বিয়ে করা ও বাপ হওয়া কি অপরাধ?

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: রবি, ১৯/০৭/২০০৯ - ১১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর চারদিকে ঢি ঢি পড়ে গেছে? প্রতিবারই এরকমটা হয়- শুধু ছাত্রদল নয়, ছাত্রলীগের ক্ষেত্রেও। নতুন কমিটি হওয়ার পর চারদিকে সমালোচকেরা ছি ছি করতে থাকেন। ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের কাণ্ডারী বা তাদের মুরুব্বিরা অবশ্য এসব ঢি ঢি বা ছি ছি-কে পাত্তা দেন না। এসবকে আমলে আনলে তো রাজনীতি করা যাবে না! ভোটের আগে ঢি ঢি বা ছি ছির প্রাবল্য বাড়লে অবশ্য ভিন্ন কথা।

তো এবার চারদিকে ঢি ঢি পড়ার কারণ কী? পত্রপত্রিকা ঘেঁটে কয়েকটি কারণ বের করা গেলো এবং আলোচনার বহর, ফ্রিকোয়েন্সি ও লেখকদের দেওয়া গুরুত্ব অনুসারে সেগুলো সাজানো হলো-

কারণ ১. নতুন কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব বিবাহিত।
কারণ ২. কমিটির কেউ কেউ ইতোমধ্যে সন্তানের পিতা হয়েছেন।
কারণ ৩. কমিটির সভাপতি ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
কারণ ৪. কমিটির সদস্যদের বয়স বেশি। তারা কেউই আর তরুণ নেতা নন।
কারণ ৫. কমিটির সদস্যরা মোটামুটি আদুভাই গোছের। তারা কেউই আর ছাত্র নন।

উপরের তালিকাগুলো আমার বোধবুদ্ধিজাত নয়, সেটা আগেই পরিষ্কার করেছি। কমিটি গঠিত হওয়ার পরদিন থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসা প্রতিক্রিয়া-মন্তব্য পড়ে কে কোন কারণটি উল্লেখ করেছেন বা কোন কারণটির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন, তা দেখে মোটামুটি এই পাঁচটি কারণ চিহ্নিত ও গুরুত্ব অনুযায়ী সাজিয়েছি। খুবই বিস্মিত হয়েছি যে,, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে সাংবাদিক মহল (ব্যতিক্রম বাদে) সবাই মোটামুটি এই ক্রমানুযায়ী বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। কারো কারো মন্তব্যে শেষ দুটি প্রসঙ্গ একেবারেই আসে নি।

স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, ছাত্রদলের কমিটিকে খারিজ করে দেওয়ার জন্য বা বিএনপির ভবিষ্যতে রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে (কারণ অনেকে ছাত্রদলের বর্তমান নেতৃত্বকে ভবিষ্যৎ বিএনপির জন্য বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন), সেই বিষয়টি বুঝার জন্য যে কারণগুলো উত্থাপিত হয়েছে, সেগুলো কারণ হিসেবে যথাযোগ্য কিনা?

*****
ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্বকে সমালোচনা করার মানসে প্রথম কারণটি যারা উল্লেখ করেছেন, তাদের এই সমালোচনার ধারা আমি একেবারেই বুঝতে পারি নি। বাংলাদেশের আইন অনুসারে, ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর একজন নারী এবং ২১ বছর হওয়ার পর একজন পুরুষ আইনগতভাবে বিয়ের অধিকারী হন। এ সময় তিনি যে অবস্থানেই থাকুন না কেন, চাইলে বিয়ে করতে পারেন। আধুনিক সংস্কৃতি, বেকারত্ব বা অন্য যে কোনো কারণে হোক, ১৮ বা ২১ বছর বয়সে লেখাপড়া করা শিক্ষিত তরুণরা সাধারণত বিয়ে করেন না বা বিয়ের প্রতি (হয়তো) খুব একটা আগ্রহ দেখান না। সেটা ভিন্ন কথা, কিন্তু কেউ যদি বিয়ে করেন এবং পাশাপাশি রাজনীতি করেন, তাহলে তাতে সমস্যা কোথায়? কোনো ছাত্রসংগঠনের গঠনতন্ত্রে কি এটা লেখা আছে যে, বিয়ে করলে ছাত্ররাজনীতি করা যাবে না? বা বিয়ে করলে কারো ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাবে? আমার জানামতে নেই। আর যদি না থাকে, তাহলে ছাত্রদলের কমিটি বা নেতৃত্বকে খারিজ করার জন্য এ প্রসঙ্গটিকে কেন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনীতি করার ক্ষেত্রে বিয়ে তো কোনো অপরাধ হতে পারে না! ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে আমি মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, রাষ্ট্র যদি মানুষের খাওয়া-পরার দায়িত্ব গ্রহণ করতো, তাহলে অধিকাংশ তরুণ আইনানুসারে ১৮ বা ২১ বছর বয়সেই বিয়ে করতো। আমি নিজেই ২১ বছর পূর্ণ হওয়ার দিন অবশ্যই বিয়ে করতাম চোখ টিপি । এ বয়সে মানুষের যে শারীরিক ও যৌথ জীবনযাপনের মানসিক চাহিদা গড়ে উঠে, সেটাকে নানান সমাজ-বাস্তবতায় উপেক্ষা করা হয়। এখন কোনো ছাত্রনেতা বা ছাত্রকর্মী যদি বিয়ে করেই ফেলে, তাহলে সেটিকে কেন ছাত্ররাজনীতির প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা হবে? বিয়ে করলে মানুষের কি এমন কোনো গুণ লোপ পায় যা ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে যায়? এই দুটো সামাজিক উপাদানের মধ্যে আদৌ কোনো বিরোধ আছে কি? না থাকলে সুস্থ-সুন্দর একটি সামাজিক বন্ধনকে ছাত্ররাজনীতির প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করা হচ্ছে কেন?

