------সেফটি পিন-----
দেখুন আমি বরাবর বলে আসছি যে কোন ধরণের উগ্রতা আমার বড়ই অপছন্দ। আজকে আমাদের সমাজে যে এত হানাহানি, এত কাটাকাটি তার মূলে রয়েছে আমাদের উগ্র আচরণ। আমরা দিন দিন কথায়, আচরণে, কাজেকর্মে উগ্র হয়ে যাচ্ছি। পরপর বেশ কয়েকটি নাস্তিক হত্যা হবার পর আমি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলাম, উগ্র নাস্তিক আর আর উগ্র আস্তিক কেউ কারুর থেকে কম নয়। একজনে ধারে কাটে তো অন্যে ভারে। কিন্তু কেউ কারো থেকে কম উগ্র বা সমাজের জন্য কম ক
বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোকিত সময় কোনটি?
[justify]০.
বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর। নাজিম হিকমতের কথা। হয়তোবা মানুষ ভুলে যায় এক বছরের মাথায় তার শোকার্ত সময়কে। কিন্তু একুশ শতকে শোকের আয়ু কত বছর, কত দিন? এই ফেসবুক জামানায়, যখন মিনিটে মিনিটে বদলে যায় হোম পেইজ, নিজের দেয়াল!
১.
সবই প্রতিদিনের ঘটনা। আহার নিদ্রা পরিপাকের মত। ঘটনা ধরে ধরে আলাদা প্রতিক্রিয়ার কিছু নাই। বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কিছু না। চাপাতি চলছে কলমের বিরুদ্ধে কীবোর্ডের বিরুদ্ধে। বাংলা ভাষায় লেখালেখি বন্ধ করা শেষ লক্ষ্য। সেটা ব্লগে হোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোক আর ছাপা মাধ্যমে হোক। বাংলা ভাষার লেখালেখির জগতটা অনেকের জন্যই সমস্যার। কখনো ধর্মের নামে কখনো জাতিসত্ত্বা/জাতীয়তার হাস্যকর জটিলতায় কখনো প্রমিতভাষা/বিনির
(এখানে লেখা দু’টি ঘটনারই সাক্ষী আমি। তবে দ্বিতীয় ঘটনাটির একজন নীরব শ্রোতা ছিলাম মাত্র। ঘটনা দু’টি হয়ত নিতান্তই বিচ্ছিন্ন। দু’টি ঘটনার প্রেক্ষিত আলাদা। নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা এই ঘটনাদু’টোর বিপরীতমুখিতা আমাকে ভাবায়। ব্যক্তিগত কারণেই দ্বিতীয় ঘটনাটির স্থান ও কাল উল্লেখ করছি না।)
আবিসিনিয়া হল ইথিওপিয়ার আদি নাম। প্রায় তিন হাজার বছর আগে মালিকা হাবেশিয়া নামক একজন রানী আবিসিনিয়া দেশটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছিলেন। একদিন মালিকা হাবেশিয়া স্বপ্ন দেখেলন তাঁর কোলে একটি ছোট্ট শিশু খেলা করছে আর তিনি পরম মমতায় শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে যেতেই রানী টের পেলেন তিনি গর্ভবতী!
ওয়াশিকুর রহমান বাবুর জঘন্য হত্যাকান্ডের খবর শুনে মনটা ভারাক্রান্ত---অনলাইনে ধর্ম নিয়ে আলোচনার জের ধরেই যে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই তেমন। অনেক কথা মাথায় ঘুরছে, তার মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু জরুরী কিছু কথা এখনই বলা দরকার মনে করছি, তাই এই লেখা।
(আমার লেখাটি এই সংবাদের উপর ভিত্তি করে লেখা।
অভিজিৎ কে হত্যা করার পর বিভিন্ন কমেন্ট এ কিছু মানুষ এর তেনা পেঁচানোর প্রয়াস ছিল লক্ষণীয়। তাঁরা বলার চেষ্টা করছিলো যে অভিজিৎ কে কারা মেরেছে কি উদ্দেশ্যে মেরেছে সেটার “নিরপেক্ষ” তদন্ত করার আগে কোন পক্ষের দিকে অঙ্গুলিউত্থাপন নিন্দনীয়।
এইবার আরেকজন ব্লগারকে হত্যা করা হোল। মাদ্রাসা এর দুইজন ছাত্রকে ঘটনাস্থল থেকে মার্ডারের অস্ত্র সহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও জনতা। এইবার তেনা পেঁচানোর সুযোগ নাই। হত্যাকারীরা স্বীকার করেছে, “ইমানি দায়িত্বে” তাঁরা এই হত্যা কাণ্ড টি করেছেন “হুজুরের নির্দেশে”। এদের হয়তো শাস্তি হবে ফাঁসিতে লটকাবে। কিন্তু আসলে অপরাধী কি এরা?
অভিজিৎ হত্যার এক মাসের মাথায় ঢাকার রাস্তায় লেখালেখির কারণে আবারো খুন হলেন একজন অনলাইন লেখক। নিহত মোঃ ওয়াশিকুর রহমান বাবু সাম্প্রতিক সময়ে ফেইসবুকে লেখালেখি করতেন। তিনি সামহয়ারইন ব্লগেও একসময় লিখতেন। হত্যার ধরণ ও কৌশল অভিজিৎ