[ধারাবাহিক উপন্যাস]
আকাশলীনা নিধি, নজরুল ইসলাম দেলগীর
১.
’আছে মুরগী, দেশি মুরগী, মুরগী নিবেন মুরগীইইইই’ বলে রাস্তায় ফেরিওয়ালা চেঁচাচ্ছে। সেই শব্দে জয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মুরগীওয়ালা রাস্তা দিয়ে এখনো ন্যাকা স্বরে ’আছে মুরগী, মুরগী নিবেন মুরগীইইইই’ বলে চেঁচাচ্ছে। জয়া বিরক্ত হয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে আবার ঘুমুতে নেয় আর তক্ষুণি তার মনে পড়ে যায়, ইশকুল!
রাজনাতি হেরি
কুথা হতে জুটায়াছে শ্যামাঙ্গিনী এক সুন্দরী
বেগানা নারী, মেগানা তার নাম।
রামাদানের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করে আজ তারা সারাটি দিন ব্যাস্ত বনবাসী বনবোর ন্যায়
উদ্দাম ধস্তাধস্তি জাবরদস্তি লিঙ্গমস্তিতে।
সারাটি দুনিয়া তাদের এই পাউন্ডের হোলিখেলা দেখিতে অজ্ঞান।
হোসনে আরা সারাটি ছুটির দিন লইল সাধের মেকবুকটির দখল
বেন্ডুইথ পুড়াইয়া দেখিল উহাদের বখাটেপনা।
এক.
আজ মঙ্গলবার, তেইশে অগাস্ট দু’ হাজার ষোল। প্রজেক্ট আইবেকের একত্রিশতম দিনে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি প্রথম চিন্তক। আমার পাশে রাগী রাগী চেহারার যে মানুষটিকে আপনারা দেখছেন তাঁর নাম ইর্তেজা নাসির।
শিক্ষা মন্ত্রীর কথা আলাদা, তিনি তো বলতে গেলে নমস্য ব্যাক্তি। তবে আমাদের অর্থমন্ত্রী যেন ছয় নম্বর রুটের বাস ড্রাইভার। ভদ্রলোকের উপর কারও আস্থা নেই, তাঁর কাজটা তিনি ছাড়া আর সকলেই বোঝেন। সে তুলনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর চাকরিটা বেশ আরামের, পাইলটদের মতো। মাঝ আকাশে বিমান এক দুবার ঝাঁকুনি খেলে লোকজন একটু নড়েচড়ে বসেন। ঝাঁকুনির তীব্রতা বেড়ে গেলে ঘনীভূত হয়ে আসে সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁদের অব্যাক্ত প্রেম,
রাতের আঁধারে
হোসনে আরা মারে
হাইহুঁই ধুপধাপ।
ঘুমের আড়ালে
স্বপ্নের ময়দানে সে খেলে ফুটবল
বাস্তবের খাটে সে উল্টিপাল্টি খায় ঘনঘন তাহার মালিকানাধীন
কোলবালিশদুটি লয়ে
পাশে শুয়ে পেশাদার কবি আমি খেলায়েত খাঁ
টের পাই স্বপ্নেও হোসনে আরা প্রতিপক্ষের পায়ে পা পেচিয়ে অযথা
ল্যাং মারে সুদক্ষ ল্যাংচু হেন
সম্ভবত হলুদ কার্ডও পায়, কারণ বিবির হাসি-হাসি
বদনখানি মলিন হয়ে আসে ঘনঘন
বেড়াতে যাচ্ছিলাম বউয়ের সাথে। বউয়ের বন্ধুবান্ধবীর একটি অনুষ্ঠানে, একসাথে হৈ চৈ আনন্দ যাত্রা। সেখানেই সেই ব্যাপারটির সুত্রপাত।
প্রথম দেখাতে খেয়াল করিনি অত। বাসে ওঠার সময় বউ তার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে এক এক করে পরিচয় করাচ্ছিল, তখনই প্রথম দেখি ওকে এবং সৌজন্যের হাসি দিয়ে নিজের আসনের দিকে এগিয়ে যাই।
এক।
টিভি-ফেসবুক দেখে জানলাম, তেল খেয়ে মরে
গেছে মিলিয়ন লোক।
তাছাড়া প্রায়ই ঘরে কারেন থাকে না
ফেসবুকে হাজার তরুণী করে দিন রাত স্বীয় ছবি আপ।
গরম গরম লাগে।
তাই এক চৈত্রের সকালে উঠে আড়মোড়া ভেঙ্গে মাখি ব্রাশে টুথপেষ্ট
ও বলি হৃদয়েশ্বরী বিবি হোসনে আরাকে গিয়া
তেলছাড়া পরটা বানাও।
হোসনে আরা পাকঘরে হেলেদুলে গুনগুন করে আর ময়দা বেলে গুটি গুটি
দুই কানে গুজিয়াছে আইফুনের বিচি দুটি
এক।
যদি ব্যাংকারই বোঝে ডাক্তারি, আর
ডাক্তার সব খেলা।
যদি হো মো এরশাদ নিজেকেই ভাবে
নেলসন ম্যান্ডেলা।
যদি মনোবিদ বোঝে অর্থের নীতি
ইন্টারনেট ঘেঁটে।
[আইজাক আসিমভের "সিলি অ্যাসেস" গল্পের অনুবাদ]
অনুবাদ: সামিনা কায়সার
দীর্ঘ আয়ুর রিগেলিয়ান জাতির নারন তার বংশের চতুর্থ লোক, যার কাঁধে ছায়াপথীয় ইতিহাস টোকার দায়িত্ব এসে পড়েছে।