ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক স্বাধীনতা দিবস শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্প-২০০৯: আর কতো লজ্জা পেতে হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১২/০৪/২০০৯ - ২:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

আগুনে পুড়ে ঝলসে যাচ্ছি- নিজেকে মাঝে মধ্যে এরকম মনে হয়। তেমনি একটা মুহুর্তে আজকে ও পড়েছি। হুট করে চোখের সামনে চলে আসে একটা বিজ্ঞাপন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এবার চালু করেছে স্বাধীনতা দিবস শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্প-২০০৯ মন খারাপ

আর কতো অপমানিত হতে হবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের? কারো কিছু বলার আছে?

-
সুশান্ত
সময়ঃ ২১.৩৭
তারিখঃ ১১ এপ্রিল ২০০৯


মন্তব্য

নদী এর ছবি

১। জান বাঁচানো ফরজ। তাই এ ব্যবস্থা।

২। কিছু মানুষের স্ববিরোধিতা দেখলে সত্যই পীড়া বোধ হয়। ইনারা শেখ মুজিবের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেন; আবার বিপদে পড়লে শেখ মুজিবকে মনিব মানেন এই হিসাবে যে, ইনারা বলেন তিনি তাদের জঘণ্য অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন। ইতিহাসের এই অভিশাপ নিয়ে তারা বেঁচে থাকবে।

নদী

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

লজ্জার কোনো কিছু নাই। ১৯৭১ এ তাদের পাকি-পিতাদের সমর্থন ও দালালীর যে ইতিহাস তার স্মরণে তারা এসব করছে। এ বৃত্তি দেয়া হবে মুক্তিযোদ্ধার (আসলে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করা যোদ্ধা) সন্তান নামধারী বাংলাদেশ জামাতে ইসলামির কর্মী, সংগঠক, এবং নেতাদের সন্তানদের; যারা এ বৃত্তির টাকা পেয়ে জামাতের প্রতি আরও বিনয়ী হবে। এদের কেউ কেউ ইন্টারনেটে ওভারটাইম ডিউটি করবে...।

এসব বৃত্তি এবং খুঁদ-কুটা খেয়ে বড়ো হয় বলেই - জামাতের বরাহ নন্দন নন্দিনীরা গোলাম আজমকে মহান নেতা বলে অন্তর্জালে ক্রুসেডে নামে। ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা নিয়ে এদের সন্দেহ সুদৃঢ় হয় আর হা হা হা করে হাসে।

অবাক হওয়ার কিছু নেই তাই।

জাকির জাহামজেদ [অতিথি] এর ছবি

শিমুল একেবারে খাটি কথা বলেছেন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধ এখন গরীবের বৌ... জামাতীরাও ভাবি ডাকে।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

একদম ঠিক।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

একবার স্বাধীনতা দিবসের এক সরকারী অনুষ্ঠানে রাজাকারের হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পুরস্কার নেবার দুর্ভাগ্যজনক দৃশ্য দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল।

বিস্তারিত পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না, কিচ্ছু বলার নেই। মন খারাপ
মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অনীক আন্দালিব এর ছবি

কিচ্ছু বলার নাই না, বলার আছে। এখন সময় আসছে এইগুলাকে নস্যাৎ করার। যুদ্ধাপরাধী বিচারের ইস্যুটা একটু একটু করে ব্যাকড্রপে চলে যাচ্ছে, এটা সবাই একটু খেয়াল করেন। নানা দুর্যোগ ঘটছে এই সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে এটা একটা কারণ। তা ছাড়াও এদেরও প্রচেষ্টা রয়েছে এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়ার। এখন উচিত আমাদেরও উচ্চকিত হওয়া। তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি (!) দিতে চায়, আমাদের উচিত চিহ্নিত রাজাকারগুলোর জন্যে ধিক্কার-প্রদান অনুষ্ঠান করা!

জাকির জাহামজেদ [অতিথি] এর ছবি

কোনদিন দেখবেন সাধীনতা পুরস্কারও দেওয়া শুরু করছে।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বলার এবং করার আছে। এইটা হলো চাচা আপন পরাণ বাঁচা।
এই বৃত্তি কারা গ্রহণ করছে সেটাও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

ইশতিয়াকের কথাটা মনে ধরেছে হাসি

___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

রাজাকার জিন্দাবাদ এর ছবি

আমারও শরীর জ্বলে যাচ্ছে এসব কুকুরদের নীতিহীনতা দেখে। ইসলামের কথা বলে আবার ভারতিয় দালালদের পোলাপানদের বৃত্তির কথা বলে!!! থু!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।