। সরণ বিশ্বাস করে - অনেকটা সময় পেরিয়ে এ স্মৃতিগুলো মারা যাবে একদিন। কেবল সময়ের অপেক্ষা, পলাতক সময়!
।
।
।
।
।
জয়া এ নিয়ে পাঁচবার ডাক দিলো।
দরজার কাছে এসে বলে গেছে
বেলা:
আপনাকে শেষ মেইল করেছিলাম আজ থেকে বাইশ দিন আগে।
এরপর আপনার কোন মেইল পেলাম না।
হয়্তো রাগ করে আছেন।
প্লিজ রাগ করবেন না।
আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, খুব মন দিয়ে আমার এ মেইল পড়ার জন্য!
আমি কখনো এমন ভেবে চিন্তে মেইল করিনি।
এ মেইল করার আগে অনেক ভেবেছি। গত দু'সপ্তাহ নিজের সাথে অনেক বুঝাপড়া করেছি।
আবারও বলি - অনেক ভেবে এ মেইল করছি।
কোন একদিন চ্যাটে আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন - আমার গার্লফ্রেন্ড নেই কেনো?
আমি বলেছিলাম - কেউ হয়তো পছন্দ করেনি।
আজও বলি - ওটাই খুব সত্যি কথা।
আসলে আমাকে পছন্দ করার মতো কিছু ছিল না।
আমার চলাফেরায় কিংবা কথাবার্তায় মোহনীয় কিছু ছিল না।
আপনাকে বলা হয়নি, ইচ্ছে করেই অনেক ব্যক্তিগত প্রসংগ এড়িয়ে গেছি।
আম
হ্যালো,
কেমন আছেন? কী করছেন? আমার মন-মেজাজ দুটোই খারাপ। বাসায় উটকো ঝামেলা শুরু হয়েছে। আমার অনার্স শেষ হয়ে এলো। আব্বু-আম্মু আমার বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। কোথাকার কোন এক আর্মী অফিসারের সাথে নাকি বিয়ে। বলেন তো, এটা কোন কথা? জানি না চিনি না, এমন মানুষকে কীভাবে বিয়ে করি? একদম ভালো লাগছে না---
< বেলা >
-----------------
বেলা:
ওয়াও!
দারুণ খবর!!
কনগ্র্যাট।
অনেকদিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয় না।
আপনার বিয়েতে খুব মজা করে খাবো।
নেক্সট উইকে ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত শার্প করিয়ে আসবো!
হা হা হা।
আপনি লাকি গার্ল!
এখন সম্ভবত: বিয়ের বাজারে আর্মীদের জয়জয়কার।
একসময় ছিল - ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অথবা ব্যবসায়ীর সুদিন।
এখন আর্মী অফিসারদ
স্ট্রাফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটির ফাইন আর্টস বিভাগের ছাত্র, বাংলাদেশের ছেলে জিয়াউল আবেদীন পলাশ । ব্যক্তিজীবনে ভীষন রকম রাজনীতি এড়িয়ে চলা, নিজেকে আড়াল করা একজন গুনী শিল্পী । আমার খুব কাছের বন্ধু ।
রাজনীতি এড়িয়ে চললে ও হ্রদয়ে ধারন করেন মুক্তিযুদ্ধ আর তা প্রকাশিত হয় তার শিল্পচর্চায় ।
সম্প্রতি পলাশদের কোর্স ফাইনাল ছিল । কোর্সফাইনালে প্রত্যেক ফাইন আর্টস ছাত্রকে নিজেদের শিল্পকর্মের প্রদর্শনী আয়োজন করতে হয় ।
গত ৬ মে পলাশ তার শিল্পপ্রদর্শনীর আয়োজন করেন এবং এ আয়োজনের থিম ছিল 'জেনোসাইড ৭১ ' । তার উদ্দেশ্য ছিল গনহত্যা ৭১ এ বিষয়ে আরো বেশী মানুষকে জানানো । প্রদর্শনীর পোষ্টার ও লিফলেট এ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরতা, দেশীয় ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর এ বর্বরত
প্রচন্ড অস্থিরতা আর অপরাধবোধ যখন আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল সারাদিন আর রাত ধরে তখন গভীর রাতে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি আমার খুবই ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুযায়ী একটা উদ্যোগ নেব এবং সেই উদ্যোগে সবাইকে সামিল হতে আবেদন জানাবো।
পোস্ট লেখাকালীন সময়েই আমার এক বন্ধুর মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাই এবং বন্ধুর বেদনার দিনে তার পাশে দাড়ানোর জন্য ভোরে সিলেট রওনা হই।অনিবার্য ভাবেই তাই শুক্র-শনিবার ব্লগে উপস্থিত থাকতে পারিনি।
হুট করে চলে যাওয়ায় আমার পক্ষে সবার মন্তব্যের জবাব দেয়া সম্ভব হয়নি।( মোবাইলে চার্জ না থাকার কারনে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নই ছিলাম।)
আমি একটু আগে ফিরেছি এবং গভীর আনন্দের সাথে দেখলাম,আমার বন্ধুরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই উদ্যোগে সামিল হয়েছ
মাঝে মাঝে এরকম অযথা টেনশন ভর করে। মনে হচ্ছে - চাকরীর ইন্টারভিউ হবে একটু পর। সরণ বারবার ঘড়ি দেখে। চেয়ার থেকে উঠে বুমার্সের পেছনে কাঁচের জানালায় বাইরে তাকায়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিস দেখে মনে হচ্ছে গুছানো কোনো ডুপ্লেক্স বাড়ী। শনিবারে অনেক অফিস বন্ধ থাকে তাই রাস্তায় ভীড় নেই তেমন। গুলশান-মীরপুর রুটের রাইডার ছুটে যাচ্ছে, পেছনে ফুকফুক করে কালো ধোঁয়া বেরুচ্ছে। সরণ ক'দিন আগে বিবিসি-তে দেখছিল, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট। সম্ভবত: নারায়ণগঞ্জ কিংবা গাজীপুরের ইটের ভাটার ভিডিও দেখাচ্ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে হয় পেছনে কে যেন দাড়িয়ে আছে। সরণ পাশ ফিরতেই
- এক্সকিউজ মী! আপনি সরণ?
