ভুলে গেছি যেই আঘাত অনায়াসে

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৭:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা জাতি হিসেবে অনেক কৃতিত্ব এর দাবীদার, আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি, স্বাধীনতা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি, স্বৈরশাসক এর পতন ঘটিয়েছি তরুণ রক্ত দিয়ে, জাতি হিসেবে আমরা বীরের জাতি, এই দাবি করতেই পারি। কিন্তু একটা দাবি আমরা করিনা, সেটা কি? আমরা ভুলোমনা একটি জাতি| আমরা খুব সহজেই ভুলে যাই, আমরা খুব সহজে ভুলে যাই আমাদের অতীত, আমাদের অস্তিত্ব। আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমরা চোখ ফেরালেই ভুলে যাই। তারপর একসময় আমরা সেই ঘটনা কখনো ঘটেছিল কিনা সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করি|

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪, আজ থেকে ৮ বছর আগের এই দিনে, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদ এর উপর ধারালো অস্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল কিছু মানুষরুপী নরপশু, হায়েনা| আঘাতে আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন করে পৃথিবী থেকে মানুষটির অস্তিত্ব মুছে ফেলার জন্য চেষ্টা করেছিলো কি নৃশংস আক্রোশে| ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তির চরম শক্তি প্রদর্শন ছিলো সেটি, মুক্ত কণ্ঠস্বরকে দাবিয়ে দেয়ার কি প্রচন্ড আস্ফালন ছিলো তাদের| আঘাতে জর্জরিত মানুষটি বেঁচে গিয়েছিলেন কোনমতে সেদিন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি, ১১ আগস্ট, ২০০৪, প্রবাসে মৃত্যুবরণ করেন তিনি|

হ্যাঁ, আমরা ভুলে গেছি তাকে, ভুলে গেছি তার অবদান, তার মুক্তচিন্তাকে, তার কণ্ঠস্বরকে, তার লেখনীকে, যেই চিন্তাশক্তি আর লেখনী দিয়ে তিনি লড়ে গেছেন সমাজে একা, এক প্রবল নৃশংস চক্রের বিরুদ্ধে। জীবদ্দশায় তাকে কম হুমকি দেওয়া হয়নি, দেশের ধর্মীয় মৌলবাদী চক্র তাকে হত্যার জন্য কম চেষ্টা করেনি, তার কণ্ঠস্বর দাবিয়ে রাখার জন্য তার উপরে কম চাপ ছিলোনা, কিন্তু কি প্রবল বিক্রমে তিনি লড়ে গেছেন| আমরা ভুলে গেছি তার "পাক সার জামিন সাদ বাদ", তার সেই বীরত্ব| কি দুর্দান্ত স্পর্ধায় তিনি একাই মৌলবাদীদের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন| কলমের শক্তি বুঝি একেই বলে|

তার লেখার চাছা-ছোলা ধরণ অনেকেরই ভালো লাগতোনা, সমালোচনায় তার ক্ষুরধার মন্তব্য অনেকেই অপছন্দ করতেন, ধর্মের বিরুদ্ধে সর্বোপরী ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান অনেকেরই চক্ষুশুল ছিলো, কিন্তু স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশে শুধু মাত্র সাহিত্য রচনার জন্য এভাবে একজন মানুষকে আক্রমনের শিকার হতে হবে, এ চরম ভাবনাটি মনে হয় কারো মাথায় আসবেনা| কিন্তু সেই আঘাত এসেছে, যদি কেউ বলে এই আঘাত তার অবস্থানের জন্য, তাহলে বলবো, ভুল, এই আঘাত শুধু তার একার নয়, এই আঘাত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, এই আঘাত মানবতার বিরুদ্ধে, এই আঘাত মুক্তকণ্ঠকে গলা টিপে মেরে ফেলার জন্য| এই আঘাত আমাদের সকলের, প্রত্যেকটি আঘাত ক্ষত-বিক্ষত করেছে আমাদের, রক্ত ঝড়িয়েছে।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এতগুলো বছর চলে গেলো, ঘটনার আসল নায়করা পর্দার আড়ালেই রয়ে গেলো, বিচার হলোনা একজনেরও। দেশে এখনো সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির আস্ফালন, এখনো মুক্তকণ্ঠকে থামিয়ে দেওয়ার প্রবল প্রচেষ্টা, কিন্তু আমরা ভুলে যাবো, আমরা ভুলে থাকবো| যেভাবে আমরা ভুলে গেছি রমনার বটমূল, যেভাবে ভুলে গেছি তসলিমা নাসরিন, যেভাবে ভুলে গেছি অজস্র বোমা হামলার ক্ষত, ঠিক সেভাবেই আমরা ভুলে যাবো, কারণ একদিন ঠিক এভাবেই সব কিছু নষ্টদের হাতে চলে যায়|

