বাংলাদেশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৭/২০১১ - ৪:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৬ই জুলাইয়ের হরতাল এ যখন সবার দৃষ্টি জয়নুল আবেদিন ফারুক আর এডিপি হারুনের উপর, আমার মনে উকি দেয় আরো অনেক প্রশ্ন আর অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে | ফারুকের উপর নির্যাতন কোনো নতুন ঘটনা নয় - আওয়ামী লীগের এমপি নাসিরের উপরও এমনি নির্যাতন করা হয়েছিল| এডিপি হারুন ও নতুন নন - ডিসি কহিনুর কম বিখ্যাত ছিলেন না| এ সবি একসময় আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাবে, এডিপি হারুন একদিন এমপি হবেন, জ আ ফারুক আবার সংসদ এ গিয়ে আওয়ামী লীগের বদনাম গাইবেন আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন, আবার হরতাল হবে, আবার কোনো এমপি নির্যাতিত হবেন, আলোচনা হবে....চলতেই থাকবে| এভাবেই তো দেখে আসছি বোধ হওয়ার পর থেকে|

এসবের মধ্যেই চিন্তা করি এর শেষ কোথায়| সমাধানে প্রথমেই আসে যে এই দুই নেত্রী থেকে দেশ কে মুক্ত করা দরকার, দরকার একটি তৃতীয় শক্তি| গেল নির্বাচনের আগে উত্সাহী হয়ে লক্ষ্য করতাম এনডিপির কার্যবিধি, মনে ক্ষীন আশা থাকত যে হয়ত এটাই সেই তৃতীয় শক্তি| হলো না| যত দিন যাচ্ছে ভয় টা তত গভীর হচ্ছে যে হয়ত আমাদের আসলে মুক্তি নেই নেত্রীদ্বয়ের হাত থেকে| এরা যাবেন তো এদের সন্তানেরা আসবেন যারা এরিমধ্যে দেশ বেচার কাজে অনেক পক্ক| তার পর চিন্তা করি তৃতীয় শক্তি এসে কতদূর কি করতে পারবে? দেশ এর এমন একটা সেক্টর কি আছে যেটা তে দুর্নীতি নেই? কত শতাংশ ক্ষমতাধর ব্যক্তি শত আর দেশপ্রেমিক? কোনো দল যদি চায় সমস্ত দুর্নীতিবাজ কে সরিয়ে প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্বে বসাতে, সফলতার সম্ভাবনা যত্সামান্য| দেশের আইন রক্ষার করার দায়িত্ব যাদের হাতে, তাদের একটা বড় অংশ কোনো রাজনৈতিক দলীয় মতাদর্শে চলে| আমাদের পুলিশ আমাদের না, তারা সরকারের চাকর| রাষ্ট্রীয় পদে থাকার জন্য প্রথম যেই গুনটা দরকার, দেশপ্রেম, তার বড় বেশি অভাব এদেশে|

হরতাল থেকে যে এতকিছু, সেই হরতাল এর পিছনের ঘটনা গুলো মাথায় আসে| হরতালের নেপথ্যের মূল কারণ ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রক্রিয়ার বিলুপ্তিকরণ| এই বিল সম্পর্কে প্রথম যেদিন পত্রিকায় দেখি, বিশ্বয়ে নড়ে চড়ে বসেছিলাম| সরকারী দল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠান - আর যেই দেশেই হোক, বাংলাদেশে সম্ভব নয়| এর জন্য লাগে বিশ্বাস| বিরোধী দলের সরকারী দলের উপর আস্থা থাকতে হবে, জনগনের ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের উপর আস্থা থাকতে হবে| এগুলোর কোনটাই ১ শতাংশ-ও বাংলাদেশে নেই| ফলাফল? হরতাল, আন্দোলন, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ধস....নির্বাচনে সরকার পুনঃনির্বাচিত হলেই কারচুপির অভিযোগ আর গন্ডগোল | এসব এড়ানোর উপায়? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন | পত্রিকায় খবর টা দেখে এক নিমিষে এসব কিছু মাথায় ঘুরপাক খেয়ে গেল| এ সিদ্ধান্তের পিছনে সরকারের যুক্তি পরে মনে হলো - সব যুক্তি-ই বানোয়াট! শেয়ার বাজারের ধ্বস, দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি, আরো অনেক কারণেই এই সরকার সম্ভবত বিশ্বাস করা শুরু করেছিল যে পুনঃনির্বাচিত হওয়াটা হয়ত অসম্ভব| গদিতে থাকার উপায় - নির্বাচন টা নিজের মত করে নেয়া! আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকা গেলে বাংলাদেশের নাম হয়ত বঙ্গবন্ধুদেশ করা যাবে, সাথে নোবেল পিস প্রাইজটাও যদি পাওয়া যায়! হায়! যাই হোক, আওয়ামিলিগ এমন চিন্তা করলেও বিএনপি কেন বসে থাকবে? একদিনের হরতালে দেশে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়, হোক না! বিএনপি কে ক্ষমতায় আসতেই হবে, রাজউক কে দিয়ে বলাতে হবে ৩২ নম্বরের বাড়ি অবৈধ, বিমানবন্দরের নাম আবার জিয়া করতে হবে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কে করতে হবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ স্টেডিয়াম| আরো জরুরি কাজ আছে, ছাত্রদল আর মাঠ পর্যায়ের অনেকের অনেক আবদার, ওগুলার ব্যবস্থা করতে হবে| জনগনের ট্যাক্স আওয়ামিলিগ তো ৫ বছর খাবেই, এরপর বিএনপি না খেলে দল তো আর্থিক সংকটে পরবে!