- হ্যাঁ, আপনি - - -
- আমি বেলা।
- কেমন আছেন?
- এই তো
খুব ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে গিয়েছি জুমার নামাজে । হুজুর বয়ান করছেন তার দরদীকন্ঠে । বয়ানের বিষয় যথারীতি বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন । সে সময়ের হট আইটেম ছিল প্যালেষ্টাইন । মুসলমানদের প্রতি ইহুদী ও নাসারাদের বিদ্বেষের উদাহরন টানতে গিয়ে হুজুর ফরমান " নোবেল আসলে নজরুল ইসলামের পাওয়ার কথা ছিলো । মুসলমান বলেই তাকে না দিয়ে কাফির রবীন্দ্রনাথ কে দিয়েছে নাসারা'র দল '
জুম্মা থেকে বের হবার পর বাবা বললেন 'হুজুরের কথা ভুলে যাও । এসব মিথ্যে । রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পান, নজরুলের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর '
হুজুরেরা আছেন এখনো । বহাল তবিয়তেই আছেন । রোশনাই আর চেকনাই আরো বেড়েছে । মসনদের স্বাদ ও পেয়ে গেছেন । ইদানিং হুজুরেরা দেখছি ব্লগিং ও করেন ।
ব্লগের পাতায়
আজ ২৬ মে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেটের বালাগঞ্জে পাক বাহিনী ও তাদের দালালরা মেতে উঠেছিল হত্যাযজ্ঞে।
১৯৭১ সালের ২৫ মে একটি জীপে করে পাকবাহিনী ও রাজকাররা বালাগঞ্জের বুরুঙ্গা বাজারে প্রবেশ করে। লোকজন ভয়ে পালাতে থাকলে বলা হয় ভয়ের কোনো কারন নেই ২৬ মে স্কুল মাঠে কার্ড দেওয়া হবে। আপনারা উপস্থিত থাকবেন। এ আহবানে অনেকেই স্বস্থিবোধ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মে লোকজন বুরুঙ্গা হাইস্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন। পাক ক্যাপ্টেন নূর উদ্দিন রাজাকার ছাদ উদ্দিন ও আবদুল খালিকের নেতৃত্বে সকাল ১০ টায় পাকসেনারা স্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। তারপর উপস্থিত লোকজনকে ২ ভাগে ভাগ করে গাছের নিচে বসানো হয়।
চারদিক থেকে পাকসেনার সশস্ত্র ভাবে ঘিরে রাখে স্থানটিকে। তারপর ক্যাপ্টেন নূর উদ্দ
নির্যাতন নিপীড়ন ছিলো, আছে ।প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও ছিলো, আছে । সময়ে দুটোরই প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে বহুমুখীতা এসেছে । সেই বৃটিশরা হত্যা করেছে সাধু,কিনুদের- পাকিস্তানীরা নাচোলের সাঁওতালদের, স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসীদের । নিহত হয়েছেন আলফ্রেড সরেন । নিহত হয়েছেন চলেশ রিচিল ।
নিপীড়ন আর রাষ্ট্রীয় সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই । আমেরিকা , পাকিস্তান সুদান থেকে তুলে নিয়ে গেছে অনেক তরুন কে । শুধু পাকিস্তানেই গত কয়েকবছরে নিখোঁজ হয়েছে হাজার পাঁচেক তরুন । ধারনা করা হয় জর্দান কিংবা কাতারের মতো তৃতীয় কোনো দেশে এদের আটকে রাখা হয়েছে ।
প্রতিবাদ ও এখন আর কেবল দেশীয় নয় । প্রতিবাদ ও ছড়িয়ে পড়ে দেশ থেকে দেশে, সারা পৃথিবীতে । প্রতিবাদের ধরনে ও এ