সচল বিবাদ : হাওয়ার ওপর তাওয়া ভাজে কে রে?

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৭/২০০৮ - ১০:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনের দুর্দিনে হাওয়ার ওপর তাওয়া ভাজার কেরামতি বেশ দেখা গেল। এবং এও দেখা গেল কিছু মুষ্ঠিমেয় ব্লগার সচলের বিপদেও জন্য সচলকেই দায়ি করার মধ্যেই ব্লগার হিসাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করাই সাব্যস্ত করেছেন। কেউ কেউ এতদূর পর্যন্ত ভেবে নিয়েছেন যে, সস্তা পাবলিসিটির জন্য সচল নিজেই এই কাহিনী ফেঁদেছে। অনেকে তা মুখ ফুটে না বললেও সেই ইশারা করেছেন। হতে পারে, জগতে কিছুই অসম্ভব নয়; শেক্ষপীয়র মহাশয় বলেছেন। কিন্তু একবার কি তারা ভেবেছেন, এই পাবলিসিটির জন্য সচলকে কত বেশি মূল্য দিতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতে দিতে হতে পারে। এই আমলে কেউ সেধে বাঘের লেজে পা দিয়ে বাঘকে খেপিয়ে লোকের সহানুভূতি কাড়ার ফন্দি করবে? সচলের সম্পাদকেরা এতটাই আহাম্মক? তারপরও আমি তাদের সন্দেহ করেই যুক্তি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে চাই।

প্রথমত: ব্যান বা ব্লকের কথা তাঁরা প্রথম বলেন নাই, বলেছি আমি। আমার সূত্র সংবাদ সূত্র। এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই তা খবর হয়েছে এমন একটি পত্রিকায়, যে পত্রিকা সম্পর্কে লোকশ্র“তি যে, তারা পারতপক্ষে সরকারকে বিরক্ত করে না। যাই হোক, সচল কর্তৃপক্ষেও প্রকাশ্য বিবৃতি ব্যতিরেকেই আমরা অনেকেই আগে নিশ্চিত হয়েছি যে, কিছু একটা অন্যায় সচলের প্রতি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেই করা হয়েছে। এর জবাবে কেউ বলতে পারেন, নিজের মুখ দিয়ে না বলিয়ে অন্যের মুখ দিয়ে বলিয়ে ফায়দা নেয়া তো সম্ভব। সম্ভব নয়, কারণ তা হলে কম করে কয়েকশ আইটি প্রফেশনাল বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি পরীক্ষা করে একটি কথাই বলতেন না যে, ত্র“টি/ব্লক বা ব্যান যা-ই হোক সেটা সরকারি সার্ভার থেকেই হয়েছে। আর যার মুখ দিয়ে এটা বলিয়ে নেয়া হবে, তার দিকটা কেউ ভেবেছেন? তার মুখে কি পরাশক্তি প্রেরিত হেলমেট আছে, যে দেশে বসে এরকম আগুন নিয়ে খেলে সে পার পাবে। এত ঝুঁকি কেউ সাধ করে নেবে?

