আক্রোপোলিসের চূড়োয়, পার্থেননের মন্দিরে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৭/২০১১ - ১২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভোররাতের মৃদু নরম আলোর বন্যায় ভাসছে ভূমধ্যসাগর, অদূরেই চিক চিক করে জানান দিচ্ছে এর সুবিশাল অস্তিত্ব, এর কোলে গড়ে ওঠা সুপ্রাচীন এথেন্স নগরীর বুকে দাড়িয়ে আমি বঙ্গসন্তান অপেক্ষা করছি সূর্যদেবতা অ্যাপোলোর ঘোড়ায় টানা রথে করে অগ্নিপিণ্ড সূর্যগোলকের আবির্ভাবের। এথেন্স, আধুনিক সভ্যতার জন্মক্ষেত্র, ইতিহাস এখানকার আকাশে-বাতাসে, প্রতি কোণে কোণে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার, কলার উম্মেষ, দর্শনের আবির্ভাব, ক্রীড়াবিদ্যার প্রচলন- আরো কত কারণেই না আমরা গ্রীক সভ্যতার কাছে ঋণী। আবেগে আপ্লুত হয়ে দাড়িয়ে আছি এক ভোরের আলোয় ইতিহাসখ্যাত পাহাড় আক্রোপোলিস হিলের পাদদেশে, যার চূড়া আলো করে আছে এথেন্সের প্রতীক, গ্রীক সভ্যতার প্রতীক, মানব সভ্যতার প্রতীক- পার্থেননের মন্দির।

দিনের প্রথম আলোয় পার্থেননের মন্দিরকে দেখা এবং সেই সাথে অপরূপা এথেন্সের এবং ভূমধ্যসাগরের মোহময় রূপসুধা পানের জন্য পর্যটকদের সমাগম শুরু হয়েছে কাকভোরেই, সেই দিনটি ছিল রবিবার, রবিবারে আবার গ্রীসের সমস্ত প্রাচীন স্থাপত্য আর জাদুঘর বিনা টিকিটে দর্শন সম্ভব বিধায় হয়ত ভিড়ের মাত্রাটিও একটু বেশী। সকাল সাতটার দিকে গ্রীক সৈনিকের দল তাদের বিখ্যাত সাজসজ্জা আর পম পম জুতা ঠকাস ঠকাস করে এগিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর অবস্থান নিল, বিশাল লাইনে যত সংখ্যক মানুষ, সারমেয়পালের সংখ্যা তার চেয়ে নেহাত কম নয়, মজার ব্যাপার হচ্ছে এথেন্সের এই সুস্বাস্থ্যবান, রীতিমত পরিষ্কার, ভদ্র কুকুরগুলো কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধিন নয় বরং শহরের বাসিন্দারা সকলে মিলে পালাক্রমে এদের দেখ-ভাল করে। অপেক্ষার পালা শেষ করে সূর্যরশ্মির প্রথম প্রখর সোনালী বর্শার সাথে সাথেই মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলাম আমরা।
সাগরের তীর থেকে ধীরে ধীরে আকাশপানে ধাবিত এই পাহাড়ে মধ্য নিওলিথিক যুগের স্তব্ধতার সময়েও ছিল মানবজাতির আনাগোনা, এর পরে নানা কালে নানা গোত্র আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়েছে এই সুজলা-সুফলা ভূমিতে, তাদের গড়া স্থাপত্য তাদের নাম ও ইতিহাসের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে আমাদের কাছ থেকে কালের আবর্তে, আক্রোপোলিস পাহাড়ে এখনো যে অতুলনীয় স্থাপত্যকলার সমারোহ আমরা দেখতে পায় তার অধিকাংশই তৈরি গ্রীক সভ্যতার স্বর্ণযুগে, অর্থাৎ আড়াই হাজার বছর আগে, রাজা পেরিক্লিসের তত্ত্বাবধানে!! চোখের সামনে দেখেও বিশ্বাস হয় না প্রায় তিন হাজার বছর আগের মানুষের গড়া সেই একই রাস্তা দিয়ে ঊর্ধ্বপানে চলেছি আমরা। সামান্য উপরেই মূল পাহাড়ের পাদদেশের কাছে চোখে পড়ে প্রাচীন অ্যাগোরা, যেখানে শিষ্য পরিবৃত হয়ে বিচরণ করতেন জ্ঞানী চূড়ামণি সক্রেটিস স্বয়ং! আক্রোপোলিসের অন্য পাশ জুড়ে আছে প্রায় ২৩০০ বছর আগে তৈরি বিশ্ব-খ্যাত হেরডস আটিকাসের মঞ্চ, তৎকালীন বিশিষ্ট সভাসদ হেরডস তার স্ত্রী আসপাসিয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে ৫০০০ আসন বিশিষ্ট এই মঞ্চ নির্মাণ করেন খ্রি পূ ১৬১তে, সুখের খবর এখনো বিশেষ বিশেষ উপলক্ষ অনুসারে নাটক বা সঙ্গীতানুষ্ঠানের জমায়েত ঘটে এই প্রাচীন মঞ্চেই। ধন্য হেরডস, ধন্য আসপাসিয়া ।

