সুখ বিষয়ক দৈববানী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৮/১১/২০১০ - ১০:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুখ কি? ইহার আভিধানিক সংজ্ঞাও বা কি? এই প্রশ্নের ঊত্তর খুঁজিতে খুঁজিতে মস্তক উথাল পাথাল করিয়া ফেল্লুম, দিন কে রাত করিয়া ফেল্লুম তথাপি ফলাফল শূন্য। বেহুদা মহামূল্যবান সময় হারাইলুম। ইহার চাহিয়া সমুদ্র মন্থন করিলে দুই এক ফোটা অমৃত পাওয়ার কদাচিৎ সম্ভাবনা থাকিলেও থাকিতে পারিত কিংবা সাধূ বাবার জ্ঞানবাণী শুনিয়া পরকালের জন্য মূল্যবান পাথেয় সংগ্রহ করিতে পারতুম। এইসব ভাবিতে ভাবিতে দাত দিয়া চুল নখ দাড়ি কাটিতে কাটিতে কখন ঘুমায়ে পরিলাম তাহা নিজেরও বোধগম্য হইল না।

তথাপি সৃষ্টিকর্তা তাহার অসীম দৃষ্টি দিয়া আমার শরীরের, মনের সকল উন্মাদনা পর্যবেক্ষন করিতে ছিলেন। সৃষ্টের মানসিক বৈকল্য স্রষ্টার অন্তরে দয়ার উদ্রেক করিল। তিনি সুখের বার্তা লইয়া দেবদূত পাঠাইলেন।অধম দৈববানী প্রাপ্ত হইল।

দেবদূত কহিল জগতের সকল ধন রত্ন নিজের কূক্ষীগত করিবার মাধ্যমেই চূড়াসম সুখ লাভ করা সম্ভব।চক্ষু কপালে তু‌লি‌য়া জিজ্ঞাসা করিলাম জগতের সকল ধনরত্নের একমাত্র মালিক হইবার উপায় কি। দেবদূত ভ্রুকুটি নাচায়ে পন্ডিত মসাই এর ন্যয় আবৃত্তি করিল "ছোট বালুকার কনা বিন্দু বিন্দু জল" / তৎক্ষনাৎ তাহাকে থামায়ে দিয়া কহিলাম খুব বুঝিতে পারিয়াছি। দেবদূত পূনরায় কহিল সামনে যাহা পাহিবে চুরি করিবে তাহা ছোট হউক বড় হঊক। ঘুষ কে নিজের গাত্রে ধারন করিবে আর রাষ্ট্রের কোষাগার নিজ় ঘরের সিন্দুক মনে করিবে।পুলকিত হইয়া জিজ্ঞসা করিলাম ইহারাই সুখ তাহলে অসুখ কি। দেবদূত রাগীয়া নিজ কর্ন ছিড়িয়া হস্তে নিয়া কহিল একাগ্র চিত্তে সকলের মঙ্গল কামনাই অসুখ, নিজ কে দেশ ও দশের নিমিত্তে উৎস্রর্গ করিবার কুচ্ছাই অসুখ।

সহসাই বিকট শব্দে দেবদূতের প্রস্হান। নিজ কে আবিস্কার করিলাম মেঝেতে লুটোপুটো রত। সিন্ধান্ত লইলাম বাকিটা জীবন সুখের পেছনেই ব্যয় করিব।

ইশতিয়াক


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাই ইশতিয়াক, এই লেখাটায় তেমন রস পেলুম না যে। তেমন রম্য লাগল না। তা ছাড়া শিরোনামেই বানান ভুল (বানী > বাণী), দৃষ্টিকটু বইকি। লেখাতেও অনেক বানানপ্রমাদ আছে।

আজকাল আবার দেখছি অতিথি লেখকের লেখায় ভাল লাগে নি কথাটা বললে অন্য অতিথিরা এসে বকাঝকা করেন, যেন মিষ্টি মিষ্টি কথা ছাড়া আর কিছুই বলা অন্যায়। আপনি তেমন অভিমানাহত হবেন না আশা করি। লিখতে থাকুন।