তার থেকে বড় কথা যে, বিটিটিবির যে সরকারি কর্মকর্তার নাম-ধাম সহ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তিনি বা তাঁর প্রতিষ্ঠান সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার দুদিনের মধ্যে কেন তাঁদের দায়দায়িত্ব বিষয়ে পরিষ্কার করে বক্তব্য দিল না। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারই দায়িত্ব নিজের দুহাত মেলে ধরে প্রমাণ করা সেখানে কোনো অপরাধের কালো দাগ নাই? এটাই দুনিয়ার চিরাচরিত রীতি। এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম আশা করা আর হাওয়ার ওপর তাওয়া গরম করা সমান কথা। কেন তারা রিজয়েন্ডার পাঠাল না সংস্লিষ্ট গণমাধ্যমে? দুয়ে দুয়ে চার পরিষ্কার। কিন্তু যারা দুয়ে দুয়ে সাত গুণছেন, তাঁদের শুভঙ্করি গণিতজ্ঞানের তারিফ করতে হয়। দুঃখ যে, সেরকম জ্ঞানের জাহাজ ভাসানোর মতো সমুদ্র আমাদিগের নাই। তাঁদের আছে, তাঁরা মহান। কিন্তু অধমদের তরিতে হামলে পড়া কেন ভাই। আর জর্জ বুশের মতো করে বলা যে, আমি প্রমাণ করতে পারছি না যে, তোমার হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নাই, তুমিই প্রমাণ করো তুমি নিরস্ত্র।
তাহলে যে আক্রান্ত সে কেন বলছে না সে আক্রান্ত-আহত-বিপর্যস্ত? অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন যখন বন্দি অবস্থায় নির্যাতিত ছিলেন, এমনকি তিনি যখন প্রকাশ্যে নিজের বিরুদ্ধাচারণ করে আদালতে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তখন আহাম্মক ছাড়া সবাই বুঝতে পেরেছে কেন তাঁকে এসব কথা বলতে হয়েছে। হুমায়ুন আজাদ যখন চাপাতির কোপ খেয়েছেন, তখন কি তাঁকে কেউ বলতে বাধ্য করেছিল যে, আক্রমণকারীদের নাম-ধাম এবং উতস আপনাকে বলতেই হবে! নইলে কীভাবে বিশ্বাস করি যে, আপনি খ্যাতি পাওয়ার জন্য নিজেকে কুপিয়ে নেন নি? এটা হলো বাস্তব পারিপার্শ্বিক দিক, যা নিয়ে কূটিল তর্ক চালানো সম্ভব না।

অন্যদিকে, যতক্ষণ না বৈধ কর্তৃপক্ষ মারফত ব্যান/ব্লক হওয়ার নোটিস পাচ্ছে ততক্ষণ সচলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ আনায় আইনী দিক থেকে সমস্যা আছে। সেটা এই যে, যে অদৃশ্য জায়গা থেকে ঘুটি চালানো হচ্ছে, ওরকম অবস্থান নেয়ার আগে সাত-পাঁচ ভাবতে হয়। কূটিল আক্রমণের পরিবেশে আরো ভাবতে হয়। তাছাড়া, বলে আরো বিরাগভাজন হওয়ার বিপদও থাকে। দেশের ব্লগারদের নিয়ে দুশ্চিন্তাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। সবচে’ যা বড়, ‘নিষিদ্ধ হয়েছি’ বলতে বলা আর ব্ল্যাকমেইল করা সমান। কারণ এরকমটা করতে হলে অপশক্তির সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধ ঘোষণা করতে হয়। তা করা কি বিবেচকের কাজ হতো?
হ্যাঁ মামলা না করি, ভার্চুয়াল জিডি-তো করা যায়। সেটা সচল কর্তৃপক্ষ করেছেন তাদের শেষ বিবৃতিতে। সেটা দেখতে সকলকে অনুরোধ করি। এটা আরো আগেই করা যেত। এই করা না করাটা নীতির প্রশ্ন নয়, কৌশলের প্রশ্ন। কৌশলগত কারণে সেটা পরে করা হয়েছে। এ নিয়ে মতবিভেদ থাকতেই পারে। সেটা কোনো সমস্যা নয়।
রাজনৈতিক অবস্থার এত ডামাডোলের মধ্যে একটি ব্লগকে ব্লক/ব্যান করার বিষয়টিকে হালকা ভাবে দেখার কোনো সুযোগ নাই। এটা নিশ্চয়ই বলার দরকার নাই যে, মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে আঘাত শেষ পর্যন্ত সকলের ওপরই আঘাত। একে অস্বীকার করা ঊর্ধ্বে থুতু ছিটানোর সামিল।

এই ঘটনা বৃথা যাবে না। এই অভিজ্ঞতা ব্লগার সমাজকে আরো সাবালক করে তুলবে। তাঁরা বুঝছেন যে, কোন কন্টকাকীর্ণ পথে তাঁদের হাঁটতে হচ্ছে। তাঁরা এর মাধ্যমে আন্ত-ব্লগ সংহতি গড়ে তুলতে পারেন। পারেন বিশ্বের অন্য ব্লগারদের সঙ্গেও যোগাযোগ জাল সৃষ্টি করতে। একই সঙ্গে তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে যে, দেশের বিদ্যমান ডামাডোলের মধ্যে এই ঘটনাকে ব্যবহার করে কেউ যেন ফায়দা তুলতে না পারে। অনেক সময়ে নন-ইস্যুকে ইস্যু করে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে খেলা জমানো হয়। সেরকম নমুনা ভুরি ভুরি মিলবে, বাংলাদেশের ক্ষমতাধরদের কার্যকলাপের মধ্যে। আর ফায়দা তারাই তোলে যারা বিচিতে সাঁড়াশি চেপেও আমাদের মুখকে হাসি হাসি রাখতে বাধ্য করতে পারে। দুর্বলের সেই সুযোগ নাই।

