ধন্যবাদ

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৬/২০১২ - ৬:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধন্যবাদ কথাটার ব্যবহার আমাদের সংস্কৃতিতে বহুল নয়। মেয়েকে ধন্যবাদ শেখানোর জন্য সব কাজে অকাজে ধন্যবাদ দেই আমি। মেয়ের মা হাসপাতালে। দু’টুকরো রুটিতে বাটার মেখে খেয়ে অনেকেই নিশ্চিন্তে ঘুমায়। ভেতো বাঙ্গালির তাতে চলে না। শুভ জোড় করে বলেনি, তবে ওনা-পানা করেছে যে, দো’রুটিতে তার পেট ভরে না। তাই আজ একটু ডাল-ভাত নিয়ে যাব তার জন্য। ডাল সিদ্ধ হয়নি ভাল করে। তাড়াতাড়ি করার জন্য অন্য চুলায় বাগার দেয়ার রসুন ভাজা হচ্ছে তেলে। আমার থেকে ভাল পারে বলে আঁচল ডাল-ঘুটুনি নিয়ে ডাল নাড়ছে। গরম ডাল ছিটকে তার গায়ে লাগতে পারে সেই ভয়ে আমার সমস্ত মনোযোগ সেখানে। এদিকে বাগারের রসুন পুড়ে ছাই। আঁচলকে জোড় করে চুলো থেকে দূরে বসিয়ে বললাম;
ধন্যবাদ তোমার সাহায্যের জন্য। আর কিছু করতে হবে না তোমাকে।
আসলে ধমক। আঁচল জানে বাবা এর চেয়ে কঠিন করে আর কিছু বলতে পারে না।

অভিমানে মুখ বেজার করে মেয়ে বলছে;
তুমি পচা বাবা। মাকে এনে দাও। আমি কিছুই করব না, শুধু মা-র কোলে চুপ করে বসে থাকব।

রাতে ঘুম হয়নি ভাল। অনেক হাতি-ঘোড়ার পিঠে আঁচলকে বসিয়ে বনে-বাদারে বাঘ-মহিষের সাথে খেলতে পাঠিয়েছি গল্পে। গপ শুনতে শুনতে সে ঘুমিয়ে পড়েছে। মায়ের খোঁজ করেনি। গত রাতে আমার সব ক্লাইম্যাক্স, ড্রামা থামিয়ে আঁচল বলে; বাবা মা কোথায়? খুব অসহায় লাগে। আমি ভাবতে চেষ্টা করি এর চেয়ে অসহায় কোন মানুষের কথা।

শত্রু চারিদিকে। এতটুকু শব্দ হলেই গর্জে উঠবে রাইফেল। ভয়ে স্তব্ধ সবাই হা করে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছে। নাক দিয়ে নিলে শব্দ বেশী হবে। ভয়ে শিশুটি চিৎকার করে উঠেছে। নৌকায় আরো অনেক মানুষ। শিশুটির চিৎকারে শত্রুরা গুলি ছুড়লে একটি শিশুর জন্য প্রাণ বিপন্ন হবে আর সকলের। রক্ত-চক্ষু নিয়ে সবাই মায়ের দিকে তাকাচ্ছে। শিশুটির কান্না থামানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে মা তাকে কিছুক্ষণের জন্য পানিতে ডুবিয়ে রাখেন। শিশুটির কান্না বন্ধ হয়। চিরতরে।

