মিডিয়া তুঘলকের আক্রমণের শিকার পরিবেশবাদীরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৩:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মিডিয়া তুঘলকের আক্রমণের শিকার পরিবেশবাদীরা



এম আব্দুল্লাহ


বিলাতে মিডিয়া মোঘল মারডক যখন সরকার ও বিরোধীদলের সম্মিলিত চাপে কোণঠাসা, বাংলাদেশের মিডিয়া তুঘলকের এখনও পোয়াবারো। অবশ্য একটি মামলায় বসুন্ধরা চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সাজা বাতিল হয়েছে যে আপিলে সেটির ফের শুনানি চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। কর ফাঁকির এ মামলায় নিম্ন আদালতে শাহ আলমের আট বছর সাজা হয়েছিলো।
বাংলাদেশে এবার বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকাধীন কালের কণ্ঠ পরিবেশবাদীদের একহাত দেখে নেওয়ার প্রয়াস পেয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য আদালত কর্তৃক বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। জনস্বার্থ বিষয়ক মামলা (Public Interest Litigation) দায়েরের মাধ্যমে পরিবেশবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আদালতের গোচরে আনে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি যা সংক্ষেপে বেলা (BELA) নামে পরিচিত।
পরিবেশ-বিষয়ক কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে নন্দিত বেলা এবং বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে কি হবে? ব্যবসায়িক স্বার্থে আঘাত লাগায় তাদের পেছনে লাগে বসুন্ধরা গ্রুপ। ফলস্বরূপ, তাদের মালিকানাধীন পত্রিকায় বেলা এবং বেলার নির্বাহীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ।
সরকার ঢাকা শহরের ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান যা সংক্ষেপে ড্যাপ নামে পরিচিত তা প্রণয়নের উদ্যোগ নিলে বসুন্ধরা গ্রুপ আদাজল খেয়ে পেছনে লাগে। এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের সাথে মন্ত্রীর বচসার চিত্র টেলিভিশনের বদৌলতে অনেকের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সংগত কারণেই বেলার অবস্থান ছিল ড্যাপের পক্ষে। সরকার ড্যাপ প্রণয়নের পক্ষে অবস্থান নিলে বসুন্ধরা গ্রুপ মর্মজ্বালায় ভোগে। নিদারুণ মর্মজ্বালায় ড্যাপের পক্ষে অবস্থান নেয়া এনজিও, পরিবেশবাদী এবং সিভিল সোসাইটির প্রতি দারূণ খড়গহস্ত বসুন্ধরা গ্রুপ।
অন্যদিকে, আদালতের রায়ের কারণে রাজউক বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। আদালত বেলার করা রীটের পরিপ্রেক্ষিতে ৭৭টি অবৈধ হাউজিং কোম্পানির বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজউককে নির্দেশ দেয়। এতে বসুন্ধরা গ্রুপ আরো ক্ষেপে যায়।রাজউকের দূর্নীতির সহযোগী হিসেবে বেলা-কে চিত্রিত করতে প্রচেষ্টা চালায় বসুন্ধার গ্রুপের মালিকানাধীন মিডিয়াগুলো। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বাংলাদেশ প্রতিদিন ইতোমধ্যে সৈয়াদা রিজওয়ানা হাসান সম্পর্কে একাধিক মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ তা পাঠক পড়লেই টের পাবেন।
এবার মাঠে নেমেছে কালের কণ্ঠ। শেভরনের সাথে বেলা এবং পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর কথিত সখ্য সম্পর্কিত ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা। সোমবারে (১১ জুলাই ২০১১) এরকম একটি রিপোর্টের শিরোনাম ছিল, "পরিবেশ ধ্বংসে বেলা"। রিপোর্টে মাগুরছড়ায় নিসর্গ প্রজেক্টে স্থানীয় লোকজনকে সম্পৃক্ত করার জন্য গঠিত কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির (সিএমসি) সাবেক সভাপতির বরাত দিয়ে লেখা হয়, "শেভরন যখন সিসমিক সার্ভে করে তখন কিন্তু বন বিভাগ বা আমরা যারা সিএমসিতে ছিলাম, তাদের কারোর কাছেই জিজ্ঞাসা করেনি। তারা শত শত লোক নিয়ে বাগানে ঢুকল। বিস্ফোরণ ঘটাল। তখন বেলা লোক দেখানো মানববন্ধন, সেমিনার করলেও আইন পরিবর্তনে কিন্তু বেলাই কাজ করছে। ঘুরেফিরে আইইউসিএন বাংলাদেশ, বেলা এরা সবাই ইউএসএইডের অর্থে শেভরনের স্বার্থ দেখে। এরা সবাই শেভরনের"। মজার বিষয় হচ্ছে যে, প্রতিবেদনটিতে স্বীকার করা হয়েছে বেলা সিসমিক সার্ভের বিরূদ্ধে ক্যাম্পেইন চালিয়েছে। আবার একই রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে বেলার প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন তাদের সাথে গত মার্চ থেকেই আইপ্যাকের কাজ নেই। তবুও রিপোর্টে নিসর্গ/ আইপ্যাক প্রজেক্টে শেভরনের স্বার্থের পক্ষে কাজ করার একতরফা অভিযোগ করা হয় বেলার বিরূদ্ধে।
এখানেই শেষ নয়। এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে আইইউসিএন (IUCN) শেভরনেরই অর্থে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্পর্কে যাদের প্রাথমিক ধারণা আছে তারা সবাই অবগত আছেন এ তথ্য কতটুকু অসত্য। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইইউসিএন এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যোগদান করে। ১৯৮৯ সালে আইইউসিএন বাংলাদেশে একটি লিয়াজো অফিস স্থাপন করে । ১৯৯২ সালে তারা এদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ অফিস প্রতিষ্ঠা করে এবং সেই বছরই আইইউসিএন বাংলাদশ সরকারের সাথে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে ।
সিসমিক সার্ভে সম্পর্কে প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে সরকার কর্তুক গঠিত কমিটি পরিবেশ সনদ লংঘনের দায়ে শেভরনকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয়। সে-সময় দি ডেইলি স্টার (http://www.thedailystar.net/story.php?nid=35226) এই নিয়ে সংবাদ্ও ছাপে । অনেক বছর পর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোকে দোষারোপ করার এ চেষ্টা ন্যাক্কারজনক।
কালের কণ্ঠ ইতোমধ্যে অসত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য পিআইবি কর্তৃক তিরষ্কৃত হয়েছে। এছাড়াও কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আবেদ খান সম্প্রতি পত্রিকা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে, কালের কণ্ঠ তাদের পথ পরিবর্তন করবে বলে মনে হয় না। বেলা এবং তার প্রধান নির্বাহীর বিরূদ্ধে এই আক্রমণ পত্রিকাটির ভ্রান্ত সম্পাদকীয় নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।