আমাদের দেশ নিঃসন্দেহে পিছনের দিকে হাটছে| স্বাধীনতার ৪০ বছর পর এখনো আমরা বলি সোনালী দেশ "গড়ব", ডিজিটাল বাংলাদেশ "গড়ব"! খুব মনে হয় যে মাহাথির মোহাম্মদ কে যদি একবার এদেশে এনে ক্ষমতায় বসানো যেত, দেখতাম তার মত লোক-ও পারেন কিনা দেশ টা কে ঠিক করতে! তবে আমাদের সৌভাগ্য কম নয়, আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের কোনো তেল বা সোনা বা অন্য কোনো রিসোর্স নেই| থাকলে আমাদের দেশের পরিনতি হত আফ্রিকার দেশগুলোর মতই! অন্য কোনো দেশের আমাদের দেশের উপর লোভ নেই বলেই আমরা নিজেদের মধ্যে কামরাকামরি করেই মরব| দেশ যখন ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হবে, সেদিন ও পত্রিকায় পড়ব যে শেখ হাসিনা বলেছেন খালেদা জিয়ার জন্যই কিছু হলো না, আর খালেদা জিয়া বলেছেন যে সব আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র| জয় হোক আমাদের দুই নেত্রীর, দেশটা তাদের খেলাঘর, তারাই খেলুক - জনগণ তো পুতুল মাত্র, মরলেই কি আর কুকুরের মত বেঁচে থাকলেই কি!

মুসা
অতিথি লেখক


মন্তব্য

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

চমৎকার একটি পোস্ট। আপনি যেহেতু জয়নাল আবেদীন ফারূকের উপর হামলার বিষয়টি এনেছেন, সেহেতু আমি প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি ছবির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রথম আলোতে একটি ছবি ছাপা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে জয়নাল আবেদীন ফারূক ঢ়িল মারতে উদ্যত! বাংলানিউজে (http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=c16c4407a60fbdfc8930637b47cd2a1a&nttl=2011070708441648163&toppos=1) প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, ‘বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আগে থেকেই আঘাত পাওয়া জয়নুল আবদিনের ব্যান্ডেজ করা ডান হাতটি জাপটে ধরেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। তখন জয়নুল আবদিন হাতটি ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঢিল ছোড়ার ভঙ্গি ধারণ করে। আর হাতে থাকা ঢিল সদৃশ কালো বস্তুটি ছিল তার মোবাইল হ্যান্ডসেট।’
প্রথম আলো কেন এমন ভূল করল? তারা কি আজকে ভূল সংশোধন করে নিউজ প্রকাশ করবে?
দেখা যাক!
এম আব্দুল্লাহ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মতি ভাই সহজে ভূল স্বীকার করার বান্দা না। আমি ভিডিও ক্লিপটা দেখিনি তবে যদি ঘটনা সত্যি হয় তবে মতি ভাই গং তথ্যবেশ্যার মতোই কাজ করেছেন। বালের কন্ঠ ইদানিং ট্রানজিশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আবেদ ভাই রিজাইন করলেন। সরকারের কতৃপক্ষ ইদানিং বসুন্ধরার অবৈধ বিলবোর্ডগুলো নামাতে শুরু করেছে। প্রথম আলু এই ঘোলাবাটার মধ্যে সরকারের আনুকূল্যলাভের এই চেষ্টা চালালে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই।

হতাশ হওয়া যাবেনা মুসা ভাই। বলাইদার সাথে কন্ঠ মিলতে চাই, সমাধানের চিন্তা করেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

