স্মৃতি বিপর্যয়-১: হারুন চরিত (দ্বিতীয় খন্ড)

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফুল আরেফীন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০১/২০০৮ - ৩:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হারুন চরিত এর শেষ কিস্তি। প্রথম খন্ড এখানে পড়ুন।

৪.
আমাদের ক্লাসে মেয়ে বলতে ছিল মাত্র ৩ জন। প্রত্যেকেই লেখাপড়াকে জীবন সাথী করে নিয়েছে। প্রথম ২/৩ বছর এদের কেউই আশপাশের খবর রাখে নাই। দেখে বিরক্ত লাগতো। থার্ড ইয়ারে উঠে মেয়েগুলো হঠাতই যেন আবিষ্কার করলো যে, ক্লাসের পোলাপাইনগুলো সব ডিপার্টমেন্টের বাইরে গিয়ে প্রেমট্রেম করছে। ক্লাসে যে ৩ জন মেয়ে আছে, সেটা যেন সবাই ভুলতে বসেছে!

এফেয়ার আছে এমন ছেলেদের প্রতি মেয়েদের একটা আস্থা আর নির্ভরতা কাজ করে। “ওদেরকে বিশ্বাস করা যায়” -টাইপ একটা অনুভূতি। ঘনিষ্ঠ সার্কেলে আমরা মোটামোটি সব ক’জন বন্ধুই ৩য় বর্ষ নাগাদ কোথাও না কোথাও ঝুলে যাই। ফলে ক্লাসের মেয়েদের সেই নির্ভরতার ভার খানিকটা আমাদের ওপরেও নাজেল হয়েছিল।
হারুনের গোপন প্রেমিকার নাম জেনে আমি আমাদের সেকশনের রীমার সাথে কথাবার্তা শুরু করলাম অর্জিত সেই আস্থার সূত্র ধরে!

- রীমা, খবর কি?
- এইতো। আমাদের তো খবরাখবর নাও না। কেমন আছি না আছি, জিজ্ঞেসও করো না! (রীমা অভিমানের সূরে বলে)
- কৈ খবর নেই না! এই তো নিচ্ছি।
- হুমম। তোমার “উনি” কেমন আছে?
- আছে ভালোই।
- নিজে তো সুখে আছো। আমারা বন্ধুরা যে একা একা ভার্সিটি লাইফ শেষ করে ফেললাম সেটার খবর রাখো?

আমি এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলাম। সেটা এভাবে হাতের মুঠোতে পেয়ে টুপ করে ধরে ফেলি,

- খবর রাখি বলেই তো একটা কথা বলতে আসলাম।
- আচ্ছা?! কি কথা?
- ক্লাসে তো অনেক ছেলেই তোমার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড।
- বলো কি?! (রীমার চোখ মুখ খুশীতে ডগমগ!)
- হু। আমি তো নিজেই অলরেডি ৫ জনের নাম বলতে পারি যারা তোমার ব্যাপারে সিরিয়াস!
- (রীমা অবাক হয়, এটা জেনুইন অবাক, ভান না।) তাই নাকি?!
- অফকোর্স
- নাম বলো না প্লীজ।
- শোন, কোনও প্রেমই সোজা নাহ্
- মানে কি?
- মানে হচ্ছে, আমি এখন তোমাকে ৫ জনের নাম বলি আর তুমি পছন্দসই একটাকে বেছে নাও আরকি! এত্তো সোজা?!!!!
- তাইলে?
- সৃষ্টিকর্তা কাকে ভেবে রাখলেন তোমার জন্য সেটা আগে জানার চেষ্টা করো। সেটাই ইম্পর্টেন্ট।
- কিভাবে জানবো?
- উপায় আছে।

আমি মিটি মিটি হাসি। আমার পরিচিত বন্ধুদের মধ্যেই একজনকে রীমা পছন্দ করতো, সেটা আমি জানতাম। তার নামটাও ইনক্লুড করা হলো কি না এটা জানার আগ্রহ ওর নিশ্চই ছিল। সুতরাং আমি রহস্যের হাসিটা আরোও প্রশস্ত করলাম। রহস্যের ভারটা রীমা সইতে পারছো কি না সেটাই দেখার ইচ্ছা। রীমা পরীক্ষায় ফেল মারলো। নিজেকে দমাতে পারলো না।