এম আব্দুল্লাহ


মন্তব্য

তানিম এহসান এর ছবি

আদতেই কি কালের কন্ঠের কোন নীতি ছিলো? আবেদ খান পদত্যাগ করেছেন কিন্তু তার যোগদান আমাদের ব্যাথিত করেছিলো এবং তার হাত ধরে পত্রিকাটি কিন্তু প্রচুর ঘরেঘরে পড়া হয়ে থাকে এখন। সেই দায় তিনি কিভাবে এড়াবেন?

আহমেদ আকবর সোবহানের তৈরী করা এলাকায়/ফ্ল্যাটে আমরা থাকি, হরহামেশা বসুন্ধরার টিস্যূ পেপার ব্যবহার করি, টিন লাগাই ঘরের চালে - আমাদের পয়সায় এরা ফুলে ফেঁপে বড় হয়, আমাদের রক্ত খায়। তারপর পত্রিকায় দেখি, জামিন নিতে যাবেন বলে তার পাইক বরকন্দাজ হয়ে যায় খোদ পুলিশ বাহিনী।

সবকিছু খাপে খাপ, মন্তাইজ্জার বাপ হয়ে যায় আর আমরা শুধু সেই খাপের ভেতর প্রাণপনে একটু জায়গা করে নিতে পারলেই মুগাম্বু খুশ।

আসুননা বসুন্ধরার পন্য বর্জন করি, যতটুকু পারি করি, মরার দেশতো এদের জিনিসপত্রেই ঠাসা। তারপরও আমরা চাইলে পারবো। আবদুল্লাহ ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ,

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

ধন্যবাদ, তানিম এহসান ভাই। পড়া এবং আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমরা বর্জন করলে কি হবে, ক্ষমতাশীনরা তাদের বর্জন করছেননা। আহমেদ আকবর সোবহান সেইলোক যিনি মন্ত্রীর দিকে তেড়ে গিয়ে বহাল তবিয়তে আছে। একজন পুলিশ অফিসারকে চ্যালেঞ্চ করায়, জয়নাল আবেদীন ফারূক এমপি'র পরিণতি কি হয়েছে তাতো সবাই মিডিয়ায় দেখেছেন।
এবার, আমি আসি আইনের এলাকায়। গত সরকারের সময় যেমন তার বিরূদ্ধে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাতের, এখনও তার পক্ষে মামলা লড়েন ক্ষমতাশীল দলের এমপি (http://www.thefinancialexpress-bd.com/more.php?news_id=101934)। আমি যে কেসের (http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=164921&cid=2&aoth=1) কথা উল্লেখ করলাম তাতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, আনিসুল হক ও আহসানুল করিম।
যখন এমপি ফজলে নূর তাপস আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে লড়েন, তখন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলীদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।
ধন্যবাদ আবারো।

