ফেলে আসা শৈশব।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/১১/২০০৯ - ৪:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ছোট ছোট চোখ দুটি যদি হয় শোকেজের তাক, তাহলে আমার ছোট বেলার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন সেই শোকেজের তাকে সারি সারি করে সাজানো একেকটা মহা মূল্যবান শো পিস। আমার বুকের ভেতরের শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রটা যদি হয় পৃথিবীর বৃহত্তম গুদাম, তাহলে সেখানে সারি সারি ভাবে পণ্যের বস্তার মত সাজানো আছে আমার ছেলেবেলার মধুর দিন গুলি, আনন্দঘন মুহূর্ত গুলি। আমি ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারি না। ছোট বেলার সেই দিন গুলি যেন একটা জীবন্ত ছবির এ্যালবাম হয়ে আমার পেছনে হেঁটে বেড়ায় অহর্নিশ। আমাকে মাঝে মাঝে স্মৃতি কাতর করে, টেনে হেচড়ে নিয়ে যায় সেই মাটির মেঠো পথে, মটরশুটির লতায়, হলুদ সরিষা ফুলের ক্ষেতে, টৈ টুম্বর দীঘির জলে, শাপলা ফোঁটা ঝিলের ধারে; আম গাছের তলায়, জাম গাছের মগ ঢালে, শীতের সকালে কুয়াশা চাদরে মোড়া খেজুড় গাছের তলে, মাটির কলসে ভরা সেই টাটকা স্বাদের রসের কাছে।

মাটির সোঁদা গন্ধ আমাকে এখন ডেকে নিয়ে যায় ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়ে, দক্ষিণের খোলা জানালায়, পেয়ারা গাছের নিচে, তেতুল গাছের সাথে মোটা দড়ি দিয়ে বানানো দোলনায়। টলমল পুকুরের পানি, তাজা কই, শিং, মাগুর মাছ আমাকে আজও হাতছানি দেয়। আমি শহরের ইট পাথরের জীবনে যখন হাঁপিয়ে উঠি, বুকের গভীরে জমানো হতাশাটা যখন বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক সোফায় শরীরটা হেলিয়ে দেই, তখন আমার চোখের সামনে খেলা করে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ খোলা মাঠ, নীল আকাশের মুক্ত বলাকার দল, সোনালী ধানের শীষ। আমি যেন ঠিক আগের মত শুনতে পাই রাখালের বাঁশির সুর, মাঝির কন্ঠের ভাটিয়ালি গান, কানে মাঝে বাজে কিশোরীর রিনিঝিনি চুড়ির শব্দ। আমি গাঁয়ের জীবনকে যতই পথের বাঁকে ফেলে এসে শহরের জীবনের সাথে খাপ মিলাতে চাই, ততই ফিরে যাই আমার শিকরে। আমার শৈশব-কৈশোর আমাকে তাড়িত করে মৌলিক জীবনের পথে। আমি আধুনিকতা আর শিকরের টানাটানিতে ক্ষতবিক্ষত হই, ক্লান্ত অবশান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ি। আবার জীবনের তাগিদে, বেঁচে থাকার অভিলাসে ইট পাথরের পথে মাটির প্রলেপ দেয়া পা ফেলি সতর্ক ভাবে। ভুলে যাই মেঠো পথ, সতেজ বাতাস, পাখির গান, ফুলে ফুলে প্রজাপতির নাচ।

শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত যেখানে একেকটা মহামূল্যবান শো পিস, সেখানে কোনটা রেখে কোনটাকে তুলে আনি। কোনটাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করি, কোনটাকে নিয়ে শব্দের তুলি দিয়ে ছবি আঁকি? প্রতিটি দিন যেখানে মধুময়, আনন্দময় ছিলো সেখানে কোন দিনটা বিশেষ ভাবে স্বরণ করি? কোন দিনটাকে কিছু শব্দের উপমায় উপমিত করি? আমি যে কিংকর্তব্যবিমূঢ়, সিদ্ধান্তহীনতায় জর্জরিত। আমি চোখ বন্ধ করলে যে জলছবি দেখি সেখানে যে কোন খাদ খোঁজে পাইনা। প্রতিটি দিনের প্রত্যেকটা ছবিই যে অতুলনীয়, অবর্ননীয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পকার্য। সব কয়টি ক্যানভাসে ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রঙ। যাদুর তুলির স্পর্শে হয়ে আছে জীবন্ত।

শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত সুন্দরী লাশ্যময়ী নারীর ভুবন জয় করা হাসির মত, ফুরিয়ে গেলেও হৃদয়ে থেকে যায়। রমণী হারিয়ে গেলেও যেমন হাসির রেশটা থেকে যায় মনের গভীরে ঠিক তেমনি ছোট বেলার দিন গুলি ফেলে এলেও দখল করে নেয় হৃদয়ের সমস্ত জমিনটা। ঢাল-পালা ছড়ায় নিজের মত করে। মায়াময় আবেশ তৈরি করে, ফিরে যাওয়ার ব্যকুলতায় চোখে জোয়ার আসে। দিন শেষে আবেগ এসে নাড়া দিয়ে যায়, বিষন্নতা কিছুটা সময়ের জন্য আধুনিকতার চাকচিক্যকে মলিন করে দেয়। তখন অর্থ আর আভিজাত্যকে মনে হয় নিছক নেশার বস্তু, যেন মনের অবসাদকে মুছে দেয়ার জন্য গ্লাস ভরে পান করি রাতের পর রাত, দিনের পর দিন।

শৈশব-কৈশোরের দূরন্তপনা আর ডানপিটে জীবন যাপন আমার মত প্রতিটি মানুষের ফ্ল্যাশ ব্যাক জীবন। আমরা যারা শরীর থেকে মাটির সোঁদা গন্ধ মুছে দিতে বিদেশী পারফিউম ব্যবহার করে আধুনিক হবার জন্য ব্যতিব্যস্ত থাকি, তাঁরা কেউ বলতে পারবো ছোট বেলা খড়কুটো দিয়ে বল বানিয়ে বাড়ির উঠানে সাথীদের নিয়ে ফুটবল খেলেনি? আমরা কী বলতে পারবো ঘরের কোণায় পরে থাকা কাঠের টুকরো দিয়ে ব্যাট বানিয়ে টেনিস বল দিয়ে বাড়ির উঠানের ছোট জায়গাটাকে ইডেন গার্ডেন বানিয়ে ক্রিকেট খেলিনি? আমরা কি বলতে পারবো নবান্নের উৎসবে কৃষাণের সাথে রাত জেগে বাড়ির উঠানে গরু দিয়ে ধান মাড়ার দৃশ্য দেখিনি? যাদের শৈশব আর কৈশোরটা গ্রামে কেটেছে, তাদের জীবনের এই দৃশ্য গুলি চোখের শোকেজে সাজানো আছে মহামূল্যবান শো পিস হিসেবে।

