ক্যানভাস

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: রবি, ১৮/০৪/২০১০ - ২:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশাল একটি ক্যানভাস।
ধবধবে সাদা।
তার পেছনে উদোম গায়ে দাঁড়িয়ে এক দেয়াল। সে-ও সাদা।
দেয়ালের গায়ে হেলান দেওয়া ইজেলখানা না থাকলে ক্যানভাসকে খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হতো।

ইজেলের বুক ঘেঁষে বসে থাকে ক্যানভাসটি। একটু উসখুস করে এদিক ওদিক চেয়ে দেখে।
সাদা মেঝে আর সাদা ছাদের মাঝে দাঁড়ানো চার দেয়ালের এই ঘরে আপাতত কথা বলার মতো আর কেউ নেই।

ইজেলের হাঁটুর কাছে ছোট্ট টুলের উপর জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে আছে তেলরঙের অনেকগুলো টিউব, তুলি, তিসির বোতল, প্যালেট। ওদের ডাকতে গিয়েও ডাকে না ক্যানভাস। শিল্পী না আসা পর্যন্ত ওদের সাথে আলাপ জমে না তার। থাক। ওরা বরং ঘুমুক। ক্যানভাস ভাবে।

করিডোরের পশ্চিম কোণ থেকে দুটো পায়ের শব্দ হেঁটে আসে।
শব্দ দুটো নিজেদের মধ্যে গল্প করতে করতে এগুতে থাকে দরজার দিকে।
পিঠে হঠাৎ একটা হাতের আলতো ছোঁয়ায় একটু চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকায় দরজা। অচেনা এক কিশোরী মুখ।
দরজাকে সন্তর্পণে পাশে ঠেলে সে উঁকি দেয় ঘরের ভেতর।

ক্যানভাসের সাথে চোখাচোখি হতেই স্মিত হাসে মুখটি।
মনে মনে মুখ বাঁকায় ক্যানভাস। কী আঁকবে এই পুঁচকে ছুঁড়ি? ছোহ!

ধীরে ধীরে আরেকটু ঘুরে দাঁড়িয়ে পথ প্রশস্ত করে দেয় দরজা।
একে একে ঘরে ঢোকে একটি ফিনফিনে সাদা ওড়নাজড়ানো আজানুলম্বিত সাদা কামিজ।
কামিজের ঘেরাটোপে সাদা চুড়িদারে মোড়ানো পা দুটো গল্প থামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ।
তারপর সোজা এসে দাঁড়ায় ইজেলের দুপায়ের মুখোমুখি।

ক্যানভাসের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে কী যেন ভাবতে থাকে মেয়েটি।
ক্যানভাসের খুব বলতে ইচ্ছে হয়, “সাবধান, মেয়ে! অহেতুক রঙ মেখে সং সাজিয়ো না আমাকে।”

মেয়েটি কি বুঝতে পারলো কি না কে জানে? সে আড়চোখে রংগুলোকে দেখে নিলো এক ঝলক। এরপর ঈষৎ ঝুঁকে ইতস্তত আঙুল বুলিয়ে দিলো টিউবগুলোর গায়ে।

লাল টিউব একদম সামনেই চিৎপটাং হয়ে ঘুমুচ্ছিলো। আঙুলের ছোঁয়ায় সুড়সুড়ি লেগে ঘুমের ঘোরেই খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে সে। পাশ ফিরে আরাম করে শুতেই যাচ্ছিলো আবার, হঠাৎ কী যেন কী ভেবে ধড়মড়িয়ে উঠে বসে সে। ঘুম ঘুম চোখে আশপাশে চোখ বুলিয়ে নিয়ে সময়, অবস্থান আঁচ করতে চেষ্টা করে।

হলুদ-সাদা-নীল টিউবগুলো পাশাপাশি শুয়ে ছিলো। তাদেরও ঘুম ভেঙে গেছে। চোখ পিটপিট করে তাকাচ্ছে পরস্পরের দিকে।

কী হলো? কী হলো?

তিসির বোতল তখনো টুলের কোনায় বসে ঝিমুচ্ছে। গাট্টাগোট্টা এক তুলির খোঁচায় একটু বিরক্তি নিয়ে তাকায় সে।

সমস্যা কী?

চোখ নাচিয়ে ইশারা করে তুলি। ঐ যে!

তুলির দৃষ্টি অনুসরণ করে সবার চোখ পড়ে মেয়েটির দিকে। একটা মৃদু গুঞ্জন ওঠে ছোট্ট টুলটাতে। এই পুঁচকে মেয়ে!

