পাশবিক আমিত্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০১/২০১০ - ৮:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

কয়দিন ধরে শীত জেকে বসেছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তরীয় হাওয়ার হাড়ে কাঁপন লাগানো প্রবাহ। সূর্যী মামা কয়েক মুহুর্ত তার লাজুক মুখখানা দেখিয়ে কোথায় যে পালায়! গত কয়দিন ধরে টিউশনিতে যাই নি। আজ না গেলে পকেট খরচের বিলাসী উৎসটা বন্ধ হয়ে যাবে, এই ভয়ে বের হয়েছি। খুব বিরক্তি আর মেজাজ খারাপ লাগছে। আগে তো শাহবাগের মোড় থেকেই বাসে উঠতাম, এখন অনেক দূর হেঁটে গিয়ে আজিজ মার্কেটের সামনে থেকে উঠতে হয়। রাস্তায় দীর্ঘ যানজট। এক ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি বাসের দেখা নেই। সব কোম্পানীরই বাস আসছে, শুধু আমি যাদের টিকিট কেটেছি তাদের কোনো খবর নেই। শীত নিবারণের জন্য কতই না ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালালাম! জিন্সের প্যান্ট, জ্যাকেট, কান টুপি। তবুও উত্তরীয় হাওয়ায় ঠকঠক করে কাঁপছি। হতাৎ অনুভব করলাম কে যেন পিছন থেকে জ্যাকেটের কোণা ধরে টানছে।

-ছাড়! ছাড়গো! দুইডা টাহা দ্যান।
-মাফ কর।
-দ্যান না ছাড় দুইডা টাহা!
-বিরক্ত করিস না। যা সর!
-ছাড় কাইল থন কিছু খাই নাই। দ্যান না দুইডা টাহা।

মেজাজ আমার চরম সপ্তমে উঠে গেল। চোখ বড় বড় করে ধমকের সুরে বললাম,
-যা ভাগ! কানে কথা যায় না?

ছেলেটি মুখ শুকনো করে সামনের দিকে এগোল। হয়ত আমারই মত কোনো নিষ্ঠুর অথবা দয়ার্দ কারো কাছে যাবে ‘দুইডা টাহা’ চাইতে। হয়ত কোনো নিষ্ঠুর আমারই মত আচরন করবে। অথবা কোনো দয়ার্দ মানুষ (কোনো এক নারী, কারন নারীদের মন মায়ের মত, বোনের মত; খুব সহজেই মায়ায় পড়ে যায়।) ‘দুইডা টাহা’ দিয়ে দিবে।

আমি ছেলেটির দিকে ভালো করে তাকালাম। বয়স আর কত হবে, আট কি নয়? ময়লা ছেঁড়া নীল রঙা একটা গেঞ্জি আর খুব ছোট একটা হাফ প্যান্ট পড়া। শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে। হাঁটতে পাড়ছে না। মনে হল যেকোন সময় পড়ে যেতে পারে। আমার ভিতরের ‘পশু আমিটা’ পরাজীত হল। খুব মায়া হল ছেলেটার জন্য। আমি ছেলেটাকে ডাকলাম,
-এই এদিকে আয়! শোন!

ছেলেটি ভয়ে ভয়ে ফির এল। আমি মানি ব্যাগ থেকে পাঁচ টাকার একটা নোট বের করে দিলাম। খুশিতে ডগমগ করে উঠল ছেলেটির চোখ। আমার মনেও একটা ভালো লাগার আবেশ ছুঁয়ে গেল।
-তোর মা বাবা কী করে?
ছেলেটি কোনো উত্তর দিল না। মন খারাপ করে শূন্য দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইলো। ওর চোখ ছলছল করছিল। কান্না খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়। আহা! আমারও চোখ কেন জানি ভিজে আসছে। মনে কপট কাঠিন্য এনে বললাম,
-কিরে! কথা কস না ক্যান!
-ছাড়! আমার বাপ মারে আমি কুনু দিন দেহি নাই।

আমি ভিতরে ভিতরে গুমরে কাঁদছিলাম। চোখের পানি খবরদার বের হবি না! খবরদার না! আহা! মা বাপ ছাড়া এই ছোট্ট ছেলেটি বাঁচে কী করে? আহা! অতটুকুন মানুষের কত কষ্ট!
-তুই থাকস কই?
-ছাড়! রাস্তাত রাস্তাত ঘুরি। রাত হইলে রাস্তাতই হুইয়া পড়ি।
-কারো কাছে শীতের কাপড় চাইতে পাড়স না?
-চাইতো ছাড়! কেউতো দিবার চায় না।