সম্মুখ পানে আমাদের দৃষ্টি ঠেকে যায় বিশাল সব প্রস্তর খিলান, ধাপে ধাপে বিশালাকার প্রস্তরখণ্ড বসিয়ে তৈরি নিখুঁত দেয়াল, সমতল মেঝে আর একের পর এক ঢেউ খেলানো সিঁড়িতে, কেবলমাত্র পাথরের গায়ে নয়, কল্পলোকের নিগড়ে! আড়াই- তিন হাজার বছর ধরে কত প্রাকৃতিক দুর্বিপাক, কতই না প্রবল ভূমিকম্প, সমুদ্রের রুদ্ররোষের থেকে লড়াই করে টিকে আছে প্রাচীন গ্রীক স্বপ্নদ্রষ্টাদের এই স্বপ্নফসল, যদিও আক্রোপোলিসের সেই রমরমা যুগের কথা আমরা বর্তমান যুগে কল্পনাও করতে পারব না – কোন মন্দিরেরই ছাদ বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, থেকে থেকে ধ্বসে পড়েছে অনেকগুলো বিশালাকার স্তম্ভ, কালের ক্ষয়ে যাবার দাগ সর্বত্র নির্মম ভাবে ছড়িয়ে আছে, এককালে সর্বোচ্চ স্থানে থাকা দেবী অ্যাতেনার মূর্তি আজ কেবলই স্মৃতি – তারপরও কি সফেদ স্নিগ্ধ রূপ নিয়ে, প্রবল পরাক্রমে আধুনিক মানুষের কাছে গেয়ে চলেছে সভ্যতার গোড়াপত্তনকারীদের জয়গান। অনেকগুলো মন্দির পার হইয়ে আমরা নির্বাক বিস্ময়ে দাড়িয়ে আছি ভুবনবিদিত ইরেকথিয়ামের সামনে, মহাকবি হোমারের মহাকাব্য ইলিয়াডে বর্ণিত মহাপরাক্রমশালী রাজা ইরেকথিউসের সন্মানে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন অমর ভাস্কর ও স্থপতি পীডিয়াস, যার হাতুরি-ছেনির সুনিপুন সমন্বয়ে প্রাণ পেয়েছিল এই মন্দিরের খোলা বারান্দায় সেই ভুবন আলো করা সৌন্দর্যের আঁধার ছয়টি নারীমূর্তি, যা আসলে স্তম্ভ রূপে ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে এত হাজার বছর ধরে বিস্ময় জাগানিয়া হয়ে। দেখে মনে হয় প্রমাণ নারী দেহের আদলে তৈরি এই ভাস্কর্যগুলোর গলার কাছটা এতই পলকা, যে কি করে তারা এত টন টন ওজনের ছাদের ভার নিয়ে সমুন্নত থাকতে পারে মহাকালের সাথে পাল্লা দিয়ে ? যদিও রোদ, বৃষ্টি ও বাতাসে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে নয়নাভিরাম স্তম্ভগুলোর কিছু কিছু জায়গা বিশেষ করে মুখমণ্ডলের অল্প ক্ষয় হয়ে যাওয়াতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সদ্যনির্মিত আক্রোপোলিস জাদুঘরে, যা এই পাহাড়েরই প্রান্তসীমায় অবস্থিত। আসলে দর্শনার্থীরা তৃষ্ণার্তের মত যে ছয়টি নারী স্তম্ভের রূপ সুধা পান করছিলেন তা বর্তমান কারিগরদের তৈরি প্রাচীনগুলোর আদলে! ( যদিও সেদিন বিকেলে জাদুঘরে চর্মচক্ষে অনুপম ভাস্কর্যগুলো দেখার দুর্লভ সৌভাগ্য হয়েছিল) । আক্রোপোলিস পাহাড়ের চারিদিকে গড়ে উঠেছে এথেন্স মহানগরী , লক্ষ দালানকোঠা অট্টালিকা আজ সেখানে, তবুও এসব ভেদ করে পাহাড়চুড়ো থেকে দৃষ্টিসীমায় আসে ইতিহাসখ্যাত হাড্রিয়ান আর্ক বা হাড্রিয়ানের ফটক, দুই হাজার বছর আগে রোমান সম্রাট হাড্রিয়ানের আগমন উপলক্ষে এটি নির্মাণ করা হয়, ফটকটির এক দিকে লেখা আছে- হাড্রিয়ানের শহর এথেন্সে স্বাগতম, আর অন্যদিকে খোদাই করা আছে- এসো থিসোয়ূসের শহর এথেন্সে (থিসোয়ূস ছিলেন গ্রীক পূরাণমতে এথেন্সের সত্যিকারের গোড়াপত্তনকারী ও ষাঁড় মাথার দানব মিনোটর হন্তা)।