খানিকটা যেন হতাশ হয় রংমহল। আজ বুঝি আর খেলা জমবে না।

খেলতে ভীষণ ভালবাসে ওরা।
টিউবগুলোর পেটে ধরে কিংবা লেজ মুড়িয়ে যখন চাপ দেন রং-খেলুড়েরা, রংগুলো খুশিতে খলবলিয়ে গলগলিয়ে বেরিয়ে আসে টিউবের কলার দিয়ে। তারপর প্যালেটের উপর মাখামাখি করে খেলা জুড়ে দেয়।
লাল ছুটে এসে জাপটে ধরে নীলকে। মিলেমিশে হয়ে যায় বেগুনি। সাদা আর কালো জড়িয়ে পাকিয়ে ধূসর হয়ে ওঠে। এমনি আরো কত্ত চেনা-অচেনা রঙের জন্ম হয় প্রতিদিন। প্রতিটা ক্যানভাস জুড়ে ছড়িয়ে থাকে তাদের মাখোমাখো ভালোবাসার গল্প। একেক দিনের গল্প একেক রঙের। তুলির আঁচড়ে গল্প এগুতে থাকে আর পরতে পরতে চমকে ওঠে রংগুলো। নীল জানে না আজ সে আকাশ হবে, নাকি নদী। হলুদ জানে না তার গন্তব্য সূর্যমুখী নাকি কিশোরীর ডান বিনুনির সীমান্ত।

এই বাচ্চা মেয়ে কি অমন মজা করে খেলতে জানে? রঙেরা যখন জমাটবাঁধা রাগে শক্ত হয়ে এঁটে বসে থাকে, তাদের মিলমিশ করে দিতে জানে ও?

রংমহলের উৎকণ্ঠা অবশ্য মেয়েটিকে স্পর্শ করে না। সে উৎসুক চোখে টিউবগুলো নেড়ে চেড়ে দেখে। নাক বাড়িয়ে শুঁকে দেখে তাদের গায়ের গন্ধ।
দাঁত দিয়ে ঠোঁটের কোনা কামড়ে ধরে কী যেন কী ভাবতে ভাবতে বাঁ হাতখানা বাড়িয়ে গাঢ় নীল টিউবটা তুলে নেয়। টুপি খুলে টিউবের শরীরের সবটুকু নীল ঢেলে নেয় ডান হাতের তালুতে। তারপর পাঁচ আঙুল মেলে নীল রঙ লেপ্টে দেয় ক্যানভাসের গায়ে।

“করো কী? করো কী?” খেঁকিয়ে ওঠে ক্যানভাস। “এভাবে কেউ রঙ করে নাকি?”

তুলি ছাড়াই খেলতে নামলো মেয়েটা! তুলিরা ভীষণ অবহেলিত বোধ করে।

মেয়েটা নির্বিকার। সে আপন মনে ক্যানভাসের অর্ধেকটা শরীর জুড়ে নীল রঙ মাখাতে থাকে।
এরপর খানিকটা সাদা আঙুলের ডগায় নিয়ে ঘষতে থাকে নীলের উপর।
সাদা নীলের গায়ে গড়াগড়ি খেতে খেতেই বলে, “ভাই, হচ্ছেটা কী? বুঝছো কিছু?”

নীলেরাও হকচকিয়ে গেছে। কিছু একটা বলতেই যাবে এমন সময় সে আসমানি হয়ে যায় হঠাৎ। ক্যানভাসের পশ্চিম কোণে জন্ম হয় এক টুকরো মেঘের।

একে একে ক্যানভাসে পা ফেলে সবুজ আর হলুদ। দিগন্তজোড়া সবুজ ঘাসবনের বুকে শুয়ে হলদে বুনোফুলেরা পাপড়ি মেলে আকাশ দেখে। মেঘ দেখে। আর দেখে একঝাঁক নবীন পাখি। তুলোট মেঘের ফোকর দিয়ে রোদ গলে পড়ে ক্যানভাসের মাঠ জুড়ে। মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে মাটি ফুঁড়ে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এক অচেনা বয়স্থ বৃক্ষ। শেকড় থেকে গুঁড়ি হয়ে ডালপালা আর ঝিরঝিরে পাতায় ছুঁয়ে যায় তুলির আঁচড়। অতঃপর খানিকটা তর্জনীস্পর্শে আর জায়গায় জায়গায় নখের সযত্ন আঁচড়ে সে চিনে নেয় স্বীয় কলেবর।
একটু থামে এবার মেয়েটা। খানিকটা পেছনে হেলে ছবিটা দেখে নেয় একবার। মাঠজুড়ে সবুজ, আকাশজোড়া নীল, তুলোট মেঘ আর একটা বুড়ো অচিন বৃক্ষ। বেশ।

