অতিথি লেখক এর ব্লগ

আমি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৮/২০০৯ - ৭:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"কিরে কি করিস?"

আত্ম চিন্তায় মগ্ন ছিলাম তাই হঠাৎ কানের কাছে শব্দ শুনে কেঁপে উঠলাম। পেছনে তাকিয়েই দেখি নাজমুল। আমার নিজের সম্পর্কে কেউ যদি কিছু জানতে চায় তবে আমি বলব আমি বিশ্বের সবচাইতে আবুল একটা মানুষ। কিন্তু তারপরও যখন আমারই মত আবুল কাউকে দেখি তবে হাসি আটকে রাখতে পারি না। এই যেমন নাজমুল। সে দেখছে আমি বই হাতে বসে আছি এবং বইটি খোলা তাতে ওর বুঝে নেয়া উচিৎ ছিল আমি পড়ছি। তবুও সে প্রশ্...


বিবর্জিতা (গল্প)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০০৯ - ১১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

**বিবর্জিতা**

“আই কান্ট টেক দিস স্ট্রেস এনিমোর।”
“জাস্ট চিল বেবী।” আনিকাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে মার্ক। আনিকা তাতে আরো চিৎকার করে উঠে,
“কিভাবে? আজকে বিশ তারিখ। অথচ পাবলিক ল’র টার্ম পেপারের কিছুই হয়নি এখনও। আঠাশ তারিখ সাবমিশন।”
“এখনও আট দিন হাতে আছে।” এবার আশান্বীত করার চেষ্টা করে মার্ক।
“হোয়াটেভার! আই নিড অ্যা রেড বুল।” আনিকা হনহন করে হেটে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন শপের দিকে যেত...


পরিবর্তনের উড়াল <সমাপ্ত>

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০০৯ - ১০:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

http://http://www.sachalayatan.com/guest_writer/26243 আগের লেখাটি

এর আগে আমাদের গাঁয়ে ধূমপায়ীদের মধ্যে তামাকের প্রচলন ছিলো। আমি দেখলাম সকলেই এখন সিগারেট ধরছে। আমাদের নদীতে অসংখ্য নৌকা যেত, আমরা গুনের নিচ দিয়ে পারতপক্ষে যাওয়ার পক্ষে ছিলাম না, কিন্তু সেখানে এলো ট্রলার, ভটভটি,। নদীর বুক দিয়ে প্রচণ্ড শব্দ করে ইন্জিন নৌকাগুলো চলে যাওয়ার সময় মনে হতো, অসহ্য চিৎকারে বুঝি দু'পাড়ের গ্রামগুলোর কণ্ঠ ছিঁড়ে যাচ্ছে। আ...


মায়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০৮/২০০৯ - ৭:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"কিরে বইসা আছোছ ক্যান? আজকা কুনো কাম নাই?"
"না গো চাচা। দুইডা দিন ধইরা কুনো কাম পাই নাই। ট্যাহা যা আছিলো বেবাক শ্যাষ হইয়া গেছে। আজকা না খাইয়া থাকন লাগব"।

করিম সওদাগর ছেলেটির দিকে অনেক মায়া নিয়ে তাকিয়ে থাকল। তাকিয়ে থাকা পর্যন্তই সব। কখনই তিনি মায়ার বহিঃপ্রকাশ করেন না। তিনি চাইলে খুব সহজেই ছেলেটির জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। ছেলেটির ভরণ-পোষন, লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়া তার জন্য কোন ব্যাপ...


ঢং ঢং ঢং...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০০৯ - ৫:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢং ঢং ঢং... পিতলের ঘন্টায় দারোয়ানের হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে। সে কি মধুর শব্দ...আহ! শেষ পিরিয়ডে সবাই ব্যাগ গুছিয়ে বসে ছিল পিনপতন নীরবতায়, কান পেতে ছিল...কখন ঘন্টা বাজে! তারপর সে মধুর ঘন্টাটা বাজতেই হুড়োহুড়ি করে ছুটে বের হলো তারা। কানে তালা লেগে যাচ্ছে ঢং ঢং আওয়াজে... ভিড়ের মধ্যেই চারপাশের ধাক্কায় অন্ধের মতো এগুতে লাগলো শায়লা... ... তারপর আর কি! যা হবার তাই হলো, চৌকাঠে পা ঠেকে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। আর তখ...


