"কিছু টুকরো স্মৃতি-যা কখনো ভুলা যায় না।" (দ্বিতীয়- পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০২/২০১০ - ৯:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব যারা পড়েছেন তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ এবং যারা পড়তে পারেননি তাদের জন্য নিচের লিংক।
প্রথম পর্ব http://www.sachalayatan.com/guest_writer/30070)

প্রথম পর্বে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কিছু টুকরো স্মৃতি লিখতে গিয়ে লেখার কলেবর অনেক বড় করে ফেলেছিলাম। অনেকে ছোট করার পরামর্শ দিয়েছেন। আর আমিও লিখতে গিয়ে নস্টালজিক হয়ে বেশী বকবক করেছিলাম। আজ তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সত্যিকারে টুকরো স্মৃতি নিয়েই লিখবো।

আমাদের ১৭ জনের (৯জন ছেলে ও ৮ জন মেয়ে) দলটা ছিলো সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্স ফ্যাকাল্টির সবার কাছে ঈর্ষণীয়। আমরা দল বেঁধে ঘুরতাম, দল বেঁধে সেমিনারে আড্ডা দিতাম, গ্রুপ স্ট্যাডি করতাম। ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জন ছিলাম নিয়মিত। এই আনলাকি ১৩ছিলো আমাদের জন্য আসলেই লাকি ১৩। আজ আমাদের দীর্ঘ (কিন্তু এখন মনে হয় নেহায়েত ছয় দিন ছিলো) ছয় বছরের কিছু হাসির স্মৃতি নিয়ে লিখবো । লেখায় মার্জিত ভাব বজায় রাখার জন্য কিছু কাঁটছাঁট করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো, তবে আসল মজাটা রেখে।

স্মৃতি খন্ড-১:
অপর্ণা আমাদের সুন্দরী বান্ধবী (ও এখন কোথায় জানি না। একবার শুনেছিলাম বিয়ে করে স্বামীর সাথে ভারত আছে।) ওর সুন্দরের বর্ণনায় শুধু এইটুকু বলবো অপর্ণা ছিলো প্রতিমার মত দেখতে। অপর্ণা রোকেয়া হলে থাকত। অপর্ণার সাথে আমার বন্ধুত্ব ছিলো অসম্ভব রকমের ভালো। আমার সুবাধেই অপর্ণা বাকী সবার বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলো। অপর্ণা আমাদের সাথে খুব একটা ঘোরাঘুরি করতো না, তবে গ্রুপ স্ট্যাডির সময় এক সাথে থাকত। আমরা সবাই প্রায়ই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়তে বসতাম। বিশেষ করে বিজনেস ম্যাথ, একাউন্টিং, ফিনান্সিয়াল একাউন্টিং মানে গাণিতিক বিষয় গুলো একসাথে পড়ার চেষ্টা করতাম। গাণিতিক বিষয় গুলোতে আমি বরাবরই ভালো ছিলাম। ভালো বুঝার কারণে ও বুঝাতে সক্ষম হওয়াতে আমি ছিলাম গ্রুপ স্ট্যাডি সময়ে অলিখিত শিক্ষক।

