গেরস্থালি পিশাচ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফুল আরেফীন (তারিখ: রবি, ১৭/০২/২০০৮ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
উত্তরা থেকে গাড়িটা যখন চলতে শুরু করে তখন দুপুর খানিকটা হেলে পড়েছে। ছোট্ট সাদা ঝকঝকে ডাইহাটসুর ভেতরে তখন সেদিনের পত্রিকায় চোখ বুলাচ্ছে ডক্টর সালেহীন। বাইরে তুমুল বৃষ্টি। গাড়ি যখন মূল রাস্তায় তখন সে হঠাৎ খেয়াল করলো, গাড়ির এসি থেকে ক্রমাগত একটা মাথা ধরা শব্দ আসছে।

- কি ব্যাপার মোরশেদ, এসি থেকে শব্দ আসে কেন?
- সার, মনে হয় কোন প্রবলেম হইছে। আমি গতকাল থোন শুনতাছি।
- পরশু না গাড়ি সার্ভিসিং করালে?
- জ্বী সার
- তাহলে?
- বুঝতাছি না সার, মেকানিক দেহান লাগবো।

সালেহীন সন্দেহের চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে ড্রাইভারের দিকে। এই সব লোকদের তার বিশ্বাস হয় না। দেখা যাবে, ঠিক সেই মেকানিকের সাথে হাত মিলিয়েছে। বারবার নানান ছুতোয় গাড়ি ওয়র্কশপে নেবে আর টাকা খাবে।

গাড়ি একটা লালবাতিতে দাঁড়ায়। বৃষ্টিটা আরোও ধরে আসে। সালেহীন জানালা দিয়ে বাইরে দৃষ্টি ফেলে। কিন্তু বৃষ্টির তোপে তেমন কিছু দেখা যায় না। শুধু শত শত জলকণা গাড়ির জানালার কাঁচে আছড়ে পড়ে। সালেহীন সেদিকে তাকিয়ে থাকে। বৃষ্টির কণা জানালার কাঁচ বেয়ে সরু আঁকাবাকা ধারায় নীচের দিকে গড়িয়ে নামছে। সেই জলকণাদের সাথে সিগন্যাল বাতির লাল আলো প্রতিসরণের খেলা খেলছে। অনেকগুলো এককোষী এমিবা’র মিছিল যেন চলছে জানালা জুড়ে! দৃশ্যটা সুন্দর! কিন্তু এসির শব্দটা সব মনোযোগকে ছাঁপিয়ে ওঠে।

- গাড়িটা নিয়ে যেও ওয়র্কশপে, দেখিয়ে আনো। কি সমস্যা আমাকে জানাবে।
- জ্বী সার

সালেহীন অবশ্য এটা বললেও মনে মনে ভাবছে আরেকটা গাড়ি কেনার কথা। এটা অনেক পুরোনো হলো। সেই ৯৮ এর শেষের দিকে কেনা। এখন তো কতো ভালো ভালো গাড়ি বেড়িয়েছে! সালেহীনের পছন্দ লেক্সাসের নতুন গাড়িটা। মডেলটা RX300 না কি যেন? পুরোপুরি মনে পড়ে না এই মুহুর্তে। তবে গাড়িটা বেশ পছন্দ তার। দামটা একটু চড়া। কিন্তু সাধ্যের বাইরে নয় একেবারেই। সে আবার মন দেয় পত্রিকা পড়ায়।

২.
ভেতরের দিকের বিদেশের পাতায় “গুরগাঁও কিডনী স্ক্যান্ডাল” – শিরোনামটা সালেহীনের মনোযোগ টেনে নেয়। পড়তে পড়তে ভ্রুঁ কুঁচকে ওঠে তার। ভারতের উত্তর প্রদেশের অতি দরিদ্র বেকার লোকদেরকে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লীর নিকটস্থ গুরগাঁও-এ এনে অতঃপর তাদেরকে কিডনী বেঁচতে বাধ্য করা হতো। যারা রাজী হতো না তাদের কাউকে কাউকে মাদকের মাধ্যমে অজ্ঞান করেও নাকি কিডনী চুরী করা হতো। এদের অপারেশন হতো দিল্লীর একটা প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে। গরীব আর অসহায় লোকদের নানা প্রলোভন করে তাদের কিডনী বিক্রির এই জঘণ্য ব্যবসায় জড়িত চক্রটি আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয়। ভারতে একাজের সাথে জড়িত অমিত কুমারকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে নেপালের এক বাগানবাড়ি থেকে। ইতিমধ্যেই পুলিশ অমিতের কয়েক বিলিয়ন রুপীর সম্পদ জব্দ করেছে। ধনী দেশ থেকে কিডনী রোগীদের একটা বিরাট অংশ প্রতিবছর দরীদ্র দেশগুলোতে ভ্রমন করে মূলতঃ এই কিডনী সংযোজনের জন্যই।
সালেহীন পত্রিকা ভাঁজ করে পাশের সীটে রেখে দেয়। তারপর স্যুটটা দুহাতে একটু টেনে বসার ভঙ্গীটা বদলায়। ভ্রুঁযুগল তখন থেকেই কুঁচকে আছে। ইতিমধ্যেই পাশের সীটে রাখা সেলফোনটা বেজে ওঠে।

