ছোট গল্পঃ মধ্যরাতে স্বস্তির ফোন।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৯/২০০৯ - ৯:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল থেকেই ঘুরি ঘুরি বৃষ্টি হচ্ছে। সারা রাতের অঝর ধারায় বৃষ্টির ফলে শহরের অনেক সড়ক পানির সাথে কোলাকুলি করছে। আসলে কোলাকুলি বললে ভুল হবে, প্রখর সূর্য তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সড়ক গুলো পানির নিচে ডুব দিয়ে আছে। তাছাড়া সারা বছর ধরে গাড়ির নির্যাতন সইতে সইতে সড়ক গুলি মুমূর্ষ হয়ে গিয়েছিল, তাই পানি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন স্বয়ং উপরওয়ালা।

আদৃতা সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ শাশুড়ীর জন্য দুপুরের খাবার তৈরি করে, নিজের দুপুরের খাবার বক্সে ভরে অফিস যাবার জন্য তৈরি হয়ে নিল। আকাশ তখনও গোমড়া মুখে বসে আছে। বৃষ্টির পতন কিছুটা থামলেও মেঘের আধিপত্য দেখে বুঝা যাচ্ছে, যে কোনো সময় আক্রমণ করবে ধরাকে। বর্ষা শুরু না হতে এইরকম বৃষ্টি আদৃতা আগে কখনো দেখে নি। তাই মেজাজটা একটু অন্য রকম। অফিস যেতে আদৃতার কিছুতেই মন চাচ্ছে না কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় এবং বৃহস্পতিবার হওয়ায় বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে।

তিন বছরের বাচ্চা "বর্ণ"কে খাবার খাইয়ে শাশুড়ীর রুমে এল। শ্বাশুড়ী বিছানা থেকে উঠে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল-"বউ মা, আজ আকাশটা অনেক মেঘাচ্ছন্ন, সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে, রাস্তা ঘাঁটের খারাপ অবস্থা, অফিস না গেলে হয় না?" আদৃতা শাশুড়ীর পাশে বসে গলা জরিয়ে ধরে -"মা, আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাস করতে হবে, অফিস না গেলে বস রাগ করবেন। আমি সব রান্না করে গেছি, বুয়া কে বলবেন গরম করে দিতে, আর বর্ণ কে একটু দেখে রাখবেন।" শ্বাশুড়ী মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন-"যাও মা, একটু সাবধানে যেও। রাস্তা ঘাট দেখে চইল। আর হ্যাঁ, আর্দ্র কি আজ আসবে?" আর্দ্র বর্ণের বাবা, একটা বেসরকারী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, ঢাকার বাইরে কর্মস্থল। বিশেষ কোনো কাজ না থাকলে প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা আসে। শাশুড়ী গলা থেকে হাত নামিয়ে বলল-"জী মা, রাতে কথা হয়েছে, আসবে। এখন আমি যাই মা?" শ্বাশুড়ি বলল-" যাও মা।" আদৃতা বেড় হওয়ার মুখে এক মাত্র মেয়ে বর্ণ দৌড়ে কাছে এল, মাকে জরিয়ে ধরে বলল-"মা আসার সময় আমার জন্য চকলেট আর ম্যাংগো বার নিয়ে আসবে।" আদৃতা মেয়ে কি কোলে নিয়ে, গালে চুমু খেয়ে বলল-"জী মা নিয়ে আসব, তবে তোমাকে লক্ষ্মী মেয়ের মত থাকতে হবে, দাদুকে কষ্ট দেয়া যাবে না। কী থাকবে তো?'" বর্ণ মায়ের গালে চুমু খেয়ে বলল-"ঠিক আছে।" আদৃতা নাকে নাক ঘষে বলল-"প্রমিজ?" বর্ণ কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল-"প্রমিজ।"

বাসার গেট থেকে বেড় হয়ে অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে আদৃতা, কোন কিছু পাচ্ছে না, গুলশানের কথা বললেই অটোরিকশা চালক গুলি রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে না বলে চলে যায়। ঘড়ির কাটা টিকটিক করে এগিয়ে যাচ্ছে, সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। ৯টায় অফিস থাকতে হবে, বস সেই ফাইলটা দেখতে চাবে। কিছু ফিনিশিং টাচ বাকি আছে। মেঘলা আকাশ দেখে কিছুটা স্বস্তি, যে বস এত তাড়াতাড়ি অফিস আসবে না। একটা ট্যাক্সি ক্যাব দেখে হাত তুলল, ক্যাব ওয়ালা কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা আদৃতার কাছে এসে থামল। আদৃতা গুলাশানের কথা বলতেই ক্যাব ওয়ালা একটা গুল মাখা ফোকলা দাতে ধারুন হাসি দিয়ে উঠতে বলল। আদৃতা বৃষ্টি মাথায় ক্যাবে উঠে বসল।

সারা রাত অত্যধিক বৃষ্টি হওয়ায় এবং এখনো বৃষ্টির পতন অব্যাহত থাকায় রাস্তায় মানুষ জনের আধিক্য কম। রাস্তা ছুটির দিনের চেয়েও বেশি ফাঁকা। রাস্তায় জমে থাকা পানি কাটিয়ে ট্রলারের মত ছুটে চলছে ক্যাব। আদৃতা সীটে মাথাটা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।

আর্দ্র অফিসার ঝামেলা শেষ করে বাসের জন্য ছুটল। ৪:৩০ মিনিটের বাস ঢাকা আসতে আসতে রাত ১১টা কখনো ১২টাও বাজে। তাড়াহুড়ো করে বাসে এসে উঠল। বাসে উঠে আদৃতাকে ফোন করার চেষ্টা করল, দেখে মোবাইল বন্ধ। ভাবে মনে হয় অফিসার কোন মিটিংয়ে আছে, তাই আর চেষ্টা না করে একটা এসএমএস করে সিটটা যতটুকু নামানো যায়, নামিয়ে ঘুমিয়ে গেল।যখন ঘুম ভাঙল তখন সন্ধ্যা প্রায় । দেখে আদৃতার কোন কল নেই। একটু খটকা লাগল মনে। আবার চেষ্টা করল, এইনবারও মোবাইল বন্ধ পেল। অগত্যা আর্দ্র মাকে ফোন দিল। মার কাছ থেকে জানতে পারল আদৃতা তখনও বাসায় ফিরে নি। অস্থিরতা বাড়তে থাকল। কাকে ফোন দিলে আদৃতার খবর পাওয়া যাবে ক্ষণিক সময় ভাবল আর্দ্র । তারপর অফিসে ফোন দিল। অফিস থেকে জানতে পারল, আদৃতা আজ অফিস যায় নি। সকাল থেকে তার মোবাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না। কিংকর্তব্যবিমূঢ় আর্দ্র কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। তাছাড়া সে এখন বাসে, কিছু করারও উপায় নেই ভেবে আদৃতার কয়েকটা ভাল বন্ধুকে ফোন দিল। ওদের বাসায় ফোন দিল। কোথাও আদৃতার খোঁজ পেল না।

অন্তরে অস্থিরতা আর মাথায় পাহাড় সম দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে বাসে মূর্তির মত বসে আছে। কিছুক্ষণ পর পর আদৃতার মোবাইলে কল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর্দ্রের কাছে মনে হচ্ছে আজ বাসটাও যেন আগের চেয়ে অনেক আস্তে যাচ্ছে। দুই একবার সুপারভাইজার কে ডেকে একটু তাড়াতাড়ি যাবার জন্য তাগিদ দিল। কিন্তু ড্রাইভার দ্রুত চালালে কী হবে, ভাগ্য যে সুপ্রসন্ন নয় সেটা কী আর্দ্র জানে। দৌলদিয়া ফেরি ঘাঁটে এসে দেখে বিরাট গাড়ির লাইন। এই লাইন ধরে যেতে আজ আর্দ্রের অনেক রাত হবে। নিয়তি আর বাংলাদেশের পরিবহনের উপর কারো হাত নেই। কারো শুভ হাত নেই এই দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ফেরির উপরও। এখানে যত ট্রাফিক জ্যাম লাগানো যায় ততই যেন ভালো।