এবার মাঠের মাঝ বরাবর একটা ধাতব রেলপথ পেতে দেয় সে। এক পা পিছিয়ে ছবিটাকে দেখে আবারো। আর ছবিটা দেখে মেয়েটাকে।

একটা হাসি পা টিপে টিপে এসে চেপে বসে মেয়েটার ঠোঁটে। দু’ঠোঁটের ফাঁক গলে উঁকিঝুঁকি দেয় দুষ্টু একজোড়া দাঁত। ঠোঁটজোড়া গোল হয়ে ফুলে ওঠে। হাসি পিছলে যেতে যেতে নাক বেয়ে বেয়ে চোখে গিয়ে চেপে বসে এবার। চোখ দুটো ঝিলমিলিয়ে হাসতে থাকে। আর ঠোঁটের সুড়ঙ্গ দিয়ে সাঁতরে আসে এক ঝলক বাতাস। ফুঁ! মেয়েটা বাতাস ছড়িয়ে দেয় ক্যানভাসের গায়ে, মাঠের সবুজে, মেঘের সাদায়, বুড়োগাছের চিরল পাতায়।

সবুজ ঘাস আর বুনোফুলেরা দুলে ওঠে। গাছের পাতারা ঝিলমিলিয়ে ওঠে সোনাঝরা হলদে রোদে। মেঘেরা বাতাসের গায়ে চেপে ভেসে বেড়ায় আকাশের এপার ওপার।

রংমহলে ফিসফিস রব ওঠে আবারো। ওরা আকাশের বুকে মেঘ সেঁটে থাকতে দেখে এসেছে এতদিন, ক্যানভাসের গায়ে চলিষ্ণু মেঘ দেখেনি কখনো।

মেঘগুলো খেয়াল খুশিমতো চলতে থাকে সদ্যোজাত আকাশের বুকে।
ডানা ঝাপটে আকাশ পাড়ি দেয় পাখির ঝাঁক।
ঘাস-পাতা-ফুলেরা হেলেদুলে আঁকিবুঁকির ক্লান্তি ঝরিয়ে নেয়।

দেখতে দেখতে ক্যানভাসটা একটা খোলা জানালা হয়ে ওঠে। জানালার ওপারে এক আকাশ মেঘ আর একমাঠ সবুজ হাতছানি দিয়ে ডাকে মেয়েটাকে। ক্যানভাসের রাগও বুঝি ততক্ষণে বেশ নেতিয়ে এসেছে। তাই সে আর বাধ সাধে না। মেয়েটা সন্তর্পণে পা ফেলে ক্যানভাসের মাঠে। ঘাসে পা ছুঁতেই চমকে ওঠে নিজেই। ঘাসেরাও চমকে ওঠে প্রথম স্পর্শের শিহরণে। স্রষ্টা ও সৃষ্টির যোগাযোগের অলৌকিক অনুভব আচ্ছন্ন করে মুহূর্তটিকে।

অপার্থিব সবুজ মাঠ আর আশ্চর্য নীল আকাশকে দুচোখে বন্দি করতে চোখ বোঁজে মেয়েটি। দুহাত বাড়িয়ে দেয় সে। বহমান প্রাণবায়ুকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুটতে থাকে সবুজ মাঠ চিরে। সোনাগলা রোদ গায়ে মেখে। সে ছুটতে থাকে রেলপথ ঘেঁষে। স্বচ্ছ সাদা ওড়না খসে পড়ে ঘাসের বুকে। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই তার। সে ছুটতে থাকে। ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে একসময় শুয়ে পড়ে রেললাইনের পাশে। দূরবর্তী কোন রেলকে কল্পনা করে কান পাতে রেললাইনের ধাতব পাতে। শুনতে পায় অনেক অনেক দূর থেকে ভেসে আসা অনাগত কোনো ট্রেনের শব্দ। ট্রেন আসছে-এই ভাবনাটা তার ভালো লাগে। যদিও সে জানে কো্নো ট্রেন আসবে না আদৌ। কারণ দূরবর্তী কোন ট্রেনের চিহ্নমাত্র স্থাপন করে নি সে ক্যানভাসে।

ঝিক ঝিক শব্দে কান পেতেই আনমনে ঘাড় ঘুরিয়ে বাঁয়ে তাকায় সে। সেই বুড়ো গাছটার দিকে।