 মুসা এর ছবি

বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের আগেই আমার একটু সন্দেহ হয়েছিল প্রথম আলোর ছবি টা দেখে! কোনো টিভি নিউজের রিপোর্টেই এমন কিছু আসে নাই যেটা দেখে মনে হতে পারে যে জ আ ফারুক আক্রমনাত্মক ছিল! আজকে বিটিভির একটা রিপোর্ট দেখে আমি হা! রিপোর্টে হারুন এর সাক্ষাত্কার ছিল, আর পুরো রিপোর্ট জুড়ে বলে গেল হারুন আর বিপ্লব কত ভালো মানুষ এবং তারা কত চেষ্টা করেছিল ফারুক কে বোঝানোর!! রিপোর্টের ৫ মিনিট জুড়ে বক্তব্য ছিল ফারুক কত খারাপ একটা সন্ত্রাসী!!!! জয় বিটিভির!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সমাধান চিন্তা করেন। দেশপ্রেম দরকার নাই, দায়িত্বপালন নিশ্চিত করা দরকার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মনোজ এর ছবি

একটি অতি চমৎকার ভাবনা চলুক ... দেশপ্রেম বহু দূরের কথা, এখন দায়িত্বপালন নিশ্চিত করাই জরুরি।

 মুসা এর ছবি

সমাধান সম্ভবত আসতে পারে তরুণ কোনো দলের কাছ থেকে| একটা নতুন কোনো রাজনৈতিক দল যারা স্বার্থের আগে দেশের কথা ভাববে| কোথাও কোথাও নকশাল প্রক্রিয়ার সাজেশন পরেছি, সঠিক উপায়ে হলে সেটাও হয়ত কাজে লাগবে! গর্ভধারিনী উপন্যাসের মত!
দায়িত্ববোধের কথা বলছেন, আমার মনে হয় আমাদের মত গরিব দেশে দেশের সেবা করতে হলে দেশপ্রেমটাই শক্ত দায়িত্ববোধের ইন্ধন দেবে! ব্যয় আর সামর্থের যেই বিশাল ব্যবধান, স্বল্প বেতনের সরকারী পদে দেশপ্রেম ছাড়া দায়িত্ববোধ অল্পদিনেই কর্পুরের মতই হয়ত উড়ে যাবে! এ আমার দৃষ্টিভঙ্গি মাত্র, অল্প হলেও এমন লোকেরও অভাব নেই যাদের দেশের প্রতি মায়া না থাকলেও দায়িত্ববোধ ইস্পাতের মত অনড় হাসি

বোবার চিতকার এর ছবি

মাহাথির-ম্যানিয়া আর কতদিন ভাই? মাহাথির মোহাম্মাদ যেভাবে বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করছেন, সেভাবে এগোলে রাজী আছেন? দ্যা গ্রাস ইস অলওয়েজ গ্রীনার অন দ্যা আদার সাইড অফ দ্যা ফেন্স!

জনগণ যদি ভাল হয়, নেতারা খুব বেশী খারাপ হয়না। হাসিনা-খালেদা রাজনীতি করে আমাদের নিয়ে, ওদের কাছে আমরা কাঁচামাল। কাঁচামাল যেমন, প্রোডাকশান তেমন। খারাপ কাঁচামালে মেশিন যতই ভাল থাকুক, প্রোডাকশান ভাল হবে বলে মনে হয়না। বিলাতে দেখেন, কোন অফিস-আদালত সকাল ৯ টার সময় ফাঁকা পাবেননা, আবার বিকাল ৫ টার আগেও ফাঁকা পাবেননা। আর বাংলাদেশে? উত্তরটা নিজেই খুঁজে নিয়েন।

একটা দেশের অগ্রগতির জন্য শিক্ষিত সমাজ কর্তৃক নীতি-নির্ধারণী ইস্যুতে জনমত গঠনের প্রয়োজন আছে। রহিমুদ্দিন-সলিমুদ্দিনরা ভাত-তরকারী পাইলেই খুশী, কিন্তু দেশ আগাইতে শিক্ষিত সমাজের পথ দেখাতে হয়। আর আমরা সার্টিফিকেট-ধারী শিক্ষিতরা একেকটা আস্ত কাঠ-ভোদাই; আমরা ইনকাম-ট্যাক্স ফাঁকি দেই, বিদ্যুত চুরি করি, আমরাই ঘুষ খাই আবার দূর্নীতি দূর্নীতি হলে চিতকার চেচামেচি করি। আমাদের অভ্যাসের একটা উদাহরণ দেই--

ফুট ওভারব্রীজ নাই, সরকারকে ব্যাপক প্যাঁদানী দিয়ে ফুটওভারব্রীজ বানানো হলো। এরপরও আমরা রাস্তাপার হবো হাত তুলে চলমান গাড়ী থামায়েই। এটা আমাদের অভ্যাস ও মনস্তত্ত্বের কিঞ্চিত পরিচয় বহন করে। তাই হাসিনা-খালেদারে সরায়ে মাহাথির-ইউনুস যে বটীকাই খাওয়াননা কেন, ন্যাঞ্জা সহজে সোজা হবে বলে আমার মনে হয় না।আমরা আসলে কী চাই, এটাই আমাদের কাছে পরিষ্কার না।

মূল কথা, হাসিনা-খালেদাদের প্যাঁদাইনার আগে নিজেদের সবার উচিত আয়নার সামনে দাঁড়ানো। আমি কি সত? নাগরিক হিসেবে আমি কি আমার দায়িত্বটুকু ঠিক মতন পালন করি? তারপর আসেন হাসিনা-খালেদারে এক সাথে মিলে প্যাঁদাই।

 মুসা এর ছবি

মাহাথির আসলে একটা ক্ষোভের বহিপ্রকাশ মাত্র, আজকে নতুন বড়লোক বাঙালিরা ঘুরতে গেলেই যায় কুয়ালালামপুর, সেই এক মাহাথির এর কারণেই! দেখতে ইচ্ছা করে সেই ভদ্রলোক বাংলাদেশে এসে কতটা পরিবর্তন আনতে পারত!

আপনার বক্তব্যে আমি একমত, কিন্তু ব্যাপার টা একটা লুপে পরে যায়| সুশিক্ষিত সমাজ গড়ে তলার দায়িত্ব কিন্তু সেই রাষ্ট্রেরই! ১০০০ মানুষের মধ্যে যদি ১০ জন নিয়মমাফিক ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে, ৩০ দিন পর সেই ১০ জনের ৮ জন বলবে "আমরাই কেন বেকুব হব"! করিমুল্লাহ সলিমুল্লাহরা যখন ভাত নিয়েই খুশি হয়, তখন বুঝতে হবে রাষ্ট্রের সমস্যা আছে! শিক্ষিত সমাজ ধরে রাখার দায়িত্ব সেই সরকারের| শিক্ষার গুরুত্ব যদি সরকার বুঝত, বাজেটের সর্বোচ্চ খাত আমাদের গৃহপালিত ডিফেন্সের উপর না দিয়ে শিক্ষার উপর দিত| প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে দেয়াটাই সব না, প্রাথমিক শিক্ষার পর শিক্ষা থাকে| কোটি কোটি টাকা ডিফেন্সে না ঢেলে আর সরকারী মানুষদের পকেট না ভারী করে বছরে ২/৩ কোটি টাকা দিয়েই অনেক মাস্টার্স/পিএইচডি ছাত্রকে স্পন্সর করতে পারত সরকার| হরতালে বিরোধী দলকে পিটানোর জন্য কয়েক কোটি টাকার হেড-টু-টো বুলেটপ্রুফ জেকেটের টাকা দিয়েই অনেক ছাত্রকে পরানো যেত| আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষা এখনো বড়লোকদের জন্যই, বাপের হোটেলে বসে করা গেলে করব, নইলে সম্ভব না! উচ্চশিক্ষা আর গবেষণা কে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা কঠিন কিছু না| একটা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে যেই পরিমান টাকা আত্মসাত করে, তাতে প্রতি টা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ জন ছাত্র কে উচ্চিশিক্ষার জন্য স্পন্সর করতে পারে! আমি বাজি লেগে বলতে পারি, সরকার আজকে থেকে ২০ জন যোগ্য ছাত্র কে ৩ বছরের জন্য ঢাকার যানজট নিরসনের গবেষণায় নিযুক্ত করুক, সাফল্য আসবেই|

