তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে!

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: সোম, ২৫/০৪/২০১৬ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় বছর পাঁচেক কিংবা তারও আগে আগে আমরা কিছু পোঁদপাকা পোলাপাইন হল্লা করতাম এই বলে যে দেশের অবস্থা খুব একটা সুবিধার ঠেকে না, সামগ্রিক পরিস্থিতি খুব দ্রুত ধর্মীয় মৌলবাদের দিকে আগাচ্ছে। তখন সব মহলের গেছোদাদারা খুব রাগ করতেন। তাদের একটাই কথা, (তথাকথিত) অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদের কোন স্থান নাই। (তথাকথিত) ইতিহাস নাকি সাক্ষ্য দেয় এই ভূখণ্ডে বহুবছর ধরে সবাই মিলেমিশে হেসে খেলে কাটিয়েছে। সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসের স্পর্শকাতর কিছু বিষয় তারা খুব সযত্নে এড়িয়ে যেতেন। এই যেমন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর যুগের পর যুগ ধরে বিনা উস্কানিতে চলা জঘন্য অত্যাচার, পাহাড়ে হাঁটুবাহিনীর খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, রাজনৈতিক ভাবে ধর্মীয় মৌলবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা, পাকিস্তানের সাথে রাজনৈতিক ও সামাজিক দহরম-মহরম কিংবা আরেকটু পিছিয়ে গিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কিংবা মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলনকে সরকারি ও রাজনৈতিকভাবে দমন-নিপীড়ন ইত্যাদি। যারা একটু ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে তাদের বোঝার বাকি থাকে না যে বাংলাদেশের ইতিহাস কখনওই অসাম্প্রদায়িক ছিল না। এই দেশের রাজনীতি এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে সবসময়ই ধর্ম এবং তৎসংশ্লিষ্ট মৌলবাদের উসাকানি ছিল।

একটা প্রবচন আছে যে, 'শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না'। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সরকার এবং রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব স্বার্থে সবসময়ই এই মাছ ঢাকার কাজটা করতে চেয়েছে এবং এখনও করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইসলামিক মৌলবাদ এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ড বহু বছর ধরেই চলমান। আফগান যুদ্ধ হতে শুরু করে পরবর্তী সবকটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধেই বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত ভাবে জঙ্গি রিক্রুটিং করা হয়েছে, এরা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে এবং পরবর্তীতে অনেকেই দেশে এসে এই জঙ্গি মতবাদের প্রচার এবং প্রসারে লিপ্ত ছিল। তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে নির্লজ্জ ভাবে এইসব জঙ্গি কর্মকাণ্ডকে সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। খুব বেশি ইতিহাস ঘাটাঘাটির প্রয়োজন হয়না, যে দেশে একসাথে ৪০০টি স্থানে একসাথে বোমা বিস্ফোরণ এর মত সংবদ্ধতা জঙ্গিদের থাকতে পারে সেদেশ যে খুব সহজেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংঘঠনগুলোর নজরে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও সরকারি নজরদারির অভাব এবং অনীহার কারনে এদেশে তৃনমূল পর্যায়ে জঙ্গি কার্যক্রম পাকাপোক্ত হয়েছে মহামারী আকারে। কিন্তু তারপরেও গুরুত্বের দিক থেকে এই কার্যক্রম রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সামাজিক সুশিল কারও চায়ের টেবিলের যোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি।

মাদ্রাসা এবং তৎসংশ্লিষ্ট মধ্যপ্রাচের অনুদান এবং প্রভাবে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হলেও দমনের পরিবর্তে বর্তমান সরকার বরং এদের দুধে ভাতে রাখার সকল বন্দোবস্ত করেছে। হেফাজতে ইসলামের মত প্রকাশ্য জঙ্গি সংঘঠনকে সরকার দমনের কোন ইচ্ছা পোষণ কখনওই করেনি বরং এধরনের কার্যক্রমকে রাজনৈতিক গুটি চালাচালির কাজে ব্যবহার করে এসেছে এবং করছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে 'অসাম্প্রদায়িকতার'(!!!) নিশান বহনকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামিক মৌলবাদকে প্রায় সরাসরিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।

