চট্টগ্রামের মহাদুর্যোগ নিয়ে সচলায়তনে কয়েকটা কথা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বুধ, ১৩/০৬/২০০৭ - ১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
প্রথমেই বলে রাখি আমার ধারণার কথা। সচলায়তনের অনেকেই এখনো এক্সপ্লোরারের পাশাপাশি ব্রাউজারে কিংবা ফায়ারফক্সের অন্যট্যাবে সচলায়তনের পাশে সামহোয়্যারকে খুলে রাখেন কিংবা পাশাপাশি পরিব্রাউজ করেন। এখন যারা সামহোয়্যারে বিচরণ করেন তারা অবশ্যই সেখানকার অনেককিছু নিয়েই ওয়াকিবহাল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারেও। আমি নিজে খানিকটা অবাক হয়েছি সামহোয়্যারের মতো সচলায়তনে কেনো চট্টগ্রামের মহাবিপর্যয় নিয়ে কোন পোস্ট হয়নি, কেনো সেই ইস্যুতে আলাপ হয়নি সচলায়তনে! এই অবাক হওয়া থেকেই আমার ধারণাটার উৎপত্তি। সচলায়তনে আলাপ করে চট্টগ্রামোদ্ধারে শামিল হয়নি বলে যে কেউ একেবারেই বসে থাকেনি তার প্রমান ইতোমধ্যেই সামহোয়্যারে প্রকাশ পেয়েছে। এখন আমরা কেউ যদি গোঁ ধরে থাকি কেনো আমাদের মডারেটর বিহীন, বাকস্বাধীনতার জন্য ডেডিকেটেড সচলায়তনে কেনো এটা নিয়ে পোস্টের পর পোস্ট পড়লো না, আদতে কিছু করি বা না করি- কেনো আমরা দেশোদ্ধার মার্কা পোস্ট করলাম না, তাহলে অবশ্যই সেটা ভালো কথা নয়। দেশের বাইরের সচলায়তনের অধিকাংশ সদস্য কি করতে পারে চট্টগ্রামের এই মুহূর্তে? যদি আলোচনাটাই একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে সেই আলোচনায় অংশ না নিয়ে আমি ভালোই করেছি বলবো। সামহোয়্যারে প্রকাশিত আরিলের পোস্টের ব্যাপারে বলি, সেখানে খুব সূক্ষ্মভাবেই কটুক্তি করা হয়েছে 'যারা গালাগালি করে' তাদের প্রতি। লক্ষ্য করুন এই গালাগালি করে বলতে শমশের কিংবা আঈজুদ্দিনকে বুঝানো হয়নি মোটেও। আর তার সেই পোস্টের মূল বিষয় ছিলো সামহোয়্যারকে রিপ্রেজেন্ট করা, মহাবিপর্যয়ের চট্টগ্রামকে সাহায্য করা ছিলো সেকেন্ডারী উদ্দেশ্য। এই আলোচনার চাইতে আমার বরং বেশি এফেক্টিভ মনেহয়েছে দৃশার নেয়া ইনিশিয়েটিভ কে। যাইহোক, আরিলের করা পোস্টটা তার নিজের লেখায় নয়। তাই আমরা কেউ যদি ভেবে থাকি সে একজন বিদেশী হয়ে আমাদের নিয়ে ভাবছে তাহলে হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে আমাদের।