আজকের এই যান্ত্রিক সভ্যতার দ্রুতগতির জীবনে আমরা যদি কম্পিন কালের জন্য অবসর পাই, তাহলে আমাদের চোখের সামনে প্রথমেই যে ছবিটা ভেসে উঠে সেটা হল ছোট বেলার চিত্র। আমরা চোখ বন্ধ করে মুহূর্তে দেখে নেই স্মৃতির এ্যালবাম। মনের উঠানে দৌড়াদৌড়ি করে ছেলে বেলার দৃশ্য। দল বেঁধে সকালে মক্তবে যাওয়া, স্কুলের ক্লাস শুরুর আগে এলোমেলো দৌড়ঝাপ, গোল্লাছুট, কাবাডি, দাড়িয়াবান্দা, কানামাছি, বৌচি খেলার দিন গুলি। স্কুল থেকে ফিরে খাবারটা খেয়েই বিকালে মাঠে ফুটবল , ক্রিকেট খেলা। কখনো স্কুল ফাঁকি দিলে মায়ের হাতের উত্তম-মাধ্যম খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বন্ধুরা দল বেঁধে ঠেলা জাল দিয়ে মাছ ধরে বাড়ি ফেরা, বড় বড় কই মাছ গুলি মায়ের সামনে ধরে স্কুল ফাঁকির অপরাধ থেকে নিজে মুক্ত রাখার সেই দিন গুলি কি ভুলা যায়! ভুলা যায় বন্ধুরা মিলে পাকা মটরশুটি আগুনে পোড়ে খাওয়ার সেই দৃশ্য আর অমৃত স্বাদ! নারার ভুরে বড় বড় গর্ত করে পালিয়ে লুকোচুরি খেলার সেই সব দিন কী করে ভুলি? স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে গাঁয়ের পাশের ছোট খাল গুলিতে বাদ দিয়ে সেঁচের মাধ্যমে মাছ ধরার সেই দিন গুলি কি করে ভুলি? মাছ ধরে বড় বড় মাছ দিয়ে নারার ডেরায় জোছনা রাতে পিকনিক করার সেই দিন গুলি কি ভুলা যায়? ভুলা যায় একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রভাত ফেরীর জন্য দল বেঁধে রাতের আধারের পাশের গাঁয়ের হলুদ গাধার ফুল চুরি করার সেই অবাদ্য জীবনের দূরন্ত স্মৃতি গুলি? আর আজ টাকা দিয়ে ফুল কিনা যায়, অথচ পকেটে টাকা আছে কিন্তু ফুল কিনে শহীদ মিনারে যাই না। ঘরে শুয়ে থাকি, গায়ে পাঞ্জাবী সেটে বিকালে বাঙালী সেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাই প্রিয়তমার সাথে কিছু সময় কাটানোর জন্য। আজকের এই দিনের সাথে সেই দিনের কী কোনো তুলনা হয়? সেই প্রাকৃতিক অনুভূতি আর আজকের কৃত্রিম অনুভূতির বিরাট তফাৎ। এখনো মনে হয় ছুটে যাই সেই গাঁয়ে, ডেকে নেই সব বন্ধুদের, আবার দল বেঁধে ফুল চুরি করে ভরে দেই শহীদ মিনারের বেদী। খেলা করি খোলা মাঠে, গল্প করি জোছনা রাতে, মুঠোভরে খেজুরের রস পান করি শীতের চাদর মুড়ি দয়ে। হেঁটে বেড়াই মেঠো পথে, ছায়াবীথি তলে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ভালো লাগাই আমার জন্য প্রেরণা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

জামান ভাই নাকি? লেখার স্টাইল কিছুটা এক রকম। নিচে নাম দেননি বলে বুঝতে পারলাম না, মডু দাদাকে তড়িৎবার্তা দিয়ে আপনার নিক জানিয়ে দিন, উনারা নিচে ঝুলিয়ে দিবে। জামান ভাই হয়ে থাকলে ওয়েলকাম ব্যাক।

যাক, ব্যাপার না, এখানে একটা বানান ঠিক করন সফ্টওয়ার পাবেন, আমাকে অনেক সাহায্য করে, এখনো অনেক ভুল হয় আমার, তবে অনেক কমেছে। আপনেও ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ ভাই। সচলায়তন যেহেতু তার নীতিমালা দিয়ে আমাদের অতিথি করে রেখেছে তাই অতিথি হিসেবে থাকতে চাই। নামটা বড় ব্যাপার না, লেখা ভালো লাগা না লাগাটা মুখ্য। লেখা ভালো লাগলে আরো লিখতে উৎসাহিত হব, আর খারাপ লাগলে উন্নতি করতে চেষ্টা করবো। লিংটার জন্য ধন্যবাদ। বানানের জন্য আমি বাংলায় সচরাচর নাম্বার কম পেতাম। আপনার লিংটা অনুসরণ করার চেষ্টা করব। সমস্যা হলো অফিসের পিসিতে এ্যালমিন পারমিশন ছাড়া কোন কিছু লোড দেয়া যায় না। তবে বাসার পিসিতে লোড করে নেব।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। আপনার লেখা গুলি চমৎকার হয়। সময় পেলে পড়তে মিস করি না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারো এমন করে বলতে ইচ্ছে করে।
ভালো লাগলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আমার মত সচলায়তনের অতিথি ভাই। ভালো লাগার জন্য ধন্য হলাম। ভালো থাকবেন।

মূলত পাঠক এর ছবি

শৈশবের কোনো গল্প না থাকলে পড়ে সুখ হয় না, শুধু লিস্টি দিলে আগ্রহ ফুরিয়ে যায় যে! আর লেখাটা কেমন যেন শৈশবে লেখা রচনার মতো, পরে সুবিধা হলো না বিশেষ।

আর বানান!!