আমরা জাতি হিসেবে অনেক ভুলোমনা, তার উপরে ক্ষমাশালী, আমরা ভুলে থাকতে পছন্দ করি, আমরা অতীতকে ভুলে যেতে পছন্দ করি| আর এ কারণেই অস্তিত্বের টানাপড়েন লাগে যখন-তখন| আমরা ভুলে যাই আমাদের সংগ্রাম, আমরা ভুলে যাই নরপশুদের, আমরা ভুলে যাই আমাদের খুনিদের। ভুলে গিয়ে তাদের আমরা আপ্যায়ন করি, তাদের জন্য স্লোগান দেই, তাদের জন্য মমতা প্রকাশ করি, তাদের জন্য ভালোবাসা দেখাই, কারণ আমরা অতীত ভুলে যাওয়াতে বিশ্বাসী।

হুমায়ুন আজাদ অনেক আগে লিখেছিলেন-

"আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ-পরিষদ; চলে যাবে, অত্যন্ত উল্লাসে
চ’লে যাবে এই সমাজ-সভ্যতা-সমস্ত দলিল
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চলে গেছে নষ্টদের
অধিকারে।"

আমরা তার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি, আলোচনা করেছি, দুঃখ করেছি, কিন্তু ভুলে গেছি। তাই আটটি বছর পরেও অমিমাংসিত থেকে গেছে এই ঘটনার রহস্য, কারণ আমরা দেখেও না দেখার ভান করে থেকেছি, সরকার এর পর সরকার এসেছে কিন্তু কিছুই হয়নি| আর এভাবেই দম্ভ বেড়েছে মৌলবাদী শক্তির আর এভাবেই তারা পার পেয়ে গেছে সবখানে|

স্যারকে একসময় বলতে ইচ্ছে হতো, না, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যেতে পারেনা, যেতে দেয়া যায়না, নাহ তাকে ভুল প্রমান করতে পারিনি, এখন বলতে ইচ্ছে হয়, রাষ্ট্রযন্ত্র তো অনেক আগেই পচে গেছে এখন পচন ধরেছে পুরো সমাজের, আমাদের মস্তিষ্কের, আমাদের সত্ত্বার। আমরা হয়তো সত্যিই হেরে গেছি|


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

কিছু বলার নেই

অরফিয়াস এর ছবি

মন খারাপ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ধূসর জলছবি এর ছবি

"আমি জানি সবকিছ নষ্টদের অধিকারে যাবে।" প্রথম এই কবিতাটা পড়ে আমারও বলতে ইচ্ছে হয়েছিল যে না যাবে না, যেতে দিব না, বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় নি। এখন জানি স্যার ঠিকই জানতেন, আসলেই তাই হয়েছে। সব কিছু শুধ নষ্টদের অধিকারে গিয়েছে তাই না, আমরা সবাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছি। চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

আমাদের মূল থেকে পচন শুরু হয়েছে অনেক আগেই

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

উচ্ছলা এর ছবি

হুমায়ুন আজাদ-এর জন্য শ্রদ্ধা।

মৌলবাদী শক্তিকে আজীবন দুধ-কলা দিয়ে পুষে, তারপর জনরোষ থেকে নিজের চামড়া বাঁচাতে ওদেরকে জেলে ঢুকিয়ে পাঁচ বেলা চাহিবা মাত্রই রাজকোষ উজাড় করে খাইয়ে দাইয়ে রাখার এই সরকারী ছলাকলায় তীব্র ধিক্কার!