একদিন দুপুরে সবাই একাউন্টিং করার জন্য বসছি। সবাই সিরিয়াস শুধুমাত্র জিয়া আর পিয়াল ছাড়া। জিয়া পড়ার চেয়ে মজা করতেই বেশী পছন্দ করত। সবাই বসে আছি, অপর্ণা তখনো আসেনি। আমি অপর্ণার জন্য অপেক্ষা করছি। বনি, জেনি, ইভা, ডালিয়া, মানসী, বিপাসা, সবাই শুরু করার জন্য তাড়া দিচ্ছিলো, আমি অপর্ণার জন্য শুরু করছি না। যাক একটু পরেই অপর্ণা এলো। ঘুম থেকে উঠে এসেছে ওকে দেখেই আমরা বুঝলাম। এসেই দেরী হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বসল। আমরা চূড়ান্ত হিসাব মিলানোর অসয্য কাজটি আরম্ভ করলাম। হঠাৎ জিয়া পড়ার ফাঁকে অপর্ণার দিকে তাকালো। অপর্ণার ডান গালে (কপোলে) একটা লাল স্পট দেখে জিয়ার মনে প্রশ্ন জাগলো। জিয়া খাতা -কলম রেখে অপর্ণার কাছে জানতে চাইল-"অপু (অপর্ণাকে আমরা অপু বলে ডাকতাম) তোর গালে এটা কিসের স্পট?" জিয়ার অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে সবাই খাতা কলম রেখে অপর্ণার দিকে তাকালো। অপর্ণা লজ্জায় একটু লাল হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই বলল-"মশার কামড়ের দাগ।" ব্যাপরটা এখানেই শেষ হয়ে যেতো পারত, কিন্তু প্রশ্ন কর্তা যেহেতু জিয়া সেহেতু মজাতো হবেই। জিয়া অদ্ভুব ভাবে হাত দুটো ঘষতে ঘষতে বলল-"শালায় মশা মাছি হইলেও পারতাম-------।" যারা টিউব লাইট চুপ করে বসে রইল আর বাকীরা হু হু করে হাসতে হাসতে টেবিলে লুটিয়ে পড়লো।

স্মৃতি খন্ড-২:
একদিন ক্লাস শেষ করে ফ্যাকাল্টির নতুন ভবনের সামনে সবাই বসে আছি। আমরা ছেলেরা জুনিয়র মেয়েদের সাথে ইয়ে মারার পায়তারা করছি। এমন সময় ধনীর দুলালী রীমা গাড়ি থেকে নেমে এল। এসেই আমাদের সাথে হাঁয় হ্যালো দিয়ে বান্ধবীদেরকে পায়ের নতুন জুতা দেখাতে লাগল। ব্যাপারটা জিয়ার নজর এড়াতে পারলোনা। জিয়া সামনে গিয়ে হাজির। মেয়েদের জুতা এমনিতেই খুব পাতলা এবং উপরের দিকটা একটু খোলা মেলা থাকে। রীমার সেই দিনের জুতা জোরার উপরের অংশ স্বচ্ছ ( ট্রান্সপারেন্ট) ছিলো। সম্পূর্ণ পা দেখা যাচ্ছিলো। মেয়েরা সবাই রীমার জুতার সৌন্দর্যে মুগ্ধ এবং গুণকীর্তনে পঞ্চমুখ। কিন্তু জিয়া যেখানে হাজির সেখানে কিছু না হয়ে কী পারে? আমরা সবাই এগিয়ে গেলাম। সবাই অপেক্ষা করছি জিয়া কী বলে। জিয়া হাত দিয়ে নখ খুঁটতে খুঁটতে বলল-"শরীরের জামাটা যদি জুতার মত স্বচ্ছ হতো-----------?" এবারও যারা টিউব লাইট তারা নীরব, বাকীরা অট্টহাসিতে এদিক ওদিক সরে পড়লো।