মন্তব্য

হযবরল এর ছবি
সামহোয়্যারে কেউ দেবার আগেই সচলায়তনে পোস্ট পড়েছে রে গোধূ। আমার শেষ পোস্ট দেখ।
ধুসর গোধূলি এর ছবি
ওয়েলডান হযুদা। তাইলে আরিল কেমনে আমাদের গালে কষে চড় বসালো বুঝলাম না! _________________________________ <স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
হযবরল এর ছবি
কারণ আমি সামহোয়্যারে দিই নাই।
হিমু এর ছবি
কে আগে পোস্ট দিলো, পোস্টে কী বললো, তাতে করে আসলে ব্যক্তিগত তুষ্টি উদ্ধার ছাড়া দুর্গতদের কিছু হয় না। আমি চট্টগ্রামের কথা জেনেছি অনেক দেরিতে। কারণ, কামলা খাটি অন্ধ গাধার মত। চট্টগ্রামের যা পরিস্থিতি দেখলাম আর শুনলাম (আমার ভাইও দুর্গতদের একজন), তাতে করে মনে হচ্ছে সেনাবাহিনীর মতো বড়সড় কর্মীদল দরকার হবে। স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে এসেছেন ইতিমধ্যে, কিন্তু এই বিপর্যয় মোটামুটি অভূতপূর্ব। খাবার পানির সংকট একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে নাকি।
ভাস্কর এর ছবি
আরিলের এই হঠাৎ আহ্বান এক্কেরে নিস্পৃহ আহ্বান না...ব্লগের উদ্ভট ঝামেলার অবসানের চিন্তাও তার মাথায় খেলছে... ----------------------------------------------------- বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!

স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

অমিত এর ছবি
ভাস্কর ভাই, খারাপ লাগে বলতে, কিন্তু সেটাই। ছাগুজির লাফঝাপও খিয়াল কইরা।
ধুসর গোধূলি এর ছবি
হিমু বিলিভ মী, আমি সেটাই ফোকাস করতে চেয়েছি। সামহোয়্যারে আরিফ ভাইয়ের লেখার একটা প্যারা আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমি খুশি হবো যদি বুঝতে পারি যে আমার ইন্টারপ্রিটেশনে ভুল আছে। ভাস্করদা, আরিল অবশ্যই একটা উদ্দেশ্য আছে, সেটাই উল্লেখ করলাম। তার পোস্টের শেষ কলামটা দেখেন "... there is no lack of engagement and campaigning among you guys, when it comes to debating posts deleted and not deleted. we acknowledge that you are giving somewhere in… blog some pretty bad blows these days in discontent, and that we have to engage ourselves more to repair the ship. you are proud bangladeshi´s, so are we, even me! we take great pride in the blog community, and we strongly believe that this ship can sail the seven seas and be noticed and admired wherever it goes. come on, lets repair the sails and the ship, bring back the spirit, and set out for a long journey together towards the youniverse!..." _________________________________ <স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
ধুসর তো ভীষণ কুটিল। কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়া নিয়া আসে। যাক আমারে মাঝে মাঝে আংকেল ডাকে, বেশি কিছু কইলাম না।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আমি আবার কূটনামি কখন করলাম? :( আরিল মামার নাম নিয়ে কে জানি লেখছে (শেষের শব্দটা দেখেন, স্পষ্টই বুঝা যায় কারো কাছে শুনে টাইপ করা)। সেখানে খুব সুন্দর করে খোঁচা মারাটা পরিলক্ষিত হলো। আমি আপনারে আংকেল ডাকি বুঝি 'আংকেল শোমচৌদা'! :) _________________________________ <স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
হিমু এর ছবি
আরিলের এই হঠাৎ উচ্ছ্বাসের পেছনে কি সচলায়তনের কোন ভূমিকা থাকতে পারে?
হযবরল এর ছবি
তোর মাথা খুলছেরে হিমু। আমি গলা ফাটাইছি যে ডিসেম্বরে একটা পতাকা ঝুলা এই োদনার পোরা ঝুলাই নাই। আজকে আরিল ঘুম থেইকা উইঠা দেশের জন্য কানতে লাগব সেইটা আমারে বিশ্বাস করতে কস। অনেকের সামহোয়্যার ত্যাগ, সচলায়তন , সাদিকের ক্রেজিনেস সব একই সুতায় বাঁধা।
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
ভাল অবজার্ভেশন হযুদা। একমত।
ভাস্কর এর ছবি
আমার মনে হয় না...সে এমনেই ব্লগের ঐ পোস্ট মুছনের ঝামেলাটা দূর করতে চাইতেছিলো...ল্যান্ড স্লাইড তারে মওকা দিছে... ----------------------------------------------------- বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!