যেকোনো মূল্যে ছাত্ররাজনীতির বিরোধিতা করা আমাদের বর্তমান ফ্যাশনের অংশ। বুঝে বা না বুঝে- এক ধরনের উন্নাসিক ফ্যাশন-মনোভাব নিয়ে অনেকেই ছাত্ররাজনীতির বিরোধিতা করি। আর সেটা করতে গিয়ে এর বিরুদ্ধে দুনিয়ার যাবতীয় তর্ক-কূটতর্কগুলো হাজির করি- এসময়টায় তর্ক এবং কূটতর্কের মধ্যকার পার্থক্য বুঝার ক্ষমতাও বোধহয় আমাদের লোপ পায়। ছাত্রনেতৃত্বের বিয়ের প্রসঙ্গটি তেমনই একটি কূটতর্ক ছাড়া আর কিছু বলে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় না।

*****
এবার আসি সন্তানের পিতা হওয়া প্রসঙ্গে। রাজনীতির সঙ্গে বিয়ের যদি কোনো দ্বৈততা না থাকে, তাহলে সন্তান হওয়ার সঙ্গেও ছাত্ররাজনীতির কোনোপ্রকার বিরোধ না থাকাটাই স্বাভাবিক। অথচ এটিকেও বেশ গুরুত্ব দিয়ে রসালোভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। দুনিয়ার কোথায় এমন নিয়ম আছে যে, সন্তান হলে ছাত্ররাজনীতি করা যাবে না? সন্তান জন্ম দেওয়া তো একটি জৈবিক, সৃষ্টিশীল ও অবশ্যম্ভাবী কাজ- আর এই দারুণ কাজটি ছাত্ররাজনীতির মতো ইতিবাচক প্রপঞ্চের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো কেন?

এখানেও কিছু মানুষের যুক্তির অসারবত্তা দেখা যায়। এসএসসি-এইচএসসি পাশ করার পর সাংবাদিকরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে 'আমরা রাজনীতি বুঝি না, বুঝতে চাইও না'-জাতীয় কথাবার্তা শুনতে যান এবং পরের দিন মোটামুটি গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো প্রকাশ করেন। যে সমাজ-রাষ্ট্র চলছে রাজনীতির ভেতরে থেকে, যে মানুষের দৈনন্দিন ক্রিয়াকর্ম, উন্নয়ন এবং বিকাশ রাজনীতি ছাড়া সম্ভব নয় (রাজনীতিটাকে একেবারেই সীমিত অর্থে না ধরলে), সেই সমাজ-রাষ্ট্রের রাজনীতি 'বুঝতে চাই না' কিন্তু মানসিক দৈন্যতারই পরিচায়ক! যারা এ ধরনের কথাবার্তা বলেন, তাদের অধিকাংশই রাজনীতি বিষয়টা না বুঝেই বলেন বলে মনে হয়। আর যারা এগুলো বলান বা অন্যদের বলতে প্রভাবিত করেন, সরাসরিই বলি, তাদের একটি বিরাট অংশ সমাজকে 'বিরাজনীতিকরণ'-এর ধান্ধায় লিপ্ত- যে তথাকথিত ‘বিরাজনীতিকরণ’ স্বল্পসংখ্যক সুবিধাভোগী মানুষের আর্থিক ক্ষমতাকে বিকশিত করার হাতিয়ারস্বরূপ। ফ্যালাসিকে লজিকের মোড়কে উপস্থাপন করে চমক সৃষ্টি করা এবং সে অনুযায়ী সুবিধা ভোগ করার মতো একটি গোষ্ঠী সমাজে ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে। ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রনেতৃত্বের সন্তান থাকার প্রসঙ্গটি সেরকমই একটি বিষয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে সেটিকে অনাবশ্যকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে।

(এই ফাঁকে বলে রাখি, ওই ২১ বছর বয়সে বিয়ে করলে মোটামুটি বিয়ের ১০ চান্দ্রমাস ১০ দিন পর আমি সন্তানের পিতা হতামই হতাম। আহারে! আমার একটি সন্তানের শখ কতোদিনের! চোখ টিপি )

*****
তৃতীয় কারণটি সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত। ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার পর এটিকেও তার দোষের মধ্যে ফেলা হয়েছে। আমি যতদূর জানি, আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে ২৫ বছর হওয়ার পর সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ সংসদ নির্বাচন করতে পারেন এবং ৩৫ বছরের বেশি হলে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়তে পারেন। তাহলে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর দলের সভাপতি হলে দোষ কোথায়? যারা এটাকে দোষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তারা কেউই এই ‘দোষ’-এর পক্ষে কোনো ধরনের যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন নি। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন- সংসদ নির্বাচন করার পর ছাত্রসংগঠনের সভাপতি হয়েছেন, এমন উদাহরণ তারা আগে আর দেখেন নি। তাদের কাছে প্রশ্ন, দেখেন নি বলে ভবিষ্যতে দেখবেন না চিন্তা করে মনটাকে যে বদ্ধ করে রেখেছেন, সেটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত? আমাদের দেশে একজনের ছাত্রত্ব শেষ হতে হতে মোটামুটি ২৭-২৮ বছর পেরিয়ে যায়, আর এর মাঝে কেউ ২৫ বছর বয়সে সংসদ নির্বাচন করে পরাজিত হলে পরবর্তী সময়ে আবার ছাত্ররাজনীতির মধ্যে আসলে তাতে রাজনীতির কোন দিকটা কীভাবে অশুদ্ধ হয়ে যায়, সেটা সমালোচনাকারীদের কেউ বুঝিয়ে বলবেন কি?

*****
শেষ দুটো কারণ নিয়ে সমালোচনা চলতে পারে, বরং বলা ভালো ছাত্রদলের এই কমিটি নিয়ে সমালোচনা করলে প্রথম তিনটি পয়েন্ট বাদ দিয়ে শেষ দুটো পয়েন্টই নিয়েই আলোচনা করা উচিত। কারণ ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্রে বয়স একটা ফ্যাক্টর আর ছাত্রত্ব তো মূল ফ্যাক্টর। তাছাড়া কারণ দুটোর একের সঙ্গে অপরের সম্পর্ক খুবই নিবিড়।

বয়সের প্রসঙ্গে আসি। ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বয়স ৪০-এর বেশি! ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্রে এ বয়সটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। একজন শিক্ষার্থী কতো বছর পর্যন্ত রাজনীতি করতে পারবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাস্তবতার কারণেই আমাদের দেশে সেটা বেধে দেওয়া সম্ভব নয়। যতদূর জানি, ছাত্রসংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্রে ছাত্রনেতা বা কর্মীর বয়স সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। ঠিক তেমনি ছাত্রত্বের সংজ্ঞাটাও সেখানে পরিষ্কার নয়। এসব সংজ্ঞায় যা যা বলা আছে, সেগুলো আবার নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত হতে পারবে কিনা, সেটা যেমন ওইসব সংজ্ঞা থেকে জানা যায় না; ঠিক তেমনি পঞ্চাশ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের চেষ্টায় রত কেউ চাইলে ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হতে পারবে কিনা- সেটাও স্পষ্ট নয়। নিরক্ষর একজন মানুষ শেষ বয়সে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় ভর্তি হলে (অর্থাৎ শিক্ষার্থী হলে) ছাত্ররাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত পাওয়াটাও তাই দায়। এরকম একটা উদাহরণ আছে বৈকি- শেষ বয়সে উপানুষ্ঠানিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে উত্তরবঙ্গের রাজনীতিসচেতন একজন মানুষ ছাত্র ইউনিয়নে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন।

তাছাড়া ছাত্রনেতা হওয়ার আশায় অনেকে বছরের পর বছর ফেল করে কিংবা পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখে। এবং তারাই আস্তে আস্তে দলের শীর্ষপদে চলে যায়। এ প্রবণতার বিরুদ্ধেও গঠনতন্ত্রে কিছু বলা নেই। আমাদের ছাত্রসংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্র হলো এমন এক বিষয় যেখানে মোটামুটি দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলা যায়, কিন্তু যারা উদ্ধার করবে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে প্রায় কিছুই বলা নেই।

ছাত্রত্বের সঙ্গে বয়সের সম্পর্কটা আরও গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, যখন নানা কারণে একটির শেষ সীমানা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না, তখন আরেকটি দিয়ে ছাত্ররাজনীতি করার সীমানাটা নির্ধারিত হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্রসংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্রে এ ধারাগুলো সুস্পষ্ট তো নয়ই, বরং চাইলে একজন আদুভাইয়ের মতো মোটামুটি শেষ বয়স পর্যন্ত ছাত্ররাজনীতি করে যেতে পারবে। ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি মোটামুটি এই দুটি দোষেই দুষ্ট, অথচ এগুলো নিয়েই মানুষজন সবচেয়ে কম কথা বলেছে। যতো দোষ গিয়ে চাপছে বিয়ে করা আর বাপ হওয়ার উপর!