বিএনপি-জামাতের এককালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন এক শিশুর মৃত্যুর পরে তার বাড়িতে গিয়ে বলেছিল, 'আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছে, কি করার আছে'। তখন এই নিয়ে জনসাধারনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু হাস্যকর হলেও সত্যি, আওয়ামী সরকারের মুখপাত্রদের 'বেডরুমের নিরাপত্তা তো আমরা দিতে পারিনা', 'কেউ উস্কানিমূলক লেখা লিখলে আমরা কি করব' কিংবা 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারনে কাউকে হত্যা করা হলে সরকার কি করবে', 'এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনায় সরকার দায়ী নয়' ঠিক একই রকমের অশ্লীল এবং কুরুচিকর মন্তব্য।

যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে শুরু করে পুলিশের প্রধান খুব সহজেই এধরনের 'বিচ্ছিন্ন' হত্যাকাণ্ডের পরে নিজেদের দায় অস্বীকার করে হাত মুছে ফেলেন সেদেশে এই 'বিচ্ছিন্ন' ঘটনাগুলো যে আর বিচ্ছিন্ন থাকবেনা সেটাই স্বাভাবিক। তবে দেশের সরকারকে দোষ দিয়েও লাভ নেই আসলে। Joseph de Maistre এর বহুল প্রচলিত একটি উক্তি 'Toute nation a le gouvernement qu'elle mérite',
'Every nation gets the government it deserves'. বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের যে আসলেই ইসলামিক মৌলবাদের পেছনে প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে সেটা জানার বাকি নেই আর। মাঝে মাঝে একটা হাইপথেটিক্যাল চিন্তা খুব ভয় জাগায়, ভাগ্যিস বাংলাদেশ তৎকালীন হিটলারের জার্মানির মত শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র নয়, তাহলে দুনিয়ার কপালে অপরিসীম দুঃখ ছিল! জার্মানির মত একটি নয় ডজনে ডজনে হিটলার পয়দা করার ক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।

একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পরে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংঘঠনগুলো দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিলেও আমাদের দেশের হর্তা-কর্তাদের কোন বিকার নেই। তাদের মন্তব্যগুলো একই সুতোয় গাঁথা। 'দেশে কোন জঙ্গি নেই থাকলেও আন্তর্জাতিক কোন প্রভাব নেই।' যে দেশ পাকিস্তান আফগানিস্তানের মত দেশগুলোর সাথে পাশাপাশি অবস্থিত সেদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি দলগুলো তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করতে পারে, এটাকে গুরুত্বের সাথে না দেখার মত বলদামি শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব।

তাই আসুন, যতদিন পর্যন্ত না নিজের ঘাড়ে কোপ এসে পড়ে ততদিন পর্যন্ত আমরা চুপ থাকি, বিনোদনে ব্যস্ত থাকি, ক্রিকেটে চার-ছক্কা পিটিয়ে ক্লান্ত হই, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মরতি করি কিংবা উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসাই।

মিথলজির গল্পে, দেবী মহামায়া রাজা কংসকে এসে সতর্ক করে গিয়েছিল কৃষ্ণের সম্পর্কে এই বলে যে, 'তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে!' বাংলাদেশের চরম পরিনতির জন্য দায়ী যে ইসলামিক মৌলবাদ এবং জঙ্গি তৎপরতা, সেটাও ঠিক একইভাবে সরকার বাহাদুরের সিংহাসনের নিচে নাগালের আওতার মধ্যে আস্তে আস্তে দানব থেকে মহাদানবে পরিনত হচ্ছে। যেই ফ্রাঙ্কেন্সটাইনের জন্ম দেয়ার জন্য বাংলাদেশ দায়ী সেই ফ্রাঙ্কেন্সটাইনের হাতেই এদেশের চরম পরিনতি হতে বাধ্য।

আমরা বরং প্রচলিত তিন বান্দরের মত কিছু না শুনি, না দেখি, না বলি।

ছবি: 
02/12/2009 - 12:37পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সংখ্যাগরিষ্ঠের জনমত তো বহুদিন ধরে বাঁদর মতের অনূকূলেই আছে!

