বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিস্ময় বালকের সাথে কথোপকথন

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: রবি, ০৭/০৬/২০০৯ - ৩:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাবিবুল বাশার ক্যাপ্টেন্সি খোয়ানোর পর থিকাই প্রথম কালোর ক্রিড়া সাম্লাদিক উৎপাত শুভ্রর দিনকাল ব্যাপক খারাপ যাচ্ছে। বাশারের সময়ে ম্যাচের আগেই ম্যাচ রিপোর্ট লিখে ফেলা যেতো, আওফাও তেনা প্যাঁচাইয়া মূল কাজটা ছিলো বাশারকে ডিফেন্ড করা এবং ভুল থেকে যে বিপুল পরিমাণ শিক্ষা নিয়ে উন্নতির গ্রাফ ভূমিকম্পের রিখটার স্কেল বানানো বাশারের মহাপন্ডিত টিম পরবর্তী ম্যাচেই বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে ফেলবে, এই আশার আগুনে খাঁটি গরুর ভেজাল দুধ থেকে বানানো মণ তিনেক গাওয়া ঘি ঢালা। আশার বেলুন বারবার ফুটুস হয়ে গেলেও যাতে পাবলিক বাশারের ওপর বিলা না হয়, উৎপাত শুভ্রের ক্রিড়া সাম্লাদিকতার এই একটাই ছিলো ধ্যান-জ্ঞান। গিভ অ্যান্ড টেইক নীতির অপর পাশে বাশার তাকে 'নিউজ' দেয়ার পাশাপাশি দুধ চা ও খাওয়াতো, সাথে 'চিনি টোস'।

কিন্তু আশরাফুল ছোকরা চরম বেয়াড়া, তাকে পাত্তা তো দেয়ই না, আশেপাশে ঘুরঘুর করতে দেখলে অন্যদিক দিয়া পিছলাইয়া যায়, বাকি ছোকরাগুলাও তাকে রীতিমতো উৎপাতই মনে করে, সেই সুদিনের কথা চিন্তা করে উৎপাত শুভ্রের মন কিঞ্চিত বিষণ্ন হলেও পেশার খাতিরে সে এর-ওর সাথে ভাব জমাতে চেষ্টা করে। এদিক দিয়ে মুশফিকুর রহিম তার প্রথম পছন্দ। ছোকরাকে দেখে কিছুটা মিচকা শয়তান মনে হলেও তার হাসি বাশারের মতোই চমৎকার। এত চমৎকার হাসিওয়ালা কারো সাথে ভাব সে করেই ছাড়বে, এ আত্মবিশ্বাস তার আছে।

ইন্ডিয়ার সাথে ম্যাচ হারের পর অবশ্য উৎপাত একটু ভয়ে ভয়েই ছিলো। জিমি সিডন্স টুর্নামেন্টের আগে যেমন হাম্বা হাম্বা করছিলো ইন্ডিয়ারে শোয়াইয়া দিয়া আয়ারল্যান্ড ম্যাচের জন্য ওয়েট না কইরাই সেকেন্ড রাউন্ডে পৌঁছানোর জন্য, তাতে এই হার নিশüচয়ই দলের মনোবলের দফারফা করে ফেলবে, এরকম আশঙ্কাই ছিলো। কিন্তু ম্যাচের ঘন্টাখানেক পরে খেলোয়াড় কোচ ম্যনেজারের অবস্থা দেখে উৎপাতের চক্ষু চড়কগাছ। জিমি বিয়ার-টিয়ার না, পুরা শ্যাম্পেনের বোতল খুলে বসে গেছে। শ্যাম্পেন তো ম্যাচ জয়ের পরে সেলিব্রেট করতে খায়, সিডন্স অধিক শোকে পাথর হয়ে গেলো, নাকি সামহাউ ইন্ডিয়ার কাছে হারই তার কাছে জয়, উৎপাত শুভ্র যখন এ ধাঁধার সমাধান চিন্তায় মগ্ন, তখনই পেছন থেকে মুশফিকুর রহিমের ডাক, "আরে, শুভদা দেখি এইখানে!"