বাঁধ দিয়া দিক ভারতে!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৮/০৮/২০০৯ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডজন খানেক সঙ্গী নিয়া
উইড়া গিয়া বিমানে
ফেরার সময় সঙ্গে তিনি
কয়টা ঘোড়ার ডিম আনে।

সে ডিম এখন পাচ্ছে শোভা
সব মিডিয়ার আড়তে
কী যায় আসে, টিপাইমুখে
বাঁধ দিয়া দিক ভারতে!

কাকতাড়ুয়া
kaktarua@জিমেইল.কম


মাটি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৮/০৮/২০০৯ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনের স্বাদ নোনতা বুঝতে পারলে যখন
বুঝতে পারলে তখন এই কবির কলমে ঝরানো
বৃষ্টিও সৃষ্টির রোদন মাত্র।
আমি বৃষ্টিকে বুঝি, নদীকে বুঝি
তবু কখনও কি বলেছি এই অপার্থিব পাওয়া
তাদের জলে ভাসিয়ে দাও!

সেই ইতিহাসের সময় থেকে বের হয়ে
কতো শব্দের পথ মাড়িয়ে, কতো কথার নদী পেরিয়ে
তোমার নিঃশ্বাসের সংগীতে এসে থেমেছি...
তার সুরে ডুব দিয়ে রুহিতেরা তুলে আনছে পাঁজরের মাটি।
কিন্তু এ মাটি আর কোনোদিন মিশব...


পরিবর্তনের উড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৮/২০০৯ - ৭:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন আমার স্বপ্নে বাস, তখন আমি জোনাকির চোখ দিয়ে দেখি, নদীর আয়নাজলে খুঁজে নেই একটি সরল মুখ, তখন আমি কৈশোরে, আমি এক দূর্দান্ত কিশোর। কিন্তু যে আমি স্বপ্নে বাস করছি, ধীরে ধীরে সেই স্বপ্নগুলোই আমার পর হয়ে যাচ্ছে। আমি দেখতে পেলাম পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট, পাল্টে যাচ্ছে সবুজ চোখে দেখা অপরূপ দৃশ্যাবলি। এতাদিন আমার একটি ডানা ছিলো, সেখানে আমি মায়ের কোলে শুয়ে আকাশে ঘুড়ি হয়ে মেঘ হয়ে পাখি হয়ে উড়ত...


চুনোগল্প :: দুর্ঘটনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৮/২০০৯ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হন্তদন্ত হয়ে অফিসে ঢুকে মোখলেস। আজও ১ ঘন্টা লেট। রিসিপশন থেকে ৯ টা ১৫ মিনিটে খাতা চলে যায় বসের রুমে। দেরী করলে ওখানে গিয়েই সই করে আসতে হয়।

টেবিলের উপর রাখা বিলের কপিটা নিয়ে বসের রুমের দিকে এগোয় সে। এই ফাঁকে মনে মনে জপে নেয় উত্তরা থেকে ধানমন্ডির দুরত্ব। বাস সার্ভিসগুলোর সেবার মান নিয়েও ভেবে নেয় ১ বার। ডে-লাইট সেভিংয়ের নামে ঘড়ির কাটা ১ ঘন্টা এগিয়ে দিয়ে কার কী লাভ হলো সেই হিসেবটাও ...


পাহাড়কে ডিঙানোর সখ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৮/২০০৯ - ২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের মাঝে সখ জাগে কখনও কখনও
ডিঙানোর সখ
পাহাড়কে ডিঙানোর সখ ।

পাহাড় কিভাবে ডিঙাতে হয় জানতাম না
জানা হয়ে ওঠেনি কখনও।

তুমি এলে
ইঞ্চি ইঞ্চি ছোঁয়া জড়ো করলে হৃদয়ে
পাহাড় ডিঙালাম
স্বচ্ছ জল দেখলাম
পাহাড়ের গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদীর জল
মাছরাঙা , পাড় থেকে বসে ঘাঘড়ার স্নান ।

তোমাকে আর দেখা হয়নি কখনও
অথচ তুমি ছাড়া কেইবা চেয়েছিল
এভাবে পাহাড় ডিঙাতে।

----------------------------------------------------------------------------------
শাহি...