*****
এখানে খোলাসা করি, আমি ছাত্রদল বা বিএনপির রাজনীতির সমর্থক নই (হাজার শুকরিয়া!); কিন্তু যে পদ্ধতি বা কারণ ধরে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিকে সমালোচনা করা হচ্ছে বা স্বভাবত ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে করা হয়, তারও সমর্থক নই। সমালোচনা দরকার অবশ্যই, কিন্তু সেটার ভিত্তি কী হবে তা যারা বুঝেন না, তাদের এ নিয়ে সমালোচনা না করাই বোধহয় শ্রেয়। এতে রাজনীতি পরিশুদ্ধ তো হয়ই না, বরং যারা ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বেহালা বাজান, তাদের টিউনটাকে আরও শক্তিশালী করা হয়। বাংলাদেশে রাজনীতি বা ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়- আমরা আনপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমের উদাহরণ দিয়ে প্রোডাক্টিভ সিস্টেমকে যাচাই করি, প্রোডাক্টিভ সিস্টেমের কথা মাথায় রেখে রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম বদলাতে চাই। আর এই করতে করতেই একেকজন বিশেষজ্ঞ বনে যাই, টক শো, আড্ডা, আলাপ সবজায়গাই নিজের অবস্থান পোক্ত করি।

*****
(চা খেতে যাওয়ার আগে একটি রিয়েল লাইফ জোকস্)

আমি তখন একটি ছাত্রসংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক। কোনো এক তপ্ত দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রনেতৃত্বের এই বয়স ও ছাত্রত্বের সংজ্ঞা নিয়েই আমার সংগঠনের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতির সাথে বচসা হচ্ছিলো। আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি, তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি আমাকে বুঝাতে চেষ্টা করছেন- অপরাপর সংগঠনের সাথে ফাইট করে টিকে থাকার জন্য (কারণ সেখানে ছাত্রনেতারা বেশি বয়সী), ছাত্ররাজনীতিকে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করে, কয়েকবছর ড্রপ দিয়ে হলেও ছাত্ররাজনীতি চালিয়ে যাওয়া উচিত। আমার উত্তর ছিলো- রাজনীতি করার জন্য যদি কেউ পড়ালেখায় ড্রপ দেয়, তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা উচিত- সংগঠন করার মূল শর্ত না মানার জন্য। পুরো দুপুর মোটামুটি এ নিয়ে বেশ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে।

রাতে হলে দলীয় প্রোগ্রাম। উপস্থাপক আমি, বিশেষ অতিথি এই সভাপতি এবং প্রধান অতিথি অন্য একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সভাপতি ওই বিশেষ ব্যক্তির সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলে সংগঠনের উদীয়মান তরুণ নেতা বলে (যদিও তখন আমি মাস্টার্সে পড়ি, ছাত্ররাজনীতিতে এই সময়ে উদীয়মান ও তরুণ বলে বুঝানোর মাজেজটা স্পষ্টই বুঝি)! অনুষ্ঠানের শেষ দিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যর সময় উপস্থাপক আমি মাইকের ঘোষণা দিলাম- ‘এ পর্যায়ে আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন অমুক সংগঠনের সভাপতি, কেন্দ্রীয় অমুক ছাত্র ঐক্যের অন্যতম নেতা, বর্ষীয়ান ছাত্রনেতা অমুক।‘

পরবর্তী দৃশ্যাবলী আপনি কল্পনা করে নিন।


মন্তব্য

স্বপ্নহারা এর ছবি

এখন ছাত্রদল-ছাত্রলীগ আদর্শিক রাজনীতি করবে এটা এখন কল্পনারও অতীত। এরা ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার-আর ক্ষমতা রক্ষার জন্য পেটোয়া বাহিনী। ছাত্র এবং মূলধারার রাজনীতির সাথে একসময়কার সম্পর্ক-অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি...মূলদল কখনোই এসব সমালোচনাকে পাত্তা দেয় না। ক্ষমতায় গেলে প্রথম ভাগে (১-২ বছর) নেতৃত্বে থাকবে নমনীয় নেতা; মাঝামাঝি ভাগে অবস্থা বুঝে নমনীয় অথবা চরমপন্থী; শেষভাগে অবশ্যই সন্ত্রাসীরা নেতৃত্বে আসবে। ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন এখনো ফুরিয়ে যায়নি...তা বন্ধ করার মানে নাই। আর এইসব সমালোচনা আমার হাস্যকর মনে হয়...বিন্দুমাত্র আদর্শগত অবস্থান যদি এই দলগুলোর থাকত (!!) তাহলে আমাদের দেশে এত সমস্যা থাকত না। কিন্তু উপায় নেই...আমরা মাইনকা চিপায়; রাজনীতি ছাড়া উপায় নাই-ওই পথেই এগুতে হবে। কিন্তু আশাবাদী হওয়ার জন্য কিছু দেখতে পাই না...মন খারাপ

ধন্যবাদ...চমৎকার লেখাটির জন্য! খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস তুলে এনেছেন।

----------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ স্বপ্নহারা। আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে আমাদের। কিন্তু সেগুলো দেখানো তো হচ্ছেই না; বরং সেগুলো যাতে না দেখি, তার সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য।

ছাত্রদলের নেতৃত্বে যারা এসেছেন, তাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। আমিও নিজেরও এসব প্রশ্ন তুলি। কিন্তু কোন প্রশ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে আগে করা উচিত, বা কোন প্রশ্নগুলো আসলে এসব নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত, এই লেখায় তারই উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৌরভ এর ছবি