তাকিয়েই চমকে ওঠে। একটা শীতল স্রোত নেমে যায় শিরদাড়া বেয়ে। গাছের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আপাদমস্তক কালো পোশাকে মোড়ানো আড়াইটে মানুষ। একজন পুরুষ, একজন নারী। পুরুষটির কোলে একটি শিশু। তাদের পেছনে একটা ভাঙা পাঁচিল। পাঁচিলের পেছনে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। নারী-পুরুষ দুজন তার পরিচিত। কিন্তু তাদের অমন কোন শিশুসন্তান তো নেই! ওদের তো এখানে থাকারও কথা নয়। সে তো ওদের আঁকে নি। দেয়ালটিকেও সে অধিকার দেয়নি ওখানে দাঁড়াবার।

একটা অবর্ণনীয় বিস্ময়মিশ্রিত আতঙ্কে চোখ বোঁজে সে। চোখ বুঁজেই অনুভব করে তার জগতটি থেমে গেছে। একটা শ্বাসরুদ্ধকর নৈঃশব্দ দশদিক থেকে ক্রমশ ঘিরে ধরে তাকে। ফুল-পাখি-ঘাস-পাতা-মেঘ-বৃক্ষ সব থমকে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর ভেঙে পড়তে শুরু করে একে একে। সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। নীল-সবুজ-হলুদ-সাদা আর যত রং গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মিশে যেতে থাকে পাঁচিলের পেছনের অন্ধকারে। অন্ধকারটুকু সঙ্কুচিত হতে হতে হতে হতে ছোট্ট একটি বিন্দু হয়ে পড়ে থাকে ক্যানভাসের কোণে।

শূন্য ক্যানভাস থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে মেয়েটি।

সেই চৌকো সাদা ঘরে।

হতভম্ব রংমহল, আলসে তিসির বোতল, আর অভিমানী তুলিগুলোকে পেছনে ফেলে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে আসে সে। নির্জন অন্ধকার করিডোর ধরে ছুটতে ছুটতে ফিরে আসে চেনা বিছানায়। সকালের রোদ তখন জানালার শার্সি গলে তার বুঁজে থাকা চোখে সাত রঙের বর্ণালি ছড়াতে ব্যস্ত।

.
.
.

[ কৈশোরের এক স্বপ্ন থেকে অনুপ্রাণিত। মূলভাব অক্ষত রাখা হয়েছে। স্বপ্নবিশারদেরা চাইলে ব্যাখ্যা করতে পারেন। লেখার বানান ও ব্যাকরণগত ত্রুটিবিচ্যুতি শুধরে দেওয়ার অনুরোধ রইল।]


মন্তব্য

মর্ম এর ছবি

কী বলবো? অদ্ভুত সুন্দর গল্প। দম বন্ধ করে একটানে পড়লাম।

আপনার আগের যে লেখাগুলো পড়েছি ওগুলো থেকে আলাদা। কবিরা গল্প লিখলে যেমন হয় তেমন স্বাদ পেলাম। লিখে তৃপ্তি পাওয়ার মতো গল্প।

পরের লেখা আরেকটু তাড়াতাড়ি এলে ভালো হয়। হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

বাপ রে! এত্ত প্রশংসা!

পরের লেখা তাড়াতাড়ি আসবে কি না বলতে পারছি না।
মাঝে মধ্যে হুড়মুড়িয়ে লেখা চলে আসে। বাকি সময় ভাবনাগুলো জমাট বেঁধে থাকে। চাইলেও কিছু লিখতে পারি না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অসাধারণ। আমি এটুকুই বলি, বাকিরা অবশ্যই বাকিগুলো বলবে। কিভাবে যে পারেন এমন লিখতে, আপনাদের হিংসেই হয়...

পাগল মন

নাশতারান এর ছবি

এখানে হিংসে করার মত আরো যোগ্য লোক আছেন, ভাই। শুধু শুধু আমাকে হিংসে করে কী লাভ?

লেখা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌অন্যরকম, একদম অন্যরকম গল্প!! বর্ণনার ভঙ্গিটা অভিনব সুন্দর!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদূরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নাশতারান এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ ভালো। অন্যরকম ভালো লাগলো। তবে, কিছু বানান ও ব্যাকরণ ভুল আছে। জানাবো কি?

---মহাস্থবির---

নাশতারান এর ছবি

নির্দ্বিধায়!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দময়ন্তী এর ছবি

চলুক
কি সুন্দর! কি অসম্ভব সুন্দর!
আপনি আমার এই মরাটে রোদের গনগনে গরম বিকেলটাকে এক ঝটকায় একেবারে মেঘ রোদ্দুরের খেলার মাঝে, ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়ার মাঝে নিয়ে ফেললেন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নাশতারান এর ছবি

আপনার এত ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দ্রোহী এর ছবি

বাহ!