পায়ে জুতো না থাকলে যার পা নেই তার কথা ভাবতে শিখেছি আমরা। সে ভাবেই জীবনের কঠিন সময় গুলোতে আমি আমার চেয়ে দুঃখী মানুষের কথা ভাবি। বাবা যখন একটি বারের জন্য দেখতে চাইলেন, তখন আমার অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেতে পারব না। আর কটা দিন যাক। এভাবেই তাঁর সাথে শেষ দেখা আর হল না। আমাকে দেখা ছাড়া আর কোন আক্ষেপ বাবার থাকার কথা নয়। আমাকে নিয়ে যে কোন আশাই বৃথা। এতদিনে বাবা তা বুঝে গেছেন। বিশেষ ভালবাসাও আমাদের মধ্যে ছিল না কখনো। বাবা একটা থাকে সবারই। আমারও আছে, এই যা। তবু বাবা তো ছিলেন। অনন্তকাল তো আর কেউ বেঁচে থাকে না। কিন্তু বাবার স্মৃতি যে ছেলেটার মনে নেই। কী করে কোথায় বাবা মারা গেল, এই বিষয়টাই যে জানে না। তিরিশ লাখ মরা মানুষের ক’জনের ছেলে-মেয়ে আছে তা জানিনা। কিন্তু দুটো ছেলের কথা জানি, যারা তাদের বাবা কোথায় কী ভাবে মারা গেল তা জানে না। বাবা যে মারা গেছে সেটাই জানে না তারা। তাদের মা এখনো কপালে সিঁদুর পরেন।

২০০৩ সালে ব্লগের কথা জানতাম না। লিখতে শুরু করলাম, আমার দেখা-শোনা ঘটনা নিয়ে তাদের এবং আমার কথা। আনিস ভাই পড়েন, উৎসাহ দেন। তারপর কম্পিউটার এলো। বাংলা লেখার ব্যবস্থা হল। ব্লগ এলো। চির তরুণ আনিস ভাই সব নতুনের খবরটা সবার আগে রাখেন। একদিন লিখতে শুরু করলাম সামুতে। তখনও বিচ্ছিন্ন ব্লগ। অনেকেই ভাল বলেন। আমি টাইপ করতে থাকি। রাজাকারের উৎপাতে সামুতে লেখা কঠিন। ধারাবাহিক লেখা রেখে, রাজাকার তাড়াতেই সময় চলে যায়। সচলায়তনের সদস্যপদ পেলাম আনিস ভাইয়ের সুপারিসেই। তখন সচলায়তনে লেখক-পাঠক অনেক কম ছিল। এখনকার মতো নিজের যোগ্যতায় সচল হতে হয় নি আমাকে। সেটা হয়তো সম্ভবও ছিল না। সামুতে অনেক পাঠক লেখকের সাথে পরিচিত ছিলাম বলে, শুরু করলাম ডুয়েল পোস্টিং। সামুতে যা লিখি, সেটাই সচলে মেরে দেই একই সময়ে। দু’নৌকায় পা দিয়ে বেশী সময় চলতে পারলাম না। ধরা পরে গেলাম একদিন। মডুরা তখন স্বনামেই মোডারেট করতো। হিমুর ধাতানি খেয়ে চলে গেলাম আবার সামুতে। কিন্তু বেশী দিন টিকতে পারলাম না। আবার ফিরে এলাম। এবার স্থায়ী ভাবে।

সচলায়তনের মান সম্পন্ন লেখা আমি কোন দিনই লিখতে পারব না। আমার অত্যাচার মুখ-বুজে সহ্য করে সচলায়তন। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর সচল খাতা যারা খুলেছেন তাঁদের মধ্যে সবার আগে মনে পড়ে জুবায়ের ভাইয়ের কথা। দেখুন জুবায়ের ভাই, আপনার সচলায়তন। বিশাল সচল পরিবারের আমিও একজন। সত্যি বলতে কী; সচলায়তনে লিখি, আমি একজন সচল, এটাই আমার গর্ব। অনেক লেজ ওয়ালা কমরেড বিপ্লব করে গেছে সচলায়তনে। তাদের লেজ দেখতে পেয়েছি মেহেরজান চলচ্চিত্রের কল্যাণে। ঐ লেজ ওয়ালা কমরেডদের সুনিপুণ গদ্যে বিভ্রান্ত হয়ে আমরা অরূপ কামালকে এমন চিপা দিলাম যে, ও সচলায়তনের বিশাল পরিবার ছেড়ে পালাল।

স্বপ্নের রোদের মতো সচল আসবে যাবে সচলায়তন তবুও চলবে। কিন্তু অরূপ কামালের শূন্যতাটা থেকে যাবে। আশা করি তিনি একদিন তাঁর বিশাল পরিবারে ফিরবেন। মডুদের সাথে আমার মধুর সম্পর্ক ছিল না কখনো। হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। শুধু বুঝতে পারি, কত সময় তারা এর পেছনে ব্যয় করেন।

