অতিথি লেখক এর ব্লগ

স্কুল ছুটি: পূর্ব থেকে পশ্চিম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০১/২০১৯ - ৩:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কারণে-অকারণে কতো যে ক্লাস ছুটি পেয়েছি, তা' ঠাওর করে বলা অসম্ভব। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগীতায় ফুটবল টিম পাশের নাম-সর্বস্ব স্কুলকে হারানোর ফলে যে আনন্দ পেয়েছি, ইহা উদযাপন করতে স্কুলের প্রধান ছুটি দিয়েছিলেন। ভারী বৃষ্টি বা নদীতে জোয়ারের ফলে রাস্তাঘট ডুবে যাওয়াতে আমাদের স্কুলে যেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হবে ভেবে, প্রধান শিক্ষক স্কুল ছুটি দিয়েছেন। আমরাও যাতায়াতের বিড়ম্বনার কথা ভেবে পানিতে থৈ থৈ করা মাঠের মধ


ডাকসু ও এক দিবাস্বপ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২০/০১/২০১৯ - ১২:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক মরুর দেশে পঞ্চাশ বছর পর বৃষ্টি হবে।

বুড়োদের কাছে , ছেলেরা জিজ্ঞেস করে, দাদু, বৃষ্টি জিনিসটা কি? খাওয়ার না পান করার?

খবরের কাগজে, ডাকসু নির্বাচনের খবর দেখে, ঢাবি থেকে পাশ করা, প্রৌঢ়দের কাছে আমার জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে হয়, ডাকসুটা কি জিনিস, খায় না পান করে?


সুন্দরপুরে সন্দেহ (দ্বিতীয় কিস্তির পর)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/০১/২০১৯ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(লিখতে লিখতে টের পাচ্ছি অনেক সম্পাদনার প্রয়োজন রয়েছে। আগে শেষ করি)


অক্ষয় মালবেরি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ৩১/১২/২০১৮ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মণীন্দ্র গুপ্ত, 'অক্ষয় মালবেরি' নামে যে জীবনী গ্রন্থটি লিখেছিলেন তাকে সচরাচর লিখিত জীবনী গ্রন্থের নিয়মিত ছাঁচে ফেলার উপায় তিনি রাখেন নি। এই আকরগ্রন্থটি আক্ষরিকই আকর। ম্যাজিকের তুকতাকের মতো বিশেষ কিছু। এর গাম্ভীর্যে, এর অঙ্গসৌষ্ঠবে কোনো ভারিক্কি ভাব নেই রয়েছে পীতচন্দনের মতো শোভা, যেটি বড়োই মনোহর।


সুন্দরপুরে সন্দেহ (প্রথম কিস্তির পর)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২১/১২/২০১৮ - ৬:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছয়।।

উড়ানবিবির খালের গভীরতা বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেবার মতো। নড়বড়ে সাঁকোটায় পা রেখে থমকে দাঁড়ালো শামসুল। নাহয় নেবেই হারান মাঝি পাঁচটা টাকা। নিক, টাকা আজকে কোন সমস্যা নয়। হরি নারায়ণের দুইশ তিরিশ তো লুঙ্গির ভাঁজে আছেই। আজকে সাঁকোর চেয়ে নৌকাই ভালো। শামসুল জোর গলায় ডাক ছাড়লো,

“ও হারান কাহা, এই পারে আও।”

“কেলা, শামসুইল্লা নি?”

“হ গো কাহা। হুসেনপুর যাইবাম।”


অধরা মাধুরী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১৮ - ১০:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের যে 'বৈশিষ্ট্য'টাকে আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি সেটা হচ্ছে গড়পড়তা হওয়া। Mediocrity এর বাংলা করলাম গড়পড়তা হওয়া। জানিনা অনুবাদটা ঠিক হল কিনা(সম্ভবত সেটাও গড়পড়তাই হয়েছে)। খেয়াল করলে দেখবেন যে প্রথম লাইনে বৈশিষ্ট্য শব্দটাকে আমি ইনভার্টেড কমার মধ্যে রেখেছি। কারন আমি এখানে মানুষের দোষ নিয়ে কথা বলছিনা, তাহলে হয়তো অসততা বা ভণ্ডামির কথা তুলতাম।


দুই পয়সার পাহাড়ে উপত্যকায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৫/১২/২০১৮ - ৩:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্তানের লাশখানি জুড়ানোরও অবকাশ নাই।
তার আগেই পাল তোলে নোঙরের উল্কিরাঙা নিযুত পপাই
কৌটোভরা পালং শাকের
গুণে তারা জেনে গেছে, বুঝে গেছে, যুঝে গেছে ঢের
প্রত্যেকেরই জানা আছে জগতের যাবতীয় সমস্যার গূঢ় সমাধান
জগতের একমাত্র ঠিক পথ ধরে তারা প্রত্যেকেই নিজ বুকে আলোহাওয়া ঢুকবার একমাত্র রন্ধ্রটিতে কুলুপ সজোরে ঠেসে দু'যোজন পায়চারি করে রোজ সূর্য ওঠার আগে
এ কারণে প্রত্যেকেই নির্ভুল পাষাণ


সুন্দরপুরে সন্দেহ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৫/১১/২০১৮ - ৩:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“ভাই কি ঢাকায় যান?”
“হু”
“আমি আগে কখনও ঢাকা যাই নাই। এইবারই ফাস।”
“ও”
“ভাইজান মনে হয় কতা বার্তা কম বলেন।“
“হু”
“বালা, কতা বার্তা কম কউনই বালা।”
“জী”


স্বপ্নদ্বীপ পারহানতিয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৩/১১/২০১৮ - ১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই মানুষ নৌ পথ ব্যাবহার করেছে যোগাযোগ আর বানিজ্যের উদ্দেশ্যে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কেটেছে সমুদ্রে। এসব সুদীর্ঘ নৌ পথে বিপদের আশংকাও কম ছিলনা।কখনও ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে জাহাজ, কখনও জলদস্যুর হাতে গেছে প্রান, কখনও বা স্কার্ভির মত অনাবিষ্কৃত ব্যাধিতে ধুঁকে ধুঁকে মরেছে বনিক আর মাঝিমাল্লার দল। বিশ্রাম,জ্বালানি আর খাবার সংগ্রহের জন্য পথিমধ্যে অনেক পূর্বপরিচিত কিংবা সম্প


সাবলীল বাংলার খোঁজে: এক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০২/১১/২০১৮ - ১২:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে ফোন করে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের সাথে বাংলায় (অথবা ইংরেজিতে) কথা বলতে গেলে দুটি সমস্যা (আমার চোখে সমস্যা) কানে ঘা মারে। প্রথমত, বাংলা বাক্যের গঠন নিয়ে আমার ভাতিজা, ভাতিজি, ও ভাগিনাদের ধারণা অস্পষ্ট; সোজা কথায় তাদের বাংলা অসুন্দর। দ্বিতীয়ত, ওরা ইংরেজি মোটামুটি ভালোই পারে, কিন্তু শব্দচয়ন সীমিত বলে সবকিছুই হয় 'ফেন্টাস্টিক', নয়তো 'ডিসগাস্টিং'। যে ব্যাপারটা বারবার বলেও কোনো লাভ হয় না সেটি ভয়ানক: