জীবনে একটি বুক রিভিউ লিখেছিলাম, সেই গল্প বলি আপনাদের...

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৩/২০০৮ - ৯:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছিলাম বেশ কিছুদিন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার মৃদুভাষণ পত্রিকায়। নির্বাহী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার যথারীতি সম্পাদকীয় পদের প্রতি সুবিচার করে দিনের অধিকাংশ সময় গম্ভীর থাকেন। কেবল বিশেষ কিছু বন্ধুবান্ধব আসলে তাকে কিছুটা তরল অবস্থায় পাওয়া যায়। সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ থেকে সবার জানা কৌতুকগুলো তখন বের হয় তার মুখ থেকে। সেরকমই একটি তরল অবস্থায় তাকে মনের বাসনা জানাতেই তিনি আমাকে সাপ্তাহিকটিতে লেখালেখির সুযোগ করে দেন।

নির্বাহী সম্পাদক ভদ্রলোকটিকে আমি বিভিন্ন কারণেই পছন্দ করতাম। এর প্রধানতম কারণটি হচ্ছে, আমি ছাইপাশ যা-ই লিখতাম না কেন, তিনি কোনো কাটাকুটি করতেন না। বলতেন, ‘আপনি যা লিখেছেন, সেটাই আপনার স্টাইল। আমি সেখানে কলম ধরতে যাবো কেন?’ ফলে সুযোগ পেয়ে যখন যা ইচ্ছা সেটা লিখে গেছি দিনের পর দিন। কেবল পত্রিকাটি ছাপা হলে তিনি আমাকে ডেকে বলতেন, 'কী বিষয়ে লিখেছেন সেটা বুঝতে পারছি। দশ বাক্যের অনুচ্ছেদকে আপনি ২০০ বাক্যের রচনা বানিয়েছেন। আর ভিতরে তিনটা বানান ভুল আছে।'

এই নির্বাহী সম্পাদক ভদ্রলোকই একদিন আমাকে ডেকে বললেন একটা বই পর্যালোচনা করতে। আমি সাফ জানিয়ে দিলাম- 'আমি এই লাইনের পাবলিক না।' তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন- ‘আরে আগে বইটা পড়েন তো! ভালো লাগলে রিভিউ লিখেন, নাইলে লেখার দরকার নাই। আরেকজনকে দিয়ে লেখাবো’।

আমি অসম্ভব বিরক্ত হয়ে বইটির দিকে তাকালাম। শুরুতেই বইয়ের নামটি আমার পছন্দ হলো না। মাহবুব লীলেনের ভাষায় মনে হলো এটি আসলে পুতুপুতু প্রেমের গল্পের বই হবে। তার ওপর লেখক চেনাজানা কেউ নন; সময়টাই নষ্ট হবে। কিরা কাইট্যা কইতাছি, সে সময় মাহবুব লীলেনের সাথে পরিচয় থাকলে পকেটের পয়সা খরচ করে হলেও তাঁকে দিয়েই রিভিউটি করাতাম। কারণ তিনি পুতুপুতু প্রেমের গল্প পড়তে পছন্দ করেন।

যা হোক, তখন থাকতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। রাতে খানাপিনার পর বইটা নিয়ে বসলাম। লেখক যতো খারাপই লিখুক, আমি রিভিউটা লিখলে অন্তত দুটা পয়সা পাওয়া যাবে; অবশ্য না পড়ে লিখে দিলেও কেউ বুঝবে না যে পড়িনি, কিন্তু হারাম-হালাল বলে যে দুটো শব্দ অভিধানে পাওয়া যায়, সেগুলোও পরকালে সাক্ষ্য দিতে পারে। তাই ভাবলাম, পড়ে একটা কিছু লিখে দিই।

বইটি উল্টিয়ে পড়া শুরু করলাম। উল্টিয়ে মানে একদম শেষ প্রচ্ছদটি আগে দেখে তারপর মূল প্রচ্ছদ থেকে চোখ বুলানো শুরু করলাম। বইয়ের নাম রোজনামচা ঃ ভালোবাসা, লেখক আফসানা কিশোয়ার লোচন

প্রেম জিনিসটার ওপর আমি এমনিতেই বিরক্ত। তার ওপর প্রেমের বইগুলো আরো বিরক্তিকর। তবে চরিত্রদোষের কারণে প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন শুনতে বেশ ভালোই লাগে, গোপনে হলে তো আরো ভালো। দেখলাম আফসানা ওই কথোপকথনই লিখেছেন, ফলে পড়ার আগ্রহটা একটু বাড়লো।