একেবারে কবিতার ঢংয়ে লেখা। ভালো লেগেছে।

নাশতারান এর ছবি

লইজ্জা লাগে

আমি কিন্তু বিশেষ কোন ঢংয়ে লিখি নি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

বাহ্‌, মুগ্ধ!!! মুগ্ধ!!! মুগ্ধ!!!মুগ্ধ!!!মুগ্ধ!!!

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পের এই পরিণতিটা আশা করি নাই। ...
আপনার আগের গল্পটা আরো ভাল্লাগসিলো...

অফটপিকঃ ক্যানভাস বুয়েট ০৬' ব্যাচের নাম। নাম পাইরেসির কারণে কাগুর পক্ষ থেইক্যা কইষ্যা মাইনাস...

_________________________________________

সেরিওজা

নাশতারান এর ছবি

ইহা একটি সত্য স্বপ্ন অবলম্বনে রচিত (স্বপ্নটা সত্যি হয় নাই। কিন্তু সত্যি সত্যি স্বপ্নটা দেখেছিলাম।)

তুমি কেমন পরিণতি আশা করেছিলে?

অফটপিকঃ ২০০৬ এর অনেক আগে দেখা স্বপ্ন এইটা। তাই স্বপ্ন পাইরেসির দায়ে বুয়েট ০৬' ব্যাচেরে কইষ্যা মাইনাস শয়তানী হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক
অসাধারণ লাগলো! এমন মায়াভরা লেখা অনেকদিন পর পড়লাম। বিষয়বস্তু, বর্ণনা সবই দারুণ। স্বপ্নময়। খুবই ভালো লেখা। আপনার আরও গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো থাকবেন।

বানান ও অন্যান্য ব্যাপারে:

  • সেও সাদা : সে-ও
  • দু’টো : দুটো
  • দু’পায়ের : দু-পায়ের
  • “ সাবধান, মেয়ে! : “সাবধান
  • তাদেরও ঘুম ভেঙ্গে গেছে। : ভেঙে
  • হলুদ জানেনা : জানে না
  • রঙ্গেরা যখন জমাট বাঁধা রাগে : রঙেরা
  • রংমহলের উৎকন্ঠা অবশ্য মেয়েটিকে স্পর্শ করেনা। : উৎকণ্ঠা। করে না।
  • কর কী? কর কী?” খেঁকিয়ে ওঠে ক্যানভাস।“এভাবে কেউ রঙ করে নাকি?” : (১) করো। (কর/করো আলাদা হলে বুঝতে সুবিধা) (২) ক্যানভাস। “এভাবে
  • তুলোট মেঘের ফোঁকর দিয়ে : ফোকর
  • দু’হাত বাড়িয়ে দেয় সে। : দুহাত
  • দূরবর্তী কোন রেলকে : কোনো (কোন/কোনো আলাদা করে বোঝানোই ভালো)
  • নারী-পুরুষ দু’জন তার পরিচিত। : দুজন
  • স্বপ্নবিশারদেরা চাইলে ব্যখ্যা করতে পারেন। : ব্যাখ্যা

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

বানান ও অন্যান্য ব্যাপারেঃ

  • সে-ও ব্যাপারটা জানা ছিলো না। ইয়ে, মানে...
  • আমি জানতাম দুইটাকে সংক্ষেপে দু'টা/ দু'টো লেখা হয়। বাংলা একাডেমীর অভিধান খুলে দেখলাম দুটো লেখা। Smiley
  • “ সাবধান, মেয়ে! ... ওটা ইচ্ছে করে দেয়া। তা না হলে কেমন যেনো জড়িয়ে যাচ্ছিলো।
  • অভ্রতে "ভেঙে", "রঙে" লেখা যায় না।
  • বানান আর টাইপোগুলো ঠিক করে দেবো কোন একদিন! এখন তো আমার হাত-পা বাঁধা! Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"সেও" বোধহয় ভুল না। কিন্তু শব্দটা পরিষ্কার করে বোঝাতে আমার কাছে মনে হয় "সে-ও" লেখাই ভালো। এটা আমিও নিশ্চিত হয়ে নিবোনে হাসি

অভ্রতে "ভেঙে", "রঙে" লেখা যায় না।
এইটা কী বললেন! এই যে দেখেন- ভেঙে (veNge), রঙে (roNge) হাসি

নাশতারান এর ছবি

আহ! আমার ভুল ধারণা ভেঙে গেলো! রঙে রঙে ভরে উঠলো চারিদিক! Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাসি

আচ্ছা, "সেও" এবং "সে-ও" সম্পর্কে অন্য কোথাও কিছু দেখিনি। আপনার সাথেই নাহয় এখানে আলোচনা করি। অন্যরাও তাঁদের মতামত দিতে পারেন। আমি আমার ধারণাটা বলি।

