তখন আমরা নতুন উঠেছি ক্লাস নাইনে। তখন রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুসারে শিক্ষাবর্ষ একটু বদলে গেছে, বার্ষিক পরীক্ষা আর নভেম্বরে হয় না, হয় মার্চ-এপ্রিলে, রেজাল্ট বেরোয় মে মাসে। তারপরে নতুন ক্লাসে ওঠা। ভরা গরমের দিনে নতুন ক্লাস, আগেকার দিনের সেই জানুয়ারীর নরম শীতে নতুন ক্লাসে ওঠার মজা আর নেই। নতুন ক্লাসে কিছুদিন পড়াশোনা হয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পড়লো। ছুটি ফুরালে যখন স্কুল খুললো তখন ক্লাসে এসে দেখা গেল বোর্ডে বড় বড়
এই উপকথা পাঞ্জাবের শতদ্রু তীরবর্তী ফিরোজপুর অঞ্চলের। এখানে প্রথম পর্ব
রাজপুত্র নববধূকে নিয়ে নিজেদের প্রাসাদে এসে উঠলো। মহাসমারোহে বধূবরণ করে ঘরে তুললেন রাণীমা আর তাঁর পরিচারিকারা। এমন সুন্দরী, গুণবতী বৌমা দেখে সবাই আনন্দে ডগোমগো।
এই উপকথা পাঞ্জাবের শতদ্রু নদের তীরবর্তী ফিরোজপুর অঞ্চলের।
এক দেশে ছিল এক গরীব বৃদ্ধা। তিনকুলে তার কেউ কোত্থাও ছিল না। এর বাড়ী ওর বাড়ী ধান ভেনে, মুড়ি ভেজে, ফসল তোলার মরশুমে জমিতে ঝরে পড়া শস্যমঞ্জরী কুড়িয়ে বা কারুর বাড়ীতে প্রয়োজন থাকলে ঠিকা কাজ করে দিয়ে কোনোক্রমে তার দিন গুজরান হতো। কোনোদিন দু'বেলা দু'মুঠো জুটতো, কোনোদিন বা একবেলা আধপেটা।
তখন আমরা ক্লাস সেভেনে। সেইবার পুজোর ছুটি পড়ার আগে আগে একটা সাংস্কৃতিক সংস্থা থেকে ছাত্রীদের মধ্যে যারা ছবি ভালো আঁকে তাদের কাছে আঁকার প্রস্তাব এলো। সেগুলো থেকে নির্বাচিত ছবিগুলো প্রদর্শনীরও নাকি ব্যবস্থা হবে স্কুলে, পুজোর ছুটির সময়। দর্শকেরা সেই ছবি কিনতে চাইলে তাদের সেই ছবি বিক্রি করে শিল্পীকে সেই অর্থের তিন-চতুর্থাংশ দেওয়া হবে। আমাদের তো চক্ষু চড়কগাছ, এরকম আগে কখনো দেখিনি বা শুনিনি আমরা। ছবির বি
আলো। ছায়া। রঙ। কম্পন। হাসি। কান্না। রোদ। মেঘ। বৃষ্টি। জীবনতৃষ্ণা। শিমূল, পলাশ, সূর্যমুখী, শিউলি, স্থলপদ্ম, নীলকমল। গোছা গোছা সূর্যমুখী ফুটে আছে রঙপাগল চিত্রকরের আঁকা ছবিতে। কী সতেজ, কী উজ্জ্বল! মনপ্রাণ উজার করা আলোছায়ার কম্পন।
এই উপকথা কেপ টাউনের মালয়-জনগোষ্ঠীর। আজকে গল্পের শেষাংশ। এখানে আগের অংশ
পরদিন সকালে সুলতান জমকালো সাজপরানো রাজকীয় ঘোড়ায় চড়ে এসে হাজির আমিনার দুয়ারে। ঘোড়া থেকে নেমে দরজা ঠকঠক করে ডাকলেন, "আমিনা, আমিনা।"
আমিনা দরজা খুলে দেখলো সুলতান দাঁড়িয়ে। সে নত হয়ে সম্মান জানিয়ে সুলতানকে এনে প্রথম ঘরে বসালো।
এই উপকথা কেপ টাউনের মালয়-জনগোষ্ঠীর।
এক দেশে এক সুলতান ছিলেন। বহুদিন সুখে সংসার করার পরে হঠাৎ তাঁর স্ত্রী পরলোকে গেলেন। সুলতান খুব মুষড়ে পড়লেন। দিনের পর দিন তিনি শোকে ম্রিয়মান দেখে তার সঙ্গীসাথী শুভানুধ্যায়ীরা তাঁকে অনুরোধ করেন তিনি যেন অন্যদিকে মন দেন, ইচ্ছে করলে যেন নতুন আরেকটি বিবাহ করেন। কেউ কেউ সম্ভ্রান্ত বংশের সুন্দরী কন্যাদের খবর আনে, কিন্তু সুলতানের কাউকে পছন্দ হয় না।
"হ্যালো, তুলি?" ফোনের ওপাশ থেকে অন্বেষার গলা।
হেসে বলি, "হ্যাঁ রে টেঁপি, আমি। বল।"
অন্বেষা বেশ অনেকদিন টেঁপিতে আপত্তি করতো না, ভেবেছিলাম বুঝি ওর অভ্যাস হয়ে গেছে, কিন্তু আজকে ওপাশে সে রেগে ফায়ার, বলে, "তোকে বলেছিলাম টেঁপি বলে না ডাকতে। বন্ধুর একটা কথা রাখতে পারিস না?"
দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ক্ষোসা(Xhosa) জাতির আদি নিবাস ছিল, এই উপকথা তাদের।
এখানে প্রথম অংশ
তারপরে দিন যায়, রাত কাটে। মঞ্জুজা খুব সতর্ক থাকে গোলাঘরের ব্যাপারে, সব সময় তালা বন্ধ করে চাবি নিজের সঙ্গে রাখে। সকালে কাকপক্ষীর ঘুম ভাঙার আগে সে গোলাঘর খুলে সাতমাথা সাপকে খাইয়ে দাইয়ে তারপরে আবার দরজা বন্ধ করে রাখে।