কিছুদিন আগে ফেসবুক হুট করে আমাকে ১ দিনের জন্য মন্তব্য, স্ট্যাটাস, মেসেজ থেকে ব্লক করে দেয়। কারণ হিসাবে তারা আমার একটা মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেছে যেটা নাকি তাদের কমিউনিটি স্টান্ডার্ডের সাথে যায় না। মন্তব্যটি দেখে আমি স্মরণ করতে পারিনি কবে মন্তব্যটি করেছি। তবে "মালাউন" শব্দটা দেখে ধারণা করি এটা গত বছর নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার সময়কার ঘটনা। তখন মন্ত্রী ছায়েদুল হকের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে মালাউন গালি দেবার অভিযোগ ওঠে। আমার মন্তব্যটি সম্ভবত তখনকার সেই আলোচনার সূত্রে করা।
চিঠিটা সবার জন্য নয়, কিন্তু সিংহভাগ মার্কিন প্রবাসী বাঙালী মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য
আমার প্রবাসী "মডারেট" ভাই বোনেরা,
(আমার লেখাটি এই সংবাদের উপর ভিত্তি করে লেখা।
অভিজিৎ কে হত্যা করার পর বিভিন্ন কমেন্ট এ কিছু মানুষ এর তেনা পেঁচানোর প্রয়াস ছিল লক্ষণীয়। তাঁরা বলার চেষ্টা করছিলো যে অভিজিৎ কে কারা মেরেছে কি উদ্দেশ্যে মেরেছে সেটার “নিরপেক্ষ” তদন্ত করার আগে কোন পক্ষের দিকে অঙ্গুলিউত্থাপন নিন্দনীয়।
এইবার আরেকজন ব্লগারকে হত্যা করা হোল। মাদ্রাসা এর দুইজন ছাত্রকে ঘটনাস্থল থেকে মার্ডারের অস্ত্র সহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও জনতা। এইবার তেনা পেঁচানোর সুযোগ নাই। হত্যাকারীরা স্বীকার করেছে, “ইমানি দায়িত্বে” তাঁরা এই হত্যা কাণ্ড টি করেছেন “হুজুরের নির্দেশে”। এদের হয়তো শাস্তি হবে ফাঁসিতে লটকাবে। কিন্তু আসলে অপরাধী কি এরা?
মাহফুজ খান
ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে খুব ছোটবেলা, প্রাইমারী স্কুলে। ৫/৬ বছর বয়সেই শিখে যাই কোন পিঁপড়া হিন্দুদেরকে কাটে আর কোনটা মুসলমানদের। এরপর থেকে কালো পিঁপড়া মারতাম না কিন্তু লাল পিঁপড়া দেখলেই প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়তাম, কারণ ওটা কামড়ায় আর ওটা হিন্দু পিঁপড়া।
ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে জন্ম নেয়া পাকিস্তানের মুখে ঝাঁটা মেরে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার চার দশক পরেও ধর্মীয় বিষে নীল। শুধু মুসলমান হয়ে না জন্মাবার কারণে বারবার ভিটেশূন্য হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। কখনো ভোটের দোহাই দিয়ে, কখনো বাবরি মসজিদে হামলার দায়ে, কখনো বা স্রেফ ফেসবুকে কোন ছবিতে ট্যাগ হয়ে যাবার অপরাধে বাড়ি-ঘর, উপসানালয় হারিয়ে ফেলছে তারা, কখনো বা সাধের প্রাণটাও বিদায় নিচ্ছে শরীর থেকে
কিছু কষ্ট থাকে যা প্রকাশের জন্য সব ভাষাই ব্যর্থ। সংখ্যালঘু হবার যাতনাও তেমনি। নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু তুচ্ছ ঘটনা শেয়ার করছি গল্পের আদলে। ঘটনা গুলো ছোট হতে পারে কিন্তু কেন যেন ভুলতে পারি না, ভোলা যায় না!
(১)
মিষ্টি বিকেল। মাঠে আট ন’বছরের কিছু বাচ্চামেয়ে খেলছে, বরফ-পানি। হঠাৎ একজনকে ছুঁয়ে দিতেই ‘বরফ...বরফ’ বলে শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
"ভালোই, শেষ পর্যন্ত নিজেদের দেশে যাচ্ছিস", ঠিক এই কথাটাই শুনতে হয়েছিল ১১ বছরের পরিচিত, একই সাথে স্কুলে পড়া, এক বন্ধুর মুখ থেকে, যখন স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে প্রকৌশলবিদ্যা পড়তে এসেছিলাম| প্রতিউত্তর দিতে ইচ্ছা করছিলো খুব, কিন্তু শুধু একবারই বলেছিলাম, "কোনটা যে আমার দেশ সেটা যদি তোর বোঝার ক্ষমতা থাকতো !!" আমার সাথে পড়তে আসা ভিন্ন ধর্মালম্বী বন্ধুদের কিছু শুনতে হয়েছিল কিনা জানিনা| আমাকে শুনতে হয়েছিল কারণ
...
‘প্রশাসনে সংখ্যালঘুদের ব্যাপক মূল্যায়ন’। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় বেশ বড় হরফে এই শিরোনামের রিপোর্টটি পড়ে হোঁচট খেলাম প্রথমেই। এরপর অনেকগুলো প্রশ্ন মনে উঁকি দিতে থাকলো। তবে সবার আগে যে প্রশ্নটি এলো তা হলো- সংবাদপত্র কেন ?
সংবাদপত্র কেন ? আদৌ কি আমাদের সংবাদপত্রের প্রয়োজন আছে ? এই যুগে এসে এরকম অদ্ভুত প্রশ্নে যে-কেউ বিস্মিত হতেই ...
গত কয়েকদিন ধরে মন অনেক খারাপ।
সচলায়তনের লেখক সংখ্যার চাইতে পাঠক যে অনেক বেশি এতে আশা করি আমার সাথে কেউ দ্বিমত করবেননা। এখানে আমরা এখন অনেকেই আছি যারা মাসের পর মাস চমৎকার লেখাগুলি পড়ে যাই নিজের অস্তিত্ব জানান না দিয়েই। আমাদের মাঝেই কেউ হঠাৎ একদিন সাহস করে একটি দুটি লেখা দিয়ে পরে সচলায়তনের লেখককূলেরও অংশ হন।
আমি ভেবেছিলাম সচলায়তনে নীরব পাঠিকা হিসেবেই সবসময়ে আমার উপস্থিতি থ...