ইশতিয়াক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ।
১।সব রম্যে রস থাকেনা অন্তত আমার ভাবনা এটা।কোনো রস এখানে নেই আমিও জানি।
২। অনিচ্ছাকৃত বানানবিভ্রাট এর জন্য লজ্জিত। বাণী টা পোষ্ট করার পরেই বুঝেছি।কিন্তু তখন করার কিছু ছিলনা। মডুদের অনুরোধ করছি শিরোনাম এর বানান ঠিক করে দেয়ার জন্য।
৩। গঠনমূলক সমালোচনা সবসময় কাম্য। অভিমানাহত না হতেই শেষ প্যারাটা লিখে ফেললেন!!"ঠাকুরঘরে কে রে..আমিতো কলা খাইনা" হয়ে গেল না? অভিমানাহত হলে না হয় লিখতেন।

আবারও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

কৌস্তুভ এর ছবি

অভিমানাহত হয়েই গেলে আর 'হবেন না আশা করি' বলে লাভ কি? তাই জন্যেই তো আগে থেকে ডিসক্লেমার দিয়ে রাখা। তাই বলে মোল্লা নাসিরুদ্দিন বাসার ছেলেকে কলসী সম্বন্ধে যা বলেছিলেন তেমন নয় কিন্তু। দেঁতো হাসি

আসলে ব্যাপারটা সত্যিই ডিসক্লেমার হিসাবে দেওয়া। সাম্প্রতিক একাধিক পোস্টে দেখেছি এমন মন্তব্য আসতে, তাই আগে থেকে বলে রাখা। আর "হবেন না আশা করি"-ই তো বলেছি, "হবেন না খবর্দার" এমন তো কিছু বলিনি।

যাকগে যাকগে। হনই নি যখন তখন আর সমস্যা কি। হাত-পা খুলে লিখতে থাকেন।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

রসহীন ! মন খারাপ

খলিলুর রহমান এর ছবি

ভাল লেগেছে। মন্তব্যও ভাল লেগেছে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

অসাধারণ সুন্দর একটা লেখা। এ রকম নানা বিষয় নিয়ে একটা সিরিজ নামান। বিখ্যাত হয়ে যাবেন। কটু কথায় কান দেবেন না। দেছেন তো গেছেন। দুই কানের ফুটায় আঙুল গুইজা চুপচাপ চলতে থাকুন। সিরিজটার একটা ভালো নাম দ্যান - নিমকি গদ্য/সিঙারা গদ্য এই টাইপের। অথবা 'দৈববাণী'ও সিরিজের নাম হতে পারে। এইটা সুখ বিষয়ক এর পরেরটা রাজনীতি বিষয়ক, তারপরেরটা প্রেম বিষয়ক, তারপর বিয়ে.............এই রকম একের পর এক নামতে থাকবে। ব্যাস্! বিখ্যাত হয়ে যাবেন। অনেক অনেক শুভকামনা।

ইশতিয়াক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আখতারুজ্জামান ভাই । আপনার মন্তব্য অজস্র প্রেরনার উৎস হয়ে রইল। লেখার মূল তাৎপর্য রসে না তার রসের আরো গভীরে। কিছুটা বানানবিভ্রাট
অবশ্য গভীরতাকে ম্লান করে দিয়েছে।

সিরিজ লেখার আইডিয়া মাথায় ছিলনা। লম্বা সিরিজ আবার না ক্লান্তিকর হয়ে বসে। দেখা যাক ।

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আইডিয়াটা ভাল লাগল। বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন। এগিয়ে যান।

কামরুল হাসান রাঙা

ইশতিয়াক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রাঙা ভাই। বানানের ব্যপারে খেয়াল রাখব ।

মূলত পাঠক এর ছবি

সুখ বিষয়ক দৈববানী

সুখ কি? ইহার আভিধানিক সংজ্ঞা বা কি? এই প্রশ্নের ঊত্তর খুঁজিতে খুঁজিতে মস্তক উথাল পাথাল করিয়া ফেল্লুম, দিন কে রাত করিয়া ফেল্লুম তথাপি ফলাফল শূন্য। বেহুদা মহামূল্যবান সময় হারাইলুম। ইহার চাহিয়া সমুদ্র মন্থন করিলে দুই এক ফোটা অমৃত পাওয়ার কদাচিৎ সম্ভাবনা থাকিলেও থাকিতে পারিত কিংবা সাধূ বাবার জ্ঞানবাণী শুনিয়া পরকালের জন্য মূল্যবান পাথেয় সংগ্রহ করিতে পারতুম। এইসব ভাবিতে ভাবিতে দাত দিয়া চুল নখ দাড়ি কাটিতে কাটিতে কখন ঘুমায়ে পরিলাম তাহা নিজেরও বোধগম্য হইল না।