সচলায়তনের হাজারটা ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু সেটা নিয়ে মাতামাতি করার সময় এখন না। বরং তাঁরাই অনুকরণীয় যারা নিজেদের নানান ক্ষোভ সরিয়ে রেখে, বেদনার স্মৃতি খুলে পাশে দাঁড়ানোয় সচেষ্ট হয়েছেন। তাঁরা পথ প্রদর্শক। তাঁদের অনুযোগ-অভিযোগকে আমলে না নেয়া সচলের পক্ষে মোটেই উচিত হবে না। কিন্তু সচল এখন কি জনে-জনে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য দোরে দোরে মাথা খুঁড়বে? তাই হাওয়ার ওর তাওয়া ভাজার মশকরাকারীদের সম্পর্কে সাবধান। তাঁদের কাছে যা মশকরা অন্যদের জন্য তা প্রাণঘাতী।

অন্যদিক থেকেও ভাবা দরকার। এটা যদি আরো আরো ব্লগের বেলায়ও চলতে থাকে, এবং এসবই যদি ভবিষ্যতের একটি ঝড়ের পূর্বাভাস হয় এবং সেই ঝড়ের সময় সব ব্লগই যদি রূদ্ধ থাকে, তাহলে কার্যত বাংলাদেশের সদর দরজা তো বন্ধই, জানালা দিয়েও কেউ ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলতে পারবে না। তার আলামত দিন-দিন স্পষ্ট হচ্ছে। এখনও যারা চোখের আড়ে পাহাড় লুকাতে চাইছেন তাদের উচিত উটপাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে ভাবা সব শান্ত আছে। কিংবা ধরা যাক দু-একটি ইঁদুর এবার বলে তারা বুড়ি চাঁদের সঙ্গে বেনো জলে ভেসে যেতে পারেন।

কিছু কিছু মাছ আছে যারা ঘোলা জল ভালবাসে এবং জল ঘোলা হলেই তারা ভেসে ওঠে|
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;

সংযোজন: এই সূত্রে আরেকটি কথাও বলা দরকার। আমরা যেন না ভাবি যে, বড় গণমাধ্যমের তুলনায় ব্লগ অনেক কম কাজের। অনেক সময় বরং বেশি কাজের_বিশেষত এরকম সময়ে। এখনকার দিনলিপি ঐতিহাসিকের কাছে সময়ের দলিল। ব্লগের লেখা সময়ের ছবিকে ধারণ করে। ব্লগ আমাদের প্রতিদিনকার জাতীয় জীবনীর ব্যক্তিগত ভাষ্য ও ব্যক্তিগত পাঠ। আর যে নিজের কথা বলে, সে তো আসলে সময়ের কথাই বলে, সবার কথাই বলে। সবার মধ্যকার ভিন্নস্বর তাই শেষ বিচারে সময়েরই স্বর। ব্লগ সময়ের নদী_এই নদী বহতা থাকলে চেতনায় পলি জমা কঠিন। আর এক নদীতে কিন্তু বিভিন্ন স্রোত থাকতেই পারে। সেটাই নদীর শক্তি।


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

কিছু কিছু মাছ আছে যারা ঘোলা জল ভালবাসে এবং জল ঘোলা হলেই তারা ভেসে ওঠে|



আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

দ্রোহী এর ছবি

কিছু কিছু মাছ আছে যারা ঘোলা জল ভালবাসে এবং জল ঘোলা হলেই তারা ভেসে ওঠে|

কথা পুরোপুরি সত্যি।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

অমিত এর ছবি

সহমত
___________________________________
দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম

হযবরল এর ছবি

এই লেখাটা সবার উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করবে। ভালো লাগলো পড়ে। এই ধরণের ব্যান জাতীয় ঘটনা নতুন না। ব্যান হবার সুফল এবং কুফল দুটোই আছে। এই মাপের পাবলিসিটির পর লোকজনের চোখ একটু বেশীই থাকবে সচলের ওপর। অন্য ব্লগ এবং ব্লগার বিষয়ে কিছুই বলবার নেই। সচলের জন্মের পর থেকেই একধরণের অদৃশ্য প্রতিযোগীতা অনেকেই বোধ করেছেন। অনেক সাফাই দেবার পর ও সেই যুযু কাটেনি। সুতরাং পাশ কাটিয়ে সচলায়তনকে , সচল রাখতে সময় ব্যয় করাটাই বিবেচকের কাজ মনে করি।

রেনেট এর ছবি

ফারুক ভাইয়ের বলা কথার পর আর কিছু বলার নেই। চলুক
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ফারুক হাসান এর ছবি

১.
সচলায়তন ব্যান কি ব্যান নয়, এ নিয়ে সচলায়তন বাদেও অন্যান্য ব্লগে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে এবং হচ্ছে। এ সম্পর্কিত লেখা ব্লগে প্রকাশ হবার ত্রিশ মিনিটের মাথায় লেখাটাকে ব্লগ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরিয়ে/মুছে দেবার ঘটনাও ঘটেছে (উদাহরণ: বিপ্লব রহমানের একটি লেখা)। সচলায়তনে এই কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য হারে অন্যান্য ব্লগের রেফারেন্স এসেছে, মূলত সেগুলোই যেগুলোতে সচলায়তনের ব্যান ই্যসু সম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে।
এই ই্যসুটা স্বাভাবিকভাবেই সাম্প্রতিক বাংলা ব্লগোমন্ডলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়, সেটাই হওয়া উচিত।

সুতরাং বিষয়টা পাঠক খাবে।

তাহলে যেসব নির্লোমদের কথা ফারুক ওয়াসিফ বললেন,তারা এই সব আবজাব কেন লিখবেন না? আর বিতর্ক নিয়ে বিতর্কপূর্ণ লেখা তো মানুষ টাকা দিয়ে কিনে পড়ে! সুতরাং ফারুক ভাই যে বিষয়টার অবতারণা করেছেন, সচলায়তনের দিকে আঙ্গুল তুলে পোষ্ট দেয়া- এরকম পোষ্ট আসাই স্বাভাবিক।

২.
এইসব পোষ্টের পাঠক কিন্তু কম হবে না! ছাগুরামরা তো হা করে আছে, লেখা মাত্র তাদের রেফারেন্সে যোগ হবে। আর আমরাও তো পড়বো, ব্যাপারটা তো আমাদেরকে ইঙ্গিত করেই লেখা। বাদ রইলো সাধারণ পাঠক। তারা তো পড়বেনই এই ভেবে যে আররে, এইটা তো মাথায় আসে নাই!

একজন ব্লগারও যে ঘোলা জলের মাছ শিকারী হতে পারবেন না এমন তো কোথায়ো লেখা নাই!স্পেশালি, হিট পার পোষ্ট বাড়ানো যদি কারো টার্গেট হয়, তাহলে হাওয়ার উপর তাওয়া ভাজার চেয়ে সহজ উপায় আর কী আছে বলেন?
তাওয়া যখন গরম আছেই, দুইটা রুটি এইফাঁকে ভাইজা ফালাইলে কেউ কি বলতে পারবে, ঐ নির্লোম, তুই রুটি ভাজলি ক্যান?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পোস্টের সিলেক্টেড কিছু বিষয় নিয়ে লেখার ইচ্ছে আমারও ছিলো। ফারুক ভাইয়ের মতো এতো গুছিয়ে লেখা কোনো কালেই সম্ভব হতো না। উপরন্তু আমি নিজে মানুষ হিসেবে খারাপ, পোঙ্গা জ্বালাইন্যা কথা মুখ দিয়া ফোশ কইরা বাইরাইয়া যায়। আমার সেই লেখা পইড়া হয়তো কারো পোঙ্গায় লালমরিচের ঝাঁঝও লাগতে পারতো! পরিনামে পানি আরেক্টু ঘোলা হইতো! কারণ-

