ফালতু প্যাঁচাল।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৭/২০১০ - ৩:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল আমার বাচ্চাকালের এক বান্ধবির ফেসবুক স্টেটাস টি ছিল এরকম-

“long long time ago, some people used to bury their newborn daughters. u know what, i think they did the right thing!!!”

স্টেটাস এ কমেন্ট দিতে গিয়ে দেখি সেখানে অলরেডি হাদীস-কোরান এর রেফারেন্স দিয়ে একগাদা কমেন্ট চলে এসেছে, সেই সাথে তওবা করার কথাও।কেউ কেউ আবার স্টেটাসটি ফিরিয়ে নেবারও অনুরোধ করেছে।
এর মাঝে আমি কোথাকার কে এতক্ষন পরে আসছি…তাই আর কমেন্ট দিলাম না!

কিন্তু মাথা থেকে যাচ্ছেনা কথাটা। কেন দিল সে এই স্টেটাস? কোথাও না কোথাও কথাটা কি সত্য না?? মাঝেমাঝে কি আমারো এমন মনে হয় না? হয়। মাঝেমাঝে না, অনেকবারই হয়। প্রতিবার রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় যখন কেউ (সে আমার ছেলের বয়সি হোক আর বাপের বয়সি হোক…ডাস’ন্ট ম্যাটার) আমার গায়ে হাত দিয়ে কিছুই হয় নি এমন ভাব করে চলে যায়, তখন কিছুই বলতে পারি না…শুধু মনে হয় মেয়ে হয়ে না জন্মালেই বোধহয় ভাল হত!
কী জানি, হয়ত আমারই দোষ, আমি নিশ্চই রাস্তাঘাটে অশালীন পোষাক পরে অশালীন ভাবে চলাফেরা করি…নাহলে কেন এমন হবে!

প্রতিবার রিকশাওয়ালাটি শুধুমাত্র তার প্যাসেন্‌জার একজন মহিলা বিধায় বিনা কারনে পাশের রিকশাওয়ালার সাথে অশ্রাব্য ভাষায় যখন গালিগালাজ শুরু করে, তখন মনে হয়… ইশ! কানের ভলিউম কম করার যদি একটা সিস্টেম থাকত!! (আসলেই কি তা মনে হয়? নাকি অন্যকিছু?)
পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় একজন দোকানীর ভুল হয়না আমার পা থেকে মাথা পরযন্ত দেখে নিতে, দাম-দস্তুর পছন্দ না হলে আলতু ফালতু টিটকারী মারতে। কী আর করবো…প্রয়োজনটাতো আমারি…কিনতে তো হবেই দরকারি-অদরকারি জিনিসগুলো।

গত পরশুদিন এর আগের দিন এর কথা…অফিসে আমার রুম এ সেদিন বাকিরা অনুপস্থিত।আমি একাই বসে ফেসবুকিং করছি। দরজায় এক মুসল্লি আসল, পরনে সাদা আলখেল্লা, টুপি, দাঁড়ি-যা যা দরকার সবই আছে। আমার বসকে খোঁজে সে। আমার ২/১ মিনিট লাগল বুঝতে সে কাকে খোঁজে…প্রশ্নটা সে আমাকেই করেছে…কিন্তু দেয়ালটাকে আমার থেকে বেশি সুন্দর লাগছিল তাই সেদিক তাকিয়ে প্রশ্নটা করছে সে।এর পরে যা যা প্রশ্ন করল সবই দেয়ালের দিকে তাকিয়ে। আই উইশ আমিও উত্তরটা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে দিতে পারতাম! ভাবলাম, যাইহোক, এসব অল্প শিক্ষিত লোকের আচরনে আমার কী আসে যায়! পরদিন শুনি সেই মোল্লা চোস্ত ইংলিশ এ আমার বস এর সাথে প্রজেক্ট এর বিষয়ে কথা বলছে। অল্প শিক্ষিত কথাটা মনে হয় ঠিক ছিল না। শিক্ষাটা একটু বেশী বলেই মনে হয় কোন মেয়ের দিকে তাকালে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।

অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে প্রায়ই জ্যাম এ গাড়ী বসে থাকে। সে সময় জানালার পাশের মটরবাইক এ বসা ছেলেগুলো কোন কমেন্ট করছে না, একে অন্যকে আকার ইঙ্গিত করছে না, এরকম ঘটনা খুব কমই। ইয়ারফোন কানে থাকা সত্তেও সে সময় কেন জানি ড্রাইভার এর সামনে ভিষণ অপমান লাগে। যাগ্গে…এসব কোন ব্যাপার না…জাস্ট ইগ্‌নোর!এর থেকেও বাজে ব্যাপার ঘটেছে যা এখানে লিখতে পারব না।

ছোট ছোট ব্যাপার…বহুকাল ধরে ঘটে আসা বহু পুরনো topic. কেন লিখলাম তাও জানিনা।হয়ত স্টেটাসটায় অন্য রকম কমেন্টস আশা করেছিলাম তার জন্য। এরকম আরো হাজার হাজার ঘটনা লিখতে পারব…কিন্ত কী দরকার? সবার স্টোরি কী একই না??? এগুলো তো তুচ্ছ কিছু ঘটনা…আরো অনেকের সাথে যা যা ঘটে তা এখানে বলার অধিকারও আমি রাখি না। প্রতিদিন কয়টা পুরুষ রেপ্‌ড হয় কিংবা কয়জন পুরুষ এর মুখে এসিড মারা হয় সেই স্ট্যাটিস্টিকস আমি আসলে জানিওনা (!)।

মেয়েগুলোকে কী মানুষ হিসেবে ট্রিট করা হয় নাকি মানুষগুলোকে শুধুই ‘মেয়ে’ হিসেবে??

কোথাও একবার পড়েছিলাম…Equality is not something someone can give you. It is something you feel within you.

হ্যা…ফিল করি তো…করতে চাই তো…প্রতিদিন! এভরি ড্যাম সিঙ্গেল ডে!

জীবনের প্রথম ব্লগ…তাই ঠিকমত গুছিয়ে কিছুই লিখতে পারলাম না ঃ(


মন্তব্য

হিমাগ্নি [অতিথি] এর ছবি

আপু আপনার অনুভূতি বুঝতে পারলাম... হয়তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণেই এমন কিছু হয়। কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না...
"...পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় একজন দোকানীর ভুল হয়না আমার পা থেকে মাথা পরযন্ত দেখে নিতে..."

"...সেই মোল্লার শিক্ষাটা একটু বেশী বলেই মনে হয় কোন মেয়ের দিকে তাকালে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।..."

আপনার এই কথা দুটি কিন্তু বিপরীত। আপনার দিকে তাকালেও দোষ (আপনি যেভাবে ব্যক্ত করেছেন অবশ্যই তা দোষ), আবার না তাকালেও দোষ...!!!!
আমি কথাটা বলতাম না... কিন্তু আপনি যেভাবে দুইজনকে একই শ্রেণীতে নামিয়ে এনেছেন, এজন্য বললাম... স্যরি...

বিঃদ্রঃ ( আপনি কি জানেন আপনি অনেক লাকি। জীবনের প্রথম ব্লগ-ই পোস্ট হয়ে গেছে। আমি তিন তিন বার লেখা দিয়েও পোস্ট করাইতে পারলাম না। )

হিমাগ্নি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দুটো ক্ষেত্রে একটা মিল আছে। যিনি চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন না তিনি যেমন নারীকে 'মানুষ' বলে সমান মর্যাদা দিচ্ছেন না তেমনি যিনি পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিচ্ছেন তিনিও নারীকে মানুষ না ভেবে ভাবছেন অন্য কিছু। দুটোই অত্যন্ত অসম্মানের। ব্লগার হয়ত আরো বেটার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।

আর ব্লগ পাবলিশিং তো আর ড়্যান্ডম ভাগ্যের ব্যাপার নয়। সুতরাং আমার মতে 'লাকি' শব্দটা ঠিক উপযুক্ত নয় এক্ষেত্রে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

ভাই...অসংখ্য ধ ন্যবাদ আমার কথাটা বলে দেবার জন্য...এ কথাটাই লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু ঠিক মত বোঝাতে পারিনি ঃ)