সেই কবে পুর্নেন্দু পত্রীর কথোপকথন পড়ে শুভংকর হতে ইচ্ছে হয়েছিলো। শুভংকরের মতো চোখ দুটি চারপাশ খুঁজে বেরিয়েছিলো একজন নন্দিনীকে। কিন্তু ব্যস্ত সভ্যতায় চাইলেই কি নন্দিনীর দেখা মেলে? তাই কিশোর বয়সে একসময় পুর্নেন্দুর ওপর রাগ হয়েছিলো খুব। কিন্তু বড় হয়ে বুঝতে পারলাম, তিনি আমাদের মতো শুভংকর-তরুণদের কী উপকারটাই না করেছেন। এই যে নন্দিনীকে খুঁজে বেড়ানোর জন্য অনবরত স্বপ্ন দেখা, সেই স্বপ্নের মাঝে নিজেকে গড়ে তোলা এবং প্রতিষ্ঠিত শুভংকর হয়ে ক্রমাগত পরিবর্তিত নন্দিনীকে আবিষ্কার করা- এগুলো কি একজন তরুণের জন্য কম কিছু?

ফলে একসময় শুরু হলো কথোপকথন ধাঁচের বই খোঁজার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। চাইলেই যে সব পাওয়া যায় না, কথোপকথন ধাঁচের বই খুঁজতে গিয়ে সে সত্যটিই নতুন করে আবিষ্কার করলাম। কয়েক বছর আগে ফুটপাতে একটি বইয়ের সন্ধান মিললো- দু’জনে মিলে কথা ও কবিতা (দুঃখিত, লেখকের নামটি মনে করতে পারছি না, তবে সম্ভবত রোকনুজ্জামান)। বাংলা একাডেমীর তরুণ লেখক প্রকল্পের ফসল ওই বইটি। সেটি ঠিক কথোপকথনের মতো নয়, কথার চাইতে কবিতা বেশি, কিন্তু তা-ও তো কিছু কথা রয়েছে সেখানে। আবার কয়েক বছরের বিরতি দিয়ে কয়েকদিন আগে হাতে আফসানার এই বইটি।

মুখবন্ধ করে কলমের মাধ্যমে আফসানা কিশোয়ার লোচন মুখবন্ধে জানিয়েছেন, তিনি নিজেও নন্দিনী হতে চেয়েছিলেন, পারেননি। কিন্তু হরহামেশাই খুঁজেছেন শুভংকর-নন্দিনীকে; একসময় পেয়েও গেছেন তাদের- মৌন ও অভিককে। বাস্তব দুটি চরিত্রকে ভিত্তি করে আফসানা এই বইতে দেখিয়েছেন কীভাবে মানুষের অসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক একসময় দূরে ঠেলে দেয় সাম্প্রদায়িক কারণে, যেখানে চরিত্রগুলোর নিজস্ব অনুভূতি আমাদের এই বর্তমান সমাজ ধারণ করতে পারে না। তাই মৌন যখন আমার যা কিছু ভিতর-বাহির সবই তো তুই নিবি বলে অভিকের স্বপ্নের কারখানায় নতুন আগুন জ্বালাতে ব্যস্ত, সেই তাপেই বোধহয় তখন অভিকের জ্বর এসে যায়। অভিক আগে থেকে বুঝতে পারে না কিছু। মৌনও না। সমাজ তাদের বুঝতে দেয় না। পরস্পরের সুগন্ধী স্মৃতিতে ভরে থাকে তাদের হৃদয়-মন।

এই সুগন্ধী স্মৃতিতে কঠোর বাস্তবতা প্রবেশ করতে শুরু করে একসময়। কোনো বন্ধুরই মৌনদের বাসায় প্রবেশাধিকার নেই। অভিকের তো নেই-ই। কেনো নেই? সমাজের সাম্প্রদায়িক কাঁটাতারের যে বেড়ার অস্তিত্ব তাদের নিজেদের কাছে নেই, সেই বেড়াই তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে রেখেছে বেঁধে। এই বন্ধনের মধ্যে থেকে মৌন খুঁজে বেড়ায় কী দিয়ে চুকানো যায় ভিন্ন ধর্মী হবার দাম?

সমাজ, রাষ্ট্রের এই কাঁটাতারের বেড়ায় আস্তে আস্তে মৌন-অভিক বাস্তব জীবনকে হয়তো বুঝতে শিখতে চেষ্টা করে, কিন্তু উপলব্ধি করতে পারে না। অভিক যা হবার নয় তা আর চাইবার সাহস রাখে না। আর মৌন...। না, আর কিছু বলা যাবে না। হিন্দু-মুসলিম প্রেমের সম্পর্কের যা পরিণতি হওয়ার কথা, তাই হয়।

তবে আফসানা যদি মৌন-অভীকের সংলাপগুলো পাঠকের সামনে আরেকটু স্পষ্ট করে তুলতে পারতেন, তাহলে মৌন-অভিকের কষ্টগুলোর প্রকাশ হয়তো আরেকটু বেশি হতো। আমরাও আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারতাম সাম্প্রদায়িক পরিণতির এই চরিত্রগুলোর দুঃখগাঁথা। অবশ্য এরকম চরিত্র তো আমাদের চারপাশে প্রচুর রয়েছে। কিন্তু তাদের আমরা বুঝতে চেষ্টা করি কতোজন, কতোজন চাই তাদের উপলব্ধি করতে? আফসানা পেরেছেন বলে হয়তো আমরা দুজন মৌন-অভিকের কথা জানতে পারলাম।

বুক রিভিউটি প্রকাশিত হওয়ার কিছুদিন পর পত্রিকাটি ছেড়ে চলে আসি। বইটি মৃদুভাষণ অফিসেই রয়ে যায়। ফলে বইয়ের প্রচ্ছদটি দিতে পারলাম না এখানে। এর মধ্যে আফসানা আরো দুটি বই পাঠিয়েছিলেন। সেগুলোও পড়া হয়নি। মাঝখানে কিছুদিন সমকাল পত্রিকায় আফসানার লেখালেখি দেখেছিলাম। ইদানিং আর সেটিও দেখা হয় না। ফলে একদিন যে ভালোবাসার রোজনামচা তিনি লিখেছিলেন, এখন তিনি কীসের রোজনামচা লিখছেন তাও জানা হয় না।

তবে আফসানার ওই বুক রিভিউটি যে আমি লিখতে চাইনি, সে কথা তাকে জানানো হয়নি কখনো। তাকে এটাও জানানোও হয়নি যে, তার মতো করেই অন্য কোনো মৌন-অভিকদের কষ্টগুলো শেয়ার করতে হয়েছে আমাকে, প্রবলভাবে। বইয়ের অক্ষরগুলো লেখককে ছেড়ে রিভিউয়ারের জীবনে সওয়ার হয়েছিলো একদিন- আফসানা হয়তো কখনো জানবে না সেই আরেক রোজনামচার কথা।


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আফসানা কিশোয়ার একজন সচল এবং তিনি এই রিভিউটি দেখার সম্ভাবনা প্রবল ।

অতিথি লেখক এর ছবি

সাধু ! সাধু ! হাসি

- খেকশিয়াল

গৌতম এর ছবি

গোপন কথা ফাস করে দেওয়ায় ভয় পাচ্ছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আপনাকে (বিপ্লব) দিলাম

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

গৌতম এর ছবি

আপনার বিপ্লব নিলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নজমুল আলবাব এর ছবি

ভাল লিখছেন। কিন্তু রিভিউয়ারের জীবনে সওয়ার হওয়া কাহিনি জানাইলে আরও ভাল করতেন।
কি জানাইবেন? পাঠক আছে কিন্তু।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

গৌতম এর ছবি

কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে! অন্যের বেদনা দেখলে নিজের বেদনার কথা মনে পড়ে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু সেটিকে তুলে দেখতে ইচ্ছে করে না।

কোনোদিন পেছন ফিরে তাকালে সেদিন অবশ্যই লিখবো। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মৌন-অভিককে ভালোবাসা।...


