রিডার্স ডাইজেস্ট এশিয়ান অব দ্যা ইয়ার, পর্ব-২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০১/২০১০ - ৩:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব-১ এর লিংক
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/29718

প্রথমেই দু:খ প্রকাশ করছি এজন্য যে পর্ব-১ তেমন ভালভাবে গুছিয়ে লেখা হয়নি বলে । এছাড়া বেশকিছু বানান ভুল চোখে পড়ে লেখা প্রকাশ হয়ে যাবার পর আর আমি যেহেতু অতিথি লেখক কাজেই তা আর এডিট করার উপায় ছিল না।

পর্ব-২ শুরু করার আগে রিডার্স ডাইজেস্ট এশিয়ান অব দ্যা ইয়ার সম্পর্কে কিছু তথ্য দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।

খ্যাতনামা ম্যাগজিন রিডার্স ডাইজেস্ট এশিয়ান অব দ্যা ইয়ার নির্বাচন করার জন্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বেশ ক’জনকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে এবং জানুযারী ২০১০ সংখ্যায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত এশিয়ান অব দ্যা ইয়ারসহ অন্যান্য মনোনীতদের সম্পর্কে ও তাদের কাজ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে।
আমি এ লেখার একবারে শেষ পর্বে চূড়ান্তভাবে যিনি রিডার্স ডাইজেষ্টের এশিয়ান অব দ্যা ইয়ার বিজয়ী হয়েছেন তার সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করব আশা করি।

আব্দুল সাওার এদহি

পাকিস্তানের পর্বতময় পশ্চিমাঞ্চল থেকে তালিবানদের বিতাড়নের জন্য পাক আর্মি ২০০৯ সালে অভিযান শুরু করলে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে তাদের বাড়ীঘর থেকে পালাতে থাকে শুধু একজন ছাড়া । আর তিনি হলেন, ৮১ বছর বয়স্ক আব্দুল সাওার এদহি । আব্দুল সাওার এদহি যুদ্ধ আক্রান্ত উওর পশ্চিম ফ্রন্ট্রিয়ারের রাজধানী পেশোয়ারে এসেছেন মানবিক মিশনে । যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্য কম্বল,খাবার, গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা আর যারা আহত তাদের জন্য এম্ব্যুলেন্স এবং চিকিৎসা সুবিধা প্রদান।

এঞ্জেল অব মার্সি, ফাদার তেরোসা অব পাকিস্তান নামে বেশী পরিচতি আব্দুল সাওার এদহির মতে "ধর্ম কখনও মানুষকে টেরোরিজম শিক্ষা দেয় না-বরং এ কাজ করার জন্য যারা ধর্মকে ব্যবহার করে তারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। যুদ্ধে যারা নিস্পাপ তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতির শিকার হয় আর অন্যদিকে লাভবান হয় শুধু শোষকের দল ।আমি যখন আমার চারপাশে দেখি দরিদ্র এবং অসহায় মানুষ তখন তাদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করার জন্য আমার হৃদয়ের টান অনুভব করি। পাকিস্তানীদের আমি সচেতন করছি মানবিকতার গুরুত্ব সম্পর্কে আর এর বিনিময়ে তারা আমাকে শিশুর মত ভালবাসে "।

১৯৫০ সালে বন্দরনগরী করাচীতে আব্দুল সাওার এদহি যখন একটি ডিসপেনসারী স্থাপন করেন ঠিক তখন থেকেই তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন গরীব,নিপীড়িত ও ভ্যাগ্যাহত মানুষের জন্য ।

এদহি ফাউন্ডেশন,পাকিস্তানের সবচেয়ে বৃহৎ চ্যারিটেবল সংস্থা, যা যৌথভাবে পরিচালনা করেন আব্দুল সাওার এদহি ও তার পত্নী বিলকস। বয়স্ক, শারিরীক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, পরিত্যক্ত শিশু, মহিলাদের জন্য হাসপাতাল, ব্ল্যাড ব্যাংক, এম্ব্যুলেন্স সার্ভিস থেকে শুরু করে তাদের জন্য আবাসনের দেখভাল করে এদহি ফাউন্ডেশন ।