আমি ভাবি, আমাদের হলে পুরনো শীত বস্ত্র স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। কেউ নিতে আসে না। হলের মামারা শেষে এই কাপড়্গুলো বিক্রি করে দেয়। আর ওরা শীতের কাপড়ের জন্য কত কষ্ট পায়।
-তুই ইনভার্সিটির হলে আসতে পাড়স না? কেউ না কেউ তোরে শীতের কাপড় দিবেই।
ছেলেটি চুপ করে থাকে। ক্রমশ তার মুখে একটা ভয়ের রেখা ফুটে উঠছে।
-কিরে কথা কস না ক্যান?
-ইনভার্সিটির ছাড়রা ভালা মানুষ না। একবার গেছিলাম। আমারে মুবাইল চুর কয়ে খুব মারছে।

ছেলেটি ডান পায়ের রানের উপরের জখমটা আমাকে দেখাল। আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। ভালো করে খেয়াল করলাম, ছেলেটির মুখেও আঘাতের চিহ্ন আছে। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল। কী জানি, আমাকে পালানোর সুযোগ করে দিয়ে আমার কাঙ্খিত বাসটি চলে এল। নিজের অপরাধ আড়াল করার জন্য খুব দ্রুত বাসে উঠে গেলাম। আড় চোখে দেখলাম, ছেলেটি আমার চলে যাওয়া পথের দিকে তাঁকিয়ে আছে। তার চোখে কী কথা খেলছিল? জানি না। আর কোনো দিনও জানা হবে না। আমার ভিতর আবার ক্রমশ ‘পশু আমি’ জেগে উঠছে।

শেখ আমিনুল ইসলাম


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তাকে আপনার হলের ঠিকানা আর আপনাকে পাবার সম্ভাব্য সময়টা জানিয়ে দিয়ে আসতেন! অন্তত একজন হলেও তো শীতের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ধুসর গোধূলি ভাই।

এটা যদি গল্প না হত
যদি বাস্তবে এমন হত
অবশ্যই আমি হলের ঠিকানা দিয়ে আসতাম।

আমি আপনার অনুভুতির সাথে সহমত এবং শ্রদ্ধাশীল।
ভাল থাকুন ভাই।

শেখ আমিনুল ইসলাম

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অহো, আমার সীমাবদ্ধতা। 'গল্প' ট্যাগটা দেখেছিলাম বোধহয়, কিন্তু পড়ার সময় আর মনে ছিলো না।

আপনি তো গল্পকে একদম বাস্তবে পরিণত করে ফেললেনরে ভাই। যাদু আছে, রেডকাউ বাটারঅয়েলে না, আপনার লেখাতেই আছে। লিখুন আরও। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব খুশি হয়েছি ধুসর গোধূলিদা।
আপনার আশীর্বাদ আমার সচল হওয়ার পথে পাথেও।
ভালো থাকুন।

শেখ আমিনুল ইসলাম

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

লিখতে থাকুন...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ
প্রিয় আনোয়ার সাদাত শিমুল ভাই।

আপনার এই অনুপ্রেরনা আমার সচল হওয়ার পথে পাথেও হয়ে থাকবে।
ভালো থাকুন ভাই।

শেখ আমিনুল ইসলাম

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

এই সব পোস্টে কোন মন্তব্য করা খুব কঠিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ শান্ত ভাই।
ভাল থাকুন।

শেখ আমিনুল ইসলাম

মাহবুব লীলেন এর ছবি

...

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় মাহবুব ভাই
আপনি আমার গল্পটা পড়েছেন দেখে খুব ভাল লাগছে।
আপনার লেখা গল্পগুলো আমাকে মুগ্ধ করে, অনুপ্রেরনা দেয়।
আমাকে আশীর্বাদ করবেন।

রাফি এর ছবি

খাইছে!! আমিও তো ভাবছিলাম সইত্য গঠনা...।
সচলে স্বাগতম।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রাফি ভাই।
দোয়া করবেন যেন আপনাদের মত সচল হতে পারি।

ভাল থাকুন।

শেখ আমিনুল ইসলাম

পুতুল এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম।
গল্প ভাল লেগেছে। লিখতে থাকেন হাত খুইল্যা।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।

ভা্ল থাকুন ভাই।

শেখ আমিনুল ইসলাম

তিথীডোর এর ছবি

বানানপ্রমাদ কমাতে হবে যে, নয়তো আমার মত বকুনি খাবেন!
গল্প বেশ ভাল্লাগলো,
লিখুন আরো!