এম আব্দুল্লাহ

তানিম এহসান এর ছবি

এই ফজলে নুর তাপস লোকটাকে আমার বড়ই ভালো লাগে। যেখানে যেখানে বিষবৎ বর্জ্য পদার্থ তার যেন সেখানেই তত বিনোদন। এমনধারা আবর্জনা প্রেম সচরাচর দেখা যায়না, অথচ এই লোকটার নির্বাচনে পথে নেমেছিলো শিল্পীরা!!

এবং মানুষটাকে কোন একদিন সিলেট বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিলো, তিনি সেখানে মীর আবুল কাশেম নামের একটা কুকুরকে দেখে বেজায় রাগ করেছিলেন এই ভেবে ‘কুকুর কেন বিদেশ যায়?”-- এইরুপ লেখালেখিও হয়েছিলো। কিন্তু থলের ভেতর যে সাপ তারা দুজনে মিলে নিয়ে গিয়েছিলেন তার যেহেতু কোন জাত-পাত থাকেনা, সে বেকুবের মত তার চেহারাও দেখিয়ে দিয়েছিলো আমাদের।

আবদুল্লাহ ভাই, এই ‘গদাধর’ সোবহানের জন্যে আবার আমাদের সহহহহহরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওকালতি ফার্মও জড়িত।

আপনের মিয়া ডর লাগেনা এইসব রাক্ষস-খুক্ষস-দৈত্য-দানো-ভুত-পেতনিরে নিয়া উল্টাপুল্টা লিখেন? দেঁতো হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

একটা পূর্ণ নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ, ন্যায়সঙ্গত পত্রিকা আমাদের নেই, সবাই কেবলি নিজ হীনস্বার্থ-এজেন্ডা বাস্তবায়নে কতভাবে যে এই দেশটার বারোটা বাজিয়ে যাচ্ছে................ধিক্কার!!!!

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

ধিক্কার!!!
এম আব্দুল্লাহ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ভালো লেখা। প্রথম আলু বা বালের কন্ঠ পত্রিকাগুলো প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য তাদের মালিকের সাফাই গাওয়া এবং প্রতিপক্ষকে ধুয়ে ছাড়া। সেদিন সকালে অফিসে যাওয়ার পথে একটা ৩-৪ টাকায় যে দৈনিক প্রত্রিকাগুলো বেচে তার একটা কিনলাম। সেখানে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যার মূল আলোচ্চ্য হচ্ছে তার পিতার পরিচয়। তিনি রাজাকার ছিলেন এবং পরে বিএনপি/জাতীয় পার্টির মন্ত্রী ছিলেন। পিতার রাজাকারীত্বে মিজ হাসানের পরিবেশবিদ বা পরিবেশসংরক্ষণকর্মী হতে সমস্য কোথায় তা কিন্তু পত্রিকাটি উল্লেখ করেনি। এগুলো একদমই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেখা যাক বালের কন্ঠের অন্তবর্তীকালীন সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন কোন স্ট্র্যাটেজিতে পত্রিকা চালান।

অট. সেদিন কোথায় যেনো শুনছিলাম বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক পাওয়ার টাইকুন এম. আজিজ খানের একচ্ছত্র আধিপত্যে আঘাত হানার জন্যে আকবর সোবাহান বাংলাদেশে ইউরেনিয়াম/প্লুটোনিয়াম রিয়্যাক্টর প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে যাতে করে সে বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক পাওয়ার সেক্টরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে পারে আজিজ খানকে হঠানোর উদ্দেশ্যে। দেখা যাক ঘটনা সত্যি হলে খেলা কেমন জমে। আজিজ খানের আপন ছোট ভাই হলেন বর্তমান মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী এম. ফারুক খান এবং গোপালগঞ্জ নিবাসী। পাব্লিক, লাগাও তালিয়া।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

জোরছে তালিয়া।
আরেকটা বিষয়, ঢাকা শহরের দূষণকারী ট্যানারি মালিকদের পক্ষেও কোর্টে দাড়িয়েছিলেন ফজলে নূর তাপস যার খবর দি ডেইলী স্টারে (http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=127918) প্রকাশিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, "ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে শুধু মুনাফা অর্জন করতে চায়। ৮০ শতাংশ ব্যবসায়ী শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করেন, বাকিরা সততার সঙ্গে সমাজের কথা চিন্তা করে ব্যবসা করেন"; যা বিডিনিউজে (http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=165055&cid=2) প্রকাশিত।
প্রশ্ন হচ্ছে, তা ভাই কোন দলে?
ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

প্রশ্ন হচ্ছে, তা ভাই কোন দলে?