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

গৌতম এর ছবি

অনেক ভালোবাসা...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দিয়েন তো
পুতুপুতু প্রেমের গল্প পেলে আমাকে দিয়েন

আমার লেখায় খালি রসকষহীন হাবিজাবি থাকে এই অভিযোগ শুনে আমি কয়েকখানা পুতুপুতু প্রেমপত্র লেখার প্ল্যান করেছি
কাকে কাকে লিখব তাও ঠিক করে তাদের অনুমতিও নিয়েছি (কারো কারো স্বামীর অনুমোদনসহ)

কিন্তু ঝামেলা হলো অনেকপাতা ড্রাফট করে দেখি ওটা প্রেমপত্র তো দূরের কথা
হয়ে গেছে এনজিওর প্রজেক্ট প্রপোজাল

তাই সব ফেলেটেলে দিয়ে এখন পুতুপুতু প্রেম কাহিনী খুঁজছি
ওগুলো থেকে মেরে টেরে দিয়ে দেখি দু একখানা প্রেমপত্র লিখতে পারি কি না

গৌতম এর ছবি

আমার লেখায় খালি রসকষহীন হাবিজাবি থাকে

একদম ঠিক। আপনার উকুন বাছা দেখতে গিয়ে একদিন তব্ধা মেরে বসে ছিলাম। খাইস্টা কথা কইতে গিয়েও কই নাই...

ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন, বাজারে প্রেমপত্র লেখার বই পাওয়া যায়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কইয়া ফালান
লিখতে গেলে কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো খাইস্টা চরিত্র দরকার পড়ে

সেখানে আপনার নাম দিয়ে কথাগুলো দিয়ে দেবো

.......
এবাউট ইওর ইনফরমেশন:

বাজারের প্রেমপত্র পুতুপুতু নহে
উহা ঢলোঢলো

গৌতম এর ছবি

এই রে... খাইস্টা কথা কি আর সবসময় মনে আসে? বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে জটিল সব খাইস্টা শব্দের উৎপত্তি ঘটে। এখন তো ভুলে গেছি!

বাজারের প্রেমপত্র এই টাইট ড্রেসের যুগে এখনো ঢলোঢলো?? বলেন কি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বিতর্ক করার দিনগুলোতে চামবাজ বিচারক বিভুরঞ্জনকে চেনার সুযোগ হয়েছিল। মানুষ খারাপ না, কিন্তু দৃষ্টিকটূ রকম দলবাজ! (পরবর্তীতে সরকার-বদল হয়ে তার স্থানে অধীষ্ট কিরণ সাহেবের কথা বাদই দিলাম।) মৃদুভাষনে একবার গিয়েছিলাম কী যেন একটা গোলটেবিল টাইপ আলোচনায়। শুরুর দিকের কথা। মনে পড়ে গেল অনেক দিন পর।

লেখিকার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। চোখ টিপি

গৌতম এর ছবি

একবার বললেন চামবাজ বিচারক, আবার বললেন দৃষ্টিকটু রকম দলবাজ- তাহলে মানুষ খারাপ না কোনদিকে?

বিভুরঞ্জন সরকারের একটি রাজনৈতিক দর্শন আছে, সেই দর্শন অনুযায়ী তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকও। তবে তাকে সেই দলের কঠোর কঠোর সমালোচনাও করতে দেখেছি, লিখতে দেখেছি। দৃষ্টিকটু রকমের দলবাজ হলে এটা সম্ভব হতো কি-না জানি না। তবে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে তাকে একটি দলের অনুগত মনে হয়েছে, দলবাজ মনে হয়নি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অমিত আহমেদ এর ছবি

জাঝা

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ।

... তবে ভয়ে ভয়ে থাকি কে কখন উত্তম ঝাড়ি দেয়!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গল্পের ঘটনা পাতা থেকে জেগে পাঠককে আক্রান্ত করলে তো মহা সমস্যা!
মৃদূভাষণ নিয়মিত পড়তাম এক সময় ।
মাহবুব কামালের কলাম (? ভাবে সপ্তমী ?) প্রিয় ছিলো খুব ।

গৌতম এর ছবি

পাঠককে আক্রান্ত করা সমস্যা নিয়ে গল্প হয়। তাহলে গল্প কেন পাঠককে আক্রান্ত করতে পারবে না? - যুক্তির কথা বললাম, আবেগের না।

ভাবে সপ্তমী এখন আর প্রকাশ হয় না। কারণ মৃদুভাষণই তো প্রকাশ হচ্ছে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

"বইয়ের অক্ষরগুলো লেখককে ছেড়ে রিভিউয়ারের জীবনে সওয়ার হয়েছিলো একদিন- আফসানা হয়তো কখনো জানবে না সেই আরেক রোজনামচার কথা।"

এখন আফসানা সহ সব সচলকেই তো জানানো যায় তাই না ?

গৌতম এর ছবি

সে এক বিরাট ইতিহাস... সচলায়তনের পাতা কম, জায়গা হবে না...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।