আমার চক্ষুলজ্জা নেই। কোন কিছু না জানলে সাহায্য চেয়ে সচলে একটা পোস্ট দেই। বলাই বাহুল্য, সে সব সুলেখ্য বা সুখপাঠ্য হয় নি কখনো। কিন্তু তারপরেও অনেকে অনেক তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। কৃতজ্ঞতা তাদের কাছেও।

গুন্টার গ্রাস লেখক হয়েছেন; কারণ তিনি বিশ্বাসযোগ্য করে মিথ্যা বলতে পারেন। আমি দেখা-জানা বিষয়টাই যেমন করে ঘটেছে বা যেমন করে দেখেছি, তেমন করে লিখতে পারি না। লেখার জন্য অভিজ্ঞতা বা পর্যবেক্ষণ অবশ্যই জরুরী। কিন্তু তার চেয়ে বেশী জরুরী সুন্দর উপস্থাপন। যা আমি পারি না। তিরিশ পর্ব শেরালী সচলে দিয়ে আমার অনেক উপকার হয়েছে। অনেকে অনেক ভাবে আমার লেখার ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই সে সব সচলদের। কিন্তু শেষের দিকে দেখলাম ৫০ টার বেশী ক্লিক আর হয় না। সচলে দেয়া বন্ধ করলাম। সময় এবং সুযোগ পেলে লিখি। কিন্তু কোথায় গিয়ে থামতে হবে তা আর ভেবে পাই না।

এর মধ্যে মাহবুব লীলেন একটা পোস্ট দিলেন। “মাউগো মা, মাইয়া লোকের উপর এতো অইত্যাচার কিয়ের লাইগ্যা”। স্বাধীনতার পরে ৭২-৭৩ সালে কিছু মহিলা এবং পুরুষ পাগলের আবির্ভাব হয়। যুদ্ধের বিভীষিকায় অনেকেই মানুষিক ভারসাম্য হাড়িয়ে ফেলে। বীরাঙ্গনারা অনেকেই নিজের পরিবার এবং সমাজে স্থান পান নি। তাদের একটা বড় অংশ ভবঘুরের মতো জীবন বেছে নিতে বাধ্য হন। তাদেরই একজনের প্রলাপ শুনেছেন মাহবুব লীলেন। তাঁর গল্পটা কী হতে পারে? কেন তিনি ঐ প্রলাপটি বকছেন? এর সম্ভাব্য কারণ আমরা উদঘাটনের চেষ্টা করেছি তাঁর তৃণতুচ্ছউনকল্পে।

আমি শেরালীর মায়ের গল্পটা এর আগ পর্যন্ত লিখেছি। মাহবুব লীলেনের বলা ঐ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে আমাদের এলাকার লোকে। তাই আমি শেরালীর মাকে তুলে দেই মাহবুব লীলেনের হাতে। শেরালীর মায়ের একটা পরিণতি হয় গেল।

২০০৯ এর মাঝামাঝি শেরালী শেষ। কিন্তু ছাপার আগে কারো মতামত জানা উচিত। আনিস ভাই আর শুভ কে এতো বিরক্ত করেছি যে, এরা শেরালীর কথা শুনলে আমাকে তেড়ে মারতে আসে। কী করি। এর মধ্যে নাম নিয়েও সমস্যায় পড়লাম। এদিক ওদিক করেও কোন লাভ হল না। সুযোগ বুঝে ধরলাম ষষ্ঠ পাণ্ডবকে। তাঁর আসলে এতো শ্রম এবং সময় দিতে হবে সেটা তিনি তখনো টের পাননি। আমতা আমতা করে রাজি হয়ে গেলেন। কিন্তু সময় চাইলেন। সময়ের আমার কোন অভাব নাই। আমার বই পড়ার জন্য পাঠক হা করে বসে নেই।