পড়ার চেষ্টা করেছিলাম, হতাশ হয়ে অবশেষে প্রথম প্যারাটুকু শুধু তুলে নিয়ে তাতে বানান ও ভাষা প্রয়োগের ভুল দেখালাম (এ নিয়ে বিশদ জানতে চাইলে বলবেন, জানাবো)। আজকাল অবশ্য বানান ভুল নাকি কোনো ভুলই না, এই রকম শুনতে পাই (আশা রাখি আপনার মত ভিন্ন)। তা সেই নবভাষা যদ্দিন না আবিষ্কার হচ্ছে তদ্দিন চেনা ভাষায় লেখা বেরোলে পাঠক হিসেবে চেনা বানানই দেখতে চাইবো। স্রেফ নতুন লেখক বলেই ভাষার এই রকম দুর্দশা হবে এটা খুব সঙ্গত যুক্তি বলে মনে হয় না, 'অভিমানাহত' আর 'ক্ষমাসুন্দর' এই দুটি শব্দ সার্বিক মানের অবনতি ঘটানো ছাড়া আর বিশেষ কিছু কাজের কাজ করে বলে তো মনে হয় না (এটি আপনার লেখা প্রসঙ্গে বললেও আপনার দাবী ভিন্ন এমন আশা করবো)। কিছু অনলাইন অভিধানও এখানে কাউকে কাউকে ব্যবহার করতে দেখেছি, প্রয়োজন হলে তার সাহায্য নিয়ে তারপর লেখা প্রকাশ করা যেতে পারে, তাতে সাধারণ পাঠকের কিছু সুবিধা হয়।

ইশতিয়াক এর ছবি

আমি তো জানতাম বাণী আর সাধু বাদে বাকি বানান ঠিক ই আছে। অবশ্য দাঁত এও ভূল।

কি আবার ঈ-কার কবে থেকে হলো জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।বাঙলা একাডেমীর অভিধানেও কি? কী নাই। কদাচিৎ শব্দটা কদাচিৎ লিখিনা প্রায়শই লিখি।বানান না কদাচিৎ সম্ভাবনা কোনটা বুঝিয়েছেন?

"এ নিয়ে বিশদ জানতে চাইলে বলবেন, জানাবো" বিশদ জানতে চাই।

ফেল্লুম কি হবে??

ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাইরে, কি আর কী'র মধ্যে এমন বড় ফারাক আছে, যে না ধরতে পারবে তাকে বোঝানো বড়ই কঠিন কাজ। যাই হোক, আপনি সচল খুঁজলেই এ সংক্রান্ত লেখাটি পাবেন।

দাঁত এও ভূল

আপনার ভুল বানানও কিন্তু ভুল।

হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি


সুখ কি (কী)? ইহার আভিধানিক সংজ্ঞাও বা কি (কী)?

কি > তুমি কি কেবলই ছবি?
কী > কী গাব আমি কী শুনাব।
কি ঈ-কার কবে থেকে হলো সেটা জানাতে পারলাম না। যেহেতু কি আর কী আলাদা, তাই এদের মধ্যে উৎপত্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কি না আমার জানা নেই। অভিধান তো নাগালে নেই, ঐ বিষয়েও আলোকপাত করা গেলো না। তবে ব্যাখ্যাটা সঠিক, এটুকু ভরসা করতে পারেন।


এই প্রশ্নের ঊত্তর (উত্তর) খুঁজিতে খুঁজিতে মস্তক উথাল পাথাল করিয়া ফেল্লুম, দিন কে (দিনকে) রাত করিয়া ফেল্লুম তথাপি ফলাফল শূন্য।

ফেল্লুম বা ফেললুম লিখতেই পারেন, কিন্তু ওটি যেহেতু চলিত ব্যবহার, করিয়া ফেললুম লিখলে তাই ভুল হবে। হয় করে ফেললুম, নয় করিয়া ফেলিলাম। এটা তো বোধ হয় বাংলা ব্যাকরণ ১০১। হারাইলুম ইত্যাদিরও সেই ব্যাখ্যা।