স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

হাসিব এর ছবি
অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
ভাবছিলাম, চোরের লাইন এইহানে ধরুম না। তয় একখান হাচা কতা কই, আরিলের পোস্ট 100% পলিটিক্যাল। চট্টগ্রামে দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে ব্লগারদের একতাবদ্ধ করা টাইপ একটা চান্স নিতাছে। ব্যাপারটা পাগোলেও বুঝবে। জেবতিক আরিফ ভাই আবার একটা কনফিউজিং পোস্ট দিয়েছেন। বিদেশীগো অতো মাথায় উঠানোটা কেন আমি বুঝতে পারি নাই। আমার আবার অতো আবেগ-ফাবেগ নাই। আগে চিন্তা কইরা দেখুম, ম্যাক্সিমাম কি করতে পারুম। কিছু না করতে পারলে চুপচাপ বইয়া থাকুম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হযবরল এর ছবি
বলাই ভাই আমার কথা কইয়া দিলেন। চট্টগ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ ব্লগাররা। কারো জানা ইতিহাসে চট্টগ্রাম শহরে এত পানি দেখে নাই। প্রবর্তক মোড়ের কাছেই আমার বাসা ঐখানে এক মানুষের বেশী পানি। আমার আপন-দূর সবাই এফেক্টেড এই বানে। এখন যাগো বাসা দুই-তলায় আছিলো , সেখানে এক বাসায় দুই-তিনটা কইরা ফ্যামিলি। শুয়োরের বাচ্চারা পাহাড় কাটা আর আর খালি যত্রতত্র মলমূত্রের ন্যায় মার্কেট বানাইছে। এইগুলি হইলো কারণ। চট্টগ্রামের ভেতর দিয়া এক নদীর সাইজ একটা ড্রেন আছে শহরের পানি নিষ্কাশনের লাইগা। নূহ নবীর প্লাবন ঠেইকাইতে পারে এই ড্রেন, কিন্তু চোদনার পোরা জায়গায় জায়গায় ড্রেন চিপা কইরা দিছে জায়গা দখলের লাইগা। যা কইতাছি সব পেপারে পাইবেন কদিন বাদে, তদন্ত প্রতিবেদন আকারে দিবে।
শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
বলাই, কথা একদম সত্য। প্রাপ্তির অভিজ্ঞতায় সে চট্টগ্রাম নিয়া একটা নতুন সাড়া জাগাতে চায়। তবে তার জায়গায় থাকলে আমিও এটাই করতাম। এইটাই উপায়।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুমন চৌধুরী এর ছবি
হ ....................................... ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
হাসান মোরশেদ এর ছবি
পোষ্ট পড়লেই বোঝা যায়,পলিটিক্যাল ট্রেন্ড । একটা প্রসঙ্গ সামনে এনে আরেকটাকে ঢাকা । চট্রগ্রাম দুর্যোগ নিয়ে যদি তারা মুভ করে ভালো কথা, কেউ যদি এই মুভমেন্টে যে কোনো কারনেই অংশ না নেয় কিংবা না নিতে পারে সে জন্য তার আগের মুভমেন্ট হারাম হয়ে যায় নাকি? কথা ঐটাই । রেজোয়ান কন্সাল্টেন্ট । ইদানিং সাদিক আর ছাগু দুজনেই মডারেটর । -------------------------- আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সৌরভ এর ছবি
ধূগো, কথা সত্যি। আরিলের ডাকে সাড়া দিতে গিয়া অনেক ছেড়ে যাওয়া ব্লগারও হাজির হইসে। আমি নিজেও লগইন করছিলাম, সাড়া দেয়ার জন্যে। তো, ব্যাপারটার উদ্দেশ্য-বিধেয় ভালো রকমই পরিষ্কার। দেখবেন, দুইদিন পর ছাগু এইটা নিয়া পোস্ট দিবে, বলবে - এইসময় মুক্তিযুদ্ধের নামে ফেনা তুলে ফেলা ব্লগাররা ছিলো কোথায়? এই পোলা ভাল ঘাগু আছে। রোকন হওয়ার রাস্তা ফকফকা। ------ooo0------ বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ..

আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।