মেলা দিন বাদে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া জানালেন। প্রথমেই প্রথম দশ-পনর পৃষ্ঠা বাদ দিতে হল। আরো কিছু এদিক ওদিক করতে হল। নতুন অধ্যায় যোগ করতে হল। আমার বিবেচনায় যখন সব ঠিকঠাক, তখন আবার পাঠালাম। কিন্তু তিনি আরো কিছু পরিমার্জনের সুপারিশ করলেন। তাও করলাম। আবার পাঠালাম। আবারও কিছু সংস্কারের সুপারিশ। এদিকে আমার বারটা বেজে গেছে। ঘর থেকে চরমপত্র পেয়ে গেছি। হয় শেরালী না হয় সংসার। সারা রাত জেগে লেখার সময় কী বোর্ডের নীচে তোয়ালে বিছিয়ে নিয়েছি যাতে ঠক ঠক শব্দে মেয়ে আর মেয়ের মায়ের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। এদিকে বানান দেখার জন্য পাঠিয়েছি মূলত পাঠকের কাছে এক কপি। বাঙ্গালী হাত দেখলে কব্জি গিলে। সে ভাবে প্রচ্ছদ করার অনুরোধও করলাম তাঁকে। তিনিও না করতে পারলেন না। কিন্তু তখন ভেবেছিলাম শেরালীর নাম হবে বীরাঙ্গনার নবান্ন। সব ঠিকঠাক। কিন্তু বাড়া ভাতে ছাই দিলেন ষষ্ঠ পাণ্ডব। নাম কিছুতেই বরাহ শিকার হতে পারে না। নাম করলাম বীরাঙ্গনার নবান্ন। সেটাও ঠিক না। তার সাথে যুক্ত হল আরো কিছু পরিবর্ধন পরিমার্জন। মুরব্বীর কথা না শুনে উপায় নাই। আমি রাত জেগে লিখি। সকালে মেয়ে এসে বলে; বাবা উঠ।

প্রথম ৫০ পৃষ্ঠার শুদ্ধ বানান আর পাণ্ডবদার পরামর্শ এক করে আমি মেইল দিলাম নজমুল আলবাবকে। পাণ্ডবদাকে আর কোন কপি পাঠাইনি। আর কোন পরামর্শ গ্রহন করার ক্ষমতা আমার ছিল না। সমস্যা হল আমি লিখেছি অভ্রতে, কিন্তু ছাপার জন্য কনভার্ট করতে হবে বিজয়ে। কনভার্ট করলে বিজয়ে অনেক বর্ণ-শব্দ ভেঙ্গে যাচ্ছে। অনেক আঞ্চলিক শব্দ আগের অবস্থায় আনা যাচ্ছে না। তার পরেও তাদের চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। প্রকাশক ফোনে আমাকে না পেয়ে, ফোন দিয়েছেন হিমুকে। হিমু ফোন দিয়েছে বাসায়। শুভ অপু ভাইকে ফোন করে যা জানল, তা হল তিনি শুধু আমার সাথেই কথা বললে তার সমস্যার সমাধান হবে। অন্য কারো সাথে নয়। আমি কাজে এবং কাজের যায়গায় নেট নাই। পরদিন ফোন করলাম প্রকাশককে। তিনি বললেন; এখানে নামটা কী আবু কর হবে নাকি, আবু বকর হবে? ফন্টের কারণে যেখানে সব ভেঙ্গে গেছে, সেখানে আবু বকর ভেঙ্গে আবু কর হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ভদ্রলোকের নাম ছিল অবনী মোহন কর। কোন এক অদ্ভুত কারণে লোকে তাঁকে আবু কর বলতো। যুদ্ধের বিভীষিকায় তিনিও মানুষিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।

