তুলিরেখা এর ব্লগ

ইস্কুলবেলার গল্প (২৮)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ২৮/০৪/২০১৪ - ৮:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাক্সের ভিতরে বাক্সের মতন নতুন নতুন স্মৃতি বার হয়ে আসছে কিন্ডারগার্টেন ক্লাসের কথা লিখতে বসলেই, রঙীন সব ছবি আঁকা বাক্স। তখন জীবন ছিল বিস্ময়ে ভরা, প্রতিটা দিন ছিল অদ্ভুত রকমের আশ্চর্য, প্রতিটা সকাল যেন হাতের মুঠোয় লুকিয়ে আনতো অচেনা উপহার। তখন তো বেশীরভাগই অচেনা আমাদের। নিজেদের পাড়ার বাড়ীঘর মাঠ রাস্তাগুলো পার হয়ে গেলেই অচেনা রূপকথার রাজ্য। আমবাগান কুলবাগান জোড়া পুকুর গাছপালায় ঘেরা অদ্ভুত অদ্ভুত বাড়ী


সাদা পাখি হয়ে উড়ে এসে ঈশ্বরী

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৪/২০১৪ - ৫:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নদীর একেবারে ধারেই গাছটা। পাড় থেকে জলের উপরে ঝুলে থাকা শিকড় কাঁপে ঢেউ লেগে লেগে। মাঝে মাঝে জলের জোর ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দেয় ওদের। ঝাপটা শেষ হলে ফোঁটা ফোঁটা মুক্তোর মতন জলবিন্দু ঝরতে থাকে। স্নান-অবশেষ জলকণা। অনেক উপরে রোদ্দুরে কাঁপে ওর নতুন পাতারা। নরম সবুজ রঙ তাদের। ওরা জন্মেছে এই বসন্তদিনে।

যেখানে ক্লান্ত, আহত ঈশ্বর বসে আছে নতমুখে-
সাদা পাখি হয়ে উড়ে এসে ঈশ্বরী
ডানার হাওয়ায় জুড়িয়ে দেয় সব তাপ-


রূপকথার নক্ষত্রের কাছে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ০৯/০৪/২০১৪ - ৭:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেইবার শরৎকালে অসংখ্য নীলপদ্ম ফুটেছিল দহে। পদ্মের সবুজ পাতাগুলো গোল গোল রুমালের মতন বিছিয়ে ছিল দহের জলতলের উপরে মিশে, সূর্যের নরম আলো খেলা করছিল পদ্মের পাপড়িতে, পাতায়, রেণুতে। অসংখ্য মৌমাছি ও ভোমরা ব্যস্ত ছিল ফুলে ফুলে। মাঝে মাঝে কোথা থেকে অশান্ত হাওয়া ছুটে আসতো, পদ্মের পাতাগুলো উলটে উলটে যেত, সঞ্চিতার মনে হতো ওরা হাত নেড়ে নেড়ে ওকে বলছে, যেও না যেও না, যেও না।

রূপকথার নক্ষত্রের আলো পড়েছে


চিঠি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ০৭/০৪/২০১৪ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সূর্য আকাশের বিষুববৃত্ত পার হয়ে একটু উত্তরে সরতেই ম্যাজিক হলো আবার। খড়-খড় রঙের শীতার্ত মাঠখানা ভরে গেল তরুণ নরম সবুজে। এখানে সেখানে মাথা তুললো ছোটো ছোটো সূর্যরঙের ফুল, ড্যান্ডেলিয়ন। আরো ফুটলো ছোট্টো ছোট্টো নীল তারার মতন দুপূরনীলা (আসল নাম না এটা) ফুলের রাশি, ওরা বেলা বাড়লে তবে ফোটে আবার সূর্য একটু ঢলে পড়লেই বুজে যায়। আরো ফুটলো বেগুনী, গোলাপী, বাসন্তী, লাল ঘাসফুল, নাম জানিনা ওদের কারুরই। নামে কীই ব


হৃদয়নদীর তীরে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ৬:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ভুলে যা" "ভুলে যা" "ভুলে যা" বললেই কি কিছু ভোলা যায়? কোন্‌ বহুদূরের পাহাড়ের চূড়ার উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে, কত মাঠবন পার হয়ে, কোন্‌ সুখ-উঠানের পাশ দিয়ে কলকলিয়ে, কোন্‌ দুখ-পাথরের গায়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বয়ে যেতে থাকা ছলাৎছল নদীকে কি উৎসে ফিরে যা বললেই সে ফিরতে পারে?