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

প্রিয় হিমাগ্নি
আপনার কমেন্ট এর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলে আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম মানুষ হিসেবে treat না করে আমাদের কেন অন্য ভাবে দেখা হয় সে জিনিসটা। দুটি ক্ষেত্রেই কিন্তু একজন মানুষ কে অপমান করা হলো। সে হিসেবেই দুজন কে এক ক্যাটেগরি তে ফেলা। আর কিছু না। লেখার মাঝে অনেক ভুল থাকতে পারে...contardiction এসেছে...লেখার অভ্যাস না থাকায় এরকমটা হয়েছে...আশা করি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে আসবে ঃ)
আপনাদের লেখা পরতে পরতেই লেখার আগ্রহ...luck না...আপনাদের অনুপ্রেরনা ঃ)

প্রবাসিনী এর ছবি

ফালতু প্যাচাল টাইটেলটা ভালো লাগেনি...যদি আপনি ফালতু প্যাচালই মনে করেন আপনার এইসব কথাগুলোকে তার মানে এই দাঁড়ালো যে এইসব অসম, আপত্তিজনক এবং অপমানজনক ব্যবহার মেনে নিতে হবে। হয় তো সামাজিকভাবে আমরা এই ধরনের কথাকে ফালতু প্যাচালই মনে করি, যাতে এইসব ব্যাপারে কথা বলতেই না হয়। কিন্তু এভাবে করলে হবে না...এইসব ঘটনা ফালতু প্যাচাল নয়।

আর সচলে সুস্বাগতম।

______________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। আপু, সত্যি বলতে কি, টাইটেল টা আমারও পছন্দ হয় নি। কিন্তু লেখার পরে মনে হল...কী লাভ? এই কথাগুলো কি দিন এর পর দিন হয়ে আসছে না? অবস্থার কী কোন উন্নতি হয়েছে? আমি লিখলেই কি আর না লিখলেই কি! তাই ক্ষোভে এই টাইটেল দিসি।

পল্লব এর ছবি

কি বলা উচিত বুঝতেসিনা।

প্রথম ব্লগ হিসেবে লেখা ভালই গুছানো হইসে, সচলে লেখা শুরু করে দেন, আরেকজন ভাল writer (আলাদা কইরা লেখিকা বলতে ইচ্ছা করতেসে না) পাব।

ছেলে হিসেবে বেশ লজ্জাই লাগে এইসব কথা শুনলে, কিন্তু এইগুলা ফালতু প্যাঁচাল না মোটেও।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

তাসনীম এর ছবি

সচলে স্বাগতম।

এই বিষয়ে আরো লেখা আসা উচিত, এটা সমস্যা থেকে ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ছেলেরা কেউ কি একটু ব্যাখ্যা করে বলবেন, যে মেয়েদের দেখলে আপনাদের মস্তিষ্কে কি হয়? এই যে কিছু পুরুষ (??) মেয়ে দেখলেই (অশ্লীল শব্দটা বহুমাত্রিক তাই সেটা ব্যাবহার করতে চাই না ) যৌন উত্তেজক শব্দমালা ছুড়ে দেয়, বা সেরকম ইঙ্গিত করতে থাকে, বা নির্বিকারভাবে গায়ে হাত পর্যন্ত দিয়ে দেয়, এদের মাথায় আসলে কি চিন্তা চলতে থাকে? কেন করে এটা? ঠিক যেন কলা দেখে বাদরের নাচন এর মত। যারা সুশিক্ষিত / ট্রেনিং প্রাপ্ত তারা হয়ত নিজেদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করেন, বাকিরা করে না বা করতে পারেনা বা প্রয়োজনই বোধ করে না। কিন্তু কেন? মেয়েরা কি ঐ কলার মত কেবল ভোগ্য পণ্য, বস্তু মাত্র। ছেলেদের মাঝে ধ্যান ধারনা পাল্টাতে আরও কত জেনারেশনের বিবর্তন ঘটতে হবে?

আর এসব আচরনের সাথে বয়সের কোন সম্পর্ক নেই। কিশোর থেকে শুরু করে বাবার বয়সী ভদ্রলোকের থেকেও একইরকম ব্যাবহার পেয়েছি। মেয়েদের পোশাক আশাকের অজুহাত তো আরও ফালতু। গাউসিয়ায় ভীরের মধ্যে সুযোগ সন্ধানী হাত বোরকা পরা মেয়দের শরীরই বেশি খুজে, তাহলে ধরা পরা বা ঝাড়ি খাবার চান্স কম। নারীর বয়সও এখানে কোন ফ্যাক্টর না। বাংলাদেশের প্রতিটা মেয়ের কোন না কোন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা আছে, এটা কি আমাদের আশে পাশের বাবা- ভাইদের কে বিদ্ধ করে না?