ভালো প্রশ্ন। আমি ধাওয়া দেওয়া দলের শেষের দিকে থাকি আর দৌড় দেওয়া দলের সন্মূখভাগে থাকি।

শুধু ব্যারিষ্টার তাপসই নয়। বসুন্ধরা গ্রুপের আরেক ভকিল হচ্ছেন আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মালিকানাধীন ফার্ম "সাহারা খাতুন এ্যাসোসিয়েটস"। এই খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বহুৎ নাটক ঘটে গেছে। মানহানীর মামলা করাকরি পর্যন্ত।

আকবর সোবহান শাহ আলমের বাম্বু কতো মোটা তার একটা উদাহরণ নিশ্চই পত্রিকায় দেখে থাকবেন। তত্ত্বাবধায়কের আমলে যখন মইন উ. আহমদের চোদনে দেশের সব বড়হুজুরদের বিচি শুঁকিয়ে খেজুরের আঁটি হয়ে গিয়েছিলো; তখন গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আকবর সোবহানের বক্তব্য দেওয়ার সময় এই মইন তার মুখে স্ট্যান্ডবিহীন মাইক্রোফোন ধরে রেখেছিলেন। বোঝেন ঠ্যালা, মইন উ. যার মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড হয় তিনি কত্তোবড়ো জিনিস! পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের সাথে তার ডিল নাইবা কইলাম। মোর এন্ড মোর আর কামিং সুন। অপেক্ষা করেন আর দেখতে থাকেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

স্যরি, আমি মনে হয় একটু কনফিউজড করে ফেলেছি। আমার প্রশ্ন ছিল মন্ত্রী যে ব্যবসায়ীদের অসততার কথা বললেন, তার ভাইয়ের অবস্থা কি?
"সাহারা খাতুন এ্যাসোসিয়েটস" এর কথাও সুন্দরভাবে এসেছে।
ঠেলা বুঝলাম, "মইন উ. যার মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড হয় তিনি কত্তোবড়ো জিনিস!"।
জিনিসখান বড়োই!

এম আব্দুল্লাহ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বুঝতে পেরেছি, আপনি এম. আজিজ খানের দলের কথা জানতে চাইছেন। বাংলাদেশে কিছু মালদার আছে যাদের দল লাগে না। তারা দল 'করে' না কিন্তু দলগুলো তাদেরকে 'করে'। এম. আজিজ খান এমনই এক মালদার। এইসব মালদারের মলদ্বারনিঃসৃত মাল খাবার জন্যে দলগুলো হা করে বসে থাকে। তাই এদের দল করা লাগেনা। এবার সব রাজনৈতিক দলের রাজত্বকালেই নিরাপদ। আরেকটা বিষয়, এম, আজিজ খান একটা সফস্টিকেটেড সেক্টরে ব্যবসা করে তাই সাধারণের কাছে তার প্রোফাইল লো থাকে। আজিজ খানকে নিয়ে বিতর্ক হলেও তা একটা নির্দিষ্ট মহলে সীমাবদ্ধ থাকে, পাবলিক পর্যন্ত আসেনা।

একই এক্সাম্পল আকবর সোবহানের ব্যাপারেও প্রযোজ্য। দেখেন লুৎফুজ্জামান ব্যাবড় তার পেয়ারের দোস্ত। আবার ব্যা. তাপস এবং সাখা. এ্যাসোসিয়েটস তার ভকিল। কি মধুর সমন্বয়! আহ, মরে যাই মরে যাই। সম্প্রতি আ. সোবহান ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেছে। আমি তার কাছে যাওয়ার সূযোগ পেলে প্রস্তাব দিতাম একটা টিভি চ্যানেল খুলে রবীন্দ্র সংগীত গাইতে। অন্তত ইভা রহমানের হাত থেকে বাঁচা যেতো কিছুদিন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

সবকিছু নষ্টদের দখলে যাবে?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

চলে গেছেই তো প্রায়, অল্প একটু বাকি শুধু।
ধন‌্যবাদ।

এম আব্দুল্লাহ

তানিম এহসান এর ছবি

হ্যা, সকল “মাননীয়”দের মধ্যে লেগে গেলে আমাদের “ম্যাঙ্গো পিপল” দের দেখতে সুবিধা কার চুল কতটা শক্ত এবং কত জোরে চুল টানাটানি করে গেলে পরে নারিকেল গাছ থেকে থোকায় থোকায় আম পরে!!