কিছু কিছু মাছ আছে যারা ঘোলা জল ভালবাসে এবং জল ঘোলা হলেই তারা ভেসে ওঠে|

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সবজান্তা এর ছবি

একটা ব্যাপার সবারই মনে রাখা উচিত, এ বিপদ যে কারো জন্যই অপেক্ষা করছে।

ধরা যাক, প্রভাবশালী কোন কতৃপক্ষের নির্দেশেই সচলায়তনের প্রতি এই নিষেধাজ্ঞা। তর্কের খাতিরে আরো ধরে নিলাম, নানাবিধ চাপে পড়ে সচলয়াতন চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল (আশা করছি এমন কিছুই হবে না, শুধুই তর্কের জন্য )। সে ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চয়ই ব্লগিং এর জন্য অন্য প্ল্যাটফর্ম খুঁজবো, এবং সেটা অবশ্যই এমন প্ল্যাটফর্ম যেখানে অনাবশ্যক মডারেশন নেই কিংবা রাজাকার তোষণ এবং মুক্তবুদ্ধি দলন নেই। তেমন একটি সাইটে যেয়ে এই ব্লগার-রাই যখন লিখবেন, তখন তাঁদের লেখাতে নাখোশ হয়ে সেই সাইটও নিষেধাজ্ঞার শিকার হবে না, এমন নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারে ?

বরং সেই সম্ভাবনাই বেশি, যেহেতু ব্লগার একই থাকছে। তেমন ক্ষেত্রে যদি বলা হয় স্টান্টবাজি করা হচ্ছে, তাহলে কি তাঁরা সেটা মেনে নিবেন ?

সচলের প্রতি অনেকেরই অপছন্দ কিংবা বিদ্বেষ থাকতে পারে, তাতে দোষেরও কিছু দেখছি না। কিন্তু অনাবশ্যকভাবে গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা টা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত ?

বরং অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা সেইসব ব্লগাদের যারা সচলায়তনের এই দুঃসময়েও সমস্ত ব্যক্তিগত হিসেবের উর্ধ্বে উঠে শুধু মাত্র সচলায়তনের সংকট নিরসনকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

monjuraul এর ছবি

ধন্যবাদ সবজান্তা। ফারুকের যেটুকু বাদ ছিল সেটা আপনি দিয়ে দিলেন। যুদ্ধপরিস্থিতিতে এগুতে হবে সাবধানে কিন্তু সাহসের সাথে।

দ্রোহী এর ছবি

অন্যের তাওয়ার রুটি ভাজা? আহ ভাবতেই ভাল লাগে!





কী ব্লগার? ডরাইলা?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাওয়া যখন গরম আছেই, দুইটা রুটি এইফাঁকে ভাইজা ফালাইলে কেউ কি বলতে পারবে, ঐ নির্লোম, তুই রুটি ভাজলি ক্যান?
একটি শব্দের ভালো একটা বাংলা প্রতিশব্দ পাওয়া গেল, হা হা ....

শেখ জলিল এর ছবি

কিছু কিছু মাছ আছে যারা ঘোলা জল ভালবাসে এবং জল ঘোলা হলেই তারা ভেসে ওঠে|
...ঠিক।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মুজিব মেহদী এর ছবি

কারো কারো রুটি ভাজার পরিমাণ অনেক বেশি মনে হচ্ছে। তারা নিজেরা খেয়ে পরে বেচাবিক্রিরও কিছু ধান্ধা করছে হয়ত।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

হিমু এর ছবি

পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো। মনে পড়লো, বহুদিন পরোটা খাই না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মন খারাপ

পরোটা আর ভুনা গরু। লগে কাঁচা পিয়াজ। গ্রীষ্মকাল হইলে সাথে সাদা বীয়ার, বৃষ্টির দিন বা শীতকাল হইলে লাল পানি, কিম্বা গোলাপী পানি.....



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

সৌরভ এর ছবি

খালি পানের গল্প! দেঁতো হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুমন চৌধুরী এর ছবি
ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

জলঘোলা করা মাছেদের কাজই হল ঘোলা করা।
যত বেশি ঘোলা ততই তাদের আনন্দ।
এ কারনেই তো তারা ঘোলা জলের মাছ।
জল ঘোলা না করলে পরিচিতি নিয়েই যে টানাটানি পড়ে যাবে!!!