দেয়ালের উদ্দেশ্যে কথা বলা হুজুর সাহেব নবীজীর শিক্ষা ভুল ভাবে পালনের চেষ্টা করছেন। নবী নারীর সামনে দৃষ্টি নামিয়ে সম্মানের সাথে কথা বলতে বলেছেন। মূল শিক্ষা , নারীকে বস্তু নয়, মানুষ হিসেবে ট্রিট কর।

ইকুয়ালিটি= সমতা, হ্যাঁ, তা তো সব সময়ই নিজের মাঝে অনুভব করি, এসব টুকরো ঘটনাগুলো যতই নিয়মিত ঘটুক, বিচ্ছিন্ন বলে গা ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিয়ে সামনের দিকে তাকাই। কিন্তু এই অযাচিত ঝামেলা গুলো কেন অসমভাবে শুধু মেয়েদের পোহাতে হবে? মেয়েরা তো উলটো ছেলেদের জ্বালাতে যায় নি। বুঝি চরিত্রের এই দোষ টুকু রয়ে গিয়েছে বলেই ছেলেরা এখনও 'বেটা' ভার্সন।

-শিশিরকণা-

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বুঝি চরিত্রের এই দোষ টুকু রয়ে গিয়েছে বলেই ছেলেরা এখনও 'বেটা' ভার্সন।

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

দেয়ালের উদ্দেশ্যে কথা বলা হুজুর সাহেব নবীজীর শিক্ষা ভুল ভাবে পালনের চেষ্টা করছেন। নবী নারীর সামনে দৃষ্টি নামিয়ে সম্মানের সাথে কথা বলতে বলেছেন। তাহলে তো বলা হবে দেয়াল থেকে মেঝে বেশী সুন্দর।

বর্তমান অবস্হায় হুজুরের অবস্হানটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।
দেশের মানুষ বেশ সুখেই আছে মনে হচ্ছে। কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে সারাক্ষন মাথায় ফাউল চিন্তা নিয়ে থাকে। অফিস আদালত, স্কুল-কলেজ, শপিং সেন্টার, রাস্তায় সব জায়গা থেকেই একই অভিযোগ। অনেক আত্মহত্যা।

সমস্যার সমাধান কিভাবে সেটা জানি না। আমি নিজেও বর্তমান অবস্হায় পরিবার নিয়ে দেশে যেতে ভয় পাই। একটা খারাপ কিছু হয়ে গেলে সারাজীবনেও মন থেকে দাগ মুছবে না।

(ফ্রুলিক্স)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ফালতু নয় মোটেও। এই রকম বাস্তব আরও বেশি বেশি তুলে আনা প্রয়োজন। সভ্যতা এখনও কিতাব থেকে রন্ধ্রে প্রবেশ করে সারতে পারেনি। সেই জন্যই জানানো প্রয়োজন সবাইকে।

সচলায়তনে স্বাগতম। লিখতে থাকুন এমনি আরও লেখা।

মিরা এর ছবি

আমার মনে হয়, যেসব ছেলেরা এমন আচরন করে, তারা খুবি ভীতু প্রকৃতির হয়। সাহস করে প্রতিবাদ করে দেখবেন, ওরা একেবারে হেরে যাবে আপনার কাছে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, ছেলে বা মেয়ে যাই হোন না কেন, সাহসীদের সবাই ভয় পায়।
আমি মেয়ে হয়ে জন্মে সার্থক বোধ করি, যখন কোন একটা কঠিন সমস্যা নিজেই সমাধান করতে পারি।
আমন্ত্রন রইলো, পৃথিবীটাকে নতুন রূপে খুজে নেবার জন্য।

দুর্দান্ত এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম। আরো লিখুন।

সাবিহ ওমর এর ছবি

'পুরুষতান্ত্রিক' কথাটাই কেমন জানি ইয়ে লাগে।

রায়হান আবীর এর ছবি

অল্প শিক্ষিত কথাটা মনে হয় ঠিক ছিল না।

একদমই ঠিক আছে। চোস্ত ইংরেজি কিংবা পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি যাই থাকুক না কেন "শিক্ষিত" হবার যে মানে সেটা এরা নয়।