উৎপাত রহিমকে দেখে খুশি হয়, কিছু নিউজ পাওয়া যাইবো; কিন্তু তার সম্বোধনে বিরক্ত হয়। এই ফিচকা পোলাপানগুলা তার নামের র-ফলা বাদ দিয়া ভ-এর অদৃশ্য ও-কারের ওপর বাড়তি জোর দিয়া যেইটা উচ্চারণ করে, সেইটা শুনতে অশলীল লাগে। অনেকবার বলা হইছে, কোনো কাম হয় নাই। কুঁচকানো ভ্রু স্বাভাবিক করে সে খোঁচা মেরে জিজ্ঞাসা করে, "কী মিয়া, তোমরা ম্যাচ হারের পরে সেলিব্রেট করতেছো যে!"

রহিম ফুরফুরা মেজাজে জবাব দেয়, "হারটাই শুধু দেখলেন, দাদা। উন্নতির গ্রাফটা দেখলেন না! মাত্র ২৫ রানের ব্যবধান। ইন্ডিয়া তো টিটুয়েন্টির ওয়ার্লড চ্যাম্পিয়ন।"

"তবুও, জিমি যেমন কইরা মিডিয়া তোলপাড় কইরা ফেলতেছিলো।"

মুশফিক কোচের অনুগত ছাত্র, সে কোচকে ডিফেন্ড করে, "আসলে আমাদের ফোকাস আয়ারল্যান্ড ম্যাচের দিকে, ইন্ডিয়ার সাথে হারি আর জিতি, আয়ারল্যান্ডের সাথে হারলেই আউট। মাঝখান থিকা ইন্ডয়ারে একটু ডরাইয়া দিলাম আর কি!"

মুশফিক ফিক ফিক করে হাসে। কিন্তু উৎপাত শুভ্র হাসতে পারেন না। তিনি ক্রিকেটের ক না বুঝলেও এতদিনের অভিজ্ঞতায় এই বাকোয়াজ অনেক শুনেছেন, তারেক মোনাওয়ারের ওয়াজের চাইতেও অখাদ্য এই বাকোয়াজ। তিনি বরং ম্যাচের বিশ্লেষণের দিকেই মন দেন, "কিন্তু আমরা তো জিততেই পারতাম। যেমন ধরো, তুমি যে দুইটা স্ট্যাম্পিং মিস করলা ..."

রহিম এবারও হাসে, "হে হে, রোহিত শর্মারটা স্ট্রাটেজি ছিলো। যেমন ধরেন ওই বলে আমি স্ট্যাম্পিং করলে পরের বলে অন্য কেউ এসে ছয় পিটাতো; ফলাফল দুই বলে এক উইকেট ছয় রান। কিন্তু পরিণাম কি হলো? পরের বলে সে বোলড হওয়ায় দুই বলে এক উইকেটে জিরো রান।"

উৎপাত শুভ্র এমন যুক্তির বিরুদ্ধে পালটা যুক্তি দিতে পারেন না, খানিকটা মিনমিন করে বলেন, "কিন্তু যুবরাজের টা? সে ১৮ বলে ৪১ রান করেই না ম্যাচ ঘুরায়ে দিলো? তাকে ১ রানের মাথায় লাইফ দিলা যে!"

রহিম এবার বিরক্ত হয়ে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে, " ধুর মিয়া! আপনারা সাম্লাদিকরা পারেন খালি আমার দোষ ধরতে। সাকিবের মত পেলেয়ার ওয়াইড কেনো দিলো, সেইটা দেখলেন না, দেখলেন আমার দোষ। বলি, আমি কি ওয়াইড বলে কিপিংয়ের জন্য খেলি নাকি?"

উৎপাত এবারও কুপোকাত বনে যান, রহিম ছেলেটা ব্রাইট, ভালো যুক্তি দেয়, তিনি মনে মনে স্বীকার করতে বাধ্য হন। তিনি দলের ম্যাচ প্ল্যান সম্পর্কে আইডিয়া পেতে চান, কোথায় কোথায় ভুল ছিলো, তা বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট করতে সুবিধে হবে, "আচ্ছা, তোমাদের দলের ম্যাচ উইনিং ব্যাটসম্যান কে?"

