কাস্টমস কাহিনী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০০৯ - ৩:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা গল্পের সুত্র ধরে কাস্টমস বিষয়ক জটিলতার সঙ্গে আমাদের অনেকেরই প্রথম পরিচয়। তখন সেই গল্প পড়ে আমরা হেসেছি, মজা পেয়েছি, চুঙ্গিওয়ালার নির্বুদ্ধিতায় চোখ রসগোল্লা করে ঝান্ডুদার সাথে পুর্ন সহমত প্রকাশ করেছি। কিন্তু যত হাসি তত কান্না , বলে গেছেন নায়ক মান্না - এই আপ্তবাক্য যে আমার জীবনে এত চরমভাবে ফলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবিনাই।
পরবর্তীকালে ব্যবসা করতে গিয়ে কাস্টমসের বল্গাহীন দুর্নীতির দৌরাত্নে আমার লাইফ হেল হয়েছে, এবং হাতে হারিকেন আর ভগ্ন হৃদয় নিয়ে পরাজিত আমাকেই দেশ ছাড়তে হয়েছে।
বিস্তারিত বলতে গেলে হাজার পর্বের মেগা সিরিয়াল হয়ে যাবে, তাই দুই একটা ঘটনা আপনাদের বলি।
নব্বই শতকের মাঝামাঝি। সরকার সদ্য মাত্র কম্পিউটার গুডসকে ট্যাক্স ফ্রী ঘোষনা করেছে। আমরা তিন বন্ধু তখন প্রকাশনা ব্যবসায় জড়িত, ভালোই চলছিল, কিন্তু সুখে থাকতে ভুতে কিলায় , তাই পাবলিশিং হাউস বিক্রী করে দিয়া আমরা কম্প্যুটার ব্যবসায় নামলাম। কিছুদিন পরেই বুঝলাম নিজেরা ইম্পোর্ট করতে না পারলে লাভ করা মুশকিল, কাচা বয়স...আগা মাথা না ভেবেই ধাম করে লাইসেন্স করলাম, এক ইন্ডেন্টরের হাতে পায়ে ধরে সাপ্লায়ারের নাম ঠিকানা নিয়ে লেখালেখি শুরু হল। তখনও ইন্টারনেট কি বস্তু জানতাম না, এক চাচার অফিস থেকে ফ্যাক্সে যোগাযোগ চলত। আমাদের লম্ফ- ঝম্ফে দয়া পরবশ হইয়া সাপ্লায়ার মহাশয় দুই কার্টন স্যাম্পল বিনা মুল্যে পাঠাইয়া দিলেন। বাংলাদেশের সবুজ বাজার ধরতে তারাও খুব আগ্রহী ছিলেন। সেই স্যাম্পল ঢাকা এয়ারপোর্ট কাস্টমস থেকে ছাড়াতে গিয়েই নেত্র উন্মোচনকারী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। ইন্ডেন্টর সাহেব তার এক পরিচিত C&F এজেন্টকে দায়ীত্ব দিলেন, অলি গলি চেনার আশায় আমিও তার সাথে গেলাম। মাত্র দুই কার্টন স্যাম্পল তাই কেউ তেমন পাত্তা দিলোনা, আর খুব একটা ঝামেলাও করলনা। আনুষাঙ্গীকতা শেষ করে ডেলীভারী নেয়ার জন্য গুদাম ঘরে গেলাম, ইন চার্জ অফিসার আমাদের দেখে বললেন একটু অপেক্ষা করতে আসরের নামাজ পরে এসেই আমাদের কাজ করে দেবেন। নামাজ পরে এসেই উনি হাত বাড়িয়ে দিলেন...আমি তার ভদ্রতায় গলে গিয়ে হাত ধরে উষ্ণ ঝাকুনি দিলাম। উনি শক খাওয়ার ভংগীতে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললেন ..."