হাহা।
বিয়ে, সন্তান এইসব উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে অছাত্র হিসেবে উপস্থাপনের প্রমাণ হিসেবে। আমি এই প্রমাণে কোন দোষ দেখি না।
২০-২২ এ বাবা হলে, ৪০ এ সন্তান আর পিতার বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সময়ে পড়ার কথা।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

গৌতম এর ছবি

আমি দেখি। কাউকে অছাত্র প্রমাণের বহু লজিক্যাল উপায় আছে এবং প্রমাণ করতে চাইলে সেগুলো প্রয়োগ করাই যথেষ্ট। বিয়ে-সন্তানের সাথে ছাত্রত্বের কোনো বিরোধ বা সরাসরি সম্পর্ক নেই। যেখানে সিস্টেমের মধ্যেই এসবের যথেষ্ট এভিডেন্স আছে, সেখানে এক সিস্টেমের কর্মকাণ্ডকে আরেক সিস্টেম দিয়ে জাস্টিফায়েড করার তো কোনো দরকারও দেখি না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

গৌতম আপনার লেখার জন্য অভিনন্দন। ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে একদিন সম্ভব হলে গুছিয়ে আমার মন্তব্য দেবার চেষ্টা করব। এখন আপাতত বাম ছাত্র রাজনীতির ধারা সম্পর্কে একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। দিনটা ১৪ই ডিসেম্বার। মীরপুর বুদ্ধিজীবি শহীদ মিনারে একছাত্র কর্মীর সাথে দেখা। ছাত্র ঐক্য বা ফ্রণ্ট। সে নব্য আবেগের বশে হঠাৎ করে আমাকে মার্ক্সের লেবার থিওরি অব ভেলু নিয়ে লেকচার দিতে শুরু করল। আমিও বেশ উৎসাহের সাথে তখন সদ্য শেখা অর্থনীতির তত্ত্ব নিয়ে তার সাথে বচসায় লেগে গেলাম। একপার্যায়ে জানলাম আমরা দু'জনেই একই বিশ্ব বিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র। তার আমার ব্যপারে আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। যা হোক একপর্যায়ে তাকে বোধ হয় বাজার অর্থনীতির তত্ত্ব বলে কিছুটা ধাঁধায় ফেলে দিতে পেরেছিলাম। সে সাহায্যের জন্য এক নেতাকে ডেকে আনলেন। নেতা দ'এক মিনিট তর্ক শুনে একপর্যায়ে ছো মেরে তাকে আমার হাত থেকে যেন কেড়ে নিলেন। বুঝলাম ব্রেইন ওয়াশ কাকে বলে। সেই আদুভাই নেতার মধ্যে আমি আমার সতীর্থ ছাত্রটির মত আবেগ আর একাগ্রতা দেখিনি। দেখেছি গৎবাধা কিছু ছেলেভোলান কৌশল। রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি ছাত্রত্বের তাৎপর্য এখনো আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তবে এটা যে কতটা ক্ষতিকর তা হয়ত আজকালকার ছাত্র রাজনীতির বিদ্যমান ধারাটির ভেতরে ঢুকতে পারলে বোঝা যেত। আমি কিছু অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি যা শুনে গায়ে কাটা দেবার মত অবস্থা হয়েছে।

গৌতম এর ছবি

রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী ছাত্রত্বের তাৎপর্য আমার কাছেও স্পষ্ট নয়। এগুলো আসলে নেতৃত্বের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার এক ধরনের কৌশল।

ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে আপনার লেখার অপেক্ষায় আছি। আর গায়ে কাটা দেবার মতো অভিজ্ঞতাগুলোও জানাবেন আশা করি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আপনি বোধহয় বিষয়টি একটু সরল করে দেখছেন। @ গৌতম।

আসলে আপত্তিটা উঠেছে, আদুভাই নেতৃত্ব নিয়ে। তাছাড়া ছাত্র নেতৃত্ব, তরুণ ছাত্রদের হাতেই থাকা উচিৎ।

একজন বিয়ের বয়সী হলেও তাকে স্ত্রী-সন্তান ভরণ-পোষনে সক্ষম হতে হয় বৈকি। ছাত্র নেতা যখন এই কাজে সক্ষম হন, তখন প্রশ্ন এসে যায়, তার আয়ের উৎস কী? চাঁদাবাজী? টেন্ডার? বৈধ/ অবৈধ ব্যবসা? চাকরী?