৩.
- হ্যা বলো
- স্যার সর্বোনাশ হয়েছে!
- ক্যানো? কি হয়েছে?
- স্যার পত্রিকা পড়েছেন আজকের?
- হ্যা।
- খবরটা ওখানেই আছে, ভেতরের দিকে, বিদেশের খবরে।
- আমি পড়েছি খবরটা।
- অমিত সাহেব …
- হ্যা, বললাম তো পড়েছি (সালেহীন অসহিষ্ণুভাবে জবাব দেয়)
- স্যার বিষয়টা তো খুবই উদ্বেগের!
- হুমম, (সালেহীন অন্যমনষ্কভাবে সায় দেয়), আমি রাখছি এখন; পরে কথা হবে।
- জ্বী স্যার।

পেছনের কাঁচে লাল অর্ধচন্দ্র আঁকা গাড়িটা একটু পরেই হোয়াইট হল কমিউনিটি সেন্টারের গেটে পৌছায়। মোবাইলটা হাত বদলে নিয়ে আরেক হাতে দরজা খোলে সালেহীন। ততোক্ষণে ড্রাইভার এগিয়ে আসে। তাকে হাত বাড়িয়ে বিরত করে সালেহীন। তার চেহারায় একটা উদ্বিগ্ন ভাব। এগিয়ে যেতেই টুপি আর সাদা স্যূট পড়া দাড়োয়ান কেতাদুরস্ত কায়দায় সালাম জানিয়ে দরোজা খুলে দেয়। তাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে সালেহীন দ্রুতপায়ে ভেতরে ঢোকে। সোবহানের ছেলেটার আজ বৌভাত। অনেক দেরী হয়ে গেছে।

৪.
আলো ঝলমলে সুপরিসর হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সোবহান। তার সামর্থ্য অল্প, কিন্তু তাই বলে একমাত্র ছেলের বিয়েতে সে কার্পণ্য করেনি। ছেলে দেশের একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরী করছে। সোবহান নিজে সরকারী চাকুরে – এখন রিটায়ার্ড। সোবহানের ছেলে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছে। মেয়েটা নাকি খুবই সুন্দরী। বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় এখনও পর্যন্ত দেখা হয় নাই। হলরুমে ঢুকতেই সামান্য দূরে থেকে সালেহীনকে লক্ষ্য করে হাসিমুখে এগিয়ে আসে সোবহান আর তার ছেলে। ছেলেটা লজ্জিতভাবে হেসে সালাম দেয়। সেটার জবাব দেবার আগেই সোবহানের অভিযোগ,

- কি রে এতো দেরী করলি যে? তোর বউ তো সেই কখন এসেছে!
- বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আর তাছাড়া হাতেও কাজ ছিল।
- তোর গাড়ি থাকতে বৃষ্টি নিয়ে মাথাব্যাথা হবে কেন? যাকগে বাদ দে …
- তোর ছেলের বউটা নাকি অনেক সুন্দর!
- হু। বিয়েতে তো আসলি না। চল দেখবি।

সালেহীনকে ধরে একরকম টেনে নিয়ে যায় সোবহান স্টেজের দিকে। নববধূ বসে আছে স্টেজ আলোকিত করে। সালেহীন খানিকটা অবাক হয়ে দেখে মেয়েটিকে! মেয়েটি বেশ সুন্দরী! সোবহান পরিচয় করিয়ে দেয়,