আরে হ্যান্ড শেক লাগবোনা চা- পানি খাওয়ার টাকা দেন, দিয়া মাল নিয়া বিদায় হন, হাতে অনেক কাজ জমে আছে"। বিনা মেঘে মাথায় ঠাডা পড়ার অনুভুতি হল, অতি কষ্টে মাথা ঠান্ডা করে বললাম... "ভাই আমরা ছাত্র মানুষ, সততার সাথে ব্যবসা করতে চাই, দয়া করে একটু সাহায্য করেন"। আমার কথায় উনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে যা বললেন তা এখনো পরিস্কার মনে আছে..." ফাইজলামী পাইছেন, সততার সাথে ব্যবসা করার নামে বাল ফালাইতে আপনেরে এইখানে আসতে কোন শালায় কইছে, টাকা দিলে দেন নাইলে মাল নিলামে পাঠাইয়া দিব, আর এইখানে আপনার ভাই বইলা কেউ নাই, স্যার বলবেন"। আমার বালখিল্যতায় শিউরে উঠে পাশ থেকে এজেন্ট বলে উঠল..." স্যার বেয়াদবি মনে নিয়েন না, উনি নতুন মানুষ , আজকেই প্রথম এখানে আসছে, লাইন ঘাট বুঝেনা...মাফ কইরা দেন।" তারপর আগুন চোখে আমাকে ভস্ম করে দিতে দিতে বলল ..."জলদি স্যাররে এক হাজার টাকা দেন, আপনে এমুন তালেবান মানুষ তা জানলে আপনের কাজই ধরতাম না, সারাদিন আপনের কামে ঘুরলাম আর দিলেন স্যাররে রাগাইয়া, পরে বড় কাজে আসলেতো উনি আমার হালুয়া টাইট কইরা দিবো।"
ক্ষোভে দুঃখে অপমানে ঝড়ের গতিতে ওখান থেকে বের হয়ে আসলাম...টাকা না দিয়েই। তখনও আত্না বিক্রী করি নাই, ন্যায় নীতির জোশ পুরা মাত্রায় অবশিষ্ট ছিল, কিন্তু আপোষের সেই শুরু। এজেন্ট ব্যাটা নিজের পাছা বাচাইতে পকেট থেকে টাকা দিয়ে স্যাম্পল বের করে আনল, ব্যবসায়ীক স্বার্থের খাতিরে পরে তাকে পেমেন্ট দিয়ে দিলাম। লাভের আশায় মনের ক্ষতে মলম পড়তে দেরী হলনা, যম্মিন দেশে যদাচার, লোম বাছতে কম্বল উজাড় করার মানে হয়না ইত্যাদি স্বান্তনা বাক্যে নিজেকে বুঝিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলাম।
জুম্মার দিন নামাজ পরে মসজিদে বসে আছি, ছোটবেলায় যার কাছে কোরান পড়া শিখেছি সেই হুজুরের সাথে এই ব্যাপারে কথা বলে পরামর্শ নিব। আমার সব কথা শুনে উনি চুপ করে রইলেন। আমার প্রশ্ন হল ঘুষ দিয়ে ব্যবসা করা ঠিক হবে কি হবেনা। কিছুক্ষন চুপ থেকে উনি বলে উঠলেন " দেখ মনে কর তুই বাজার থিকা গোস্ত কিন্যা বাড়িত যাইতাছস, তোর পিছনে লাগল বিশাল বদ একটা কুত্তা, তুই জান মালের হেফাজতের জন্য যদি এক টুকরা গোস্ত কুত্তারে দিয়া বাড়ীর দিকে দৌড় লাগাছ আমিতো তাতে দোষের কিছু দেখিনা।" হতবাক আমি বল্লাম..." নামাজী মানুষকে কুত্তার সাথে তুলনা করলেন?"। আমার দিকে তাকিয়ে উনি ঝাঝিয়ে উঠলেন..."যে অন্যের হক নষ্ট করে, মানুষরে কষ্ট দেয় সে নামাজী হউক বা দরবেশের ভেক ধরুক সেই ব্যাটা শয়তানের চেলা, বদের বাদশা। সব কিছুর এত সোজা হিসাব করিস না"
সেই শুরু। অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে আমিও নামে বেনামে কাস্টমস অফিসারদের মেদ ভুড়ি বর্ধনে হাত বাড়িয়ে দিলাম। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলনা, কয়েক বছর পরে ধার কর্জ করে বড় এক কন্টেইনার ভর্তি মাল ইম্পোর্ট করলাম, উপরি নিয়ে অসন্তুষ্ট ঘুষখোর অফিসার আমাকে হাই কোর্ট দেখিয়ে দিল। ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলল আর আমিও বাংলাদেশে ব্যাবসার ইচ্ছা কবর দিয়ে দেশ ছাড়লাম।
এখন ভালোই আছি, ঢেকি বিদেশে গিয়েও ধানই ভানে , তবে উপরির যন্ত্রনা আর ভোগ করতে হয়না।
হায় আমার সোনার দেশ!