ইহার চাহিয়া সমুদ্র মন্থন করিলে দুই এক ফোটা (ফোঁটা) অমৃত পাওয়ার কদাচিৎ সম্ভাবনা থাকিলেও থাকিতে পারিত।

কদাচিৎ বানান ভুল নয়, ভাষা প্রয়োগের ভুল। আগের মন্তব্যের শুরুতে দু রকম ভুলের কথাই বলেছি। এখানে কথঞ্চিত হলে ঠিক হতো, কারণ ঐ শব্দটা সম্ভাবনাকে ব্যাখ্যা করছে, অল্পস্বল্প সম্ভাবনা ছিলো এমনটাই তো বলতে চাইছেন? কদাচিৎ প্রয়োগ হতো যদি কখনো কখনো পেতে পারেন এমন বলতেন। সেক্ষেত্রে অনেক বার চেষ্টা করলে কখনো কখনো পাওয়ার প্রশ্ন আসে।


কখন ঘুমায়ে পরিলাম (পড়িলাম, সেহেতু ঘুম পরিধেয় নয় তাই) তাহা নিজেরও বোধগম্য হইল না।


এছাড়া বেহুদা-র প্রয়োগ নিয়েও সমস্যা আছে বলে মনে হয়। আদিতে বেহুদা বলতে আপত্তিজনক বোঝায়, যেমন বেহুদা কপড়া, বা অশ্লীল কাপড়। শুধু শুধু বলা (হুদাহুদি) বা ফালতু এই অর্থে প্রয়োগ হতে দেখেছি সচলে, তবে নিশ্চিত নই সেটা সঠিক প্রয়োগ কি না। ঐ কথাটা সেজন্যই বলি নি আগে।

মূলত পাঠক এর ছবি

একটা অনুরোধ করি, মন্তব্য ভালো না লাগলে রাগ হতেই পারে, তবে লেখা থামানোর কারণ সেটা না হলেই ভালো। পাঠকের জন্য লিখছেন, পাঠক ভালোমন্দ দুই-ই বলবে, তাতে লেখা থামুক এই উদ্দেশ্যে মন্তব্য করা নয়। ভালো থাকুন।

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

"দেবদূত কহিল জগতের সকল ধন রত্ন নিজের কূক্ষীগত করিবার মাধ্যমেই চূড়াসম সুখ লাভ করা সম্ভব।চক্ষু কপালে তু‌লি‌য়া জিজ্ঞাসা করিলাম জগতের সকল ধনরত্নের একমাত্র মালিক হইবার উপায় কি। দেবদূত ভ্রুকুটি নাচায়ে পন্ডিত মসাই এর ন্যয় আবৃত্তি করিল "ছোট বালুকার কনা বিন্দু বিন্দু জল" / তৎক্ষনাৎ তাহাকে থামায়ে দিয়া কহিলাম খুব বুঝিতে পারিয়াছি। দেবদূত পূনরায় কহিল সামনে যাহা পাহিবে চুরি করিবে তাহা ছোট হউক বড় হঊকঘুষ কে নিজের গাত্রে ধারন করিবে আর রাষ্ট্রের কোষাগার নিজ় ঘরের সিন্দুক মনে করিবে।পুলকিত হইয়া জিজ্ঞসা করিলাম ইহারাই সুখ তাহলে অসুখ কি। দেবদূত রাগীয়া নিজ কর্ন ছিড়িয়া হস্তে নিয়া কহিল একাগ্র চিত্তে সকলের মঙ্গল কামনাই অসুখ, নিজ কে দেশ ও দশের নিমিত্তে উৎস্রর্গ করিবার কুচ্ছাই অসুখ।

সহসাই বিকট শব্দে দেবদূতের প্রস্হান। নিজ কে আবিস্কার করিলাম মেঝেতে লুটোপুটো রত। সিন্ধান্ত লইলাম বাকিটা জীবন সুখের পেছনেই ব্যয় করিব।"

