সুমাদ্রী এর ব্লগ

তেতলা বাড়ি, গ্রাম ও ঘুড়ি

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১১/২০১২ - ৪:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কখনও কখনও তেতলা একটা মাটির বাড়ি স্বপ্নে দেখি আমি;
সেই বাড়িটা, ক্লাস ফোরের বার্ষিক পরীক্ষা দেয়ার পর যেটি ছেড়ে শহরে চলে এসেছিলাম।
বাড়িটার ভেতর থেকে কে যেন আমায় ডেকে বলে
‘ আয় বাপি, আয়, মাটির দেরাজের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিলি যে পাঁচ পয়সাটা,
সেটা নিয়ে যাবি আয় ’
মাঝে মাঝে শহরের বহুদূরে মেঠোপথ আর ধানক্ষেতে ঘেরা শান্ত একটা গ্রাম স্বপ্নে আসে আমার।


পুরোনো লেখা, স্মৃতি বিস্মৃতি

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: সোম, ২২/১০/২০১২ - ১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশ ছেড়ে যাবার সময় বাবা-মা'র পর যাদের জন্য সবচেয়ে বেশী খারাপ লেগেছিল তারা হল আমার আলমারি ভরা বিচিত্র সব বই আর খাতা। তাদের সাথে সম্পর্কটা আমার অপার্থিব।অশেষ ঋণী আমি তাদের কাছে। ঠুলি পড়ে যাওয়া আমার চোখ দুটো তারা একদিন জলের ঝাপ্টা দিয়ে খুলে দিয়েছিল। পৃথিবীটাকে অন্যরকমভাবে ভালবাসতে শেখার প্রেরণা দিয়েছিল চিত্র-বিচিত্র বইগুলো। কত বই। কত সহস্র চিত্রকল্প। ইতিহাস। তাদের সেই আলমারির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ফেলে


বাংলাদেশে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় কি?

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০১২ - ১২:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব ক্ষোভ থেকে কয়েকটা কথা লিখছি। কষ্ট থেকেই লিখছি বলা উচিত। এ লেখার কোন দাম নেই। গুরুত্বহীন এ লেখা। তবু লিখছি আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে পারছিনা বলেই।


খেচর

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৯/২০১২ - ৮:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিবার প্লেনে উঠতে গেলেই মুখোশটা খুলে ফেলি আমি,
তখন আর মনে মনেও বলিনা, ' মৃত্যুরে ডেকেছি আমি প্রিয়ের নাম ধরে '
ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার পর হঠাৎ করে আমি বুঝে ফেলি
স্বর্গ খুব একটা আহামরি জায়গা নয়, শীতল এবং নিঃসঙ্গ
তার চেয়ে ঢের ভাল আমাদের গ্রামের খেলার মাঠ এবং শহরের অলি-গলি
গ্রামে কিংবা শহরে মানুষের গল্প আছে, আছে কোলাহলের উষ্ণতা।


দূরে গেলে

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: শনি, ০১/০৯/২০১২ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দূরের পার্বত্য শহরে কিছুদিন কাটিয়ে এসে ঘরে ঢোকার পর মনে হল
মাঝে মাঝে দূরে থাকা ভাল, সবকিছু থেকে।

দূরে যাওয়ার মুহুর্তে মনে হয়েছিল এ নির্বাসন হবে অসহনীয়,
সেখানে বন্ধু নেই, কোন কথা নেই, পরিচিত ফুলের গন্ধ নেই,
ঘরের সামনে দিয়ে রাগ করে চলে যাওয়া চেনা বাসগুলো নেই,
আমি নির্জন কারাবাসের বন্দীর মত ছটফট করব।

অথচ ক'দিন পর টের পেয়ে যাই
দূরে না এলে বোধ হয় কখনও আমার


মেঘে ঢাকা তারা

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৮/২০১২ - ৬:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেঘে ঢাকা পড়ে যাওয়া তারাগুলো মেঘ সরে গিয়ে
হঠাৎ করে সারা আকাশে দৃশ্যমান হয়ে উঠলে আমি চমকে উঠি
কয়লার খনি খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ করে হীরার দ্যুতি ঝলক দিলে
ক্লান্ত শ্রমিকের লোভী চোখ যেভাবে চমকে উঠে ঠিক সেভাবেই।

আমার তখন মনে পড়ে যায় ঋত্বিকের ছবিটির কথা,
ঝিলের পাড়ে বসে হংসধ্বনির আলাপ গাইতে থাকা অনিল চ্যাটার্জি
কিংবা ছেঁড়া চটি জুতা নিয়ে হাঁটতে থাকা যে মেয়েটিকে খুকী ভেবে


দম দেয়া ঘড়ি

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৮/২০১২ - ৬:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গীটার, বেহালা আর বাঁশি

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: বুধ, ০৮/০৮/২০১২ - ৪:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক বন্ধুই বলেছিল, ‘ একা লাগবেনা আর
কিনে ফেল একটা গীটার অথবা বেহালা
কিংবা নিদেনপক্ষে সস্তা দামের বাঁশের একটা বাঁশি।
গীটারের ছয়টা তারে আঙুল ছোঁয়ালেই দেখবি
অদৃশ্য এক জগত থেকে ছুটে এসেছে ছয়টা অপূর্ব ঋতু,
তাদের রূপ তোর অচেনা, তাদের গল্প তোর শোনা হয়নি কোনদিন,
দেয়ালজুড়ে দেখবি তখন ফুটে উঠেছে ফসলের ঊজ্জ্বল মাঠ
একটু আগের বিষন্ন ঘরে যেন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েছে


কাঁথা-কথা

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৮/২০১২ - ৬:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইন-বক্স খুলতেই মিলন ভাইয়ের নামটা চোখে পড়ল। অপঠিত এই একটাই মেল। এসেছে তাও সপ্তাহখানেক হল। বাদবাকী মেলগুলো সব পড়া। অধিকাংশই সুচরিতার। ইচ্ছে করেই রেখে দিয়েছি। ডিলিট করতে মন চায়নি। স্মৃতি। শেষ মেলটির বয়সও হবে প্রায় বছর দেড়েক। এছাড়া আছে ইয়াহু থেকে আসা কিছু অর্থহীন মেল। ওগুলো বোধ হয় ডিলিট করার পরিশ্রমটুকুও করতে ইচ্ছে হয়নি বলে এখনও রয়ে গেছে। আর আছে মাঝে মাঝে আসা মিলন ভাইয়ের কিছু মেল। মিলন ভ


গোলাপের রঙে রঙিন যে জীবন

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: শনি, ২৮/০৭/২০১২ - ৫:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

la_vie_en_rose_movie_poster