--------------------------------------------------------

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

অসাধারণ-মোক্ষম এবং তীব্র। আমাদের সবার কথা। আমরাও ভাবি বাড়িটা আমাদের।

অভিবাদন মৃদুল।

..................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

দুঃখিত ওপরের কমেন্টটা করেছিলাম মৃদুলের মাছি গল্পটা পড়ে। ভুলে এখানে পেস্ট করেছি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

থার্ড আই এর ছবি

এখানে পক্ষ বিপক্ষের বিষয় আর জল ঘোলা কারী মাছ নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক জমে উঠেছে। সত্যিকার অর্থেই যিনি ব্লগার এবং লেখক তার তো কোন পক্ষ নেয়া উচিত নয়। আমি লিখতে চাই আমার লেখাকে কেউ কেউ তাদের ইচ্ছায় বন্ধ করে দিতে চায়। আমি জানাতে চাই ,একটা পক্ষ আমার এই কথাগুলো অন্যকে জানাতে দিতে চায়না। অর্থাৎ আমার কন্ঠ রোধ করে দেয়া হচ্ছে । আমার বাক স্বাধীনতার উপর আঘাত আসলে আমাকে রুখে দাঁড়াতেই হবে।

একটা সময় ম্যারাডোন খুব মার খেতো। বল নিয়ে ডি বক্সে ডুকলেই তাকে ফাউল করা হতো। অনেকেই ম্যারাডোন হতে গিয়ে অযথাই মার খেয়েছে বলে লুটিয়ে পড়তো। অনেক নির্দোষ খেলোয়ার কার্ড পেতো।
এখন রিপ্লে পদ্ধতি চালু হয়েছে। তৃতীয় একটি পক্ষ ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন এবং সিদ্ধান্ত ফেরত ও নিতে পারছেন।

এই কথাটি বলছি এই জন্য যে, সচলায়তন যদি তার কাটতি বাড়াতে কৌশলের আশ্রয় নেয় তাহলে প্রযুক্তির এই যুগে সেটি দেরীতে হলেও প্রমান হবে। তার জন্য দর্শক গ্যলারী থেকে ফাউল হয়েছে ফাউল হয়েছে চিতকার করে অযথা খেলার মাঠকে অশান্ত করার মনোবৃত্তি আমাদের ত্যাগ করতে হবে। যদি এই আঘাতটি ব্লগারদের উপরে আসে তাহলে সব ব্লগারদের অন্তত একটি প্লাটফর্মে এসে দাড়াতে হবে। এবং ব্যক্তিগত আক্রোশকে পুঁজি করে জল ঘোলা করার কোন সুযোগ নেই।

আধাজল খেয়ে বাংলাদেশ থেকে সচল দেখা যাচ্ছে ,কেউ ব্লক করেনাই, ব্যান করেনাই এইটা প্রমানের চেষ্টা করার অর্থ হচ্ছে দর্শকসারি থেকে ফাউল ফাউল বলে চিতকার করার মত।

ফারুক ওয়াসিফের লেখার পর আর নতুন ব্যখ্যার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমার ব্লগে একজন এরকম একটা কমেন্ট করেছেন।

সাইধা উপকার কইরো না ভাই…আমিও গেসিলাম দেখার জন্য কি অবস্থা…উনাদের কমেন্টে অহংকার এর ঠেলায় মাটিতে পা পড়েনা।
ব্লক এর কাজটা অবশ্যই অনুচিত এবং প্রতিবাদযোগ্য কিন্তু দেখার বিষয় এই প্রতিবাদে ওরা আদৌ আমাদের চায় কি না!

আমি মনে করি, অহংকারহীন ভাবেই আমরা সবার সহযোগিতা চাই। বিপদের জন্য নয়, সাধারণভাবেই।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

থার্ড আই এর ছবি

কিছূ কিছূ ক্ষেত্রে অহংকার অলংকার বটে। তবে এই সব স্পর্শকাতর বিষয়ে অহংকারের বিষয়টি আনার কোন কারণ আমি দেখিনা। সহযোগিতা চাই এটা মাইকিং করার কি আছে। এটা একটা সাধারণ কমনসেন্স। আজকে আমার ব্লগের কিংবা সমহোয়ারের কোন ব্লগার যদি বিপদে পড়েন , এমন দূয়োগ দেখা যায়,সচল যদি নিরপেক্ষভাবে তার পাশে না দাড়ায় সেটা হবে অহংকার। এইটুকু হীণমানষিকতা থেকে আমরা খানিকটা উপরে বলেই তো সময় দিয়ে ব্লগিং করি।

