আজকের বিষয় ডার্ক এনার্জী! আরেকটু ফিজিক্স আজকের জন্য!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৪/০১/২০০৮ - ১:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফিজিক্স: রনি রক
নিক: নিঃস্বঙ্গতার সঙ্গী
ইমেইল:

ধরা যাক একটা ক্লাশে আপনি বসে আছেন এবং সাবজেক্টটা ধরা যাক সার্জারীর এর উপর। তো যিনি পড়াচ্ছেন সে পড়াতে পড়াতে বেসিকের জায়গায় বলে বসলেন,"আসলে এটা ভালো বোধগম্য নয় কেন এমন হয়!"
এ অবস্হায় আপনি কি আশা করতে পারেন?

যাই হোউক, আজকে আমি একটু ডার্ক এনার্জি নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আজকে আমি কিছু বলার সাহস করবো না কারন আমি নিজেই এটা ভালো বুঝি না। তাই আমি সবার কাছে ফিডব্যাক চাইবো যাতে করে তারা তাদের আইডিয়া গুলো একটু শেয়ার করবেন, যাতে এটা বোধগম্যতার মাঝে পড়ে!

প্রথমে একটা প্রশ্ন আসতে পারে ডার্ক এনার্জি কি? আসলে ডার্ক এনার্জি ধরা যাক একটা হাইপোথেটিক্যাল এনার্জি যা সর্বক্ষেত্রে সমানভাবে বিরাজমান, তবে এটা দৃশ্যবান নয়। এখন এটা কি আলো শুষে নেয় নাকি এক্স-রে নির্গমন করে সেটার ব্যাপারে আমি আসবো না।কারন আমি এই লেখা নিয়ে ভয়ে আছি কোথাও কোনো ভুল হলো কিনা!
যাই হোক, ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞানীরা ধরতে পারলেন আসলে মহাবিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ বস্তুই নাকি আমাদের দৃস্টি গোচরে থাকে। একে তখন থেকে ডার্ক এনার্জি নামে প্রয়াস করা হয়। আরো আশ্চর্য বিষয় হলো এই এনার্জি নাকি আমাদের চারপাশে সমভাবে বিস্তৃত যার ঘনত্ব ১০ টু দি পাওয়ার -২৬ কিলোগ্রাম পার সেন্টিমিটার যা অনেকটা একটা হাইড্রোজেন অনুর সমান।আমরা এডউইন হাবল সাহেবের নাম অনেকেই শুনেছি। উনার মতে যে গ্যলাক্সির দূরত্ব তার দূরে সরে যাওয়া গতির সমানুপাতিক, তবে এই দূরে সরে যাওয়াটা এমন নয় যে দৌড়ে চলে যাওয়া, এটা অনেকটা এরকম একটা বেলুনের ভিতর থাকা বস্তু গুলো দূরে সরে যাচ্ছে একে অপরের থেকে যখন বেলুনটা প্রসারিত হচ্ছে, অনেকটা রাবারের মতো!আর সেজন্যই আমাদের মহাবিশ্বের আকার হয়তো হবে অনেকটা রাগবি বলের মতো।
এখন আরেকটু ডীপে যাই, ডার্কএনার্জী কি রকম বা জিনিসটা কি? আচ্ছা, এ ব্যাপারে একটু যে বলেছিলাম মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে এটার সাথে এর একটা সম্পর্ক আছে, যেটাকে আমরা কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট হিসেবে বলতে পারি যেটাকে ডার্ক এনার্জীর একটা অনন্য ফর্ম। যদি আমরা হাবল সাহেবের সমীকরন বিবেচনা করি। এর একটা ক্যালকুলেশন আছে যেটা লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে, কিন্তু কিভাবে দেবো বুঝতে পারছি না।
তবে এটাই শুধু বলি এই কনস্ট্যান্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় যে ডার্ক এনার্জীর ঘনত্ব সর্বত্র এরকম হোমোজিনিয়াস বা সমান কেন!
ডার্ক এনার্জীর আরেকটা ফর্ম হলো এটা এমন একটা স্কেলার ফিল্ড যেটা তখনই ডার্ক ম্যাটারে পরিণত হবে যখন এটা বেরিয়োনিক পার্টিক্যলগুচ্ছের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হবে যার ফলে একটা ডায়নামিক ফিল্ডের সৃস্টি হবে। এখানে বেরিয়োনিক পার্টিক্যাল হলো তিন ধরনের কোয়ার্কের সমস্টি আর ডায়নামিক ফিল্ড হলো স্পেস ডাইমেনশনে সৃস্ট কোনো স্কেলার ফিল্ড। বোধ হয় জিনিসটা পেচিয়ে ফেললাম। যাই হোউক সোজা বাংলায় এটাকে আমরা এমন একটা এনার্জি ফিল্ড ধরি যেটা স্কেলার ফিল্ডের চরিত্র প্রাপ্ত!
এখন ডার্ক এ্যানর্জীর কিছু প্রমান নিয়ে আলোচনা করি!