রাত ৯টা বাজে তখনও আদৃতা বাসায় যায় নি, মোবাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না, সেই একি কথা-"দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, অনুগ্রহ করে একটু পর আবার চেষ্টা করুন।" আর্দ্রের ফোন বেজে উঠতেই চম্‌কে গিয়ে ফোন ধরল, দেখে তার মার ফোন। মেয়ে বর্ণ মার জন্য কান্না কাটি করছে, কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। কিছু খাচ্ছে না। অসুস্থ মা কি করবে বুঝতে পারছে না, ছেলে কে বলল-"বাবা তুই কত দূর? তাড়াতাড়ি আয়, আমি আর পারছি না, বউ মার কোন খোঁজ পেলি?" আর্দ্র অনেক কষ্টে নিজের কান্না থামিয়ে মাকে বলল-"মা তুমি দুশ্চিন্তা করো না, ও হয়তো কোন কাজে আট্‌কে আছে, চলে আসবে, আর আমি ফেরি পর হচ্ছি, আর দুই ঘণ্টা লাগবে।" ফোনটা কেটে পকেট থেকে টিস্যূ নিয়ে চোখ মুছে নিল। তার খুব কান্না পাচ্ছিল কিন্তু বাসে থাকাতে আর কাঁদতে পারল না।

রাত একটা বাজে আর্দ্র বাসায় পৌঁছল। মেয়ে বর্ণ বাবাকে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরল। আর্দ্র মেয়েকে বুকে জরিয়ে ধরল, মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বসল। এর মধ্যে বাসায় আদৃতার বাবা মা এসে গেছে। তাড়াও নিশ্চুপ বসে আছে। কী করবে বুঝতে পারছে না। থানায় ফোন করবে কী না, জিডি করবে কী না, আলোচনা করল। আর্দ্রের এক বন্ধু শোয়েব এনএসআইতে চাকুরি করে, তাকে ফোন দিল, শোয়েব বলল-"দোস্ত চিন্তা করিসনা আমি দেখছি।"

বর্ণের চঞ্চলতায় আনন্দে ভরা বাসাটা যেন এখন এক নরক। কারো মুখে কোন কথা নেই, বর্ণ বাবার কোলে লেপ্‌টে আছে, ক্ষণে ক্ষণে মা বলে কেঁদে উঠে। বর্ণের কান্না সবাইকে কাঁদিয়ে যায়। আকাশের বৃষ্টি আবারও বেড়ে গেছে,চারদিকে মেঘের গর্জন। নীরব হয়ে গেছে চারপাশ। তার চেয়ে বেশী নীরব আর্দ্রের বাসা। আর্দ্রের মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর বলছে-"আমি বললাম বউ মা আজ না গেলে হয় না, আকাশে বৃষ্টি , রাস্তাঘাট খারাপ। আমাকে বলল, মা একটু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে না গেলে বস রাগ করবে।" বলেই আবার কাঁদতে শুরু করল।

রাত তিনটা, সবাই চুপচাপ, কেউ কোন কথা বলেছে না। হঠাৎ আর্দ্রের মোবাইল বেজে উঠল। দৌড়ে গিয়ে ফোন ধরল, উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ নিয়ে বলল-"হ্যালো, কে বলছেন?" ওপাশ থেকে বলল-"আপনি কি জনাব আর্দ্র বলছেন?" আর্দ্র বলল-"জী বলছি।" ওপাশ শান্ত্ব ভাবে বলল-"আমি হাসপাতাল থেকে বলছি, আপনার স্ত্রী আমাদের হাসপাতালে, এখন সুস্থ আছেন।"
=============
লেখকঃ দলছুট


মন্তব্য

বইখাতা এর ছবি

আপনার আগের গল্পটার চেয়ে বেশি ভালো লাগলো। তবে বানানের ব্যাপারে আরেকটু সতর্ক থাকা যায় কি ? (যদিও আমি নিজেও অনেক বানান ভুল করি !)