স্মৃতি খন্ড-৩:
আমাদের বন্ধু সার্কেলে বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া আরো তিনজন ছিলো ড্যানী, বাউল আর তমাল, ওরা অন্যত্র পড়ালেখা করত কিন্তু আড্ডা মারত আমাদের সাথে। যারা জানতো না তাঁরা ভাবতো ওরা আমাদের সাথেই পড়ে। ড্যানী প্রথম যেদিন আমাদের ক্যাম্পাসে এলো সেদিন ঘটল এক মজার ঘটনা। আমরা ছেলেরা ডিপার্টমেন্টের সামনে বসে আছি, মেয়েরা বাধ্য ছাত্রীর মত ক্লাস করতে গেছে। ক্লাস শেষ করে মেয়ে বন্ধুরা আমাদের সাথে আড্ডায় সামিল হচ্ছে। সেই দিন জেনী আর মানসী ক্লাস করেনি। মানসীকে এর আগে ড্যানী দেখে নাই। জেনীকে দেখছে এবং কথাও হয়েছে। মানসী ছিলো একটু মোটা এবং চেহারায় পরিপক্কতার ছাপ ছিলো। সেইদিন মনে পড়ে আমাদের একটা প্রোগ্রাম ছিলো। মানসী কাপড় পড়ে এসেছিলো। আমরা লনে বসেছিলাম। মানসী আর জেনীকে আসতে দেখে আমরা সবাই চেয়ে আছি। ড্যানী বলল-"বা জেনীতো অনেক ভদ্র মেয়ে?" আমরা সবাই এবং অন্য মেয়ে বন্ধুরা একসাথে বলে উঠলাম -"কেন?" ড্যানী গম্ভীর ভাবে বলল-"অনুষ্ঠানের দিন মাকে সাথে করে নিয়ে এসেছে।এর চেয়ে ভালো মেয়ে হয়?" আমরাতো বুঝতে পেরে হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার অবস্থা। বিপাশা বলল-"আরে ড্যানী ওটা জেনীর মা না, আমাদের বান্ধবী মানসী।" ড্যানীতো লজ্জায় লাল। আমরা আরেক ধাঁপ হেসে নিলাম। জেনী আর মানসী আসতেই জিয়া বলে উঠল-" জেনীর মা মানসী আন্টি কেমন আছেন?" মানসীতো থ, আর আমাদের হাসতে হাসতে ধম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

স্মৃতি খন্ড-৪:
আমাদের সন্ধ্যার আড্ডাটা হতো অন্য রকম। তখন মেয়েরা থাকতো না, এর ফলে আমাদের মুখেও কোন বেড়া থাকতো না। যার মুখে যা আসতো তাই বলত। বাবু ছিলো আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটোখাটো এবং নীরহ। আর্থিক অনটন মানুষকে মনে হয় নীরহ করে দেয়। নোয়াখালীর ছেলে। খুবই ভালো ছেলে কিন্তু অসম্ভব ধরণের কৃপণ। অবশ্য খরচ করার মত তেমন অবস্থাও ছিলো না। বাবুর আব্বা বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকুরী করতো। কিন্তু সরকারে অদ্ভুত নিয়মের জালে আটকে গোল্ডেন হ্যান্ডশ্যাকে পড়ে চাকুরী হারায়। ফলে ওদের সংসারে নেমে আসে টানপোড়েন। নিজে লেখা পড়ার জন্য টিউশনি করতো। সেখানেও ছিলো অসুবিদা, অংক পারতো না বলে উপরের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রী পড়াতে সমস্যা হত। যাক জিয়া ওর জন্য ভালো দুইটা টিউশনির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো যা দিয়ে ওর হাত খরচ বা পরিবারকেও সাহায্য করতে পারতো। বাবু ১০টাকা নিয়ে বের হত, আসতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে, যেতো জিয়ার সাথে। খাওয়া-দাওয়া আমাদের ওপর দিয়ে চলতো। নোট ফটোকপির টাকা আমি, পিয়াল, জাকির ও মিঠু দিতাম। জিয়া ওর জামা কাপড় কিনে দিতো, জিয়া ওর আন্ডারওয়ারও কিনে দিতো। বাবু দেখতে খুবই পাতলা ছিলো, জিয়া ওর জন্য প্রতিদিন একটা করে ডিম বরাদ্দ করেছিলো।

বাবু কথায় ছিলো পটু। ওকে কোথায় কেউ হারাতে পারতো না। ও কারো সাথে শক্তিতে পারতো না বলে কথায় ঘায়েল করতো। পিয়াল ও আমার সাথে একটা অলিখিত দ্বন্ধ লেগেই থাকতো। পিয়াল কথায় কথায় বাবুকে গালি দিত। একদিন মধুর ক্যান্টিন থেকে বিকালের নাস্তা সেরে কলা ভবনের সামনে দিয়ে হাটছি, কি একটা বিষয় নিয়ে যেন পিয়াল বাবুর উপর ভীষন রেগে গেল। অনেক কিছু বলার পর রাগ সামলাতে না পেরে পিয়াল বলল-" শালা খানকীর পোলা।" আমরাতো সবাই শুনে একটু বিমর্ষ হলাম, বাবুর দেখি কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া নেই। বাবু হাসতে হাসতে সুন্দর করে বলল-" জ্বী ভাইয়া কী বললেন?" আমরা বাবুর বুদ্ধিমত্তায় হতভম্ব হয়ে গেলাম। জ্ঞানের মার প্যাচে পিয়ালকেও একি গালি ফেরত দিল।