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হা হা হা! লেখা দারুণ লাগল। কিন্তু আপনার নাম তো দিলেন না বস...
দেশের বাইরে গিয়ে কি আবার ব্যবসাই শুরু করলেন, সেখানে কী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন, সেটাও শুনতে চাই...
কাস্টমস অফিসারের ডায়লগ একদম জেনুইন!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজ দেশে পরবাসী... সরিষার মধ্যে ভুত।
NBR এর স্বপ্নে পাওয়া ট্যাক্স পলিসির জন্য দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারী মাপের ব্যবসাগুলো যেভাবে ধুকে চলেছে যা অবর্ণনীয়। এতে শুধু দেশ তার প্রাপ্য রাজস্ব হারাচ্ছে তা নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে, কর্ম সংস্থানের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে, দুর্নীতি ক্যান্সারের মত সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। হোস্টেজ ব্যবসায়ী মহল এখন রীতিমত গবেষনা করে নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছে ট্যাক্স ফাকি দেওয়ার। যে চোর পুলিশ খেলায় যত দক্ষ, ব্যবসায়ী হিসেবে সে ততটা সম্মানীত।
ফাকি দেওয়ার কিছু ঘটনা এস্পিওনাজ কিচ্ছাকেও হার মানাবে। আপনারা জানতে চাইলে বলব।
নির্লজ্জ,আত্নধ্বংসী এই দুর্নীতির গলায় রাশ পরাতে না পারলে আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছে আমাদের মুখ দেখানোর উপায় থাকবেনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ বস। জীবনেও ভাবিনাই আমার লেখা পড়ে কেউ বলবে দারুন লাগছে, আপনার প্রশংসা শুনে হাত তিনেক লম্বা হয়ে গেলাম। বান্দার নাম মামুন। জি বিদেশে এসেও ব্যবসাই শুরু করছি, আর কিছু তো জানিনা। প্রথমে অনেক কষ্ট গেছে, বিড়ি খাওয়ার পয়সাও ছিলনা। কিন্তু হাল ছাড়ি নাই, কোন ঠাসা বাঘের মত লড়াই করে গেছি। এখন বিন্দু থেকে কিছুটা বড় হইছি, মোটামুটি সফল বলতে পারেন। ভীন দেশী মানুষেরা অনেক সাহায্য করছে। কোন দিন সাহসে কুলাইলে আপনাদের শুনাব।
তবে দেশ ছাড়ার পরে কোন দিন কাউরে ঘুষ দেই নাই, আর দিব ও না।
মরার আগে দুর্নীতি মুক্ত দেশ দেখে যেতে চাই।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ভাইজান, বিদেশে কেউ ভালো করছে শুনলে খুব ভালো লাগে... আপনি ব্যবসা করে একটা ভালো জায়গায় আসছেন শুনে খুবই ভালো লাগল... বিদেশের মাটিতে বাঙালির উঁচু মাথার গল্প শুনে খুবই গর্বিত বোধ করি!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