অরফিয়াস এর ছবি

শ্রদ্ধা

আমরা নষ্ট রাজনীতি বহন করে চলেছি দুরারোগ্য রোগের মতো আমাদের সমাজে, এর প্রতিকারের আশু সম্ভাবনা দেখিনা, কারণ আমরাই এর ধারক ও বাহক|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আশফাক আহমেদ এর ছবি

হুমায়ুন আজাদ আমারও খুব প্রিয় লেখকদের একজন।
তবে,

হ্যাঁ, আমরা ভুলে গেছি তাকে, ভুলে গেছি তার অবদান

, এই কথাটা একটু এবগসর্বস্ব হয়ে গেলো মনে হয়। এখনো মুক্তচিন্তার কথা বলতে গেলে তার লেখার রেফারেন্সই সবার আগে আসে। আমরা যারা নিয়মিত বইমেলায় যাই তারা তার জ্বলজ্বলে উপস্থিতির অভাব সবসময়ই অনুভব করি। টক শো তে যখন টকাররা পকপক করে আর বস্তা বস্তা লিখে পত্রিকার পাতা নষ্ট করে, তখনো আমরা তাঁর অভাব সবসময়ই অনুভব করি। তিনি না থেকেও আমাদের অনেকটা জুড়ে আছেন।

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

আশফাক আহমেদ এর ছবি

*আবেগসর্বস্ব

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অরফিয়াস এর ছবি

না আবেগসর্বস্ব নয়, বরং এইযে আমরা মনে রেখেছি মনে রেখেছি বলে রব তুলি এটাই আবেগসর্বস্ব সান্তনা আমাদের নিজেদের জন্য, যদি মনে রাখতাম তাহলে ৮ বছরে ধরে বিনা বিচার সহ্য করতাম না, যদি মনে রাখতাম অন্তত বিচারের দাবিতে একটা আন্দোলন হতো কারণ এই আঘাত শুধু হুমায়ুন আজাদের উপর নয়, এই আঘাত আমাদের উপরও, কিন্তু হয়নি, হয়েছে শুধু এক নরপশুকে ভাষা সৈনিক আর স্বাধীন বাংলার রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা। কিন্তু তারপরও আমরা পারিনি ঐ নরাধমদের বিরুদ্ধে কথা বলতে, ওদের মুখ থেকে এই অশ্লীল মিথ্যে শোনার আগে ওদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে, তাই আমরা মনে রাখিনি, ভুলে গেছি সব, ভুলে গেছি যে আমাদের একটা মেরুদন্ড আছে|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অন্যকেউ এর ছবি

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে -কথাটা কতো আগে বলেছেন তিনি! কিন্তু এতো বছর পরে এসেও দিনদিন কি ভয়ঙ্কর প্রাসঙ্গিক!

আজাদের জন্য শ্রদ্ধা। চিন্তার মুক্তি একদিন আসবেই।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অরফিয়াস এর ছবি

আমরা মেরুদন্ড আছে এরকম সমাজ দেখতে চাই, নাহলে মুক্ত চিন্তা কোনদিনও আসবেনা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তানিম এহসান এর ছবি

কিছুকিছু বেঁচে থাকা আত্মস্থ হয়ে যায় বলে সেটাকে ভুলে যাওয়া বলেনা, বরং সেটাই প্রকৃত চালিকাশক্তি মানুষের।

হুমায়ূন আজাদ একজনই জন্ম নেন। আর একজন হুমায়ূন আজাদ কোনদিন পাবেনা বাংলাদেশ।

অরফিয়াস এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ একজনই জন্ম নেন। আর একজন হুমায়ূন আজাদ কোনদিন পাবেনা বাংলাদেশ।

সহমত

কিন্তু আর কত বিচার ধামাচাপা দিলে তবে আমাদের রাজনৈতিক খেলা শেষ হবে বলা যায় কি??