স্রোতস্বিনী ও অন্ধ তরু

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ১৫/০৩/২০১৪ - ১০:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীতপাহাড়ী কুয়াশার ভিতরে একলা চুপচাপ
দাঁড়িয়ে থাকা এক দৃষ্টিহীন সরলগাছ
আমাকে বলেছিল, "জানো, দক্ষিণে বসন্ত এসে গিয়েছে?"
আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, সে জানলো কেমন করে?
এখনও তো যাযাবর পাখিরা ফিরে আসে নি!

বাতাসের ভিতর অস্ফুট গানের মতন ফিসফিস করে
সে বললো,"ভাবছো আমি জানলাম কেমন করে?"

আমি ওর খসখসে বাদামী কান্ডের উপরে হাত রাখলাম,


ইস্কুলবেলার গল্প(২৭)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ১২/০৩/২০১৪ - ৩:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি আর অন্বেষা জাঁকিয়ে বসি আড্ডা দিতে। পরদিন আর তারপরদিনও ছুটি, আজ অনেক রাত অবধি আড্ডা দিলেও ক্ষতি নেই। সেই কলেজের দিনগুলোর আড্ডাস্মৃতি মনে পড়ে, অবশ্য তখন অন্বেষাকে পাই নি।


অপরাজিতা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ১৮/০১/২০১৪ - ৭:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। আমার সঙ্গে যদিও বহুকাল অনীশের দেখা নেই, তবু বসে বসে খাতায় লেখালিখি মকশো করে যাই। অনীশ শুনেছি বেড়াতে গিয়েছেন পাহাড়ে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিন ভাগ্নেভাগ্নী গ্যাঞ্জামা, নিশঙ্কা আর ঝঞ্ঝাকে। যাবার আগে আমায় কিছু ডেডলাইন দিয়ে গিয়েছেন , যাতে এসেই পাকড়াও করতে পারেন। অনীশ হলেন পাক্ষিক সাহিত্যপত্রিকা "আনন্দঝর্ণা"র সম্পাদক।


উৎস-পৃথিবী (শেষ পর্ব)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ১০/১২/২০১৩ - ২:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীরার চোখের পাতা কেঁপে ওঠে, সত্যি তো কিভাবেই বা বলবে সে, এ কি অদ্ভুত পরিস্থিতি ! সময়ের ধাঁধা! নীরার ইতিহাস কি নীরার কাছে একদম শক্ত কঠিন দৃঢ়? সে যা জানে ইতিহাস বলে, তা কি ধোঁয়াচ্ছন্ন ও কাঁপা কাঁপা নয়?


উৎসপৃথিবী(২)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ০৭/১২/২০১৩ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্নান সেরে হাল্কা গোলাপী নরম ড্রেসিং গাউন পরে বেরিয়ে আসে অদীনা, মাথায় ভেজা চুল শুকনো তোয়ালেতে জড়িয়ে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে তখন টোস্ট এগপোচ চা কফি এইসব সাজাচ্ছে হিন্দোল। সেদিকে চেয়ে একটু হেসে নিজের ঘরে চলে যায় অদীনা। হেয়ার-ড্রায়ার চালিয়ে দিয়ে চুল শুকনো করতে করতে সে গুণগুণ করে কী একটা গানের কলি। অদীনা কোনোদিন গান শেখেনি বটে, কিন্তু তবু কেন জানি প্রতি সকালেই একটা না একটা গানের সুর তাকে অধিকার করে।