- মা, বলতে পারো, ইনি তোমার আরেক শ্বশুর, ডক্টর সালেহীন। আমার ছেলেবেলার বন্ধু।
- (মেয়েটি সালেহীনের প্রতি সালামের মতো ইঙ্গিত করে) আঙ্কেল কেমন আছেন?
- হ্যা? (প্রশ্ন শুনে সালেহীনের ধ্যান ভাঙ্গে)... ... ওহ্! এইতো আছি; তুমি কেমন আছো?
- ভালো আছি। আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন?
- না তো! কেন? আমার কি চেনা উচিৎ?
- জ্বী না, আপনার তো অনেক রুগী।
- ওহ্ তুমি আমার পেশেন্ট নাকি?!
- (মেয়েটা হাসে, জবাব দেয় না)
- বাহ্ ভালোই তো! ডাক্তার আর রোগী এভাবে দেখা হয়ে গেল! (সোবহান কপট বিস্ময় প্রকাশ করে)

এভাবে স্টেজে বসা নববধূর সাথে কথা বলতে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না সালেহীন। মেয়েটির দিকে হাসি ছুঁড়ে দিয়ে বলে,

- দেখি, তোমার আন্টি কি করছে, কেমন?
- জ্বী নিশ্চই আঙ্কেল।

মেয়েটার থেকে বিদায় নিয়ে সালেহীন অবশ্য স্ত্রীর খোঁজে যায় না। সরে আসে কোলাহল থেকে একটু দূরে। সেল ফোনটা বের করে দ্রুতহাতে কয়েকটা বাটন চেপে কানে লাগায় ফোনটা।

- হ্যালো স্যার, স্লামালেকুম।
- শোনো, ইন্ডিয়ার সাথে আমাদের যাবতীয় ট্রানজ্যাকশনের পেপারস সরিয়ে ফেল।
- ওকে স্যার। ব্যাঙ্কে ফোন করে দিচ্ছি এখুনি।
- ফোন না। তুমি নিজে যাবে। সব পেপারস সরাবে। লাগলে টাকা নিয়ে যাবে।
- ও কে স্যার।
- আপাততঃ এইটুকুই; পরে বাকিটা জানাবো। আর হ্যা, পত্রিকার খবরটার আপডেট রাখবে, আমাকে টাইম টু টাইম ব্রিফ করবে। কালকে সকালে একটা মিটিং কল করো। ডিরেক্টরদেরকে বলবে উপস্থিত থাকতে।

৫.
ফোন রেখে সালেহীন কিছুক্ষন গুম মেরে থাকে। সোবহানের পূত্রবধূকে দেখে আজ তার হঠাৎ অনেক স্মৃতি হুরমুর করে মনে পড়ে যায়। না চেনার ভান করলেও মেয়েটিকে ভালো করেই মনে আছে তার। কোমরে তীব্র জ্বালাতন নিয়ে ওর চেম্বারে এসেছিল মেয়েটি। সেটা আজ থেকে বছরখানেক আগের ঘটনা। কিডনীর অপারেশন লাগবে বলে ওকে তখনই সালেহীনের ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ওর কিডনীতে আসলে তেমন কোনও প্রবলেম ছিল না। মেয়েটি জানে না; আসলে কেইউ জানে না -- ব্লাড, টিস্যূ আর ক্রসম্যাচিং এর পরে আশ্চর্যভাবে ওর কিডনীটা মিলে যায় সালেহীনের এক মার্কিন ক্লায়েন্টের সাথে। সেদিনের পর থেকে মাত্র একটি কিডনী নিয়ে বেঁচে আছে মেয়েটি। আরেকটি বিক্রি হয়ে গেছে উচ্চমূল্যে!

বি. দ্র. ২য় অনুচ্ছেদে উল্লিখিত “গুরগাঁও কিডনী স্ক্যান্ডাল” শীর্ষক সংবাদটি সাম্প্রতিককালে উইকিপিডিয়াতে পড়ে গল্পটি লেখার অনুপ্রেরণা পাই। সংবাদটি পড়ুন এখানে


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ভয়ংকর একটি বিষয় নিয়ে সুন্দর একটি গল্প। ভালো লাগলো।

- শামীম হক।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনার ভালো লাগা আমার এগিয়ে চলার পাথেয়।
ধন্যবাদ।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

হিমু এর ছবি

আর আমি পেলাম একটা গোয়েন্দা ঝাকানাকার গল্পের আইডিয়া। ধন্যবাদ চোখ টিপি!


হাঁটুপানির জলদস্যু

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম; সেটা যে খুবই অসাধারণ কিছু একটা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কোথায় যেন পড়েছিলাম: পৃথিবীতে খারাপ লোকের সংখ্যা কম, তবে তারা অত্যন্ত সংগঠিত।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কারণটা কি, বলতে পারেন ভাই?

