লিখি ভাই...বুঝে শুনে লিখি।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৪/০২/২০১১ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেক্সিমকোর একটা বিশাল আকৃতির ক্রিকেট ব্যাট দেখলাম জিয়া কলোনির সামনে। ব্যাটটা আমাদের জাতীয় ক্রিকেট টীমের খেলোয়ারদের জন্য শুভকামনা জানানোর জন্য রাখা হয়েছে। ব্যস্ততার জন্য আমি যেতে পারছিনা, তবে ইচ্ছে ছিল যাবার।

ছিল বলছি এই কারণে, যে আজকে একটা বিষয় দেখে আমার এই জায়গায় কিছু শুভকামনা লেখার তাগিদ উঠে গেছে। আসলে কি বলবো, আজকে দেখলাম, ব্যাটের গায়ে কিছু কিছু নাম বিশাল লাল অক্ষরে স্প্রে করে দেয়া হয়েছে। এত বড় করে লেখা, মনে হয় এখানে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। (এখন তো মনে হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হলে এটাতেই পোস্টার লাগিয়ে রাখতো!!)

শুধু এইটুকুই নয়। আজকে বেসরকারী একটা চ্যানেলে দেখলাম ব্যাটের গায়ে অনেকে নিজের নাম লিখে নিচে নিজের ফোন নাম্বার বেশ যত্নের সাথে লিখে এসেছেন ...সামনে ভ্যালেন্টাইন কিনা!

এরকম অনেক কিছুই আমরা প্রায় সব্বাই দেখেছি। বাসের গায়ে, টয়লেটের মধ্যে যেসব আশ্চর্য চিত্র কর্ম থাকে তা দেখে স্বয়ং ভ্যান গগ কানের বদলে নিজের মাথাটাই কেটে দিতেন। কিন্তু এই ব্যাটটাতে কেন? এটাতো আমরা আমাদের ছেলেদেরকে, আমাদের ভাইদেরকে আশীর্বাদ করার জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা কি অন্তত এই একটা জায়গায় আমাদের শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে পারতাম না? লিখি ভাই, একটু বুঝে শুনে লিখি না!

আশা করি, আর যাই হোক, আমাদের ছোট ছোট ভাইবোনদের ওই ব্যাটে সাইন করতে গিয়ে কোন গালি-গালাজ কিংবা কোন অশ্লীল বার্তা চোখে পড়বে না।(নিশ্চিত করে বলা যায় না। কুকুর শ্রেনীর লোকজন খোলা মাঠেই মলত্যাগ করে, এদের কিছু আসে যায় না।)

দিন বদল করার চেয়ে আগে অভ্যাস বদল করাটাই উচিত...আবার সব কিছু "বদলাইয়া দিমু" বলে নিজের অভ্যাস নয়া বদলানো টাও খারাপ।

ভালো থাকবেন। সেমিস্টার পরীক্ষা চলছে, দোয়াও করবেন।

____________________________________________________

মেঘদুত


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাই যে লিখছে না তা নয়...কিন্তু এদের লেখাগুলো ওই কাজগুলোর জন্য মলিন হয়ে যাচ্ছে...
_______________________
মেঘদুত

অতিথি লেখক এর ছবি

স্যরি... অভ্যাস লেখাটা একই, ওটা না প্রকাশ করলেও হবে।

_________________________
মেঘদুত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

'পরিচ্ছন্নতার' পরিচ্ছন্ন মেসেজ।

বাসের গায়ে, টয়লেটের মধ্যে যেসব আশ্চর্য চিত্র কর্ম থাকে তা দেখে স্বয়ং ভ্যান গগ কানের বদলে নিজের মাথাটাই কেটে দিতেন।

ভ্যান গগের কান কিন্তু তিনি নিজে কাটেন নি, কেটেছিলেন তাঁর বন্ধু গগাঁ। যাহোক সেটি গৌণ বিষয়। যে কথা বলতে ইচ্ছে করি, এই দুয়ে মিলে শিল্প-সাহিত্যের আন্দোলনে কি ভীষণ আলোড়ন তুলে দিয়েছিলেন, ভেবে ভেবে রোমাঞ্চিত হতে হয়!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আন্তরিক দুঃখিত নামটি ভুল হবার জন্য।

আপনাকে ধন্যবাদ...হাসি

_________________
মেঘদুত

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছুদিন আগে চ্যানেল 13-এ ভ্যান গগের জীবনের উপর একটা মুভিতে দেখাল ভ্যান গগ নিজের কান নিজেই কেটেছে।

- লাবন্য -

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

লাবন্য,
আমার মন্তব্যে আগেই উল্লেখ করেছিলাম যে কান কাটার বিষয়টি গৌণ। এই দুই বন্ধু মিলে শিল্প-সাহিত্যের আন্দোলনে রোমাঞ্চকর আলোড়ন তুলে দেয়ার ব্যাপারটিই আমাদের আকর্ষণ করে। তবু ভিন্নমত যখন উঠল, তাই কান কাটার ব্যাপারে নিম্নোক্ত তথ্যসূত্রের আশ্রয় নেয়া যেতে পারেঃ

Gauguin and Van Gogh
Gauguin's relationship with Van Gogh was rocky. Gauguin had shown an early interest in Impressionism, and the two shared bouts of depression and suicidal tendencies. In 1888, Gauguin and Van Gogh spent nine weeks together; painting in the latter's Yellow House in Arles. During this time, Gauguin became increasingly disillusioned with Impressionism, and the two quarreled. On the evening of December 23, 1888, frustrated and ill, Van Gogh confronted Gauguin with a razor blade. In a panic, Van Gogh fled to a local brothel. While there, he cut off the lower part of his left ear lobe. He wrapped the severed tissue in newspaper and handed it to a prostitute named Rachel, asking her to "keep this object carefully."[9] Gauguin left Arles and never saw Van Gogh again.[10] A few days later, Van Gogh was hospitalized.
সূত্রঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Paul_Gauguin

শূভপ্রীতি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নাশতারান এর ছবি

কী দারুণ হতো ওই ব্যাটে যদি সবাই বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের উদ্দেশ্যে চমৎকার উৎসাহব্যঞ্জক কথা লিখে আসত!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

দিন বদল করার চেয়ে আগে অভ্যাস বদল করাটাই উচিত

নিজেদের অশুভ-অকল্যাণকর আচরণ/অভ্যাসগুলো পরিবর্তন না হলে যে দিন বদলই হবে না।

লেখা ভালো লাগলো। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে...।

________________________

মেঘদুত

অপছন্দনীয় এর ছবি

মন খারাপ

তিথীডোর এর ছবি

দিন বদল করার চেয়ে আগে অভ্যাস বদল করাটাই উচিত..

চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি ...ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।