এই সব প্রশ্নের হাত ধরে আরো প্রশ্ন আসে, আসছে, তাহলে তিনি ছাত্রদের নেতৃত্ব দেবেন, তথা ছাত্র-অধিকারের কথা বলবেন কখন? পরিবার+ব্যবসা/আয় সামলানোর আগে? বা পরে? তিনি কোথায় পার্ট-টাইম? আর কোথায় বা ফুলটাইম? আর তার পড়াশোনা?...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

গৌতম এর ছবি

সরল করে দেখছি কিনা জানি না, হতেও পারে। তবে ছাত্ররাজনীতিকে পারিবারিক আবহে জাস্টিফিকশনের কোনো অর্থও খুঁজে পাচ্ছি না। বিয়েটা যদি ছাত্ররাজনীতির জন্য সমস্যাই হয়, তাহলে তো আইন করে বা গঠনতন্ত্রে লিখেই সেটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যতক্ষণ সেটা না হচ্ছে, ততোক্ষণ বিয়েটাকে এর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করানোর মানে খুঁজে পাচ্ছি না।

আর সময় দেওয়ার কথা বলছেন! সেটা হলে তো শিক্ষার্থীদের রাজনীতি করার সময়ই থাকার কথা না। তাছাড়া বিয়ে না করলেও পরিবারের প্রতি জন্য সময় দিতে হয়, শিক্ষার্থীদের আয়-রোজগার করতে হয়। তখনও তো একই প্রশ্ন করা যায়- কোথায় পার্ট-টাইম? আর কোথায় বা ফুলটাইম?

তবে আদুভাই নিয়ে যে আপত্তিটার কথা বলছেন, আমিও কিন্তু সেটা নিয়েই কথা বলছি। এখন আদুভাইকে মোকাবিলা করতে হবে আদুভাই হওয়ার সূচকগুলো দিয়ে- পড়ালেখা না করা, বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করা, পরীক্ষা ড্রপ দেওয়া, বয়স ইত্যাদি দিয়ে। বিয়ে বা সন্তান হওয়া আদুভাই হওয়ার কোনো সূচক নয়।

লক্ষ করে দেখুন, যে পাঁচটি কারণের কথা এখানে বলা হয়েছে, আলোচনায় কোনগুলো কারণ হিসেবে প্রাধান্য পাওয়া উচিত? আমার মতে, শেষ দুটো। অন্যগুলোকে যদি জোরজবরদস্তি করে আনতেই হয়, তাহলে শেষে আনাই উচিত। কিন্তু ঘটনা দেখছি পুরা উল্টো। সেজন্যই এতো কথা বলা।

আপনাকে ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ফিরোজ জামান চৌধরী (অতিথি)

ধন্যবাদ গৌতম।
বিয়ে করে, বাবা হওয়া অপরাধ নয়। রাজনীতি করাও অপরাধ নয়। অপরাধ হচ্ছে, বৃদ্ধ বয়সে ছাত্ররাজনীতি করা। ছাত্ররাজনীতির নামে মাস্তানি করা, চাঁদাবাজি করা, টেন্ডারবাজি করা।
ছাত্র নেতার বয়স কোনোভাবেই ৩০ এর বেশি হওয়া উচিত নয়।

গৌতম এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ ফিরোজ জামান চৌধরী।

একজন শিক্ষার্থী যতোদিন শিক্ষার্থী হিসেবে আছেন, ততোদিন ছাত্ররাজনীতি করা অপরাধ নয়। কিন্তু কতোদিন শিক্ষার্থী থাকবেন- সেটাই হলো প্রশ্ন। এখানে যে বয়সটা ৩০ ধরে দিয়েছেন, সেটা যদি কঠোরভাবে মানার সাথেও একমত নই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের কথাই ধরুন। সেখানে মাস্টার্স পাশ করে বেরুতে বেরুতে ৩২-৩৩ও পেরিয়ে যায়। ৩০-কে বয়স ধরে দিলে পরের দু-তিন বছর শিক্ষার্থীরা আর ছাত্ররাজনীতি করতে পারবে না। সেটা কি ঠিক হবে?

সুতরাং একজন ছাত্র কতোদিন ছাত্ররাজনীতি করতে পারবে সেটা ঠিক করতে হবে সে নিয়মিত কিনা, পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃত ড্রপ দিচ্ছে কিনা, ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয়ে ছাত্রত্ব বজায় রাখছে কিনা ইত্যাদির নিরিখে। পাশাপাশি আপনার প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাভাবিক একটা বয়স (যেমন- ৩০) ধরে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু যদি কারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর মধ্যে সব কোর্স শেষ না করতে পারে, তাহলে প্রমাণসাপেক্ষে সেটা বাড়ানো যেতে পারে।

...সেক্ষেত্রে ৪৫ বছর বয়সে পিএইচডি কোর্সের শিক্ষার্থী যদি ছাত্ররাজনীতি করতে চান, তাহলে কী করা উচিত? চিন্তিত
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দুর্দান্ত এর ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের কথাই ধরুন। সেখানে মাস্টার্স পাশ করে বেরুতে বেরুতে ৩২-৩৩ও পেরিয়ে যায়।

এটা এককালে হয়তো ছিল। ১৯৯৮-২০০০ এর মধ্যে সেখান থেকে পাশ করে বেরিয়েছেন, এরকম অনেককেই চিনি। এরা কেউই ২ বছরের বেশী ইন্সটিটিউটের ঢিলেমিতে মাস্টার্সে আটকে থাকেননি। দু একজন যারা এর বেশী ইন্সটিটিউটের ঘানি টেনেছে (একজন তো এখনো টানছে), তাদের সেখানে কেন, কোন (বিশ্ব)বিদ্যালয়ের ছাত্র হবার কথা না।