- এ্যাই প্লীজ বলো না। অন্ততঃ ২টা নাম বলো।
- উহু। তারচে’ বরং পদ্ধতিগতভাবে আগাই ।
- কি পদ্ধতি?
- স্ট্যাটিস্টিকস....! আবার কি?!
- কেমন?!
- সোজা। আমি ৫ জনের নাম লিখে ৫ টা কাগজ তোমার সামনে ধরবো। তুমি একটা কাগজ টেনে নেবে।
- এটা তো লটারী।
- হু। খোদার মহত ইচ্ছা জানার আর কোনও উপায় তো দেখি না!
- ও কে লটারীই সই। এখুনি করো।
- পাগল হচ্ছো কেন? ধৈর্য ধারণ করো। আমি আগে শিওর হই।
- ওকে।
- হয়ে গেলে কি খাওয়াবা?
- দেখা যাবে। আগে তো হোক।
- ওকে, কালকেই লটারী হবে....তোমার জীবনের সবচে ইম্পর্টেন্ট লটারী!!

৬.
রীমা তো বটেই, বাকি মেয়েগুলোও উৎসাহী হয়ে উঠলো এই অভিনব লটারীর কথায়। বিষয়টা আমরা ক’জন বন্ধু মিলে নিষ্ঠার সাথে গোটা ক্লাসে রটিয়ে দেবার ব্যবস্থা করলাম। ফলে, গোটা মেকানিক্যাল A আর B এর কিয়দংশে এই লটারীরর এলান হয়ে গেল!

আমি পরের দিন যথারীতি সকাল ৮টার ক্লাস মিস করে ঢুলু ঢুলু চোখে ৯টার ক্লাস করতে আসলাম। রীমা ইঙ্গিতে আমাকে “কতোদূর” -শীর্ষক ১টা চাহনী ছুড়লো। ব্যাপারটিতে রীমা এখনও সিরিয়াস বুঝেই ক্লাস চলাকালীন সময়ে চটপট রীমার জন্য লটারী প্রস্তুত করে ফেললাম। ৫ টা টুকরা কাগজে আমাদের সেকশনের ৫ টা ছেলের নাম!

ক্লাস শেষে মেয়েরা দেখলাম বারান্দায় রোদ পোহাচ্ছে। আমাকে দেখেই বাকি ২ জন বলে উঠলো, কেয়া বাত, কিছু করলা? আমরা তো ওয়েট করতে করতে অস্থির হয়ে গেলাম। আমি হাসিমুখে বললাম, দায়িত্ব একটা যখন ঘাড়ে তুলছি, কাজটা শেষ করবো না?! আমি রীমার সামনে গিয়ে হাতের মুঠো খুললাম, সেখানে ৫ টা কাগজ হোমিওপ্যাথির পুড়িয়ার মতোন ভাঁজ করা। বললাম,

- নো ট্রিকস। এখান থেকে ঠিক ১ টা কাগজ তুলে নাও। নামটা এরপর আমাকে জানাবে। আমি সেটা পাত্রকেও জানাবো।
- বলো কি? পাত্ররা লটারীর কথা জানে নাকি?!!
- হু শুধু যাদের নাম আছে তারা। অর্থাৎ তোমার কাজ অর্ধেক করে দিছি আমি।
- এটা ঠিক করো নাই। আমার যদি তাকে পছন্দ না হয়?
- এটা ভালো কথা বলেছো। কিন্তু আমি নিশ্চিত পছন্দ হবে। এবং লটারীর ফলাফল তোমাকে মেনে নিতে হবে। প্রেম নিয়ে কোনও ছেলেখেলা করবা না। আমি শুধু প্রেম নিবেদনের জটিল অংশটুকু পাশ কাটানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রেমের চেহারা তো বদলে দিচ্ছি না!
- কিন্তু....
- এবারে তারাতারি ১ টা কাগজ উঠাও। পাত্ররাও ওয়েইট করতেছে তোমার লটারীর আউটকাম জানতে!