আপনিও দেখি আমার মতো আনাড়ী। জীবনের প্রথম ঘুষের মুখোমুখি হয়ে আমিও নাকাল হয়েছিলাম রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোতে। টাকা না পেলে রপ্তানী থামিয়ে দিতে যাদের জুড়ি ছিল না।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হায় রে অভাগা দেশ!
---
লেখাটি ভালো লাগলো।...
---
হে অতিথি, আপনার নাম জানা হলো না!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তীরন্দাজ এর ছবি

ভারতের দিল্লীতে কাস্টমস নয়, ইমিগ্রেশনের খপ্পরে পড়েছিলাম। অযথাই ঝামেলা পাকাচ্ছিল। পরে পকেটের একটি গ্যসহীন খালি প্লাষ্টিকের লাইটারটি নিয়ে বলেছিল,
"আরে ইয়ার, ঠাপ্পা লাগাদো! "
আপনি খুব ভালো লিখেছেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুমন চৌধুরী এর ছবি

"আরে ইয়ার, ঠাপ্পা লাগাদো! "

এতো দেখি এয়ারপোর্টেও মাক্ষিচুস ঘুষখোর



অজ্ঞাতবাস

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো লাগলো, আরো লিখুন। আপনার বিদেশের অভিজ্ঞতার কথাও লিখুন।

মামুন হক [অতিথি] এর ছবি

ভারতের কাস্টমস আর ইমিগ্রেশ্রনের কথা মনে পড়লে হাসিও পায় আবার কান্নাও পায়। এখনকার অবস্থা জানিনা, সড়ক পথে শেষ বার ভারত গেছি ২০০২ সালে, তখন ও পেট্রাপোল চেক পোস্টে ভারতীয় ইমিগ্রেশন রীতিমত আজান আর উলুধ্বনি দিয়ে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার চেষ্টা করত। আমাকে একবার দেড় ঘন্টা আটকে রাখলো দুই টাকা সেধে এক মহিলা অফিসারকে আপমান করার অপরাধে। ইচ্ছা করেই ওটা করেছিলাম, পঞ্চাশ টাকা চেয়েছিলো...আমি বল্লাম অত টাকা নেইগো দিদি...দু'টাকা আছে...নেবে?

অমিত এর ছবি

সড়কপথে পার হয়েছি ২০০৪ সালে, বিএসএফ এর রেট ঠিক করা থাকে। ২০০-৩০০ টাকার মতন লেগেছিল মনে হয়।

পুতুল এর ছবি

লেখাটা ভাল হয়েছে।
এই তো আমাদের দেশরে ভাই!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মজাক পাইলাম হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল লাগল। হাসি

বিদেশে এখন ভাল প্রতিষ্ঠিত অবস্থায় আছেন জেনে ভাল লাগল। নিয়মিত লিখুন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার ধারণা এই অভিজ্ঞতা আমাদের যারা কাস্টমসের বৈতরণী পার করেছেন, তাদের সকলেরই কমবেশী রয়েছে...। ভালো লাগলো আপনার লেখার ধরণ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

সাইফ এর ছবি

মামুন ভাই, লেখা পরে বরই মজা পাইলাম। খুব ই মজা আপ নার লেখায়। ভাইরে, কাস্ট্মস এর ম্ত আবাল আর আসে নাকি কেউ? আমার এক ভাই রে কিসু জিনিশ পাঠাইসিলাম, জিবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল সেটা।

আপনাকে বাহবা দিবার ভাষা নাই 'দিদি ' কে সাইজ করবার জন্য। হে হে হে।

অতিথি লেখক এর ছবি

পরিবর্তন দরকার কোথায় যে দরকার সে কথা কে বলবে? আর বললে বেড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাঁধবে..........?

(জয়িতা)

তানবীরা এর ছবি

এই জন্যই ব্যবসা করি নাই, ঘুষ দিতে দিতে জান যেতো। সৎ মানুষের জন্য চাকরীই ভালো ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।