"ক্যান, তামিম। এতোদিন সাম্লাদিকতা করেন, আর এইটা জানেন না? আজিব!" রহিম এখনো কিছুটা খাপ্পা।

উৎপাত শুভ্র কাঁধের ঝোলা থেকে পরিসংখ্যান নোটটা বের করে দেখেন, টিটুয়েন্টিতে তামিমের ম্যাক্সিমাম স্কোর ৩২, এহন তক কোনো ছক্কা নাই, গড় ১৩ আর সর্বোপরি স্ট্রাইক রেট ৯০%। এরকম একটা খেলোয়াড় ম্যাচ উইনিং ব্যাটসম্যান কিভাবে হয়, তিনি ভেবে পান না। তবুও বাংলাদেশ টিম হলো প্রতিভাধরদের টিম। কার প্রতিভা কখন কিভাবে বের হয়ে আসবে আগে থেকে বলা যায় না, তিনি রহিমের কথাই নোট করে নেন। তবে ফাঁদে ফেলা যাবে ভেবে এরপরেই মোক্ষম যায়গায় হাত ফেলেন, "তুমি আর রকিব টুয়েন্টির দলে চান্স পাও কিভাবে? আন্ডার টেন অ্যাভারেজে রকিবের স্ট্রাইক রেট ৭৬% আর তোমার ৮৮%! এইডা কি টুয়েন্টিতে চলে?"

রহিম এবার আর চেতে না, কারণ, এর উত্তর সে আগেভাগেই রেডি করে রেখেছে, পালটা জিজ্ঞেস করে, "প্র্যাকটিস ম্যাচ সম্পর্কে কোনো তথ্য আপনার জানা আছে?"

উৎপাত তখন ছুটিতে ছিলো, ইংল্যান্ড এসেছে মাত্র পরশু, প্র্যাকটিস ম্যাচ কাভার করতে পারে নি, সে কিছু জানে না, অকপটে স্বীকার করে।

"তাই ভাবছিলাম", রহিম আলোচনার লিড নেয়, "প্র্যাকটিস ম্যাচে আমি ৮ বলে ২৪ আর রকিব ১০ না ১২ বলে ২৫ রান করেছিলো, ভালো করে জেনে নিন। " রহিম বলে চলে, "গতকাল জুনায়েদ আউট হওয়ার পরে কোচের স্পষ্ট নির্দেশ ছিলো অলআউট হবা না, ২০ ওভার খেলে আসো। আমরা সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। কোচের কথা অমান্য করে ফোর্থ সিক্স মারতে গিয়ে আউট হওয়া নাঈম সামনের ম্যাচে বাদ পড়তে পারে।"

"আচ্ছা, নাঈমের কথাই যখন বললা", তব্দা খাওয়া উৎপাত জানে পানি পায়, "নাঈম তো ব্যাটসম্যান, তাকে নয় নাম্বারে ব্যাট করতে নামানোর মানে কি?"

রহিম হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়, "ব্যাটসম্যান আগে ছিলো; কিন্তু সেসব এখন ইতিহাস। সে যেহেতু বল ভালো করে, সেহেতু সে বোলার, ব্যাট যা-ই করুক না কেন। আর বোলার মানেই টেল এন্ডার।"

"অদ্ভূত যুক্তি! বল ভালো করাই তাইলে তার জন্য কাল হলো?" উৎপাত বিস্ময় প্রকাশ করে।

"এ বিষয়ে কিছু বলার থাকলে কোচ, ম্যানেজার, ক্যাপ্টেনকে ধরেন, আমি কেন?" রহিম পিছলায়। তার পিছলানি দেখে উৎপাতের মত নিরীহ সাম্লাদিকেরও মেজাজ বিলা হয়, "ক্যান, ক্যাপ্টেনকে টানো ক্যান আবার? আশারফুল তো নামে মাত্র ক্যাপ্টেন, কামে তো তোমাগো সিডু। আশরাফুল নিজে এক ওভার বল করায় সিডু মাইন্ড খায়া পত্রিকায় গিয়া কানছে। তাও আবার তোমরা লিডারশীপ গ্রুপ বানাইছো, তুমি সেই প্যানেলের একজন। এখন আবার বিপদে পড়ে ক্যাপ্টেন কেন?"

কথা মিছা না। আশরাফুলের একার কিছু করার ক্ষমতা নাই। ছয় জনের লিডারশীপ গ্রুপের একজন সে নিজেও। রহিম চুপ থাকে; কিন্তু উৎপাত শুভ্র পুরা ফর্মে, সে সরাসরি পারসোনাল অ্যাটাকে চলে যায়, "আজকের হারের জন্য ম্যাক্সিমাম রেসপনসিবিলিটি তোমার নেওয়া উচিত। যুবরাজের স্ট্যাম্পিং মিস না করলে ইন্ডিয়া ১৮০ রান করতে পারে না। বাংলাদেশ এইরকম শিট পলিসি নিয়া ব্যাট কইরাও ১৫৫ করছে, ১৬০ এর ঘরে রান থাকলে আমরা ইজিলি জিততাম। আচ্ছা, তুমি যে সেই ১৫ বছর বয়সে পাইলটেকে ডাম্প করাইয়া দলে ঢুকলা, এর মধ্যে এমন কোনো ম্যাচ কি আছে, যাতে কোনো ক্যাচ ড্রপ করো নাই, স্ট্যাম্পিং মিস করো নাই?"