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। বানানের ব্যাপারে আমি কিছুটা উদাসীন কিনা জানি না, তবে এটা জানি আমি বাংলা বানানে অনেক দুর্বল।

আপনাদের পরামর্শে অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছি, আশা করি আস্তে আস্তে আরো কমে যাবে।

কনফুসিয়াস এর ছবি

কিন্তু ঘুরি ঘুরি বৃষ্টি কী করে হয়?...

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

গুড়িগুড়ি এর ছবি

যদি তা গুড়িগুড়ি না হয় ... চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

টাইপিং এর কারণে গুড়ি গুড়ি হয়ে গেছে "ঘুরি ঘুরি" । ঝির ঝির বৃষ্টিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্ট বলে।

ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। যেহেতু আমরা অতিথি, তাই সংশোধন করতে পারি নাই।

দলছুট।
===========
বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগল। কিন্তু একদম শুরুর লাইনেই মারাত্মক রকম বাজে ধরনের বানান ভুল করে বসে আছেন। এমন ভুল দেখলে অধিকাংশ পাঠকই হয়তো পুরো পোস্ট পড়তে চাইবেন না, অথবা পোস্টে ঢুকবেনও না।

আশা করি কিছু মনে করেননি। কেবল আরেকটু সচেতন হতে অনুরোধ করব। পুরোটা লেখা হলে নিজে একবার পড়ে দেখবেন, পোস্ট করার আগে।

ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বানানের ব্যপারটা আমি নিজেও অনেক সময় অবাক হই। এর একটা কারণ হল বাংলা টাইপিং এ আমার দুর্বলতা আর একটা কারণ হলো ফোনেটিক আর অভ্রের সংমিশ্রণ।

আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। অনেক বানান আছে পরে চোখে পরে কিন্তু অতিথি লেখক হওয়াতে আর সংশোধন করতে পারি না। এরপর থেকে এরো সচেতন হব।

ধন্যবাদ।

দলছুট।
==============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আজকে বরং কিছু বানান বেশি ভুল ধরা পড়লো- সোজা কথায় প্রচুর।
আর আপনার গল্পগুলো কিছুটা নাটক টাইপ, এই জাতীয় গদ্য পড়ে আমি ঠিক আরাম পাই না (ব্যক্তিগত মত- অনেকের নিশ্চয়ই ভালো লাগে...)।

একটু ভেবেচিন্তে প্লট তৈরী করে লিখতে পারেন। আরো ভালো কিছু বেরুবে আশা করি...

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতিথি লেখক এর ছবি

আজকের লেখাটা অনেক অস্থির মন নিয়ে লিখেছিলাম। বাসায় বোরিং লাগছিল, লেখার মাঝ খানে তিন বছরের ভাতিজার উৎপাত ছিলো, সব মিলিয়ে লেখাটার প্রতি বলতে পারেন যতটুকু যত্ন নেয়ার দরকার ছিলো ততটা দিতে পারি নাই। বিরক্ত অনুভব করলে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া এখন আর কী করতে পারি? আর কিছু আছে টাইপিং জনিত সমস্যা।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

দলছুট।
========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পড়ে স্বস্তি পেলামনা। বানানের কারনে বারবার গোত্তা খেলাম।

প্লট টা খারাপ নয়, কিন্তু এটাকে আমি একটা সিনোপ্সিস ধরবো, পূর্ণ লেখা নয়।

আর যাক! এবার অন্তত গল্পের পুরুষ চরিত্রের নামটা পুরুষালি চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মূলত পাঠক এর ছবি

পড়লাম, সচলেরা নতুনদের লেখা পড়ে না এই অপবাদ ঘোচাতে জানালাম সে কথা। মন্তব্য এটুকুই থাক।

অতিথি লেখক এর ছবি

মূলত পাঠক ভাই আপনি কি আমার উপরে রাগ করেছেন? আজকে আমার লেখা কেমন লাগল বললেন না যে, তবে আপনার যে ভালো লাগেনি, সেটা আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পেরেছি। যেদিন আপনি আমার লেখকে ভালো বলবেন, আমি সেদিন ভাববো কিছু একটা লিখতে পেরেছি।