তার পেছনে উদোম গায়ে দাঁড়িয়ে এক দেয়াল। সেও সাদা।
এখানে তো আপনি দেয়ালকে পারসোনিফাই করসেন "সে"-এর মাধ্যমে। তাই এটা পরিষ্কার করে বোঝাতে আমার মনে হইসে "সে-ও" লেখা ভালো। "সেও" তো এভাবেও বলা যায়, "ঠিকই বলেছো, সেও(/তাও) তো এক কথা।"

ভুল হয়ে থাকলে, বা জানায় কম থাকলে, কেউ না কেউ নিশ্চয়ই শুধরে দিবেন আশা করি। হাসি

নাশতারান এর ছবি

অভিধানে "সেও/ সে-ও" বিষয়ে কিছু নেই। তবে এর কাছাকাছি আছেঃ সেই আর সে-ই।

সেই (বিশেষ কিছু বোঝাতে):
সেই গল্পটা বলেছিল ( He told that story)। বস্তু (গল্পটাকে) নির্দেশ করতে।

সে-ই (বিশেষ কোন ব্যক্তি):
সে-ই গল্পটা বলেছিল ( It's him who told the story)। নির্দিষ্ট করে ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে। গল্পটা ওই ব্যক্তিই বলেছিলেন, আর কেউ নয় অর্থে।

সে সূত্রমতে সেও/ সে-ও বিষয়ে আপনার যুক্তি আমার মতে গ্রহণযোগ্য। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাঙ্কু হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আঙ্গুল গুইনা তারা দাগাইলাম চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নাশতারান এর ছবি

আপনার আঙ্গুল কয়টা? Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্পর্শ এর ছবি

ভালো লেগেছে। চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আজানুলম্বিত, দিগন্তবিস্তীর্ণ এইরকম কিছু ক্লিশে শব্দপ্রয়োগ ছাড়া বাকি সব ঠিকঠাক।

পাঁচালাম।

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নাশতারান এর ছবি

ঠিকাছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

এত দিন যত বিশেষণ শিখেছি সবই প্রয়োগ করতে ইচ্ছে হচ্ছে। এক্কেবারে ভিন্নস্বাদের একটা লেখা, রীতিমত চমকে গেছি পড়ে। আপাতত একটা কথাই বলি- আপনাকে দিয়ে হবে। তাই কোন ক্রমেই ক্ষান্ত দেয়া যাবে না, নিয়মিত লেখা চাই। ভাল থাকবেন।

নাশতারান এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সচল জাহিদ এর ছবি

কৈশরের স্বপ্ন এতদিন পরে এত চমৎকার করে ফুটিয়ে তোলা খুব কষ্টসাধ্য, বিশেষ করে ছোটখাট বিষয়গুলোও যেমন রঙের খেলা, সবুজ খাসের দুলে উঠা, ইত্যাদি যখন বর্ননায় চলে আসে। সাধুবাদ জানাই সেজন্য।

স্বপ্ন বিশারদ নই তবে ভাবতে দোষ কি? একটি প্রশ্ন করি আপনার স্বপ্নের দু'জন মানুষ আপনার পূর্বপরিচিত উল্লেখ করেছেন, জানতে ইচ্ছে করছে তারা কে ছিলেন।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, জাহিদ ভাই। আমার দেখা গোছানো এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্বপ্নগুলোর একটা। তাই মনে আছে।

পুরুষটি আমার এক আত্মীয়। নারীটি তাঁর স্ত্রী। আমার সেই আত্মীয়টি (পুরুষটি) ছিলেন দারুণ মেধাবী একজন মানুষ। লেখাপড়ায় ভালো, দুর্দান্ত ছবি আঁকতেন। তারুণ্যের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল সময়টিতে সবকিছু ছেড়েছুড়ে তিনি আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নেন। ক্যানভাস, রং সব চিরতরে বিদায় নেয় তাঁর জীবন থেকে। ঘটনাটি খুব নাড়া দিয়েছিলো আমাকে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

মনোমুগ্ধকর বর্ণনা ।
চলুক
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কবিতা বুঝিনা দেখে পদ্য এবং ভাবুক ধরণের গদ্য এড়িয়ে চলি। আপনার গদ্যটা একেবারেই পদ্যময়। কিন্তু তারপরও একটানে পড়ে গেলাম। অদ্ভুত ভালোলাগাতে মনটা ভরে গেল।

আমার স্বপ্নগুলো না হয় আপনাকে ধার দেই, আপনি একটু আপনার যাদুর কাঠি দিয়ে সেগুলিকে জীবন্ত করে দিয়েন!