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এই নতুন প্রজন্ম আমাকে আশান্বিত করেছে, নষ্টদের অধিকার থেকে সব কিছু তাঁরা আবার ফিরিয়ে নেবে।
হুমায়ূন আজাদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা।

অরফিয়াস এর ছবি

আশা রাখছি এই নতুন প্রজন্ম ত্যাগের সঠিক মর্ম উপলব্ধি করতে পারবে, পথভ্রষ্ট হবেনা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটি।
হুমায়ুন আজাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
চিন্তার মুক্তি হোক। কালোগুলো ধুঁয়ে মুছে যাক।

অরফিয়াস এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ।

চিন্তার মুক্তি হোক। কালোগুলো ধুঁয়ে মুছে যাক।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমন তুরহান এর ছবি

ছোটোবেলায় উঠোনের কোণে স্বপ্নের মতো একরত্তি লাল
একটা ঘাসফুল দেখে বিভোর হ'য়ে গিয়েছিলাম।
তারপর কতো ভোরে সেই একরত্তি ফুল হ'য়ে উঠোনের কোণে
আমি অত্যন্ত নি:শব্দে ফুটেছি।

আট বছর বয়সে আমার খুব ভালো লেগেছিলো ডালিমের ডালে
ঘুমের মতোন ব'সে থাকা দোয়েলটিকে।
তারপর অসংখ্য দুপুরে আমি ঘুম হ'য়ে ডালিমের শাখায় বসেছি।

পুকুরে পানির সবুজ কোমল ঢেউ হয়েছি অজস্র সন্ধ্যায়।
মাঝপুকুরে বোয়ালের হঠাৎ ঘাইয়ে জন্ম নিয়ে টলমল ক'রে গিয়ে
মিশেছি ঘাস, শ্যাওলা, কচুরিপানার সবুজ শরীরে।

মেঘ হ'য়ে কতো দিন উড়ে গেছি আড়িয়ল বিলের ওপর দিয়ে,
গলগলে গজল হ'য়ে কতো রাতে ঝরেছি টিনের চালে,
নৌকো হ'য়ে ভেসে গেছি থইথই ঢেউয়ের ওপর।
কতো গোধূলিতে তারা হ'য়ে ফুটেছি আকাশের অজানা কোণে।
দু:খ হ'য়ে ব'সে থেকেছি পার্কের বিষণ্ণ গাছের নিচে।
অশ্রু হ'য়ে টলমল করেছি তার চোখের কোণায়।

কিন্তু আজ, এই অসম্ভব দুর্দিনে, একরত্তি ফুল, পাখি, মেঘ
বৃষ্টি, নৌকো, তারা অশ্রু, বা কুয়াশা নয়
আমি মাথা তুলছি উদ্ধত পর্বতের মতো। চারপাছে নষ্টদের রোষ,
আর শুয়োরের আক্রোশ, বিচিত্র পশুদের আক্রমণ মাথা কুটে
মরে পাদদেশে। আমি বেড়ে উঠছি অবিচল পর্বতের মতো, যখন আমার
পাদদেশে পশুদের কোলাহল, তখন আমার গ্রীবা ঘিরে মেঘ,
বুক জুড়ে বৃষ্টি, আর চূড়োর ওপর ঘন গাঢ় নীল!

(পর্বত / আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে / হুমায়ুন আজাদ)

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

অরফিয়াস এর ছবি

শ্রদ্ধা

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।