ভারতের গুজরাটের বানটভা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী আব্দুল সাওার এদহি ১৯৪৭ সালে নবসৃস্ট মুসলিম রাস্ট্র পাকিস্তানে অভিবাসী হন । পরবর্তীতে করাচীতে টেক্সটাইল ব্রোকার হিসাবে সাফলতার মুখ দেখেন।

জাতিগত দন্ধে আক্রান্ত পাকিস্তানে তার সংস্থা জাতি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে সাহায্য করে থাকে।

ধার্মিক মুসলিম আব্দুল সাওার এদহি বলেন, “মানবিকতা আমার সবচেয়ে বড় ধর্ম , সব কাজের মূল ভিত হওয়া উচিত মানবিকতা আর এটাই ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় ; আমি একজন ফকির তাই আমার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। আমি শুধু আমার কাজ নিয়ে অগ্রসর হতে চাই এবং শুধু আল্লার সাহায্য কামনা করি ”।

(Rider's Digest- জানুয়ারী ২০১০ সংখ্যা থেকে অনূদিত )

মুসাব্বির


মন্তব্য

অরু এর ছবি

১৯৭১ সালে কোথায় ছিলেন এই ফাদার তেরেসা? যত্তসব!

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ছি । সিরিজ চলুক ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা ।

হিমু এর ছবি

READER'S DIGEST হবে না?

এই গয়রহ অনুবাদ ঠিক স্বাদু মনে হচ্ছে না। ডাইজেস্ট কাকে কতো পাত্তা দিলো, ক্যাম্নে দিলো সেটা আগ্রহ জাগায় না। আপনার আরো কয়েক পর্ব নামার আগেই তাই এই অনাগ্রহের কথা জানিয়ে গেলাম। এ ধরনের নিরস অনুবাদের চেয়ে আপনার কাছ থেকে মৌলিক লেখার প্রত্যাশাই বেশি থাকবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

মুসাব্বির [অতিথি] এর ছবি

হ্যাঁ READER'S DIGEST ই হবে । শুধরানোর জন্য ধন্যবাদ ।

ডাইজেস্ট কাকে কতো পাত্তা দিলো, কিভাবে দিলো সে দিকটি বিবেচনা করার কোন প্রয়োজন আছে কি? বিষযবস্তু আমার নিকট ভাল ও মানসম্পন্ন মনে হওয়ায় সবার সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি মাত্র।

মৌলিক লেখার ইচ্ছা আমার আছে। ভবিষ্যতে লিখব আশা করছি ।
নিরস অনুবাদের জন্য দুঃখিত।

আলমগীর এর ছবি

গতবারের রেশ ধরে আবারো একটু সমালোচনা করি।
প্রথমত, মৌলিক লেখার চেয়ে অনুবাদ কোন অংশে কম পরিশ্রমের কাজ না।
দ্বিতীয়ত, ইংরেজী আর বাংলা বাক্যের গঠনে বিস্তর ফারাক আছে। বিশেষত বড় বাক্য ইংরেজীতে যতটা বেশী মানানসই , বাংলায় ততটা না।
যেমন:

আমি যখন আমার চারপাশে দেখি দরিদ্র এবং অসহায় মানুষ তখন তাদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করার জন্য আমার হৃদয়ের টান অনুভব করি।

এ বাক্যটা ঠিক বাংলা বাক্য না; বাংলা শব্দে লেখা একটা ইংরেজী বাক্য, ইংরেজীর নির্যাস পুরোটাই রয়ে গেছে। এটাকে বাংলায় লেখা যায়:

চারপাশে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ দেখলে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য হৃদয়ে টান অনুভব করি।