লেখাটা পড়ার সময় 'এস গান শিখি'র একটা গান মনে পড়ল - 'সে এক মজার খেলা, রঙের সাথে রঙ মিলিয়ে রঙ-বেরঙের খেলা'। ইউটিউবে খুজে পেলাম না।

- লাবণ্য-

নাশতারান এর ছবি

আপনার স্বপ্নের বর্ণনা যত যত্ন নিয়েই লিখি না কেন সেটা আপনার মনমত হবে না। আমাদের মনোজগতের সাথে স্বপ্নের যোগাযোগ গভীর। অবচেতন মনের ভাবনাগুলো লেখার সময়ও ছাপ ফেলে যায়।

লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

গানটা আমিও খুঁজে পেলাম না। মন খারাপ

ভালো থাকবেন। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মৃত্তিকা এর ছবি

চমৎকার লাগলো গল্প! আপনার সবচেয়ে সুন্দর ভাবে বর্ণিত লেখা এটি। চলুক

পুরো গল্পের কথোপকথন, উপমা, বর্ণনা সকলই স্বপ্নের মতন সুন্দর লেগেছে। কেবল নারী-পুরুষের আবির্ভাবটুকুর কারণ জানিনা বিধায় পাঠক হিসাবে ঐ জায়গাটাটুকু অপ্রত্যাশিত লেগেছে। তারপরও মুগ্ধ করেছে লেখাটা আমাকে হাসি

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ!

নারী-পুরুষের আবির্ভাবটুকু অপ্রত্যাশিতই।
আরেকবার এক বেলুনওয়ালাকে দেখেছিলাম স্বপ্নে। সে হরেক রঙের বেলুন ফুলাচ্ছে। আমি মুগ্ধ চোখে চেয়ে চেয়ে দেখছি। লাল-নীল-হলুদ বেলুনগুলো ফুলতে ফুলতে বড় হচ্ছে ক্রমশ। বড় হতে হতে হতে হতে হঠাৎ ফেটে গিয়ে ওগুলোর ভেতর থেকে একেকটা দানব বেরিয়ে এলো।
জীবনের অনাহূত ছন্দপতনগুলো হয়তো এভাবেই উঠে এসেছে স্বপ্নে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়বার সময় মনে হচ্ছিলো যেন কবিতা পড়ছি !! চিন্তিত

পাঁচ তারা দিতে চাচ্ছিলাম; কিন্তু আমি অভাগা [নামবিহীন অতিথি লেখক] মন খারাপ

- মুক্ত বিহঙ্গ

নাশতারান এর ছবি

আপনার বিমূর্ত পাঁচ তারা ধন্যবাদের সহিত গৃহীত হইলো।
Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

আমিও বিমূর্ত পাঁচ তারা দিচ্ছি! দেঁতো হাসি
লেখার ঢঙে চলুক
'ক্যানভাস' চোখে পড়লেই রঙতুলি ছুঁতে ইচ্ছে করে...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান এর ছবি

তোমার বুড়া আঙুলের অটোগ্রাফ আর তারকারাজির জন্য ধন্যবাদ!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

আমিও বিমূর্ত পাঁচ তারা দিচ্ছি! দেঁতো হাসি
লেখার ঢঙে চলুক
'ক্যানভাস' চোখে পড়লেই রঙতুলি ছুঁতে ইচ্ছে করে...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান এর ছবি

হে হে ... এইবার বদলাইতে দিমু না দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

না দিলে নাই.. রেগে টং

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

চলুক

তিথীডোর এর ছবি

না দিলে নাই.. রেগে টং

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

দেঁতো হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

চলুক খাইছে

মর্ম এর ছবি

কিছু বলবনা!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মর্ম এর ছবি

মন খারাপ
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মর্ম এর ছবি

বিলকুল বাদ!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

মাথার চুল ছেঁড়ার ইমো নাই?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মামুন হক এর ছবি

স্বপ্নে কল্পনার মিশেল আছে, ব্যাখ্যা করা কঠিন।
গল্প হিসেবে দুর্দান্ত হাসি

নাশতারান এর ছবি

ঠিক ধরেছো। কল্পনা আছে। কিন্তু সেটা কেবল বর্ণনায়। কল্পনা ছাড়া বর্ণনা করবো কী করে?

গল্প হিসেবে যে ভালো লেগেছে সেটাই অনেক। আমি ভয়ে ছিলাম এই ভেবে যে এলেবেলে লিখে স্মৃতির অমর্যাদা করছি কি না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রথমে তো ভাবছিলাম ছবি আঁকার ইস্কুল বুঝি
পরে দেখি পুরাপুরি ইস্কুল না। ইস্কুলের গল্প

গল্পটা অনেক অনেক চমৎকার। কিন্তু প্রথম দিকটা কি একটু লুজ মনে হলো?