রহিমের এবার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, কোথাকার কোন দুই পয়সার সাম্লাদিক, সে তাকে ঝাড়ি দেয়ার কে? উষ্মার সাথে সে উচ্চারণ করে যে, ম্যাচের রেকর্ড মুখস্ত করার চাইতেও তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। হি ডাজনট গিভ আ শিট টু স্ট্যাটিসটিক্স। হু দ্য হেল উৎপাত শুভ্র ইজ টু আস্ক অ্যাবাউট হিজ অ্যাচিভমেন্ট?

পালটা ঝাড়ি খেয়ে উৎপাত সতর্ক হয়ে যায়। উত্তেজিত হলে সাম্লাদিকতা করা যায় না। সে মুখ নরম করে আদরের ভঙ্গিতে বলে, "আরে দূর! তুমি খামোখা রেগে যাচ্ছো। আমি কি তাই কইছি নাকি? আর তাছাড়া কয়টা ক্যাচ বা স্ট্যাম্পিং করলা এইটা কোনো বিষয় না, রেকর্ড বুকে কয়টা ক্যাচ ধরলা এইটাই লেখা থাকে, মিস করা গুলার কোনো ভ্যালু নাই।"

রহিম গলে না। সে গজগজ করতে করতে হেঁটে যায়। এই সাম্লাদিকরা আসলেই খারাপ, খামোখা তারা এর নামের র-ফলা বাদ দেয় না।

এদিকে উৎপাত শুভ্র ভাবতে বসে, এই পোলা এমন কইরা এমুন আকাইমা পারফর্ম্যান্স দেখাইয়াও বছরের পর বছর ধরে দলে খেলে যায় কেমনে? সে আসলেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিস্ময়বালক। অবশ্য তার চেহারাছবি ভালো, হাসিটা সুন্দর। উৎপাতের মুখে একটা তীব্র ফিচকা হাসি উঁকি দেয়। বিষ্ময় শব্দটাকে অন্য একটা প-বর্গীয় খারাপ শব্দের সাথে বিনিময় করে সে মনে পুলক অনুভব করতে করতে হোটেলের দিকে রওনা দেয়। রাত অনেক হলো, তাড়াতাড়ি আজকের ঘটনা কম্পোজ করে প্রথম কালোর অফিসে পাঠানোর পরেই সে ঘুমাতে পারবে।


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা পুরাই তুফান হইসে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রহিম এবারও হাসে, "হে হে, রোহিত শর্মারটা স্ট্রাটেজি ছিলো। যেমন ধরেন ওই বলে আমি স্ট্যাম্পিং করলে পরের বলে অন্য কেউ এসে ছয় পিটাতো; ফলাফল দুই বলে এক উইকেট ছয় রান। কিন্তু পরিণাম কি হলো? পরের বলে সে বোলড হওয়ায় দুই বলে এক উইকেটে জিরো রান।"

গুল্লি
প্রথম কালোর ক্রিড়া সাম্লাদিক উৎপাত শুভ্র

হো হো হো

৫ তারা দিয়েও মন ভরছে না!

---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

থ্যাংক্স। রেনেট লেখে না দেইখাই লিখতে হইলো। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বিস্ময়ে হতবাক বালক.....



অজ্ঞাতবাস

দ্রোহী এর ছবি

বিষ্ময়বালকরে ধইরা একটা চটকানা দিতে পারলে খানিকটা শান্তি লাগতো।

... [অতিথি] এর ছবি

রোহিত শর্মার যেই স্ট্যাম্পিং ও মিস করছে, ওরে মাঠেই দুইটা টাইনা চড় দেওয়া উচিৎ আছিলো। আমাগো পাড়ার পোলাপাইনও মনে হয় ওর চেয়ে ভালো কিপিং করে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাই্ নাকি? এরকম অবশ্য অনেকেরই মনে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বালকের খালি ক'টাই আছে... সামনের দুইটা নাই... সেজন্যই বিস্ময়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

এই ফিচকা পোলাপানগুলা তার নামের র-ফলা বাদ দিয়া ভ-এর অদৃশ্য ও-কারের ওপর বাড়তি জোর দিয়া যেইটা উচ্চারণ করে, সেইটা শুনতে অশলীল লাগে।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ওরে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেলো।..................