বন্ধুরা আজ আর না। জানি না আপনাদের ভালো লাগবে কিনা? তবে আমার সেই দিন গুলো খুব মনে পড়ে। আমি মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে আবেগে আপ্লুত হই, মনে মনে গুনগুন করে গেয়ে উঠি-" কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেল গুলো সেই আজ আর নেই------"
(চলবে)
=========
কামরুজ্জামান স্বাধীন


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নষ্টালজিক হয়ে আবেগ আপ্লুত হন, পুরাই পাংখা!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ ভাই এখানে নষ্টালজিক হয়ে কষ্টের চেয়ে সুখটাই বেশী পাই, তাই আবেগে আপ্লুত হই। যায় দিন ভালে যায় আর এমন সুন্দর জীবন ছিলো বলেই আজ লিখতে পারছি। সুতরাং বুঝতে পারছেন কেন ঐ শব্দটা ব্যবহার করেছি। ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ও আপনাকে অভিনন্দন পুরো মাত্রায় সচল হওয়ার জন্য।

===========
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বানান এত ভুল করছেন দেখে আপনাকে সিউলী ফুল দিতে মঞ্চায়।

স্মৃতিখণ্ড-২ আসলেই দুই নম্বর। ছিক জুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ শুভাশীষ দা, তবে বানানের কথা আমি প্রথম লেখাতেই বলে রেখেছি। তবে আমিতো চেষ্টা করছি নির্ভুল থাকার। কিছু শব্দ আমার মনে হয়েছে ভুল, কিন্তু সংশোধন করার সুযোগতো নেই। তাই বয়ে বেরাতে হচ্ছে। পড়ার ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

==========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

তিথীডোর এর ছবি

প্রথম কিস্তি এক্কেবারেই ভাল্লাগেনি!! অতিরিক্ত দীর্ঘ কলেবর আর ভুল বানান (যদিও আমি নিজেই এ দোষে কুখ্যাত)

এ পর্ব বরং খানিকটা গোছানো মনে হলো!

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধনতবাদ তিথীডোর আপু।

প্রথম পর্বটা নষ্টালজিক হয়ে বেশী কলেবর করে ফেলেছিলাম, যেটা আগেই বলেছি। দ্বিতীয় পর্বটা লেখার সময় সেটা খেয়াল রেখেছি। আর বানান ভুলের দোষতো আমার আজন্ম,এর থেকে বের হবার চেষ্টা করছি।

আশা করি পরের পর্ব গুলোতে আপনাকে পাঠক হিসেবে পাবো।

==========
কামরুজ্জামান স্বাধীন

সাফি এর ছবি

আমিও বন্ধুদের মিস করি। স্মৃতিখন্ডগুলো যদিও তেমন ভাল লাগেনি, তবে নিজের বন্ধু বা মজার কিছু ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজের আন্দের মুহুর্ত গুলোকে অন্যের কাছে দৃশ্যমান করা বড়ই কঠিন কাজ। আপনাকে যে স্মৃতিকাতর করতে পারছি সেটাই আমার স্বার্থকতা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই গুলো ছিলো নিছক দুষ্টুমীর স্মৃতি,তাই শেয়ার করলাম। আপনার ভালো লাগেনি জেনে ভালো লাগলো, পরের পর্বগুলোতে চেষ্টা করবো আপনার যাতে ভালো লাগে।

==========
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

চোখের দেখা প্রাণের কথা

আশফাক আহমেদ এর ছবি

ভালোই তো লাগলো

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সুমন চৌধুরী এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।