হেচড়ে
মগ ঢালে হাসি
তেতুল
ইট
শিকর
অবশান্ত ???
অভিলাসে
স্বরণ
অবর্ননীয়
লাশ্যময়ী
ঢাল-পালা
ব্যকুলতায়
বিষন্নতা
দূরন্তপনা
কম্পিন কাল: এইটা কী জিনিস?
মটরশুটি
আগুনে পোডে় খাওয়ার
নারার ভুরে বড় বড় গর্ত করে: নারার ভুর কী বস্তু?
খাল গুলিতে বাদ দিয়ে
ফেব্রুয়ারীর
আধারের
হলুদ গাধার ফুল: এইটা ক্লাসিক!
অবাদ্য
দূরন্ত
সেটে
দিনের কী কোনো তুলনা হয়?
চাদর মুড়ি দয়ে

সময়ের বড়োই অভাব হাসি

আমরা যারা শরীর থেকে মাটির সোঁদা গন্ধ মুছে দিতে বিদেশী পারফিউম ব্যবহার করে আধুনিক হবার জন্য ব্যতিব্যস্ত থাকি: এই সব তামাদি কথাবার্তা বললে পাঠক ইমপ্রেসড হয় না আর। নতুন কিছু শোনান ভাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। শোধরানোর সুযোগ থাকলে সঠিক করে দিতে পারতাম। মনে হয় নিম্মরুপ হওয়ার কথা:

হেচড়ে =হ্যাচড়ে
মগ ঢালে =মগ ডালে
তেতুল = তেঁতুল
ইট= ইঁট
শিকর=শিকড়
অবশান্ত ???= অবসাদ
অভিলাসে = অভিলাষে
স্বরণ= স্বরন
অবর্ননীয়=অবর্নণীয়
লাশ্যময়ী=লাস্যময়ী
ঢাল-পালা=ডাল-পালা
ব্যকুলতায়=ব্যাকুলতা
বিষন্নতা= বিষণ্ণতা
দূরন্তপনা=দুরন্তপনা
কম্পিন কাল: এইটা কী জিনিস?= ক্ষণিক কাল
মটরশুটি= মটরশুঁটি
আগুনে পোডে় খাওয়ার =আগুনে পুড়ে
নারার ভুরে বড় বড় গর্ত করে: নারার ভুর কী বস্তু?=আউশ-আমন ধান কাটার পর যা ক্ষেতে অবশিষ্ট্য পরে থাকে। সেটা যখন তুলে এনে মাঠে জমা করা হয় এবং সেই জমানো ভুরে গর্ত করে লোকানোকে বুঝানো হয়েছে।
খাল গুলিতে বাদ দিয়ে=খালে বাঁধ
ফেব্রুয়ারীর = ফ্রেব্রুয়ারী
আধারের= আঁধারে
হলুদ গাধার ফুল: এইটা ক্লাসিক!= হলুদ গাদার ফুল
অবাদ্য= অবাধ্য
দূরন্ত = দুরন্ত
সেটে= ছেঁটে
দিনের কী কোনো তুলনা হয়?= দিনের কি কোন তুলনা হয়?
চাদর মুড়ি দয়ে = চাদর মুড়ি দিয়ে।

আশা করি ক্ষমা করবেন। আরেকবার ধন্যবাদ।

মূলত পাঠক এর ছবি

দুচ্ছাই, ঘড়ি ঘড়ি ক্ষমা চান কেন বলেন তো, আপনি কি জামানস্বাধীন নাকি?

নিম্মরুপ > নিম্নরূপ
হেচড়ে > হেঁচড়ে
স্বরণ > স্মরণ
অবর্ননীয় > অবর্ণনীয়
ফেব্রুয়ারীর = ফ্রেব্রুয়ারী > ফেব্রুয়ারি (Frebruaryটা কী জিনিস?)
হলুদ গাধার ফুল: এইটা ক্লাসিক!= হলুদ গাদার ফুল > গাঁদা
সেটে > সঁেটে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া,
আমার জানা মতে বাংলা একাডেমী থেকে বলা হয়েছিল ই-কার -ঈ-কার দুইটা দিয়েই লেখা যায়। তারপর হ্যাঁচড়ে আর হেঁচড়ে ও লেখা যায়। বাকি গুলি উদাসীনতার ভুল, স্বীকার করতে হয় খামখেয়ালীপনা।
ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

"ঘড়ি ঘড়ি ক্ষমা চান কেন বলেন তো" বুঝলাম না। আপনি ভুল ধরলেন তাই সৌজন্যতা বশতঃ ক্ষমা চাইলাম, এটা কি দোষের?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।