উপহারেরও কর দিতে হবে?!!

জিজ্ঞাসু এর ছবি
লিখেছেন জিজ্ঞাসু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/১০/২০০৮ - ৭:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল প্রার্থী স্যারাহ্ প্যালিন আজকাল যেসব খুবসুরত ঝকঝকে সাজ পোষাকে জনগণের সামনে উপস্থিত হন সেসব নাকি পার্টি ডোনেশনের টাকা থেকে কেনা। এতে করে রিপাবলিকান পার্টির কিছু ডোনারের মন ক্ষুন্ন হয়েছে। তারা বলেছেন, এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ডলার কম টাকা নয়। পার্টির টাকা নিয়ে ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল ক্যান্ডিডেট এর জামাকোর্তা কেনার ব্যাপারটা কতটা আইনসম্মত হয়েছে তা নিয়ে অবশ্য রিপাবলিকানদের মধ্যেই এখন বিতর্ক চলছে। কিছু বড় অনুদান দাতা ইতিমধ্যে তাদের হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

একজন তো বলেই বসেছেন, "আমি আমার টাকা ফেরত চাই" - যদিও তিনি তার ভোট প্যালিনকেই দেবেন বলেছেন। তিনি আরও বলেন একজন প্রার্থীর দামি পোষাক পরা- না পরার ব্যাপারে কোন মন্তব্য তিনি করবেন না। তবে তিনি মনে করেন এসব রাজনীতিবিদেরা তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়ে বেশ সফল এবং তারা তাদের দামি পোষাকের ব্যয়ভার নিজেরাই বহন করতে সমর্থ। তারা কেন দলের বা নির্বাচনী প্রচারাভিযানের অর্থ এ খাতে খরচ করবেন।

কেউ কেউ একটু সহানুভুতিও দেখিয়েছেন এ ব্যাপারে। যেহেতু জন ম্যাককেইন প্যালিনকে মিনেসোটায় রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের কয়েকদিন আগে তার রানিংমেট হিসেবে পছন্দ করেছেন। সময় স্বল্পতার কারণে এবং প্যালিনের অপেক্ষাকৃত সাধারণ সামর্থের কারণে হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে দলের তহবিল থেকে ব্যয় করতে হয়েছে। " কিন্তু এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ডলার একটা বড় অঙ্ক।"

অনেকের মতে এ টাকা খরচটা যুক্তিযুক্ত ছিল কারণ প্যালিন অনেক বেশি লোককে ম্যাককেইনের প্রচারাভিযানে টানতে পেরেছেন। ওয়াশিংটনের বড় বড় কিছু আইনজ্ঞের মতে এই খরচ সরাসরি না হলেও 'দ্ব্যর্থবোধক' আইনের সীমার মধ্যেই হয়েছে। তাছাড়া ইতিপূর্বে কংগ্রেস 'দলীয় তহবিল ব্যক্তিগত কারণে খরচের ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি আরোপ করার' প্রস্তাবিত আইনকে প্রতিহত করেছে।

আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বিধিসম্মত করা গেলেও প্যালিনকে হয়তো এর জন্য কর পরিশোধ করতে হতে পারে। করদাতাদের নিকট থেকে রাজনীতিবিদেরা যে অনুদান পেয়ে থাকে 'রিপোর্টেবল ইনকাম' হিসেবে আমেরিকার কর বিভাগকে তা অবহিত করতে হবে এবং কর পরিশোধ করতে হবে। প্যালিন হয়তো কিছু কররেয়াত পেতে পারেন যদি তিনি নির্বাচনী প্রচারাভিযানের পর তার কিছু পোষাক চ্যারিটি হিসেবে দান করেন।

ম্যাককেইনের প্রচারাভিযান থেকে বলা হয় প্যালিন নির্বাচনী প্রচারাভিযানের পর তার কিছু পোষাক দান করতে মনস্থির করেছেন।


মন্তব্য

আকতার আহমেদ এর ছবি

ধুরো... সবতে দেহি মাইয়াটার পিছনে লাগছে !

আকতার আহমেদ এর ছবি

এই দেখ আরেক্টা পিছনে'র পিছনে লাগছে ! হাসি

হিমু এর ছবি

খবরের কাগজে দেখলাম আসন্ন মন্ত্রীদের জন্যে গাড়ি কেনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। পুরনো গাড়িগুলির নাকি বেশিরভাগই অকেজো। এক একটা গাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা।

আমাদের মন্ত্রীরা আমাদের চালের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে পারে না, বিদ্যুৎ দিতে পারে না, রাস্তায় জ্যাম কমাতে পারে না, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে কোন ভূমিকা রাখতে পারে না, পারে শুধু বক্তৃতায় গিয়ে গীবত গাইতে আর সংসদের নিজের দলের মাথাকে তেল মারতে। আর এইসব কাজে তাদের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে দিতে হবে।

সরকারি যানবাহন পরিদপ্তরকে দুর্নীতিমুক্ত করা হোক সবার আগে।

সবচেয়ে ভালো হয় মন্ত্রীদের কার্যালয় ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা গেলে। সেইখানে বড়সড় জায়গা নিয়ে তাদের জন্যে ম্যানর হাউস বানিয়ে দেয়া হোক। তারা সেখানেই থাকবেন সেখানেই কাজ করবেন। সচিব থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোয়ার্টারও থাকবে পাশে। গাড়িও লাগবে না, টাকাও খরচ হবে না। অধিবেশনের সময় এমপি হোস্টেলে এসে থাকবেন। মন্ত্রীরা ঢাকায় থেকে শহরটার জ্যাম বাড়ানো ছাড়া কোন কাজের কাজ করতে পারে বলে মনে হয় না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ। একমত।

খাগড়াছড়িকে দেশের প্রশাসনিক রাজধানী করা হোক। মন্ত্রী-আমলা-এমপি সবাইকে সেখানে সুরম্য কোয়ার্টার দেওয়া হোক। দরকার হলে মার্সিডিজ দেওয়া হোক (হেহ হেহ হেহ ঐ রাস্তায় মার্সিডিজ চালাতে না পেরে ঠিকই চান্দের গাড়ির দিকে ঝুঁকবে ব্যাটারা)। রাজধানী ঢাকার ওপর দুষন-চাপ-নেতিবাচক চরিত্রের উপস্থিতি কমানো হোক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সারাহ প্যালিন এখন শেষ জনসভায় রাগ করে যদি সব কাপড় স্টেজে খুলে ফেলেন , তাহলেই সমালোচনাকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে ।

অমিত আহমেদ এর ছবি
হিমু এর ছবি

ম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্ম


হাঁটুপানির জলদস্যু

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এঁইয়া!!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।