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই তিথীডোর ।
ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।
আমি তো অতিথি, বানান ঠিক করার ক্ষমতা আমার হাতে আর নেই।
সামনে আরো সাবধান হব।
ভাল থাকুন ভাই।

তুলিরেখা এর ছবি

এমন করে লিখেছেন! চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে। বানান ভুল গুলো ঠিক করে দিলে চমৎকার একটা মন ছুঁয়ে যাওয়া, ধাক্কা দেওয়া, নাড়িয়ে দেওয়া লেখা হবে।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই তুলিরেখা।
আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে আরো অনুপ্রাণিত করবে।
ভাই কথা দিচ্ছি, বানানের ব্যাপারে আরো সাবধান হব।
ভাল থাকুন।

শেখ আমিনুল ইসলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা যে গল্প তা খেয়ালই করি নি। পুরোটুকু পড়ে সত্যি ঘটনা ভেবেছিলাম। ভাল লিখেছেন।
আসলে এভাবে ২-৩ টাকা দিয়ে কিই বা হতে পারে!? ঐ ছেলেটি হয়ত অল্প একটু খেতে পারে,আর কিছুটা পরনির্ভরশীল হওয়া শেখে। আমরা যদি এসব মানুষের জন্য সামগ্রিকভাবে কিছু করতে পারতাম,তাহলে হয়ত সত্যিই তা কাজে দিত।
আর হ্যাঁ,কিছু করছি না বলে নিজেকে খুব ছোট মনে হয় মাঝে মাঝে......

-স্নিগ্ধা করবী

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই স্নিগ্ধা করবী।
আমিও আপনার সাথে সহমত।
ভাল থাকুন ভাই।
শেখ আমিনুল ইসলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

পরামর্শ চাই।

আমি এই লেখার কথোপকথোনে ইচ্ছে করেই বানান ভুল লিখেছি। একজন পথশিশু একটি শব্দ কিভাবে উচ্চারন করে বা কিভাবে একটি শব্দ তাঁরকাছে বোধগম্য হয়, তা ফুটিয়ে তোলার প্রয়াশ থেকেই এ অপকর্ম। দয়া করে বলবেন কি, এরকম করা যায় কি না?

শেখ আমিনুল ইসলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় এরকম করা যেতেই পারে। আর আমাদের সাহিত্যিকেরা এরকম করেছেন তাঁদের বহু লেখায়! যত বেশি জীবনের কাছে নেয়া যায় লিখাটাকে,ততই ভাল হয়।

-স্নিগ্ধা করবী

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই স্নিগ্ধা করবী।
আপনার পরামর্শ আমার সিদ্ধান্ত গ্রহনে খুব কাজে আসবে।
ভাল থাকুন ভাই।

শেখ আমিনুল ইসলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

খুব ভালো লেখার হাত আপনার, লিখতে থাকুন আরো।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই মূলত পাঠক ।
ভাল থাকুন।

শেখ আমিনুল ইসলাম।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার খুব ভালো লেগেছে। আরো লিখুন। হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই অনার্য্য সঙ্গীত ।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।
অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ভাই।
ভাল থাকুন।

শেখ আমিনুল ইসলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই লেখাটা সচলায়তনে প্রকাশের আগে "আমার ব্লগে" পড়েছি। আমার জানা মতে এবং মডুদের ভাষ্যমতে অন্য প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত কোন লেখা নাকি এখানে প্রকাশিত হয় না, তাহলে এই লেখাটা প্রকাশিত হলো কী করে? প্রিয় মডু ভাইরা কী জবাব দিবেন? সচলায়তের আরেকটা নিয়ম হলো-সচলায়তনে প্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি অন্য কোন প্ল্যাটফর্মে একইলেখা দেয়া হয় তাহলে সেটা প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এটা কোন নিয়মে এখানে এখনো আচে আমার জানা নেই। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

কামরুজ্জামান স্বাধীন

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ কামরুজ্জামান স্বাধীন ভাই।

সচলায়তনের নীতির ব্যপারে আমি সচেতন ও শ্রদ্ধাশীল। আমি ভেবেছিলাম নীতিমালাটি সচলদের জন্য প্রযোজ্য, অতিথি লেখকদের জন্য নয়।
এটি আমি হয়ত বুঝতে ভুল করেছি। আপনার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই।

আমি মাননীয় মডারেটরকে এই লেখাটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা রাখি।

শেখ আমিনুল ইসলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার বাস্তব ঘনিষ্ঠতা ভালো লাগল।

- মুক্ত বয়ান।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই মুক্ত বয়ান।
লেখা ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।
ভাল থাকুন ভাই।

শেখ আমিনুল ইসলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার উপস্থাপনা, অন্যান্যদের মত আমিও পড়ার সময়টা ভেবেছি এটা গল্প নয় সত্যি। ভাল থাকুন।
মধুবন্তী

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই মধুবন্তী।
খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে।
খুব অনুপ্রাণিত হয়েছি আপনাদের সবার মন্তব্য পড়ে।
ভাল থাকুন ভাই।

শেখ আমিনুল ইসলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।