গৌতম এর ছবি

আমি অবশ্য ২০০৩ সালেও দেখেছি মাস্টার্স শেষ করতেই একেকজনের তিন বছরের মতো লাগছে। একেবারে বর্তমানের কথা অবশ্য জানি না, তবে আমি যখন ছিলাম তখন অবস্থাটা এরকমই ছিলো।

অব্স্থার উন্নতি হলে সেটা দুর্দান্ত সুখবর।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ফিরোজ জামান চৌধুরী (অতিথি)

গৌতম, আপনার চিন্তার মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু লক্ষ করলেই দেখবেন, যারা বাংলাদেশে ছাত্রনেতা, তারা কেউই একবারে পাশ করতে পারেনা। বা পাশ করতে চায় না, ছাত্রত্ব জিইয়ে রাখার জন্য। তাই ছাত্র রাজনীতিতে মাস্তানদের অনপ্রবেশ ঠেকতে কোনো শিক্ষর্বষে একবার কেউ অকৃতকার্য হলে তার ছাত্ররাজনীতির অধিকার সীমিত থাকা উচিত। সেক্ষত্রে আপনাআপনিই ৩০ বছরের ছাত্র-ছাত্রীরাই ছাত্ররাজনীতি করার সুযোগ পাবে।
২.
আপনার সঙ্গে একটি বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। আমি মনে করি, পিএইচডি কোর্সের শিক্ষার্থী যদি ছাত্ররাজনীতি করার দরকার নেই। পিএইচডি গবেষকদের সে সময়ও থাকে না।

গৌতম এর ছবি

আমি মনে করি, পিএইচডি কোর্সের শিক্ষার্থী যদি ছাত্ররাজনীতি করার দরকার নেই।

আমি কিন্তু এখানে কোনো মত দিই নি। জানতে চেয়েছি, পিএইচডি কোর্সের যদি কেউ ছাত্ররাজনীতি করতে চায়, তাহলে কী হবে? আরেকটি উদাহরণ দিয়েছি- শেষ বয়সে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণকারী একজন ছাত্র ইউনিয়ন করতে চেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গটা এ কারণেই আসে যে- ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রের বা শিক্ষার্থীর সংজ্ঞাটা পরিষ্কার না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সিরাত এর ছবি

সেইরকম বিশ্লেষণ! হাসি

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ, সিরাত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো পয়েন্ট। কিন্তু মূল ব্যাপারটা মনে হয় ছাত্রত্ব জিইয়ে রাখার জন্য বছরের পর বছর ভার্সিটিতে থেকে যাওয়া বোঝানো হয়েছে। বয়স্ক হতে আপত্তি নেই, তবে প্রফেশনাল ছাত্র হলেই আমার আপত্তি।

কারো কাছে এমন ছাত্র নেতার উদাহরণ আছে যিনি ২০-২২ বছরে সন্তানের বাবা হয়েছেন? জানার জন্য প্রশ্ন করলাম, লেখককে চ্যালেঞ্জ করে নয় হাসি

গৌতম এর ছবি

আমিও ঠিক এই কথাই বলতে চেয়েছি। প্রফেশনাল শিক্ষার্থী নিয়ে আমারও আপত্তি।

আর আমারই এক বন্ধু অনার্সে পড়ার সময় মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হয়েছে। আমাদের হলের এক শিক্ষার্থী প্রায় এরকম সময়ই বাবা হয়েছে। মোটমাট তিনটা উদাহরণ আছে আমার সামনে।

অফটপিক: শিক্ষা নিয়ে আপনার লেখাটার খবর কী?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সরি ভাই, আসলে সময় করেই উঠতে পারিনি। একটা লিখেছিলাম কিন্তু সেটা তো ডেইলি স্টারে দিয়েছিলাম। আপনাকে ওটা দেইনি কারণ ওটা ঠিক আপনার সাইটের সাথে খাপ খায়না।

গৌতম এর ছবি

ওকে, ঠিক আছে তাহলে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তানবীরা এর ছবি

দেখো গৌতম,ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ । এর মধ্যে বিয়ে - বাচ্চা অবশ্যই অপরাধ ;)।

পিপিদার কথাটা আমার মনে ধরছে।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

গৌতম এর ছবি

ছিঃ আপু! আমি সেই ২১ বছর বয়েস থেকে একটা বাচ্চার জন্য আকুলিবিকুলি করছি! আর এর মধ্যে এই কথা! আপনাকে মাইনাস।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আপনার পরবর্তী বিশ্লেষনের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। বিষয়টা আসলেই জটিল। প্রসঙ্গ ধরে প্রচুর অনুসঙ্গ চলে আসে।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

গৌতম এর ছবি

এই ব্যাপারে আমার আর কোনো পরবর্তী বিশ্লেষণ নেই। প্রসঙ্গ ধরে প্রচুর অনুষঙ্গ অবশ্যই আসে, সেগুলো লেখার উপযুক্ত মানুষ আমি না। তবে এখানে যে বিষয়টা নিয়ে কথা বললাম, সেটা ঠিক কিনা বলেন। যেটার যে সূচক, সেটাকে আমি সেই সূচক দিয়েই মাপতে চাই, ভিন্ন কিছু দিয়ে না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমার মাথায় একটা প্রশ্ন জাগছে।
কৃষকলীগ/কৃষকদল চালানোর জন্য কৃষক হওয়া লাগে না।
যুবলীগ/যুবদল চালানোর জন্য যুবক হওয়া লাগে না।
তাতীদল/তাতীলীগ চালানোর জন্য তাতী হওয়া লাগে না।
শ্রমিকদল/শ্রমিকলীগ চালানোর জন্য শ্রমিক হওয়া লাগে না।

