পরিবর্তনশীল এর ব্লগ

আত্নকথন আর একটি আত্নবিজ্ঞাপন

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: শুক্র, ১৫/০২/২০১৯ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অচিনপুরে

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ১১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশব-কৈশ‌োরে আমার নিজেকে প্রায় সময় রঞ্জুর মতন মনে হতো- অচিনপুরের রঞ্জু। যে রঞ্জু মাত্র আট কী ন'বছর বয়সে মৃত্যুরহস্য নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়েছিল, যে রঞ্জু তার নবু মামার সাথে সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফেরার পথে কবরের কাছে ধূপ শিখা দেখে আবেগে টলমল করে উঠেছিল- যে রঞ্জু পুকুরের ধারে রাত্তির বেলা একা একা বসে অকারণে ঝিঁঝির ডাক শুনে নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে থেকেছিল।


নদীমাতৃক।

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: বুধ, ০২/০৫/২০১২ - ১২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নদীমাতৃক


জঘন্য লেখা- ০৩

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ১২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অভিধান


আহ, ক্রিকেট! আহ, বাংলাদেশ!

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: শনি, ১৭/০৩/২০১২ - ১২:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গল্প ঊপন্যাস নাটক সিনেমায় প্রায় 'আনন্দে চোখে পানি চলে আসা' নামক একটা টার্ম দেখি।

আমার সাদাসিধে জীবনে এই টার্মটা খুব একটা আসে না। মাঝে মধ্যে কিছু আনন্দের ঘটনা ঘটে, আনন্দিত হই, হাসি, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি। কিন্তু আনন্দে চক্ষে পানি নেমে আসা? হয় না খুব একটা।

১৯৯৭ সালের একবার খুশিতে চোখ ভিজে গিয়েছিল, মনে আছে। তখন বিকেল ছিল কী? ঐ যে এক বলে এক রান যখন দরকার ছিল। ঐ যে, ক্রিকেট বলটা প্যাডে কি ব্যাটে লাগিয়ে হাসিবুল হোসেন শান্ত দৌড় দিল পিচের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ঐ যে, আমরা কোটি কোটি মানুষ হাসিবুল হোসেন শান্তর সেই ঐতিহাসিক দৌড়ের সাথে সাথে পৃথিবীর দিকে গর্বিত পায়ে দৌড়াতে শুরু করলাম! বললাম, "দাঁড়াও! আমরা আসছি।"


অ- তে অজগর। অজগরটি আসছে তেড়ে

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০১২ - ৩:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একঃ

জীবনে প্রথমবার বই কিনেছিলাম ঊনিশশো নব্বইয়ের ডিসেম্বরে -বড় আপার বার্ষিক পরীক্ষা শেষে। 'বর্ণ পরিচয়' নামের সে বইয়ের প্রথম বাক্যটায় আঙুল রেখে বড় আপা বলতো- "বল্। অ-তে অজগর। অজগরটি আসছে তেড়ে।" আমি বড় আপার আঙুল রাখা ছবিটায় তাকাতাম- দেখতাম, বিদঘুটে একটা সাপ অ-এর দিকে ছুটে যাচ্ছে। মনে হতো, সেই বিদঘুটে অজগর অ-এর গায়ে এক্ষুণি আঘাত করবে। অ-এর জন্য আমার মন কেমন করে উঠলে বড় আপাকে বলতাম, "আপা, এই সাপটা কি অ-কে খেয়ে ফেলবে?" বড় আপা হাসতো। বলতো, "অক্ষর কি কেউ খেতে পারে, বোকা ছেলে?


যা কিছু আমার মনে নেই...

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০২/২০১২ - ১২:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যা কিছু আমার মনে নেই


অঞ্জনের গানে ডাকি।

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৬/২০১০ - ১:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মায়ের পেট থেকে নামবার পর, একদিন যখন হামাগুড়ি দিয়ে বারান্দায় যেয়ে, আকাশে কালো মেঘ দেখে মনে হলো বুঝি ভাল্লুক, আরো কিছুদিন পর যখন নিজের হাতের ছায়া দিয়ে দেয়ালে একটা হরিণ নিয়ে খেলতে শিখেছি, যখন ছাদের পাঁচিলটা ডাকতো- আয় ছুটে আয় খালি পায়, যখন নিজের কানদুটি কোন শব্দ গ্রহণ করে তার অর্থ মনে প্রবেশ করতে শেখালো, তখন থেকে লোকটার গান শুনি, নিজের সাথে বড্ড বেশি মিলে যায় তাই, ফিরে ফিরে এসে শুনতে হয়!

...


জঘন্য লেখা- ০২

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: রবি, ১৪/০২/২০১০ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বাবা ভ্যালেণ্টাইন'স ডে' কবে হয় জানতেন না-
তবু বাড়ির পেছনে- বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় বাবা যখন সিগারেট হাতে দাঁড়িয়ে
বসন্ত কিংবা বর্ষার ফেরারি হাওয়া যখন দূরে আসে মিলিয়ে
আমরা খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাবার মুখোমুখি হয়ে গ্যালে
বাবা আমাদের নারিকেল আইসক্রিম কিনে দিয়ে বলতেন-
"তোদের মা'রে কইয়া দিস্ না, বাপজান। সে আমারে ঘরে ঢুকতে দিব না, আমি আবার সিগেরেট ধরছি শুনলে ।"

আমার মা ভ্যাল...


শৈশবের বাউল থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার।

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: রবি, ১৮/১০/২০০৯ - ৮:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ থেকে বহু বছর আগে আমি একজন বাউল ছিলাম। বাউলের সঙ্গিনী ছিলো তার মা। বাউল মাকে বলতো, "মা, তোমার গেরুয়া রঙের কোন শাড়ী নেই, যার আঁচলখানি আমাদের উঠোনের ঠিক বাইরে যে ডালিম গাছটা আছে, তার গায়ে সকাল নেই দুপুর নেই বসে থাকা বোকা পাখিটার মতো?"

মা হাসতো। মা হাসতো। মা হাসতো। বলতো, "এই যে আছে! "

"ওমা, এটা তো নীল রঙের। তোমার এ শাড়ীর পাড় তো বিকেলের মতো। বাবার আঙুল মুঠোয় ভরে আমি যে রোজ বেড়াতে যাই? একেকদ...