আপনার লেখা ভালো হয়েছে। কারণ নিজের ভেতর প্রচন্ড হতাশা অনুভব করলাম। শুদ্ধ হোক আমাদের চারপাশ। শুদ্ধ হোক। মানুষ মানুষকে মর্যাদা দিতে শিখুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

নৈতিকতা বিষয়ক শিক্ষার প্রচলন প্রাথমিক পর্যায়ে সুচারুভাবে না আনা পর্যন্ত এই ধরনের সমস্যার খুব একটা সমাধান হবে বলে মনে হয় না। দেশে শিক্ষার যে হালত, আরো দশ বছর পর্যন্ত মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে। ছেলেদের 'বেটা' সংস্করণ থেকে 'স্ট্যাবল' সংস্করণে উন্নীত করতে হলে, ইদানিং আমার মনে হয়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে তাদের স্বভাব পরিবর্তন করতে হবে, কারণ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই এই প্রজাতি এই রকম!

আপনার লিখা ভাল লাগল। আরো লিখা চাই।


ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com

স্পর্শ এর ছবি

মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

অতি সুন্দরভাবে আপনি নারীসমাজের কঠিন বাস্তবটিকে তুলে ধরেছেন। এ শুধু আপনার নাহ, শত শত পেশাজীবি শ্রমজীবি নারীর কাহিনী। আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য। ভাল থাকবেন।

পদ্মজা এর ছবি

সমাজ যতই এগিয়ে যাক,্বাংলাদেশে আমরা এখনো 'মেয়েমানুষ'। কর্মক্ষেত্রে আমি সমাজের ননী ( ক্রীম অফ সোসাইটি) শ্রেণীর একজন নারী সদস্য।

পায়ে পা মিলিয়ে কাজ করা সত্তেও শুনতে হয়,"মেয়েরা কাজ পারেনা। অধীনস্ত্যদের নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা।"মজা এই যে ওদের মত আমিও প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা! আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করি। কর্মঘন্টাও ওদের চাইতে বেশি। কারণ "সম-অধিকার চাও এখন বোঝ।"
একই পেশার হওয়া সত্তেও স্বামী কাজের মর্যাদা দেননা।
ভাবখানা এই যে, "মেয়ে ডাক্তার'রা আবার কাজ করে নাকি!"

বাংলাদেশ হাটছে উলটো পায়ে। একই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্তেও কর্মক্ষেত্রে verbal assault এর প্রতিকার কি? সমাজের সর্বোচ্চ শিক্ষিত অংশে যদি এই চিত্র হয় বাকিটা সহজেই অনুমেয়!

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

বিয়ে করলাম ২ বছর হল। মনে এর মধ্যে একদিন ও এমন হয়নি আমার স্ত্রী অফিস থেকে ফেরার সময় তাকে কেউ ধাক্কা দেয়নি অথবা গায়ে হাত দেয়নি ।

নখ-দন্তহীন এর ছবি

সেদিন অফিসে আসার সময় মতিঝিলে দেখলাম এক ভদ্রমহিলা গাড়ি ড্রাইভ করছেন। কোনো চিন্তা মাথায় আসার আগেই দেখলাম (আমি দেখে বেশ আভিভূত হইছিলাম, কারন আমাদের দেশ ও এগিয়ে যাচ্ছে) অনেকবার হরণ দেয়ার পরও তাকে পাশের পিক-আপ ট্রাকটা সাইড দিলো না ( আমার মনে হয় কোনো পুরুষ হইলে ড্রাইভার ব্যাটা এত সাহস পাইত না )...............

হুজুরের ব্যপারটিকে এভাবে দেখলে কেমন হয় যে, উনি হয়তো নিজেকে নিয়ে confident ছিলেন না............

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

এরকম অনেকবার দেখেছি রাস্তায় কোন ভদ্রমহিলা ড্রাইভ করার সময় আসে পাশের রিক্সাওয়ালারা কমেন্ট করছে আর পারলে গাড়ীর ভিতর ঢুকে ভদ্রমহিলাকে এক নজর দেখছে। সাইড দেবার ব্যাপারটা তো আপনি নিজেই দেখলেন হাসি
দেশ এগিয়ে গেছে সত্যি...কিন্তু কোথায় জানি কি একটা গলদ রয়েই যাচ্ছে।

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনে-ক ধন্যবাদ হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।