কিন্তু
মহিলালীগ/মহিলাদল চালানোর জন্য কেন মহিলা হতে হয়?
কেনু ? কেনু ? কেনু ?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মহিলালীগ/মহিলাদল চালানোর জন্য কেন মহিলা হতে হয়?
কেনু ? কেনু ? কেনু ?
কত কিছু অজানা রয়ে গেল...

গৌতম এর ছবি

ভাববার মতোই প্রশ্ন বটে! তবে আপনার মন্তব্যে 'কিন্তু'র আগে এই লাইনটিও লাগিয়ে দিতে পারেন...

ছাত্রদল/ছাত্রলীগ চালানোর জন্য ছাত্র হওয়া লাগে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এতগুলো মন্তব্যের পরে এই পোস্টে প্রথম রেটিংটা আমিই করলাম চোখ টিপি

গৌতম এর ছবি

হা হা হা। ধন্যবাদ। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বিবাহিত এবং বাচ্চাওয়ালাদের জন্য দলে নতুন একটা উইং খুলে ফেল্লেই তো হয়, কাইজ্যা মিটে যায়। এছলামী বেগম-ওয়ালেদ শিবির, জাতীয় পরিবার-সন্ততি সমাজ, জাতীয়তাবাদী বউ-বাচ্চাঅলাদল অথবা আওয়ামী বউ-পুলাপানঅলা লীগ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

গৌতম এর ছবি

কেন, ওদের জন্য যুবদল-যুবলীগ আছে না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

এনকিদু এর ছবি

আপনার রিয়েল লাইফ কৌতুকে উত্তম জাঝা!


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

গৌতম এর ছবি

হা হা হা। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুধীর (অতিথি) এর ছবি

ভায়েরা আমার!

বঙ্গবন্ধু হগলরে শুধু বন্ধু না, খুবই আপন, একেবারে ব্রাদার-ইন-ল ভাবিতেন। আশা করি কেহ অফেন্ডেড হন নাই। তিনি সত্যই মহাণ ছিলেন। শুনিলে নিজেই হাসিতেন।
তো কইলকাতায় ইস্লামিয়া কলেজে ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্র নেতা ছিলেন। লেখা পড়া বেশী করিতেন না। ঢাকায় আসিয়া অল্প দিনের মধ্যেই নতুন আওয়ামী লীগের নেতা হইয়া গেলেন। খন্দকার মোষতাকরে খেদাইয়া যুগ্ম মহাসচিব হৈলেন। মোষতাক তাহা কখনো ভুলিলো না। শুনিয়াছি, ছাত্র নেতা অবস্থায় জীবন কাটানোর কথা তখন কেহ চিন্তা করিত না। ছাত্রনেতা হৈলে এত ব্যবসায়িক লাভ হৈতে পারে কেহ কল্পনা করিতে পারিত না।

যেই লোক 'লাভ' ভালো বুঝে, তারই তো নেতা হওয়া সাজে। হেইডা বিয়ার আগে হৈতে পারে, , পরেও হৈতে পারে। আবার বিয়া ছাড়াও হৈতে পারে। ছুটির দিনে কার্জন হলে বা ক্যাম্পাসে দেখিবেন অনেক তরুণ-তরুণী লাভ চর্চা করিতেছে।

অনেক ছাত্রনেতা শুধু বাপ-ই না, বিয়া না কৈরাই বাপ।

যখন বিদেশে ছিলাম, কোন দিন টের পাই নাই কারা ছাত্রনেতা। দেখা যাইত এই উপমহাদেশের গুলাই ইলেকশন আর নেতৃত্ব নিয়া মাতামাতি করে। বাকি হগলে নিজের বিষয়ে কাজেই ব্যস্ত। বিভিন্ন পলিটিকাল পার্টির ছেলে-মেয়েদের ক্লাব ছিল, দাবা বা গুর্মে ক্লাবের সমান গুরুত্বের।

গৌতম এর ছবি

আহা! বিদেশে ছিলেন বলেই না এতো কথা বলতে পারলেন! জয়তু বিদেশ!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

শুরুতে ভাবছিলাম আপনে স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় বিয়ে কইরা পলিটিক্স এ নামছিলেন। পরে পড়ে দেখি, ঘটনা ভিন্ন এবং সিরিকাস!

গৌতম এর ছবি

অবস্থা আসলেই সিরিকাস! হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

আসলেই তো!

তবে আমার মনে হয় ছাত্র দল/লীগ এর মত আদুদল, আদুলীগ বানানো যাইতে পারে।

গৌতম এর ছবি

নতুন করে বানানোর দরকার নেই। যুবদল, যুবলীগ তো আছেই!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।