এতো মনোযোগ পাওয়ার মতো লেখক আমি নই। তাদের যত্নের এবং চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। বইটার ছবি দেখে বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে, এটা আমার শেরালী। শেষ পর্যন্ত বইয়ের নাম শেরালীই রইল। বীরাঙ্গনা, বীরাঙ্গনার নবান্ন নামে মূলত পাঠক প্রচ্ছদ করে পাঠিয়েছেন। কৃতজ্ঞ তাঁর কাছে। কিন্তু অপু ভাই উঁজান গাকে দিয়ে করালেন শেরালী নামের প্রচ্ছদ। ব্লেক মেইল করে পাণ্ডবদার কাছ থেকে লিখিয়ে নিয়েছি ভূমিকা। বই মেলার শেষের দিকে মেলায় এলো শেরালী। সেখানেও নিজ সন্তানের মতো যত্নে শেরালীকে সবার সামনে তুলে ধরেছেন পাণ্ডবদা। যোগার করেছেন আরো অনেক সচল। যে যার মতো সহযোগীতা করেছেন শেরালীকে। সুন্দর ছবি তুলে দিয়েছেন হাসিব হক। সবার কাছে আমি বিশেষ ভাবে ঋণী। তা সম্ভব হয়েছে সচলায়তনের জন্য। সচল কবি শেখ জলিল ভাই বলেছিলেন, “ভালবাসা দেখা যায়”। আমি ভালবাসার যোগ্য কেউ নই। তার পরেও আপনাদের ভালবাসা পেয়েছি। জীবনে অনেক সংকীর্ণতা নিয়ে জন্মেছি। তা সব সময় আড়াল করতে পারি না। অনেক সচল আমার দুর্বলতা দূর করার চেষ্টা করেন। সব সময় তা সফল হয় না, আমার মূর্খতায়। কিন্তু সে চেষ্টাটা আমি টের পাই। আর সে জন্য সবাইকে অসীম কৃতজ্ঞতা এবং অসংখ্য ধন্যবাদ।

ছবি: 
10/18/2007 - 10:08অপরাহ্ন

মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শেরালী মোবারক আবারো।

তীর্থের কাকের পরবর্তী পর্ব কদ্দুর?

পুতুল এর ছবি

তীর্থের কাক নিয়া কোন কথা বলতে আর সাহস পাইনা বস। মাস খানেক আগে একবার বসছিলাম কিন্তু লিখতে পারলাম না। মাথাটা একটু খালি করতে হইব আগে। নভেম্বরের আগে মনে হয় পারব না।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কি রে পাণ্ডব, তোমাকে তো জটিল দেখাচ্ছে।

পুতুল ভাই, এই বই পাওয়া যেতে পারে কোথায় একটু বলবেন কি? একটা সংগ্রহ করতে চাই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পুতুল এর ছবি

সচল নজমুল আলবাব অপু ভাইয়ের কাছে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ক্রেসিডা এর ছবি

শুভকামনা।

বই কোথায় পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে কিছু বলবেন আশা করি।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

পুতুল এর ছবি

বইটা পেতে ডায়াল করুন ০১৭১১০৪৩৪২৮ এই নাম্বারে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ। একটু ফ্রি হয়ে জোগা্ড় করে নেব।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তাসনীম এর ছবি

শেরালীর জন্য অভিনন্দন আবারো।

আপনি মন থেকে লেখেন, অকটপ সরলতা নিয়ে - খুব ভালো লাগে। যেটা মনে দাগ কেটে যায় সেটাই আমার কাছে সাহিত্য। লিখতে থাকুন - সংসার, প্রবাস জীবন, কর্মজীবন এই সব কারাগারের মাঝে লেখাটা কি দুরূহ কাজ সেটা বুঝি, তবুও সচল থাকুন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ বস। চেষ্টা করব।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আশফাক আহমেদ এর ছবি

শেরালী পড়তে হয় দেখছি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

পুতুল এর ছবি

হেলায় সুবর্ণ সুযোগ হারাবেন না, তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন আশফাক ভাই।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তারেক অণু এর ছবি

উত্তম জাঝা! বইটি পড়তে চাই, অনলাইনে বা লন্ডনে কেনার ব্যবস্থা থাকলে জানিয়েন। অভিনন্দন।

আচ্ছা লিটল প্রিন্সের যে অনুবাদ এইটা কি আপনারই করা? ( মনে হয় শুদ্ধস্বরের)