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আর জীবনে অফিসে বইসা আপ্নের ল্যাখা পড়ুম না; খেক খেক কইরা হাসতেইসি।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ওরে! গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আরিফ খান এর ছবি

৩৮ বছর বয়সেও জয়সুরিয়া খেলে যাচ্ছে আর আমরা বিশ্বসেরা কিপারটাকে বাদ দিয়ে নতুনের জয়গান গাচ্ছি,সেটা কি পাইলটের স্পষ্টবাদিতায় কারো আয় ইনকামে সমস্যা হয় বলে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দলে নতুন প্লেয়ার আমদানির একমাত্র পূর্বশর্ত হওয়া উচিত পারফর্ম্যান্স। জাতীয় দল আসলে এক্সপেরিমেন্টের যায়গা হওয়া উচিত না। মুশফিক হোক, ধীমান হোক, পাইলটের চেয়ে বেটার পারফর্ম করার পরেই জাতীয় দলে ঢোকা উচিত ছিলো। তারা কবে ভুল থেকে শিখবে - এই আশা করে বসে থাকার স্থান জাতীয় দল নয়। পাইলট রফিকের অফ ফিলড সমস্যা থাকলে সেটাও স্পষ্ট করে তারপর বাদ দেয়া উচিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

অজানা প্রভাবশালী মহলের সোহাগবালক মুশফিকুর রহিমকে আইপিসহ ব্যান করা হোক।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার তারকা দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে আমি ১০তারা দিতাম :-D। ফেচবুকে আগের আইপিএল কিস্তির মত এইবারও শেয়ারে দিচ্ছি দেঁতো হাসি
আর রহিম মিয়ার কথা কি কমু হালায় দেখি খালি টাকি মাছ ধরে। আর বাংলাদেশিরা খালি দেখি যেই লেগ স্টাম্পে বল করলে ছক্কা খায় সেইখানেই আবার বল দেয়। যেনো যুবরাজরে কয় পারলে আবার মার! হালায় বলদার দল।
----------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যুবরাজ, ক্রিস গেইল, গিলক্রিস্ট এরা আসলে সব বলই পিটাতে পারে। যুবরাজকে স্ট্যাম্পের ওপরে শর্টপিচ বল দেয়া মানে ছক্কা খাওয়া কনফার্ম। এদেরকে একবার লাইফ দেয়া মানে ম্যাচ হারা নিশ্চিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই লিখেছেন:
সে আসলেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিষ্ময়বালক। অবশ্য তার চেহারাছবি ভালো, হাসিটা সুন্দর। উৎপাতের মুখে একটা তীব্র ফিচকা হাসি উঁকি দেয়। বিষ্ময় শব্দটাকে অন্য একটা প-বর্গীয় খারাপ শব্দের সাথে বিনিময় করে সে মনে পুলক অনুভব করতে করতে হোটেলের দিকে রওনা দেয়।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

তুমি যে সেই ১৫ বছর বয়সে পাইলটেকে ডাম্প করাইয়া দলে ঢুকলা, এর মধ্যে এমন কোনো ম্যাচ কি আছে, যাতে কোনো ক্যাচ ড্রপ করো নাই, স্ট্যাম্পিং মিস করো নাই?"

শালার পোলার কোনও কানেকশন আছে, একটা পুরা হারামী!

হিমু এর ছবি

চামে পয়েন্ট কামাই, বিষ্ময় নয়, বিস্ময়। তবে বিস্ময়ের মাত্রা যদি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে বিস্ময় < বিশ্ময় < বিষ্ময় প্রস্তাব করা যেতে পারে চোখ টিপি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রথমে বিস্ময় লিখছিলাম। পরে দেখি সুমন আর দ্রোহী দুইজনেই বিষ্ময় লিখছে। হঠাৎ মনে পড়লো, অ আ বাদে স্বরবর্ণের পরে ষ বসে। তাইলে ক্যাচালটা কোথায়?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বিস্ময়ই ঠিক....মন খারাপ