কয়েক প্যারা পড়ে আর আগ্রহ পেলাম না। মন খারাপ
লিখতে থাকুন।
আরেকটা কথা, রিডার্স ডাইজেস্ট কিন্তু সেই আগের জৌলুসে নেই আর।

মুসাব্বির [অতিথি] এর ছবি

রিডার্স ডাইজেস্ট কিন্তু সেই আগের জৌলুসে নেই আর

জৌলুস বলতে আপনি আসলে ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছেন ?
একটু খেলাসা করলে ভাল হতো ।

আমি বিগত ৩ বছর রিডার্স ডাইজেস্ট এর নিয়মিত পাঠক। এর কনটেন্টস বা বিভিন্ন আর্টিকেল যথেষ্ট মানসম্পন্ন মনে হয় আমার দৃষ্টিতে। দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।

ইংরেজী আর বাংলা বাক্যের গঠনে বিস্তর ফারাক আছে। বিশেষত বড় বাক্য ইংরেজীতে যতটা বেশী মানানসই , বাংলায় ততটা না।

আমি প্রফেশনাল কোন অনুবাদক নই । বলতে পারেন শিক্ষানবীশ । আমার সাধ্যমত চেষ্ঠা করছি আক্ষিরক অনুবাদ না করে গুছিয়ে লেখার জন্য । তারপর ও অনেকসময় ঠিকমত হয়ে উঠে না ।

আলমগীর এর ছবি

জৌলুস বলতে আপনি আসলে ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছেন ?
একটু খেলাসা করলে ভাল হতো ।

এরা এখন তাদের খ্যাতিকে পুঁজি করে লটারি, ভগি-ছগিতে নেমেছে। ২০,০০০ ডলার জিতছ, হেনতেন লিখে লোকজনকে স্প্যাম মেইল করে। খুবই ত্যাক্ত। লেখার মানও পড়ে গেছে।

মুসাব্বির [অতিথি] এর ছবি

রিডার্স ডাইজেস্ট কিন্তু সেই আগের জৌলুসে নেই আর

জৌলুস বলতে আপনি আসলে ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছেন ?
একটু খেলাসা করলে ভাল হতো ।

আমি বিগত ৩ বছর রিডার্স ডাইজেস্ট এর নিয়মিত পাঠক। এর কনটেন্টস বা বিভিন্ন আর্টিকেল যথেষ্ট মানসম্পন্ন মনে হয় আমার দৃষ্টিতে। দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।

ইংরেজী আর বাংলা বাক্যের গঠনে বিস্তর ফারাক আছে। বিশেষত বড় বাক্য ইংরেজীতে যতটা বেশী মানানসই , বাংলায় ততটা না।

আমি প্রফেশনাল কোন অনুবাদক নই । বলতে পারেন শিক্ষানবীশ । আমার সাধ্যমত চেষ্ঠা করছি আক্ষিরক অনুবাদ না করে গুছিয়ে লেখার জন্য । তারপর ও অনেকসময় ঠিকমত হয়ে উঠে না ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কেন এই পোস্ট দরকার- বুঝলাম না। অনুবাদ ও ভাল্লাগে নাই।

মুসাব্বির [অতিথি] এর ছবি

কেন এই পোস্ট দরকার- বুঝলাম না।

কিছু আলোকিত মানুষের কাহিনী জানানোর জন্য পোস্ট।

অনুবাদ ও ভাল্লাগে নাই

অনুবাদ ভাল না লাগার কারণ কি? বিষয়বস্তু না কি অনুবাদের মান ।

বিষয়বস্তু হলে অনুবাদকের তেমন কিছুই করণীয় নেই ।
অনুবাদের মান ভাল না হওয়ার কারণ অনুবাদক প্রফেশনাল নন এ্যামেচার ।তবে ভবিষ্যতে ভাল করার চেষ্ঠা করা হবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।