দৃষ্টি আকর্ষণ-১ আল্লার মাল সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ-২ বারিছে>বাড়িছে হবে, বদলে দিয়েন সময় পেলে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব এর ছবি

আল্লার মাল আল্লায় নিছে কথাটারে এখন বরং অনেক শ্লিল মনে হয়। শেষ পর্যন্ত এই কথাটা অনেক নির্বিষ। আমাদের লোকায়ত আচারে মৃতের আত্মিয় স্বজনকে শান্তনা দিতে আল্লাহ/ ইশ্বর বা ভগবানের কথা বলার ধারাটা মাথায় রাখলে বরং অনেক মানবিক মন্তব্য মনে হয় সেটারে। অন্ততঃ দায় নেবোনা, লেখা খতিয়ে দেখা হবের মতো অশ্লিল কথার পিঠে আলতাফ হোসেনের সেই মন্তব্যকে এখন বরং বোকা বোকা কিছু কথার মতো শোনায়।

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অরফিয়াস এর ছবি

কথা সত্য। আল্লার মাল আল্লায় নিছে কথাটারে এখন মুখ ফস্কে বের হয়ে যাওয়া কথা মনে হয় যেখানে এই সরকার সুচিন্তিত ভাবে অশ্লীল কথা বলে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অরফিয়াস এর ছবি

হ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মিতা চার্বাক এর ছবি

সময়োপযোগী লেখা চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত,ভাল লিখেছেন।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

ছায়াবৃত্ত

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্য, কিন্তু কী হবে কয়ে? বরং আমরা অপেক্ষাই করি...

স্বয়ম

অরফিয়াস এর ছবি

সত্য বলতে নেই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনুসন্ধানী আবাহন এর ছবি

"বিচ্ছিন্ন ঘটনা" কথাটা টেকনিকালি ঠিক আছে । বছরে এত খুন হয়, এর মধ্যে চাপাতি দিয়ে আর কটা খুন হচ্ছে।

কিন্তু আমি যেটা ভাবছি, রহস্যময় জঙ্গী সংগঠনের আড়ালে কি জামাত-বিএনপি একাই আছে? নাকি সুযোগ সবাই নিচ্ছে নিজেদের যখন সুবিধা। আমড় তো।মনে হচ্ছে , এই যে "ব্লগার হত্যার সাথে সাদৃশ্য আছে" জাতীয় কথা বলে আসলে ট্রেন্ড সেট করা হচ্ছে, এই টাইপ খুনের। এখন থেকে চাপাতি দিয়ে খুন হলেই সরকার দায়িত্ব নেবে না , আগে খতিয়ে দেখবে। সবার সুবিধা।

অরফিয়াস এর ছবি

ট্রেন্ড সেট করা হচ্ছে সেটা তো অবশ্যই। ফিয়ার আর কেয়স রাজনৈতিক পলিসি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনুসন্ধানী আবাহন এর ছবি

হুঁ, সেই

অনুসন্ধানী আবাহন এর ছবি

এই তো আইজিপি কি সুন্দর বলে দিলেন, নাগরিকদের নিজেদেরকেও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে। এখন কি Daredavil বা Arrow সেজে ঢাকার ছাদে ছাদে লাফিয়ে বেড়াতে হবে?

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

একমত। বর্তমান সরকারের বড় শত্রু বর্তমান সরকারই।

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

হ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ধ্রুব আলম এর ছবি

লেখা পড়ে মনে হলো আপনে ছাগু। উন্নয়ন চলছে, দিস্টাপ দিবেন্নাতো! দেশে জঙ্গী-ফঙ্গী কিচ্চু নাই, সব মিছে কথা। আপনে কি পুলিশেত্তে বেশি বুজেন?

এক লহমা এর ছবি

অবাক লাগে এটাই যে ইতিহাস ক্রমাগত ঘুরে ঘুরে আসে, আর নূতন নূতন ভুলের পাশাপাশি আগের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তিও চলতে থাকে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

শিশিরকণা এর ছবি

বুদ্ধি হাঁটুতে থাকলে কল্লা থাকা বা না থাকায় কিছু আসে যায় না। এরাই তাই চাপাতির ভয় পায় না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নীড় সন্ধানী এর ছবি

যতদিন পর্যন্ত না নিজের ঘাড়ে কোপ এসে পড়ে ততদিন পর্যন্ত আমরা চুপ থাকি, বিনোদনে ব্যস্ত থাকি, ক্রিকেটে চার-ছক্কা পিটিয়ে ক্লান্ত হই, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মরতি করি কিংবা উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসাই।

চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।