অজ্ঞাতবাস

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হিমু ভাই হুদাই বলাই দা'র প্যেন্ট নিয়ে টানাটানির পেত্তিবাদ জানাই। তিনি লিখতে চেয়েছিলেন যে রহিম সাহেব দলের বিষময়। তাঁর হস্তনিসৃত বিষেই তো দল হেরে গেল... খাইছে

হিমু এর ছবি

আসলে ই-কারের পর স পাল্টেই ষ হয়, কিংবা আমদানি হয়। যেমন পরিষ্কার, আবিষ্কার, নিষ্পন্ন। আবার বি + সম = বিষম, পরি + সেবা = পরিষেবা। তবে স যদি ধাতুতে যুক্ত অবস্থায় থাকে, তাহলে পাল্টায় না। যেমন বিস্ফোরণ, বিস্ফারিত, নিস্পন্দ, অভিস্রবণ। বিস্ময়ের ক্ষেত্রেও বোধহয় তেমনি। এ ব্যাপারে শের-এ-বানান প্রতিযোগিতার অগ্রণী প্রতিযোগী মুজিব মেহদী আরো ভালোভাবে আলোকপাত করতে পারবেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাংলা ব্যাকরণ দেখতেছি বাংলাদেশ সংবিধান (বর্তমান) এর চাইতে ক্যাচাইলা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

আমি জানতাম বিষ্ময় শব্দটাই সঠিক। অ্যাঁ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অসামান্য, বলাই দা। মনের কথাগুলো তুলে এনেছেন পুরা। এই আহাম্মককে যে কেন কিপার রাখা হয়েছে, তা আমার মাথায় আসে না আজও। প্রতিটা ম্যাচে, প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এই বান্দা কিছু না কিছু গেরানি দিবেই।

আরেকটা ব্যাপার হল আশরাফুলের ক্যাপ্টেন্সি। মাশরাফি প্রথম ওভারে মার খাওয়ার পর রুবেল দিলো মাত্র ৫ রান, বলও ভাল করলো বেশ। তাকে কেন বদলে দেওয়া হলো? ৪র্থ ওভার দেখি শাহাদাত করছে! হুদা কামে রুবেলকে অন্য প্রান্ত থেকে আনানো হলো। সেই ওভারের ১৩ রানের কথা কী আর বলি?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রুবেলকে বাদ দিয়ে শাহাদাতকে আনায় অবাক হয়েছিলাম। তবে আমার মনে হয় ওইটা সিডন্সের প্ল্যান ছিলো। আশরাফুলের ক্ষমতা সম্ভবত খুব সীমিত। লীডারশীপ গ্রুপ আছে ৬ জনের, আশরাফুল, মাশরাফি, রহিম, সাকিব আরো ২ জন। আর সিডন্স হলো বিগ বস। তার হুকুম ছাড়া এদিক ওদিক করলেই প্রেসে গিয়া নালিশ করে। ওই বোলিং চেঞ্জের ব্যাপারে সিডন্স যেহেতু কিছু বলে নাই, সেহেতু ওইটা তারই প্ল্যান মনে হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তাহলে তো সিডন্সেরই মাথা চেঁছে... ওহ, চুল তো এমনিতেই নাই... ইয়ে, মানে...

হিমু এর ছবি

বিসিবির দায়িত্বে এক সেনা কর্মকর্তাকে বসানোর পরপরই তিনি ক্রিকেট দলকে কম্যান্ডো ট্রেনিং করিয়েছিলেন। তাতে দল আরেকটি অশ্বডিম্বই প্রসব করেছে বেপথে।

আমি প্রস্তাব করছি, এবার নৌবাহিনীর কাউকে বিসিবির দায়িত্বে বসানো হোক, এবং অবিলম্বে দলকে ফ্রগম্যানস ট্রেনিং করানো হোক। তাতেও যদি আরেকটি অশ্বডিম্ব প্রসূত হয়, তাহলে বিমানবাহিনীর কাউকে বসিয়ে প্যারাজাম্পিং ট্রেনিং দেয়া হোক। তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে আনসার ও ভিডিপি থেকে ... ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এগুলানরে পিলখানায় দিয়া আসনের কাম আসিলো...