নাশতারান এর ছবি

লুজ? Smiley
গল্প আর গল্পকার দুইই তো সবেমাত্র আড়মোড়া ভাঙছিলো। সেজন্য হয়ত।

তারপরেও যে গল্পটা আপনার অনেক অনেক চমৎকার লাগলো সেজন্য আমি অনেক অনেক খুশি।
Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রানা মেহের এর ছবি

বুনো
এত এত সুন্দর একটা গল্প লিখেছো।
ওয়েল ডান আপু
আবার আসলে রাপা প্লাজার অর্ধেক কানেরদুল তোমার চোখ টিপি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নাশতারান এর ছবি

গল্প লিখে আমার প্রথম উপার্জন! Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

লেখাটা পড়ে খুবই মুগ্ধ হলাম! গল্প বলার ভঙ্গীটা সত্যি অসাধারণ! হাততালি

অ.টঃ আপনি এত কম লেখেন কেন? আপনার কাছ থেকে আরেকটু বেশী লেখা চাই।

========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

নাশতারান এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

অ.টঃ আমি মোটেও কম লিখি না। আমি অনেক অনেক মন্তব্য লিখি। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

হাহাহাহা, মন্তব্য তো সবাই-ই অলমোস্ট লিখতে পারে, কিন্তু এই মুগ্ধতাজাগানিয়া গল্প কয়জন লিখতে পারবে?
যাই হোক, পরের গল্পের অপেক্ষায়......

একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

নাশতারান এর ছবি

একটা অফটপিক কথা বলি। আপনার সিগনেচার লাইনটাকে বেড়া দিয়ে আলাদা করে দিলে ভালো হয়। তা না হলে মনে হবে আপনি তাজমহলে আমার ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

ওহ, স্যরি!(এখানে দেওয়ালে মাথা ঠুকার ইমোটা হবে)
মন্তব্য করার সময় সবসময় আমি বেড়াটা দিয়ে দেই, এইবেলা ভুলটা কেন হল, কি করে হল, সেটা অদৃষ্টের উপর ছেড়ে দিলাম! চোখ টিপি

বাই দ্য ওয়ে, সিগনেচারে পারমানেন্ট বেড়া কি দেওয়া সম্ভব? সিস্টেম আছে নাকি কোন?

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

নাশতারান এর ছবি

নীড়পাতা » অ্যাকাউন্ট»সম্পাদনা»সিগনেচার: পর্যন্ত গিয়ে ওই ঘরে এটা কপি-পেস্ট করে দিনঃ (বেড়াসহ)
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ! মহাযন্ত্রণা থেকে বেঁচে গেছি! হাসি

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নাশতারান এর ছবি

ওই বয়সে সবারই অমন একটা ব্যক্তিগত ছবি থাকে। বয়সও নাই, ছবিও নাই। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

দারুণ... চলুক

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ... হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

গল্পটি কেবল ভালো আর চমৎকারই নয়, ঈর্ষা জাগানিয়া।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নাশতারান এর ছবি

এমন ভূয়সী প্রশংসার প্রতিক্রিয়া কীভাবে জানানো সঙ্গত বুঝতে পারছি না। আপনার এতটা ভালো লেগেছে জেনেই খুব ভালো লাগছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ওডিন এর ছবি

চ-ম-ৎ-কা-র- !

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

নাশতারান এর ছবি

ধ-ন্য-বা-দ- !

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বাহ! বড্ড ভালু লাগলো! রানাভাই রাপার সব কানের দুল তোমাকে দেবার পরে দুয়েকটা আমারেও মাঝে মধ্যে ... ইয়ে, মানে... ইউ নো! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নাশতারান এর ছবি

রানাভাই রাপা প্লাজার অর্ধেক কানের দুল আমাকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাকি অর্ধেক তার কাছ থেকে বুঝে নিও। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এত সুন্দর কিভাবে লেখেন?জানতে ইচ্ছে করে।
আশ্চর্য !!!

নাশতারান এর ছবি

হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলবো,বুঝতে পারছিনা।এক কথায় অসাধারন।একেকটা ঘটনা বিভিন্ন দিক থেকে এত সুন্দর করে দেখা এবং তা আবার লেখায় প্রকাশ।অদ্ভুত ভালো বর্ণনাভঙ্গি।এই গল্পটা পরে বিমল মিত্রের লেখা মনে পরে গেলো।

ভালো থাকুন।অনেক ভালো,সবসময়।

[বিষন্ন বাউন্ডুলে]

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।