তার খানিকদূরেই প্রাচীন গ্রীসের সবচেয়ে বিশালাকার স্থাপত্য দেবরাজ জিউসের মন্দির, এক কালে অবিশ্বাস্য ৬৩৮ বছর সময় নিয়ে তৈরি হওয়া ১০৪টি ৫৫ ফিট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার স্তম্ভের কেবলমাত্র ২১টি দাড়িয়ে আমাদের বিস্ময়ে হতবাক করে দিয়ে যেন জানান দিয়ে যাচ্ছে সেই বিস্মৃত সোনালী ইতিহাসের কথা। ভোরের মেঘের রথ হতে অবগাহন করে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো তখন সকালের আকাশে পরিভ্রমণরত, তিন হাজার বছর আগে যখন সূর্য ছোয়ার স্পর্ধা নিয়ে এই মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হয় তখন নিশ্চয়ই দেবতারাও অনুমান করতে পারেন নি মানুষের সৃষ্টি টিকে থাকবে এতটা অনন্ত কাল ধরে দেবদেবীর অস্তিত্ব ম্লান করে দিয়ে!
আক্রোপোলিসের চূড়োটা প্রাকৃতিক ভাবেই সমতল , সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই কয়েক হেক্টর জায়গাতেই মানব সভ্যতার প্রজ্জল মশালবহনকারীরা রেখে গেছেন স্থাপত্যকলার বিস্ময়গুলো। আক্রোপোলিস পাহাড়ের নিচে আরেক উম্মুক্ত মঞ্চ, আড়াই হাজার বছর আগে নির্মিত ডিওনিসিসের মঞ্চ, বলা হয়ে থাকে এইখানে একদা ২৫,০০০ লোক একসাথে অবস্থানের সাথে সাথে মঞ্চে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ নিখুঁত ভাবে শুনতে পেত। সেখানে কেবল নিছক বিনোদনই নয় পালিত হত ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় সভা। মহানগরীর আরেক প্রান্তে চোখে পড়ে প্রাচীন অলিম্পিকের স্টেডিয়াম, মহান ক্রীড়াযজ্ঞের শুরু তো এই ভূ-খণ্ডেই।
ভুবন আলো করে রাখা পার্থেননের মন্দিরটির কথা আলাদা ভাবে বলতেই হয় কালের পাতায় উল্টিয়ে, দেবী অ্যাতেনার সন্মানে নির্মিত এই প্রাচীন মন্দিরে রয়েছে বাহির-অন্দর মিলিয়ে ৬৯টি স্তম্ভ, যার প্রতিটির উচ্চতা ৩৪ ফুট, আর মূল মন্দিরের ভিত্তির দৈর্ঘ্য ২২৮ ফিট, চওড়া ১০১ফিট ৪ ইঞ্চি। পাঠক আশা করি এ থেকেই খানিকটা আচ পাবেন কি সুবিশাল কর্মযজ্ঞে নিমিত্ত হয়েছিল প্রাচীন গ্রীকরা। আর অধিকাংশ স্তম্ভ অনেকগুলো খণ্ডের সন্নিবেশনে নির্মিত, একটার উপর আরেকটা খণ্ড বসিয়ে স্বার্থক চেষ্টা চলেছে আকাশ ছোঁয়ার। একটি সময়ে খ্রিষ্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহার হয়েছে তা, অটোম্যান দখলদারীত্বের সময় মসুলমানদের মসজিদ। কিন্তু এই প্রাচীন প্যাগান উপাসনালয় আজ সব মানুষের জন্য উম্মুক্ত দেশ-কাল-সীমানা-ধর্ম-বিশ্বাস ছাড়িয়ে সাতশ কোটি মানুষের কাছে আক্রোপোলিস পাহাড় মানেই জ্ঞানের প্রতীক, কালের করাল গ্রাসকে অগ্রাহ্য করে টিকে থাকে মানব সভ্যতার মুন্সিয়ানার প্রতীক। বিস্ময়াবিষ্ট হইয়ে কেবল প্রণাম করে গেলাম সেই প্রাচীন স্বপ্নদ্রষ্টাদের।