৭.
গোটা ৩ বছর প্রেমহীন জীবনযাপনের পর রীমা সহ বাকি মেয়েগুলোর র অবস্থা ছিল সাহারা মরুভূমির মতোন। পানির ফোটা পড়ামাত্র শুকিয়ে বাষ্প হবে সেটা বলা বাহুল্য। সুতরাং রীমার অবাধ্যতাও বাষ্পীভূত হলো। ১টা কাগজ সে টেনে তুললো। তুলেই দৌড়ে কড়িডোরের আরেক মাথার দিকে ছুটলো। সাথে ওর সখীরাও দৌড়ালো। তারপর, যেন লাক্স-চ্যানেল আই ফটো সুন্দরীর নাম লেখা আছে, এমন একটা আতঙ্ক নিয়ে কাগজের ভাঁজ খুললো!
আমি অদূরে দাঁড়ানো বন্ধুদের সাথে একটা মৃদূ হাসি বিনিময় করলাম। ৫টা কাগজের সবকয়টাতে হারুনের নাম লিখে দিয়েছি। সুতরাং হারুনকে জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলার সব পথ এবার রীমার জন্য মোটামুটি বন্ধ। অপেক্ষা শুধু হারুনের বাহুবলে নিজেকে চিন্তা করে একটা মেয়ের প্রতিক্রিয়া কি হয়, সেটা জানার! আমি এগিয়ে গেলাম রীমাদের উদ্দেশ্য করে। তিনজনের চেহারাই দেখলাম পোড়া বেগুণের মতোন শুকিয়ে আছে। প্রত্যেক সেমিষ্টারের রেজাল্ট আউট হবার পরে আমার ঠিক এই চেহারা হয়। চোখে মুখে অবিশ্বাস আর দ্বিধা – যেন, এমনতো হবার কথা ছিল না!!
নামটা জানতে চাইলে একবাক্যে সবাই বললো নামটা তারা জানাবে না। আমি আমার হাতের কাগজগুলো খুলে পড়ার ভান করলাম। তারপর রীমাকে বললাম,

- আই সি! তাহলে হারুন সেই সৌভাগ্যবান?!!!
- মোটেও না! (রীমা চিৎকার দিয়ে উঠলো।)
- কিন্তু বর্জনশীল প্রক্রিয়ায় তো তাইই দেখা যাচ্ছে!
- মানি না।
- সেটা তোমার ব্যাপার। আমি রেজাল্ট টা জানাচ্ছি হারুনকে।
- না প্লীজ। আমাকে বাকি নামগুলো একবার দেখার সুযোগ অন্ততঃ দাও।
- তোমার কমিটমেন্ট ভুলে যাচ্ছো ... ...

আমি কথা আর না বাড়িয়ে ক্লাসের দিকে ছুটলাম। ঢুকেই বুঝলাম সর্বত্র চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। হারুনের দিকে এগিয়ে ওকে বললাম,

- হারুন তোমার ব্যবস্থা ফাইনাল! লটারীতে তোমার নাম উঠাইছে রীমা।
- থ্যাংক ইয়ূ বন্ধু। তুমি বিরাট উপকার করলা।
- উপকার করি নাই। এটা লটারীর ব্যাপার। আমি শুধু তোমার নামটা ইনসার্ট করছি।
- সেই জন্যই তো তোমারে ধন্যবাদ!!
- এবারে কিন্তু বাকি দায় তোমার নিজের। প্রেমটা গাঢ় করার চেষ্টা করো।
- অবশ্যই বস।

হারুনের চোখে মুখে অটল প্রতিজ্ঞার আভাস দেখলাম। যদিও আমি জানি, এই বন্ধন রচিবার নয়! কিন্তু কিছুদিনের জন্য ওকে রীমার কাছে ভিড়িয়ে দেয়ার একটা ব্যবস্থা করা গেল! বন্ধুদের কাছে পৌছেই আমার চেপে রাখা হাসি অবমুক্ত করলাম। হারুনকে ঘিরে ত্রমাগত জমে ওঠা ভীড়ের মধ্যে অনেকেই খবরটা শুনে হৈ হৈ করে উঠলো। রীমার প্রতি আগ্রহ ছিল এরকম কাউকে কাউকে বলতে শুনলাম, “এইবার হইছে ভালো! হারূইন্যার সাথে প্রেম করো”! খবরটা গোটা ক্লাসে চাউড় হবার পরে রীমাকে সারাদিন গোমড়া মুখ করে থাকতে দেখলাম। ক্লাসের বাকিরা অবশ্য এই আউটকামে ব্যপক আনন্দ পেয়েছে বলেই মনে হলো!