পুতুল এর ছবি

লিটল প্রিন্সের অনুবাদ শুদ্ধস্বরেরটা আমারই করা। লণ্ডনে পাবার কোন সম্ভবনা নাই মনে হয়।
আমাকে একটা মেইল করেন। আমার কাছে দুএক কপি আছে মনে হয়। পাঠাব।
kawsarlcnএডyahooডটde

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাপস শর্মা এর ছবি

একাটনা পড়ে শেষ করেছিলাম পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথেই। কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে গেলাম। একটা সময় আপনার লেখা পড়ে মনে হতো হয়তো খানিকটা ঔদ্ধত্ব ভাব আছে আপনার লেখায়। কিন্তু না, ধিরে ধীরে ধীরে যখন আপনার লেখা পড়তে থাকলাম, ধারণাটা ভাঙল। সেই যায়গায় মনে হতে শুরু করল - এক অদ্ভুত সরলতা আছে আপনার লেখাগুলিতে, একেবারে মুখের সামনে বসে একে অপরের সাথে কথা বলার মতো। বলা বাহুল্য অনেক অংশে নির্মম বাস্তবও একেবারে নির্মম ভাবে আপনার লেখায় উঠে আসতে দেখেছি। এবং একটা মূল জিনিষ আপনার লেখায় যা শেষ অবধি খুঁজে পেলাম তা হল - সোজাসাপটা কথোপকথন।

উপন্যাসের জন্য শুভেচ্ছা রইলো। ইত্যবসরে জানিয়ে গেলাম আমি আপনার তীর্থের কাক এর পাঠকও বটে। এই তীর্থের কাক পড়ার পেছনেও একটা কাহিনী আছে, কোন দিন অবসরে বলব।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ তাপসদা। নিজের সম্পর্কে এমন সচেতন ভাবে চিন্তা করি নি কখনো। তবে সত্য কথা বলার চেষ্টা করি সব সময়।
তীর্থের কাক পড়েন শুনে উৎসাহ পেলাম।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

খুব ভাল লাগল। শেরালী পাব কোথায়?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পুতুল এর ছবি

০১৭১১০৪৩৪২৮ এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সজল এর ছবি

শেরালী বইমেলা ডট কম কিংবা রকমারী থেকে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
আপনার তীর্থের কাক কিন্তু অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ি। ওইটা নিয়মিত লিখুন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

পুতুল এর ছবি

বইমেলা ডট কম বা রকমারী থেকে পাওয়ার ব্যবস্থা করা আমার জন্য কঠিন। তীর্থের কাক পড়েন শুনে ভাল লাগল। নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করব। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

স্বপ্নহারা এর ছবি

চলুক

আপনার লেখা খুব ভাল লাগে, পড়ি। কিন্তু লগানোর ভয়ে কমেন্ট করা হয় না। শুভকামনা রইলো শেরালী'র জন্য!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ। আমিও অনেক লেখাই পড়ি। কিন্তু ভাল কমেন্ট করতে পারি না বলে করা হয় না।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনার লেখার সবচেয়ে ভাললাগা দিকটা হল, আপনি সহজ কথাটা সহজ ভাবে বলতে পারেন। সেটাকে কোন কোন সময় হয়ত ঔদ্ধত্ব, কখনও বোকামি, কখনও গোয়ার্তুমি, কখনও সারল্য মনে হয়। আপনি যেটা বলতে চান সেটাই বলে ফেলতে পারেন। আপনার লেখায় কোন পর্দা থাকে না। আমরা খুব গভীরে সবাই হয়ত কখনও না কখনও খুব গোঁয়ার, খুব বোকা, খুব উদ্ধত বা খুব সরল, কখনও খুব স্বার্থপর, কখনও বা নিষ্ঠুর। কিন্তু লিখতে গেলে সেসব রেখেঢেকে অনেক সময়ই হৃদয়টাকে ঢেকে রেখে শুধু মগজের কথাটাই লিখে ফেলি। আমাদের অনেকের লেখাতেই ভরে থাকে হিপোক্রিসি।

আপনি হৃদয় খুলে লিখতে পারেন- এই উপলব্ধিটুকু জানানোর জন্যেই এত কথা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পুতুল এর ছবি

কী বলব বুঝতে পারছি না! তবে ভাল লেগেছে আপনার কথা। ভাল থাকবেন।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনার সহজ সরল স্পষ্টভাষণ ভাল লাগে।
'শেরালী'র জন্য শুভকামনা।
ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ বস।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দুর্দান্ত এর ছবি

অভিনন্দন। এই অক্টোবরফেস্টে আসতেছি। দেখা হবে তো?