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

স্নিগ্ধা এর ছবি

দারুণ একটা ছোটগল্প - আমার মতে ছোট গল্প লেখা বেশ কঠিন কিন্তু.........

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমি ছাপোষা লেখিয়ে। মূলত রম্য ধাঁচের লেখায় আরাম পাই, মাঝে মাঝে লেখকদের মতোন লিখতে ইচ্ছে হয়। সেই ইচ্ছের ঢেকি আপনাদের সামনে চলে আসবে যথারীতি।

পড়েছেন এই বেশী দেঁতো হাসি মন্তব্য তো বাড়তি পাওনা।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পড়লাম, বলা যায় - রুদ্ধশ্বাস পাঠ।
অমিতের খবরটায় নজর রাখছিলাম ক'দিন আগে।একটা সময় ছেলেধরার বদলে এই কিডনীধরা গ্রুপের আতঙ্ক ছিল খুব। আমাদেরই এক সহপাঠী গায়েব ছিল দুই সপ্তাহ। ফিরে এসে বিশাল গল্প, রাস্তা থেকে সাদা মাইক্রো কালো কাঁচ, কোথায় এক হসপিটাল, গ্রুপ মিলে না বলে পরে ছেড়ে দিল; এরকম। অবশ্য ঘর-পলাতক হিসাবে বদনাম থাকায় ঐ গল্প অনেকেই বিশ্বাস করেনি।

আপনার লেখাটা অবশ্য ভালো লেগেছে বেশ। শুধু একটু অনুযোগ - শেষ প্যারা (৫) এ এসে গল্প কেমন যেন তথ্যবহুল হয়ে গেল। এটা গল্পের ভেতরেই থাকতে পারতো কথায় কথায়।

হা হা। ব্যাপার না, একই গল্পে কতো কিছুই তো হতে পারতো হাসি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সত্যি কথা বলতে, গল্পটা নিয়ে আমার নিজেরই আরো বেশ ক'টি জায়গাতে অনুযোগ আছে।

আপনারটা তারই একটি। পরেরবার ভালো করার চেষ্টা করবো; আপাতত এর বেশী কিছু দিতে পারলাম না।

বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি ওগুলোই আশা করি।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

নজমুল আলবাব এর ছবি

আরেফিনতো জেনেই গেছেন যে আমি আপনার বিরাট ভক্ত হয়ে গেছি। লগাইলাম সেই কারনেই। অসম্ভব ভালো লেগেছে। আমি মুগ্ধ পাঠক।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এই আনন্দে আমি আমার নামের বানান (দীর্ঘ ঈ-কার হবে। বলা যায় না, পরেরবার যদি আবার ভুল হয়! এই জন্য।) মিসটেকের গুণাহ্ মাফ করে দিলাম ... সবাই বলেন আ-মি-ন!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

নজমুল আলবাব এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

বস টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো তো!
এইসব মন্তব্য কইরেন না।

আপনাকে ধন্যবাদ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

কারুবাসনা এর ছবি

ভালো।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

আপনার লেখা নিয়মিতভাবে পড়ার চেষ্টা করছি, একসময় আরোও ভালো বুঝতে পারবো -- এই আশায় হাসি

মাফ করবেন, আপনি কি বিজ্ঞাপন শিল্পের সাথে জড়িত?

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এদ্দিন পরে মন্তব্য পেয়েও অনেক ভালো লাগলো হাসি
আপনাকে ধন্যবাদ।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দারুন লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সংশোধনহীন গল্প লেখার স্বপ্ন দেখি আমিও ... ...

গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। "ভালো" লাগলেই অনেক তৃপ্ত হতাম, সেখানে "দারুণ" তো বোনাস!!

আবারও ধন্যবাদ।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

গীতিকবি এর ছবি

অপূর্ব...

____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লিখেছেন, নামকরণও অপূর্ব !
- খেকশিয়াল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হুমম, খেকশিয়ালও যেহেতূ মজা পেয়েছে, তাহলে তো অবশ্যই ভালো হয়েছে চোখ টিপি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতিথি লেখক এর ছবি

কেন ভাই? খেকশিয়ালরা মজা পেতে পারে না? আমরাও তো মানুষ মন খারাপ
- খেকশিয়াল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

দেরীতে মন্তব্য পড়া হলো। মাফ করবেন। আজকাল আসি খুব কম, দৌড়ের ওপর আছি।

ও, আপনার মন্তব্য উতসাহিত করলো আমাকে! বরাবরের মতোই।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।