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03am

মন্তব্য

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

টিকেট খরচ বাঁচানোর জন্যে রবিবারেই তাহলে ঘুরে আসবো গ্রীস থেকে, হরতাল টরতাল আছে- ফাঁকা রাস্তায় রিকশা চড়ে বাতাস খেতে খেতে চলে যাবো হো হো হো

লোকজনে পালাক্রমে কুকুরের যত্ন নেয় শুনে মজা পেলাম।

জিউসের মন্দির আর এগোরার আরেকটু বর্ণনা দিতেন, সাথে বেশি বেশি ছবি।

(এমন ভ্রমণের বর্ণনায় লেখক নাম না দিলে হয় ?? অবশ্যই পরেরবার নাম দেবেন। হাসি )

কৌস্তুভ এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে। লেখক খুবই আবেগমথিত হয়ে পড়েছিলেন মনে হয়। দেঁতো হাসি

কিন্তু লেখকের নাম নেই কেন? রেগে টং

অপছন্দনীয় এর ছবি

দারুণ লাগলো হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো বর্ননার পাশাপাশি আপনার আবেগের ছোয়া। সবার মত আমিও নাম জানতে চাইছি হাসি .... (আমার সচলে প্রথম যে লিখাটি ছাপা হয়েছিলো তাতে আমিও নাম দিতে ভুলে গিয়েছিলাম!!)

সবজান্তা এর ছবি

সচলে স্বাগতম বস ! আশা করি ভ্রমনের বর্ণনা দিয়ে সবাইকে একদম ভস্ম করে দিতে পারবেন ঈর্ষায়। আপনার কলম (পড়ুন কীবোর্ড) জারি থাকুক।

নৈষাদ এর ছবি

চলুক

guest_writer এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে। দুঃখিত উত্তর দিতে খানিকটা দেরী হওয়ায়। আসলে এথেন্স শহরটাই এমন, আবেগ তাড়িত না হয়ে কোন উপায় নেই ! নাম না দিতে পারার একটাই কারণ, ব্লগে একেবারের নতুন কিনা তাই বুঝে উঠতে বেশ খানিকটা সময় লাগছে, আশা করি এর পর থেকে আমাদের নিয়মিত আলোচনা হবে।----- তারেক অণু

তানিম এহসান এর ছবি

তবে তাই হোক! আপনি কি ভাই গ্লোবট্রটার নাকি? ইউরোপ থেকে আফ্রিকার বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে নাকি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গন্ধতো তাই বলে ...... আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা থাকলো!