পুতুল এর ছবি

এই সুযোগে এক্টা সচলাড্ডা হয়ে যাক তা হলে! আমি বাকীদের জানিয়ে দেব। তবে তার জন্য এক্টা দিন তারিখ ঠিক্করলে সুবিধা হয়। আর হ্যা আপনি এবং পরিবারবর্গ সে কয়দিন আমাদের গরীবালয়ে কষ্ট করে থাকবেন। এই ব্যাপারে কোন ধোনফোন করা চলবে না।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

বন্দনা এর ছবি

আপনার পিচ্চি ডাল ঘুটতে পারে ভাইয়া,আমার তো শুনেই ভয় লাগছে, এই জিনিস আমার নিজেরই ভীষণ ভয় লাগে কখন ছিটকে আসবে।
আপনার লিখার আবেগটা ঠিক ধরতে পারি। আপনার ও আপনাদের সবার জন্য অনেক শুভকামনা ভাইয়া।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা,
শুধু ডাল নয়, সব কিছুই ও আমার চেয়ে ভাল পারে বলে দাবি করে। এই কী বোর্ডের দখল নিয়েও সব সময় আমি ওর সাথে পারি না। বাবা দাড়াও আমি দেখাচ্ছি, বলে কম্পু, কী বোর্ড সব কিছুর উপর লম্ফ-ঝ্ম শুরু করে। সাবধানে থাকতে হয় আর কী। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তানজিম এর ছবি

সরল সত্যভাষণ, অকপট লিখার জন্য কিছু সংখ্যক পাঠকদের কাছে আপনার বিশেষ একটা স্থান আছে। আশা করি তাদের জন্য হলেও কিছু কিছু করে লিখে যাবেন। গ্রন্থ প্রকাশনায় শুভেচ্ছা হাসি

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ তানজিম, লেখা চালু রাখার আন্তরিক চেষ্টা থাকবে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌ সম্ভব হলে পোস্ট থেকে আমার ছবিটা সরিয়ে দিন, অস্বস্তি লাগছে। সেখানে শুধু বইয়ের প্রচ্ছদের ছবি দিন।

তীর্থের কাকের জন্য কতোজন পাঠক তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছে সেটা আপনার জানা নেই। তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটান।

আশা করি বৌদি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পাণ্ডবের অনুরোধের ১০০% বিরোধিতা!!!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পুতুল এর ছবি

পাণ্ডবদা, আপনার মতো মানুষ আছে বলেই যত দুর্বল শরীরেই হোক শেরালীর জন্ম হল। শেরালীর কাছে আপনারাই তার বাপ মা। তাদের ছবি শেরালী কিছুতেই মু্ছতে পারবে না।
ঠিক বলেছেন। ফাও পোস্ট না লিখে বরং তীর্থের কাকেই সময়টা ব্যায় করার চেষ্টা করব এখন থেকে।
শুভ বাড়ি ফিরেছে এবং অনেক অনেক ভাল আছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হবে আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে।
শুভেচ্ছা রইল আপনাদের জন্য।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হে হে... এই বইয়ের হোলসেলার আমি... হাসি

বইটা পড়া শুরু করেছি... শেষ হলে জানাবো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পুতুল এর ছবি

অধীর আগ্রহ নিয়ে আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় নজু ভাই।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শেরালীর জন্য শুভেচ্ছা। যোগাড় করে পড়ার ইচ্ছে রাখলাম। বলে রাখি, আপনার গদ্য অনবদ্য!

একটা বই বের করার জন্য কতগুলো মানুষের মাথা মগজ শ্রম সময় লাগে ভাবতেছি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই নীড় সন্ধানী।

অন্তত শেরালীর জন্য অনেকের মাথা মগজ শ্রম লেগেছে ভাই।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।