জনগণ কখনো সরাসরি দেশ চালায় না, জনগণ দেশকে সেভাবেই ব্যবহার করবে যেভাবে তাদের দলনেতা করতে শেখাবে| এটাই স্বাভাবিক| একটা উদাহরণ দেই, কানাডায় প্রায় সবাই মদ্যপান করে, তরুণ দের অনেকেই দিনেও করে, বন্ধুরা একসাথে হলেই করে| কিন্তু কখনো দেখবেন না তারা প্রকাশ্যে, মাঠে বা বীচে মদ্যপান করছে| তার কারণ এই না যে তারা তা করতে চায় না, কারণ হচ্ছে সেটা বেআইনি| সেখানকার পুলিশ তো আমাদের পুলিশের মত না যে ধরা খেলে ২০০ টাকা দিলেই হবে, সেখানে ধরা খাওয়া মানেই সাজা! এরকম আরো হাজার উদাহরণ আছে! মোদ্দাকথা, জনগনের মধ্যে কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত না, সেটা বুঝিয়ে দেয় সেই সরকার-ই! নীতি নির্ধারণ যেই করুক, প্রয়োগ কিন্তু করতে হবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেই! সেই সর্ষেতেই যদি ভূত থাকে, প্রয়োগ হবে কোত্থেকে? আমাদের মত অশিক্ষিত দেশে মানুষকে অন্যায় সুবিধার সুযোগ দিলে সে তা করবেই! আমি বলছিনা যে যোগ্য সরকার আসলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, বলছি না যে জনগণ রেডি হয়ে বসে আছে যে যোগ্য নেতা পেলেই তারা সুনাগরিক হয়ে যাবে| এ দেশের সমস্যা অনেক, প্রতিটাই একটি আরেকটির সাথে জড়িত| শিক্ষার ব্যবস্থা করবেন, জনসংখ্যা তো অনেক! তার মানে টাকা লাগবে অনেক, তার মানে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হতে হবে, তার মানে শিল্পের প্রসার ঘটাতে হবে, তার মানে প্রাকৃতিক সম্পদ লাগবে আর যোগ্য কর্মী লাগবে, প্রাকৃতিক সম্পদ যেহেতু নাই, যোগ্যতা আর বুদ্ধিমান লোকবল দরকার, যার জন্য দরকার সেই শিক্ষা!! তার মানে এই না যে কখনই সম্ভব না, অবশ্যই সম্ভব, অল্প অল্প করে| আর এই সব উন্নতির জন্য দরকার যোগ্য নেতৃত্ব আর দেশপ্রেম! গাছের শিকর সেই সরকারের গদির নিচেই! মাহাথির-ম্যানিয়া যতই অপছন্দ করেন, সে বিরোধী-মত যতই অমান্য করুক, আজকের মালয়শিয়া মালয়শিয়া হত না সে এভাবে না করলে| বাংলাদেশ কে নিদেনপক্ষে মালয়শিয়া বানাতে যদি এমনি করতে হয়, আমি ভাই এক পায়ে রাজি এমন নেতা কে পাওয়ার জন্য|

কোনো দেশের সব মানুষ যদি সুনাগরিক হয়ে চলতে পারত, নিজে শুধরিয়ে চলতে পারত, সেই দেশে কোর্ট পুলিশ বা আইন কিছুই লাগত না| এমন দেশ সম্ভবত স্বপ্নের পৃথিবী তে আছে, কিন্তু এই দুনিয়ায় না| আমার জানা মতে সব দেশেই আইন প্রয়োগ করার মানুষ আছে, তার কারণ একটাই, মানুষ নিয়মের আগে আরাম টাই দেখে| আপনার ফুটওভার ব্রিজের উদাহরণ তা আমেরিকায় নিয়ে যান আর কল্পনা করেন সেখানে কোনো আইন বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নাই| ১ সপ্তাহের মধে ৩/৪ জন নিচে দিয়ে রাস্তা পের হত, যখন দেখত কেউ বাধা দিচ্ছে না, তারা ওভাবেই পার হওয়া শুরু করত, তাদের দেখা দেখি অন্যরাও করত| ২ বছরের মাথায় দেখতেন ১০০০ জনের মধ্যে ৯৯০ জন সেই নিচ দিয়েই পার হচ্ছে!

আমি কোনো অংশে আপনার মন্তব্যের বিরোধিতা করছি না, আমি আপনার সাথে একমত যে জনগণ আর সরকার মিলেই একটা সুন্দর দেশ হয়, কিন্তু আমি এটা জোর দিয়ে বলতে চাই এই দুই-এর মধ্যে আগে সরকার আর নেতাদেরই শুধরাতে হয়, জনগনের না, বিশেষ করে যখন দেশ টা হয় আমাদের মত গরিব, অশিক্ষিত আর ন্যায়নীতিহীন!