৮.
নিজের গোপন প্রেয়সীকে অভাবনীয় এক লটারীযুদ্ধে জয় করার পর হারুনের মনোভাব ছিল ক্রীড়া উন্নয়ন তহবিলের লটারী জয়ীর মতোন! পরের দিন সেশনাল (আমাদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলোকে ঐ নামে ডাকা হতো) ক্লাসে দেখলাম হারুন শার্ট ইন করে এসেছে। পায়ে যদিও যথারীতি স্যান্ডেল! চেহারায় একটা ILU ILU ভাব! বারবার বিভিন্ন অজুহাতে ওকে রীমার কাছাকাছি হবার চেষ্টা করতে দেখে বুঝলাম, প্রেম গাঢ় করতে আদাজল খেয়ে লেগেছে বেচারা।
রীমা পরে অনেকদিন কাকূতি মিনতি করেছে বাকি নামগুলো জানানোর জন্য। আমি বলিনি। পরবর্তিতে কতিপয় মীর্জাফর আমার এই নীল নকশার লটারীর কথা রীমার গোচরীভূত করে। পুরো ষড়যন্ত্রের কথা জেনে রীমা দীর্ঘদিন আমাদের কয়েকজন বন্ধুর মুন্ডুপাত করেছে।

[শেষ]


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

ইন্টারেস্টিং।
কি হইছিলো শেষমেষ? জনাব হারুন কি হালে পানি পেয়েছিলেন?
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হারুনের পরিণতি হয়েছিল সিনেমার সাইড নায়কদের মতোন। কারণ নায়িকা আমাদের ক্লাসেরই অন্য এক যুবকের বাহুতে স্থান করে নিয়েছিল।

অমিত আহমেদ এর ছবি

কষ্ট পাইলাম হারুন বেচারার জন্য। এ টাইপ পোলাপাইনরে নিয়া খুব মজা করতাম একসময়। বেহুদা ডাইকা মজা নিতাম। এখন কেন জানি খারাপ লাগে।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

খারাপ যে আমারও লাগে সেটা বলতে দ্বিধা নেই।
লাগে বলেই, এমন কিছু ঘটনা বা বর্ণনা লিখতে গিয়ে বাদ দিয়েছি যেটা লেখক হিসেবে বড় ত্যাগ!

আমরা শহুরেরা মফস্বল থেকে আসা পোলাপানদের নিয়ে বারাবারি রকম ফাজলেমী করতাম। যেটা এখন সমর্থন করি না।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমত্কার গল্প। শেষটা একটু বিয়োগান্তক হয়ে গেল দেখে খারাপ লাগছে। তা যাকগে। আমরা তো আবার করুণ কাহিনীতে বেশী মজা পাই।
এইরকম একটি কাহিনী আমাদের সময়েও ঘটেছিল। সেটি নিয়ে আমার একটি পুরনো লেখা (তিনটি পর্ব) রয়েছে। ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন।

http://www.sachalayatan.com/guest_writer/10158
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/10159
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/10244

ধন্যবাদ।

-নির্বাসিত
-----------------------------------------------------------
"যতদুর গেলে পলায়ন হয় ততদুর কেউ আর পারেনা যেতে"।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

নির্বাসিত,
আপনার লেখাটা পড়লাম এবং মন্তব্যও করলাম। সেটা আর এখানে উল্লেখ করলাম না!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

এই পর্বের শুরু থেকেই গল্প খুব প্রেডিক্টেবল ছিলো। তবে বর্ণনা ভালো লাগলো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ধন্যবাদ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

পলিথিনের ব্যাপারটা আমারও মনে আছে। আমিও দেখেছি। আমি যখন মফস্বলের স্কুলে পড়তাম, সেখানে বেশ কয়েকজন ছেলে আসতো যারা ফুল-ফ্রী স্টুডেন্টশিপে পড়তো। তাদের হাতে ব্যাগ দেখেছি বলে মনে পড়ে না।

পড়া না পারলে টিচার ফুল-ফ্রী'র বিষয়টা মনে করিয়ে দিয়ে লজ্জা দিতেন সেই সব ছাত্রদের। ব্যাপারটা ভেবে এখনও মনে বড় ব্যাথা হয়।

আচ্ছা ঘটনাটা কি? লিখলাম রম্যরচনা, পাবলিক খালি দুঃখ পায়..!

নজমুল আলবাব এর ছবি

শহরের বিতলাগুলা বুঝি আমগরে নিয়া এমুন বিতঙ করে!!! হায়রে কপাল মন খারাপ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমরা সবাই আসছি তো মফঃ থেকেই। তথাপি এই বিতঙ থেকে বেরুনো মুশকিল ছিল।

এজন্য নয় যে, ওরা মফঃ; কারণ আমরা সবাইকে নিয়ে এমন করতাম বললে ভুল হবে। হারুন ব্যতিক্রম। খুবই ব্যতিক্রম। সেটা লেখাতে ফুটিয়ে তুলতে পারি নাই -- এটা আমার ব্যর্থতা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।