ভাই, বানান ভুল / ভাষার অপপ্রয়োগ / ভুল শব্দের প্রয়োগ / সাধু-চলিতের মিশ্রণ / টাইপো - পদে পদে এত ধাক্কা খেতে খেতে আপনার লেখাটা আমার কাছে রম্যতো দূরে থাকুক, এমনকি 'গম্য'ও থাকেনি শেষ পর্যন্ত। সেটা আমারই সীমাবদ্ধতা হয়তো। 'মূলত পাঠক' ভাই আপনার প্রথম প্যারাটা কোট করেছিলেন‌, আমি পরেরটাও কোট না করে পারলাম না! ভুল আমরা সবাই করি... এখন থেকে একটু খেয়াল রাখবেন প্লিজ। পরের বার ভাষার খানাখন্দ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বক্তব্যের পিছনে তীরবেগে ছুটতে সমর্থ হবো বলে আশা রাখি।

বানান ভুলের বাইরে অন্য কিছু ভুল প্রয়োগ এখানে আলাদা ভাবে উল্লেখ করলাম :-

ফেল্লুম কি হবে??

আমার মনে হয় 'ফেলিলাম' হবে। আমার জানা মতে 'ফেল্লুম' 'ফেললাম'-এর মতই 'ফেলিলাম'-এর চলিত/কথ্য রূপ। আপনি যেহেতু সাধু ভাষায় লেখার চেষ্টা করছেন, সেহেতু এটা এখানে ভুল প্রয়োগ।

ভ্রুকুটি নাচায়ে

"ভ্রুকুটি" মানেই হচ্ছে 'ভ্রু' নাচানো বা কোঁচকানো, ইত্যাদি। সুতরাং এরপর আর সেটা নাচানোর কথা বলার প্রয়োজন নেই। "ভ্রুকুটি"-র পরে উপযুক্ত শব্দ হবে 'করা'। আর হ্যাঁ, 'নাচায়ে' শব্দটা কথ্য - সাধু রীতিতে প্রযোজ্য না। 'থামায়ে'-র বেলাতেও একই কথা। অবশ্য, আপনি যদি আদৌ সাধু রীতিতে লিখতে চেয়ে থাকেন। না চেয়ে থাকলে আরো বড় যেসব সমস্যা তৈরি হবে, সেসব নিয়ে এখন চিন্তাও করতে চাচ্ছি না।

কুচ্ছাই

এখানে এই শব্দটার মানে বুঝলাম না। প্রথমতঃ কুচ্ছা 'কুৎসা'-র কথ্য রূপ এবং সাধুরীতিতে একটা লেখার মাঝখানে বেখাপ্পা, উপরন্তু ঐ বাক্যের অর্থের সাথেও 'কুচ্ছা' বা 'কুৎসা' কোনটাই মনে হয় খাপ খায় না। আপনি বোধহয় 'কু-ইচ্ছা' বোঝাতে চেয়েছিলেন, তাই না ?

লুটোপুটো

শুধু বানানটাই ভুল তাই না, শব্দটাও একদম কথ্য। সাধুর মাঝখানে কাবাব মে হাড্ডি-র মত দাঁতে খট করে লাগে। 'গড়াগড়ি' বা অন্য কিছু বললে বোধহয় আরো মানানসই হতো এখানে।

ইশতিয়াক ভাই, অনেক ছিদ্রান্বেষন করলাম - আশা করি 'অভিমানাহত' হবেন না। আমিও নবাগত অতিথি। অতিথি অতিথি ভাই ভাই ! দেঁতো হাসি আপনাকেও ভবিষ্যতে (কিম্বা এই মন্তব্যেও যদি থাকে) আমার ভুল ধরে শুধরে দেওয়ার দ্বিধাহীন আমন্ত্রন রইল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একজন অতিথি, নাম পিয়েতা। প্রথমেই এ লেখাটা পড়লাম, মন্তব্যসহ। অনেক কিছু জানলাম। আপনাদের ভাষার প্রতি দায়িত্ববোধ দেখে ভাল লাগল।

একই সঙ্গে (তাবৎ ভাষাগত ও বানান বিষয়ক ভুলগুলো এড়িয়ে দেখে )লেখাটা পড়ে লেখককে আমার অভিনন্দন জানাচ্ছি।

অভিনন্দন সবাইকে।

পিয়েতা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।