মুসা

 মুসা এর ছবি

লোল ভালো বলেছেন!
আশা করি আমার আগের কমেন্ট টা পরবেন|
একটা কথা আমি বিশ্বাস করি ভাই, মানুষ সত হোক অসত হোক, ভালো থাকতে চায়! অধিকাংশ মানুষ অসত হয় সেই ভালো থাকার কারণেই, আর সুযোগ পায় বলে| ১৬ কোটি মানুষ অসত হওয়াটা একটু অসম্ভব, যদি তার অর্ধেক অসত হয়, ৩৩০ জন যোগ্য সত সাংসদ কিন্তু পারে দেশ ঠিক করতে! একদম সরল ভাবে চিন্তা করলে, ৩৩০ জন মনোনীত নেতা যদি নিশ্চিত করে যে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে অরাজকতা হচ্ছে না, যদি নিশ্চিত করে যে যোগ্য লোক ওয়ার্ড কমিশনার পদে আছে, সে দায়িত্বের সাথে কাজ করছে, ব্যবসায়ীরা কেমিকাল মিশাচ্ছে না, অনুদানের টাকা সঠিক জায়গায় লাগছে, পুলিশ প্রশাসন কারো আওতায় না আর ঘুষ খাচ্ছে না, তাহলে কি আপনার মনে হয় না একটা সুন্দর সমাজ পাওয়া সম্ভব? সরকার কিন্তু শুধু সংসদ এই না, এটা একটা বিশাল প্রতিষ্ঠান আর এর মধ্যে আছে একটা সুন্দর hierarchy! এর এক প্রান্তে সাংসদ, আরেক প্রান্তে আমি আপনি সে! উপর থেকে যদি সততা নামতে থাকে, সেটা আমি আপনি পর্যন্তই আসবে! একটা ওয়ার্ড কমিশনার যদি জানে যে তার বস সত লোক, সেও চাকরির ভয়ে সত-ই থাকবে! খুব সরল চিন্তা থেকে বললাম, কিন্তু সমাধান টা হয়ত এভাবেই সম্ভব| আমার আগের কমেন্ট ধরেই বলছি, ঠিক দেশের সূত্রপাত ঠিক সরকার থেকেই হতে হবে| সরকার যদি হয় মাথা, পুলিশ হবে নার্ভাস সিস্টেম, আর জনগণ হবে হাত পা! যেভাবে মাথা চালাবে, সেভাবেই হাত পা চলে!
আমি বিতর্কে যাচ্ছি না, শুধু দেশের জন্য যা চিন্তা করি সেগুলোই বলছি| আমিও আরো অনেকের মতই অথর্ব, শুধু চিন্তাই করি, মাঠে নামতে পারি না!
আর সত্যি বলেছেন, এত কিছুর পর আমরা যে বেচে আছি, সেটাই সৌভাগ্য!
মুসা

 মুসা এর ছবি

আমার এই জবাব টা ফালতু পাঠক এর মন্তব্যের উত্তরে দিয়েছিলাম, ভুল জায়গায় চলে আসছে! ফালতু পাঠক আশা করি এটা পরবেন!
মুসা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ভাই বোবা, চিৎকার দরকার নাই, আসেন নরমাল ফ্রিকোয়েন্সিতে কথা বলি। দুনিয়ায় এমন কোনও নেতা-নেত্রী খুঁজে পাবেন না যার ১০০% কাজ সঠিক। জনগন খুবই খারাপ, বেশ ভালো কথা। জনগনকে খারাপ বানালো কারা একটা ভেবে দেখেছেন কি? খালেদা-হাসিনা-এরশাদ যেভাবে ব্যুরোক্র্যাসীকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে, আপনি কি মনে করেন তার পরও ব্যুরোক্র্যাসী ঠিক থাকবে। পুলিশকে দিয়ে যাকে তাকে পিটিয়েছে, সচিবকে দিয়ে কোটি ডলারের বাণিজ্য করিয়েছে। ভাগ্যিস তার পরও আমাদের সরকারী কর্মকর্তারা বাগানবাড়িতে বসে অফিস করেনা। প্রশাসনকে, অফিস-আদালতকে, পলিটিসাইজড করার খেসারত হচ্ছে আজকে আপনি যাকে দায়িত্বে গাফিলতি বলছেন, সেটাই।

আর আমরা সার্টিফিকেট-ধারী শিক্ষিতরা একেকটা আস্ত কাঠ-ভোদাই;

আপনি বা আপনার পরিচিত কিছু মানুষ কাঠ-ভোদাই হতে পারে কিন্তু সব শিক্ষিত মানুষ এটা না। অশিক্ষিত পাগলও জানে তার কোন অবস্থায় কি করা উচিত। দেখবেন, আমরা যাদেরকে বোকা-ভোদাই-পাগল বলি তাদেরও কিন্তু বিয়ে করার ১০-১১ মাসের মাথায় বাচ্চা হয়। শিক্ষিত মানুষ তাদের কর্তব্য ওদের থেকে আরও ভালো বোঝে। রাজনীতিবিদদের দূর্নীতি বাদ দিয়ে সৎ হতে বলেন, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী বাদ দিতে বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন, পরষ্পরের প্রতি প্রতিহিংসা বর্জন করতে বলেন; দেখবেন দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত-মূর্খ-পাগল, সবাই মিলে দেশটাকে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। তখন আসলেই আর মহাথির-ইউনূস লাগবে না। এই খালেদা-হাসিনার নেতৃত্বই পারবে আমাদের জাতিকে অনেক উপরে তুলে ধরতে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ফালতু পাঠক এর ছবি