দিগন্ত মুদি এর ছবি

অণু ভাই চালায় যান, আমরা আছি আপনার পাশে দেঁতো হাসি
লেখা নিয়ে তো কিছু বলারই নাই, জবের গুরু গুরু

আপনার জন্য রইলো (গুড়) (গুড়) আর আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

guest_writer এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আবারো। আসলে বেশ কিছু ছবি আপলোডের ইচ্ছে ছিল, কিন্তু অপশনটা খেয়াল করি নি। গ্লোবট্রটার ঠিক হতে পারি নি রে ভাই, কিন্তু চেষ্টা করি বিশ্বটাকে খানিকটা ঘুরে দেখার আর আলোকচিত্রের- লেখার মাধ্যমে সেই আনন্দ, সেই অভিজ্ঞতা সবার সাথে ভাগাভাগি করার। গ্রীস নিয়ে আরো লিখছি, জানাবো ভবিষ্যতে। ভাল থাকবেন সবাই- অণু।

তানিম এহসান এর ছবি

একবার সব আয়োজন করে, ভিসা নিয়েও যাওয়া হয়নি গ্রীস, আমি অবশ্য ইসতানবুল হয়ে জার্ভোস পেনিনসুলা দিয়ে ক্রীটে যেতে চেয়েছিলাম নৌপথে। গ্রীস সম্পর্কে মারাত্মক আগ্রহ, নেশা যেমন আছে তেম্নি আছে একজন গ্রীক সুপারভাইজার এর সাথে কাজ করার সেইরকম তিক্ত সময়। কেন যেন সেই সুপা রভাইজার এর কথা মনে পড়ে গেলো, আাহা, তার ছাইযুক্ত প্রাণ যত্রতত্র মাছ ধরা থেকে বিরত থাকুক!

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

তারেকঅণু ভাই, লেখা অ্যাক্কারে ধুন্দুমার হইছে। মজা পাইলাম।

guest_writer এর ছবি

এর পরের বার যাবেন তানিম ভাই, আর গ্রীস তো আসলে দেশ না, পুরো একটা পৃথিবী, প্রতিটি দ্বীপই একেকটা দেশ, আহা- ক্রীট, সান্তোরিনি, রোডস, করফু, হাইড্রা। ধন্যবাদ ধৈবত দা, ধুন্দুমার মন্তব্যের জন্য।--- অণু

খেকশিয়াল এর ছবি

ওরে কাকা!!! লিখে ফেলেছিস!! দারুণ দারুণ!!! সচলে স্বাগতম কাকু!! লেখা জম্পেস হয়েছে!! আরো লেখ!! আর ব্যাটা নিজের নাম আর ই-মেইল দিস।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সচলে স্বাগতম তারেক...
আর আপনার প্রতি আবারো ঈর্ষা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সুন্দর বর্ণনা!!! চলুক

guest_writer এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ--নজু ভাই,... আর আমার অলসতম, কূপমণ্ডূক, গর্তবাসী, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর জন্য জগতখ্যাত, ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, লাঙ্গুল ছাড়া শাখামৃগ বন্ধু প্রবর Koushik D ওরফে খেঁকশিয়াল- তুই আমার লেখার ব্যাপারে বেশী কথা বলবি তো তিব্বত অভিযানে ( মানস + কৈলাস ) তোকে দলে নেবার যে ০,০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০২২ % সম্ভাবনা আছে সেটুকুও মিলিয়ে যাবে, কারন তুই আলসেমি না করলে আমি কমপক্ষে দেড় বছর আগে থেকে লিখা গুলো দিতে পারতাম(দিলেম হাঁটে হাড়ি ভেঙ্গে) !!! এখন পালা, আর মেলা বকবি তো তান্ত্রিক হবার পথ বন্ধ হইয়ে যাবে !

অতিথি লেখক এর ছবি

শুরু থেকে শুরু করে সবগুলো লেখা পড়ছি ।

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

কড়িকাঠুরে

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, ব্যপক ধৈর্য দরকার।

কুশল সাদীক এর ছবি

অসাধারন ভাই গুরু গুরু
স্বপ্ন দেখি একদিন আপনার মত হব ।

Al Noman এর ছবি

আপনার মতো হতে চাই ভাই

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।