দ্রোহী এর ছবি

পুলিশ বাদ গেল যে!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এরা যে কবে ধারাবাহিকভাবে ১০০% খেলতে পারবে? ততদিনে পৃথিবীর আর দেশগুলো না আবার জায়গা দখল করে নেয়।

  অতিথি   (আদিল) এর ছবি

বালকের খালি ক'টাই আছে... সামনের দুইটা নাই... সেজন্যই বিস্ময়

অদ্ভুত !!!!!!!! চ্রম !!!!

মনের কষ্ট একটু কমলো ।

পলাশ দত্ত এর ছবি

এই লেখায় রেটিং দেয়ার জন্য লগ-ইন করলাম।

দারুণ। হাসতে হাসতে নীরবখিল।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

বিপ্রতীপ এর ছবি

উৎপাত শুভ্র

গুল্লি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

দিগন্ত এর ছবি

উইকেটকিপার শুধু নয়, বাংলাদেশ কিছু রান-আউটও মিস করেছে বলে মনে হয়েছে। যাহোক আমার ধারণাগুলো এরকম -
১) চতুর্থ ওভারে শাহাদাতকে আনা থিক হয়নি, দ্বিতীয় ওভারে রুবেল ভালই বল করেছিল। ওই ওভারের আগে ভারত ৩ ওভারে ১৯ ছিল, আর শাহাদাত এসেই প্রথম বল লেগ স্ট্যাম্পে হাফভলি।
২) সাকিবকে প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে ট্রাই নিতে হত, ইদানিং এটা ভাল স্ট্র্যাটেজি হিসাবে দেখছি। অবশ্যই তার আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি লাগবে।
৩) নাইম মার খাওয়ার পরে স্পিনাররা দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে গেল। অথচ, তার আগে পর্যন্ত স্পিনাররা ভালই বল করেছিল। আমার তো মনে হয় মাহমুদুল্লাহকে আরো এক ওভার করানো যেত।
৪) রুবেল, রকিবুল আর শাহাদাতকে টিমের উইক লিঙ্ক বলে মনে হল। বাংলাদেশের ওভার-অল স্পিনারদের কোয়ালিটি পেসারদের থেকে ভাল (এক ওভার মার খাওয়ার পরেও বলছি)। টিমে স্পিনার বাড়িয়ে পেসার কমানো (রজ্জাককে এনে শাহাদাতকে বসানো) উচিত।
৫) মিডল অর্ডারের জন্য স্ট্র্যাটেজি ভাবতে হবে, ভাল এক-দুই নিতে পারেন এরকম প্লেয়ার চাই অন্তত দুজন।
৬) আই-পি-এল-এর তিনমূর্তি আফতাব, কাপালি আর নাফিসকে দলে ফেরানোর কথা ভাবা উচিত। প্রথম দুজন মিডল অর্ডারে সহজেই জায়গা পাবেন বলে মনে করি। মুশফিকার রহিমের সাথে প্রথম পনেরয় ধীমানও থাকলে চাপে ওর পারফরমেন্সের উন্নতির সম্ভাবনা আছে চোখ টিপি । আই-সি-এলের প্লেয়াররা শুধু ২০-২০ খেলেছে গত দু-বছর, তাই ২০-২০ তে তাদের পারফরমেন্স ভাল হওয়া উচিত।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি ক্রীড়ামন্ত্রী হলে আপনাকে কোচ করে দিতাম এই মুহূর্তে। মনের কথাগুলো বললেন একাধারে। চলুক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ভালো বিশ্লেষণ করেছেন। আসলে বোলাররা ভালো বলই করেছে। যুবরাজ আর রোহিত শর্মা বাদে কেউই সেরকম হাতখুলে খেলতে পারে নি। সুরেশ রায়না, ইউসুফরা অন্য যে কোনো বোলিংয়ের বিরুদ্ধে এর থেকে ভালো ব্যাট করে। সমস্যা হয়ে গেছে স্ট্যাম্পিং আর রানআউট মিস করায়। যুবরাজ সিংয়ের লাইফ পাওয়াটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। সে তখন আউট হয়ে গেলে ১৬০+ রান হতো, বাংলাদেশের জন্য সেটা চেইজ করা সম্ভব ছিলো।
১৮০ রান তাড়া করা খুব টাফ, তারপরেও তামিমরা উইকেট না বিলিয়ে দিলে বা ব্যাটিং অর্ডার একটু অন্যরকম হলে একটা সম্ভাবনা ছিলো। এদিক দিয়ে আশরাফুলের উইকেটটা ভাইটাল। সে গুড টাচে ছিলো, যে বলে আউট হয়েছে, ওটা ১ মিটার এদিক-ওদিক দিয়ে গেলেই বাউন্ডারি।