চমত্কার লেখা কোনো সন্দেহ নেই। দেশের সব সুশিক্ষিত মানুষ যদি সচলয়াতনে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পোস্ট দেয়, আমি নিশ্চিত শতকরা ৯৫ শতাংশ পোস্টের বক্তব্য হবে এই পোস্টের মত, হয়তবা ভাষাগত কিছু পার্থক্য হতে পারে । তবে সোজা কথায় হলো আমরা গুটিকয় যতই হা-হুতাশ করি, এই অবস্থা থেকে মুক্তি নেই, সম্ভাবনা একেবারেই শুন্য, যদি না মিরাকল বলে কিছু ঘটে থাকে । কেন কোনো প্রতিত্রান নেই সে ক্ষেত্রে আমার বক্তব্যটা একটু পরিষ্কার করি । আমরা যখন আমাদের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কথা বলি, ভাবটা এমন করি তারা অন্য গ্রহের কেউ, এলিয়ান গোছের কোনো প্রজাতি । তা কিন্তু নয়, তারা আমাদের মতই এদেশের মানুষ, এদেশে আলো-হাওয়া সেবন করে মানুষ হয়েছে, চিন্তা-ভাবনার গত আমাদের মতই । আমাদের সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত - এখান থেকে আমি সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে দেশের সব মানুষই দুর্নীতিগ্রস্ত, পাতিলের একটা ভাত টিপে বাকিদের অবস্থা বলার মত কাহিনী আরকি । কিছু ব্যতিক্রম যে নেই তা বলব না, তা খুবই নগন্য । এখন ধরুন, বর্তমান সরকার হঠাত করে খুব ফেরেশতা হয়ে গেল । ফেরেশতা হয়ে তারা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করলো, যেমন (আমি ৩টার কথা বলব):
১) পরিবহন খাতে কোনো অনিয়ম (যতরকম হতে পারে) চলবে না
২) সরকারী কর্মকর্তাদের কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং তারা অফিস ঠিকমত করছেন কিনা সেটা দেখা হবে (ভালোভাবে চলা বলতে যা বোঝায় তা নিশ্চিত করা হবে)
৩) বাজার এবং ব্যবসায়ীদের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হবে (ফলে কারবাইড , মাছে ফরমালিন তো দুরের কথা, চালে একটা কাঁকর পাওয়া গেলে কঠিন পেদানির ব্যবস্থা করা হবে, সরকারী দামের বাইরে যাওয়া কেউ স্বপ্নেও দেখবে না)

তার পরবর্তী অবস্থা কি হবে আমি বলছি:
১) পুরা পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতি তাদের বিপক্ষে চলে যাবে । কারণ পরিবহন খাত ঠিকমত চলা মানে তাদের পেতে লাত্থি । হয়তোবা জ্বালাও পোড়াও শুরু হয়ে যাবে, এবং নিশ্চিত ভাবে তারা পরেরবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না ।
২) ঠিকমত কাজ করা মানে কর্মকর্তাদের মাথায় আকাশে ভেঙ্গে পড়া, ঠিকমতই যদি কাজ করবে তাহলে সরকারী চাকুরী নেবার কি দরকার ছিল, আর ঘুষ নেই মানে সরকারী চাকুরী একটা কলার খোসা ছাড়া আর কিছু নয়। চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা তাহলে ধানমন্ডিতে বাড়ির মালিক হবে কিভাবে ? তারমানে যত সরকারী কর্মকর্তা এবং ১ম-৪র্থ যত রকম কর্মচারী ইউনিয়ন আছে সরকার সবার ভোট হারালো ।
৩) বলাই বাহুল্য এই ক্ষেত্রেও সরকারকে একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে । ব্যবসায়ীদের সংখ্যাটা নগন্য নয়, এছাড়া তাদের নানারকম সমিতি এবং অন্যান্য লোকবল মিলিয়ে বিশাল অংকের একটা ভোট আওয়ামী লীগের ঝুলি থেকে বের হয়ে গেল পরেরবারের জন্য ।
উদাহরণস্বরূপ এই ৩ টা খাতের কথা বললাম, আপনি যত রকম খাত আছে সবগুলা নিয়ে একই কজ-এফেক্ট লিস্টি করতে পারেন । আমি একটা কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি..১৬ কোটি মানুষ (যুক্তির স্বার্থে সবাইকে ধরলাম, ১০% হলেও আপাতত চলে যেত আমার মনে হয়) যদি সৎ থাকে ৩৩০ জন সাংসদের কি ক্ষমতা আছে তারা দেশকে খারাপ পথে চালাবে বা উল্টাপাল্টা কাজ করবে । আবার এর উল্টোটাও সত্যি, ১৬ কোটি মানুষই যদি অসত হয় তাহলে ৩৩০ জন সৎ সাংসদের পক্ষে সম্ভব নয় দেশ ঠিকমত চালানো । তারপর এর থেকে পরিত্রানেরও ৩ টা (৩ সংখ্যাটা আজকে আমাকে পেয়ে বসেছে) উপায় আছে:

১) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর মতানুযায়ী ১৫ বছরের উপর সব মানুষকে মেরে ফেলা হোক । কোনো একটা বইতে পড়েছিলাম দুর্নীতি দূর করার উপায় হিসাবে সুনীল বলেছিল এই কথা, কারণ তার মতে ১৫ বছরের উপর সব মানুষই দুর্নীতিগ্রস্ত । কোনো এক হ্যামিলনের বংশিবাদক আসুক, বাঁশিতে এক সুর তুলে সব ১৫ বছরের বেশি বয়স্ক লোক কে মন্ত্র মুগ্ধ করে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দিক।
২) পাকিস্তান আবার এসে এদেশ দখল করে নিক (এখন একাজ খুবই সহজ হওয়ার কথা, আফ্রিদি নিজের দেশের লোক হবে এই লোভেই কয়েক কোটি লোক অন্তত রাজাকার হয়ে যাবে) । তখন অন্তত পেতে লাথি খেয়ে মনকে স্বান্তনা দিতে পারব, পরাধীন দেশে বাস করিস বেটা, তোমার তলপেটে লাত্থি দেবে নাতো কি কোলে বসিয়ে চমচম খাওয়াবে...
৩) সত্যি যদি আল্লাহ, ভগবান, জেসাস বা এই টাইপের কেউ থেকে থাকে এবং এত অনাচার দেখে দেখে তাদের কেউ বিরক্ত হয়ে বা আমার মত কোনো অভাগার প্রার্থনা তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করার ফলে এইদেশে ঠাডা ফেলে সব পরিষ্কার করে দেয়...

বাঁশেরচে কঞ্চি বড় বলে একটা কথা আছে, আমার কমেন্টের অবস্থাও সেরকম হয়েছে, আসল পোস্টেরচে আমার কমেন্ট বড় হয়ে গেছে । এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। শেষকথা হিসাবে বলতে চাই, বাইরে বেরিয়ে যদি ঘরে ফিরতে পারেন, ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিন, আপনার সন্তান যদি দুধ অথবা আম খেয়ে তারপর বেঁচে থাকে তাহলে ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিন, সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন বাড়ির ছাদ মাথার উপর ভেঙ্গে পরেনি, ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিন, মশারি লাগানোর পর যদি মশা মারার জন্যও বিজলি বাতি জালানোর সুযোগ পান, ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিন...আমাদের এখন ধন্যবাদ দেবার দিন। আহ!... বেঁচে আছি - এই কি বেশি না?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ভালো বলেছেন ফালতু ভাই/আপা। আপনার ২ নম্বর পয়েন্টে একটু ঢুকে পড়ি। ঘুষের কিন্তু একটা বটম-আপ ডিস্ট্রিবিউশন ফ্লো আছে। নিচের বা মাঝারি স্তরে যারা ঘুষ খায় তারা কিন্তু নিরংকুশভাবে ঘুষের টাকাটার মালিক না। তাদেরকে ওই টাকার ভাগ বসকে দিতে হয়, বস দেয় তার বসকে, তার বস দেয় তার বসকে, সে দেয় তার বসকে, এভাবেই উর্ধমূখী বিতরণব্যবস্থা চলতে থাকে। এটা সম্ভবত থামে সচিব, এমপি বা মন্ত্রী পর্য্যায়ে গিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছু নূন্যতম মাসিক বন্দোবস্থও থাকে। সেক্ষেত্রে তৃতীয়-চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারীদেরকে চাকরি বাঁচাতেই ঘুষ খেতে হয়। তাই প্যাঁদানীর মাধ্যমে শুদ্ধিকরণ যদি করতেই হয়, সেটা টপ-ডাউন ফ্লোতে করতে হবে। গরীবরে দিয়ে প্যাঁদানী শুরু করলে কোনও কাজ হবেনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।