সব বাগানেই ফুল ফুটোক, সব ফুলই গন্ধ ছড়াক । যত বেশী গন্ধযুক্ত গোলাপ থাকবে ততবেশী আলোকিত হবার সুযোগ থাকবে আমাদের।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সৌরভ এর ছবি

প্লিজ, অন্য প্লাটফর্মের নাম দিয়ে কোন মন্তব্য না করার অনুরোধ করি। বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থাকে তাতে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

থার্ড আই এর ছবি

টু দ্যা পয়েন্টে কথা বলতে হলে কখনও কখনও রেফারেন্স লাগে। কেউ বিভ্রান্ত হলে প্রশ্ন করবে আমি পরিস্কার করতে বসে আছি।
-----------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সৌরভ এর ছবি

সমালোচনা হবেই। সেটা হওয়াই বোধহয় অনেকক্ষেত্রে ভালো, স্বচ্ছতার অবকাশ থাকে তাতে।

আমিও এই মন্তব্যের সাথে যুক্ত করতে চাই, আমরা সবারই সহযোগিতা কামনা করি।

বিভিন্ন সময়ে টেকি পরামর্শ দিয়ে অথবা ট্রেসরুট এর ডেটা দিয়ে যারা সাহায্য করে যাচ্ছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু, যে ব্যাপারে আমরা নিজে নিশ্চিত নই, সেই ব্যাপারে যেন খুব সহজেই কোন সিদ্ধান্তে না পৌঁছোই।
ভার্চুয়াল জগত বলে আমার বলা কথা অথবা মতামতের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ আছে, এমনটা মনে না করার অনুরোধ জানাই।



আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

থার্ড আই এর ছবি

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

''সহযোগিতা চাই এটা মাইকিং করার কি আছে।''
আছে ভাই আছে। এই না থাকাটাই হতো অহংকারের। আমি অনেক বড় প্রেক্ষিত মাথায় রেখে কথাটা বলেছি। যেমন কারো অভিযোগ দিয়েই সার্বিক বিচার করা যায় না, তেমনি কারো সংকীর্ণতার জন্যই ব্লগার কমিউনিটি বিভক্ত হয়ে যায় না, এটা কিন্তু প্রমাণ হয়েছে। কেউ মনঃক্ষুণ্ণ হলে দুঃখিত।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পাশের বাড়ির ছেলে মেট্রিকে ফেল করলেও কেউ কেউ মিস্টি বিতরণ করে

এরকম থাকতেই পারে

সচল বন্ধ হওয়ায় যদি কেউ খুশি হয় তবে তাকে খুশি হতে দেয়া উচিত

হ। যত ইচ্ছা খুশি হ

এরকম পাবলিক আর তাদের কমেন্টকে পাত্তা দিলেই বরং মর্যাদা দেয়া হয়

থার্ড আই এর ছবি

আপনে কোথায় ? ক্যামনে কি ?? ডাইরেক্ট না প্রক্সি? প্রতি কমেন্টে পুনশ্চ দিয়া লিখলে আপডেট পাইতাম।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এই পোস্টটি ভালো লাগে নি ।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

জানতে ইচ্ছে করছে, কেন ভাল লাগেনি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

The Who-এর একটি গানের দুই লাইন উদ্ধৃত করি:

I don't need to fight
To prove I'm right

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

কে কি কইলো তা নিয়ে ভেবে কোনো লাভ নাই।
আমরা যা করার তা করবো । করতেই হবে।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ঠিক! আগে বুইঝা লই কোন ইসের ভাই ই করছে ,তারপর হেরে চিবিতে লইয়া এক্করে ঈ দিমু।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

থার্ড আই এর ছবি

আপনার পেন্সিলে একটা ক্যারিক্যাচার তো ফরজ হইয়্যা গেছে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

যে যে কারণে সচলায়তন
দেখি
পড়ি
লিখি
আর সাথে থাকি-
কী বিপদে কী সুবিধায় সেই সচলায়তনই প্রত্যাশা করি

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্য কল্পনাশক্তি লোকের...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

খুবই গোছানো এবং জোরালো একটা লেখা।
এরপরে বলার আর কিছুই থাকে না।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।