সুপারনোভা বিস্ফোরন

সদাপ্রসারমান মহাবিশ্বে গ্যালাক্সিগুলো একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে যেটার গতি নির্ভর করছে তার দূরত্বের উপর (হাবলের সূত্রানুসারে)।সুপারনোভার মাধ্যমে আমরা এর ইফেক্টটা এভাবে মাপতে পারি: এদের নিঃসরিত আলোর বর্ণালীর রেডশিফ্ট বলে দিতে পারে তারা কত গতিতে তার কাছের পারিপার্শ্বিক জগত থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আর এভাবে তাদের উজ্জলতাই প্রমান করে দেয় তাদের গতি।এটা দেখা গেছে গ্যালক্সীগুলো বিলিয়ন বছর আগে যে গতি নিয়ে ছোটা শুরু করেছিলো একে অপরের থেকে সেটা এখনকার নিকট অতীতের গতি থেকে বেশ কম, যার উপর জোর দেয়া যায়।তার মানে এখনকার এক্সপানশন রেট আগের চেয়ে বেশী- এটাকে আমরা ডার্ক এনার্জির একটা চরিত্র বা সিগন্যাচার ধরতে পারি।

বাকি পর্বে থাকবে নিম্নোক্ত বিষয়ের মাধ্যমে ডার্ক এনার্জীর উপস্হিতি। আজ এটুকুই!
কসমিক মাইক্রোওয়েভের মূল বিকিরন!

গ্যালক্সিগুলোর গঠন

মহাকার্ষ আকর্ষনের লেন্সিং

এক গুচ্ছ গ্যালাক্সির দল


মন্তব্য

গৌতম এর ছবি

এই দুটো লেখা পড়তে পারেন। কাজে লাগলেও লাগতে পারে-

১. পরীক্ষাগারে বিগ ব্যাং: উত্তর মিলবে অনেক প্রশ্নের

২. ব্ল্যাক হোলের সাথে ম্যানহোলের এবং হোয়াইট হোলের সাথে সুড়ঙ্গমুখের মিল আছে- সত্যি কথা কিন্তু!

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

বস, আপনার লেখা পড়তে গিয়ে আমি আপননার লেখার প্রেমে পড়ে গেলাম মনে হয়। সামহোয়্যারে রেজিস্ট্রেশন করতে কি এখানকার মতো নিয়ম আছে?

তবে ওখানে দেখলাম ব্লাখোল বানানোর জন্য সার্ন ল্যাব আর হ্যাড্রন কোলাইডারের কথাটাও বেশ সুন্দর লিখেছেন। আপনি তো বস লেখেন!

দিগন্ত এর ছবি

আপনি একটু ইতিহাস থেকে শুরু করলে মনে হয় ভাল হত। সচলায়তনের পাঠকেরা একেকজন একেক ব্যাকগ্রাউণ্ডের - সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করলে ভাল হয়।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি চিন্তা করছি একটা পোস্ট থাকবে যেখানে আইনস্টাইন ও তার পরবর্তী গবেষনা সমূহের বিষয়াবলী এবং তার বিশ্লেষণ। ওখানে আশা করি সবাই ক্লিয়ার হতে পারবে!

ধন্যবাদ

রনি রক!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।