তবে অলোক আর আফতাব দলে যোগ দিলে শক্তি বাড়বে। এর বাইরে রুবেল অ্যাকচুয়ালি দলের উইক লিংক না; বরং শক্তিশালী দিক। ৯০ মাইলের বেশি বেগে বল করে সুইং করাতে সক্ষম বোলার যে কোনো দলের জন্যই সম্পদ। তার লাইন লেংথের কন্ট্রোল বাড়ানো দরকার আর তাকে ব্যবহার করতে হবে হিসেব করে। এক ওভার ভালো বল করার পরের ওভারে বোলিং চেঞ্জ করলে বোলারের রিদম নষ্ট হয়ে যায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তানবীরা এর ছবি

তবুও বাংলাদেশ টিম হলো প্রতিভাধরদের টিম। কার প্রতিভা কখন কিভাবে বের হয়ে আসবে আগে থেকে বলা যায় না,

ঠিক কথা। রোজ অপেক্ষায় থাকা

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

ফাটাফাটি হইছে ব্লগটা...আমিও ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম... খাইছে

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার খুব দুঃখ হয় পাইলট-এর জন্য!...দুনিয়ার অন্যতম সেরা কীপার ৩০ বছর বয়সে অবসর নিতে বাধ্য হল! যার কাছে আমাদের ক্রিকেটপাগল সবার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত কেনিয়ার বিপক্ষে সেই ৬ মারার জন্য। আর এই আবাল মুশফিক তার অধিনায়ক-কে হার মানাচ্ছে .পাইলট একহাত দিয়ে এর চেয়ে ভাল কীপিং করত!!..মনে হয় টিম এ খারাপ পারফরমেন্স-এর একটা প্রতিযোগিতা চলছে...যে জিতবে সে ক্যাপ্টেন!!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার মন্তব্যের শেষ লাইন পড়ে কষ্টের মধ্যেও হাসলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মামুন হক এর ছবি

আমিও পাইলটের কথা ভাবতেছিলাম। ৯ নম্বরে নেমেও তার ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস আছে। তার সাথে মস্ত একটা অন্যায় করা হয়েছে। তাকে এখন ফিরিয়ে আনলেও সে অনেক ভালো খেলবে, মুশফিক বা অগা মগা আরো অনেক প্লেয়ারের চাইতে। আমারতো মনে হয় আব্দুর রাজ্জাক কেও ফিরিয়ে আনা দরকার।
আর নির্বাচক মন্ডলীতে আমাদের আরিফ জেবতিক ভাইয়ের মতো সমঝদার কাউকে চেয়ারম্যান বানিয়ে বসাতে হবে।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

হালার বিষ্ময় বালকরে ধৈরা খাইট্টা দিয়া পিডাইতে মন্চায়.......


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

একটা কার্টুন আঁইকালান খাইটা শুদ্ধা দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সুজন্দা, কার্টুন চাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রেনেট এর ছবি

আজকে সবাই দোয়া পড়েন...আয়ারল্যান্ডের সাথে না আবার হেরে বসে!
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আয়ারল্যান্ডের সাথে জিতবে, তবে ঢিলা দিলে কি হয় বলা যায় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জি.এম.তানিম এর ছবি

ঢিলা দিলে আর কি হবে? পাব্লিক প্লেসে লুঙ্গি খুলে যায় আরকি...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এখন দেখা যাইতেছে ওদের মধ্যে পাবলিক প্লেসে লুঙ্গী খোলার ক্রেজ চলতেছে



অজ্ঞাতবাস

দ্রোহী এর ছবি

একটা নতুন কথা মাথায় আসলো। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলে এটাই বিস্ময়ের ব্যাপার। সেই অর্থে বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারই "বিস্ময়বালক" নামের অধিকারী হবার কথা।
দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হ বালকের সামনের ২টা ছাড়া বিস্ময় অক
-------------------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

সুমন চৌধুরী এর ছবি
onnorokom এর ছবি

ফেইসবুকে লিংকটা দিংয়ে দিলাম!

সেরম পোস্ট ও মন্তব্য!!!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভীষণ মজা লাগল লেখাটা পড়ে।

অন্তু এর ছবি

তীব্র রসময়। অবশ্যই সুখপাঠ্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।