ধন্যবাদ কষ্ট করে সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

দলছুট।
=========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

মূলত পাঠক এর ছবি

না, রাগ করার প্রশ্নই নেই, তবে খোলাখুলি মতামত জানালে লেখক সবসময় খুশি হন না, তাই ঐ প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকি অনেক ক্ষেত্রে। সবাই এক রকম লিখবেন না, এক রকম ভালোও হবে না, তাছাড়া সব পাঠকেরও সব লেখা ভালো লাগবে না, কাজেই কোনো লেখাকেই ব্যর্থ বলা যায় না। তবে কিছু সাধারণ নিয়ম আছে যার ভিত্তিতে ভালোমন্দের একটা মোটাদাগের বিচার করা যায়। আপনি শুনতে চাইলে সেই দিক থেকে আমার মত কখনো জানানোই যায়, যদি না তাতে করে আপনি ক্ষুব্ধ হন তবে।

আর আমার সাট্টিফিকেটের এমন কিসু বাজারদর নেই রে ভাই, কাজেই সেই 'সেদিন'-এর জন্য বসে থাকার কোনো মানেই হয় না। আপনি লিখতে থাকুন, নিন্দা প্রশংসা তো আসতেই থাকবে। ব্লগের তো এই সুবিধা।

অতিথি লেখক এর ছবি

মূলত পাঠক ভাই আগি মনে হয় এইখানে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা গ্রহন করার মানসিকতা নিয়ে লেখা শুরু করেছি, আপনি যে কোন ধরনের মতামত প্রদান করতে পারেন।
ধন্যবাদ।

দলছুট।

মূলত পাঠক এর ছবি

তাহলে এর নিচে নজরুল ভাই যে কথা বলেছেন সেটা দিয়েই শুরু করে দিন। বানান যা অজানা থাকার কারণে ভুল হয় সেগুলো বাদ দিয়েও অযত্নের কারণে হওয়া ভুলগুলো কমানো যায় কি না দেখুন। 'আমি' লিখতে গিয়ে 'আগি' হয়ে গেলে সেটা তো কোনো কাজের কথা বলা যায় না। এখনো আপনার প্রতিটি লেখা আমি পড়েছি, আজ যেটা দিয়েছেন সেটাও। পাঠক হিসেবে আপনার গল্প আমার কেমন লাগলো সে কথা আগামীতে বলবো না হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মূলত পাঠক ভাই। আমি পোষ্ট দেয়ার আগে আরো বেশি করে পড়ার চেষ্টা করবো। শিফটে চাপ পরে ম লিখাতে "গ" হয়ে গেছে। আমি মানি এটা আমার দেখা উচিত ছিল।
এর পর থেকে খেয়াল করবো।

দলছুট।
===========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ দলছুট। আগামীতে আরও ভালো লেখা আশা করছি।

দ্রোহী এর ছবি

বানান ভুলের কারণে গল্পটা পড়তে তেমন আরাম লাগলো না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

আন্তরিক দুঃখিত বানান ভুলের কারণে, আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।

দলছুট।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দলছুট,
সচলে আপনার পোস্ট কিন্তু অনেকগুলো হয়ে গেছে। এখন আর নতুন নাই আপনে। কিন্তু সেই প্রথম পোস্ট থেকেই বানানের ব্যাপারে আপনাকে অনেক কথা বলা হচ্ছে। তবু দেখা যাচ্ছে আপনি পণ করে বসে আছেন যেন বানান ভুল করবেনই।
আসলে ভুল আপনি যতটুকু করছেন বেখেয়াল করছেন তারচেয়ে বেশি। আপনি পোস্ট লিখে একটাবার পড়ারও প্রয়োজন মনে করেন না। তাহলেই অনেক বানান শুদ্ধ করা সম্ভব হতো।

আমি এই গল্পটি পড়লাম না। সেটাই জানিয়ে গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

বানান ভুলের কারণে স্কুল জীবনে বাংলায় ৬০ এর বেশি কোন দিন পাইনি, সেটা এখনো ত্যাগ করতে পারলাম না। চেষ্টা করে যাচ্ছি, ঠিক হবে ইনশাল্লাহ।

দলছুট।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।