ইমদাদুল হক মিলনের এই চমৎকার “গদি-বালিশ” পাল্টিতে পটখান খেলামনা, পটকান মেরেই পড়ে আছি আজ প্রায় ২০ বছর, সেই ১৯৯১ সালে পিতার হাত ধরে যখন টি.এস.সি’র উৎসবে যাই গনতন্ত্র নামের কোন এক জাগরনে - সেখানে চারিদিকে সবার হাতে আগুন জ্বলেছিলো, তার মাঝে সৈয়দ আবদুল হাদী এসে গান গেয়েছিলেন - “যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তিসেনা, দেনা তোরা দে না সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দেনা”। কৈশরের সে আমার চোখ বেয়ে জল নেমেছিলো।

সব জল শুকিয়ে গেছে, এখন আগুন ছাড়া জল যাবেনা জ্বলে! তাবৎ ভন্ড, বেহায়া আর নতুন পুরাতন রাজাকারেরা তাদের চেহারা দেখাবে আবার উল্লাসে, সেইদিনের অপেক্ষায় বসে আছি। কারন জেনে গেছি সবকটা শেয়াল, হায়েনা আর গন্ধগোকুল এর সম্মেলন পুরোপুরি পোক্ত না হলে লড়াই জমবেনা।

পাবলিক এর এতদিন একটা হাত ছিলো, আরেকটা হাত আছে সেটা বুঝেও যাবে খুব শীগগিরি, তারপর তালিতে তালিতে মশা-মাছি-পঙ্গপাল এর জন্যে থাকবে শুধু ‘চটাশ’ ‘চটাশ’ আওয়াজ!

আছেন নাকি তালিবাজ, পাঙখোয়া, তবলচিগনেরা?

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, "সব জল শুকিয়ে গেছে, এখন আগুন ছাড়া জল যাবেনা জ্বলে!"।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

এম আব্দুল্লাহ

গেরিলা এর ছবি

বসুন্ধরা গ্রুপের কালের কন্ঠ কিংবা ট্রান্সকমের প্রথম আলো তাদের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকাটা অবশ্যই জরুরী, কেননা মিডিয়ার জন্ম মিডিয়া মালিকদের ব্যবসার প্রপাগান্ডা ঠিক রাখা এবং স্বার্থ হাসিল করা। মাফ করবেন, একটা নিরপেক্ষ সংবাদপত্র কি কেউ দেখাতে পারবেন, যে পুরোপুরি সততা বজায় রাখে, জনগণের স্বার্থ বজায় রাখে।

আমি আরেকটা বিষয়ে আসলে নিশ্চিত হতে চাই, কালের কন্ঠের ব্যবসায়িক দিকের কারণেই কি এর যাবতীয় সব বিষয় মিথ্যে হয়ে যাচ্ছে কিংবা বাতিলের খাতায় পড়ছে কীনা? মিডিয়ার কাছে সততা প্রত্যাশা করে বেলা সংক্রান্ত রিপোর্ট কেন খেরোখাতা থেকে হারিয়ে যাবে তা বুঝতে পারছিনা। বেলা-একটি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পাওয়া সংগঠন, আমি জানতে চাই সে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার দানকারী সংগঠন কার অর্থে পরিচালিত হয় ?....এ রিপোর্টে লাউয়াছড়ার সিসমিক সার্ভের ক্ষতির অবস্থানে বেলার অবস্থান কেন পশ্চাদমুখী ?... কিংবা এ পরিবেশবাদী সংগঠনটি কেন মাগুরছড়া, লাউয়াছড়ার প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে একেবারেই চুপ?
আমার অবস্থানকে শত্রুর শত্রু বন্ধুর অবস্থানে দেখলে ভুল করবেন। কয়েকদিন আগে একটি ক্লাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত মুখ তানজিমউদ্দিন খানের ক্লাসে এ সংক্রান্ত আলোচনা পাই, তিনি চমৎকার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ দিয়ে শেভরন/এশিয়া এনার্জি-নিসর্গ প্রকল্প-US AID-UICN-বন রক্ষা-বেলা-দুর্নীতিপরায়ন সরকারের যৌথায়ন দিয়ে জানিয়েছেন আমাদের 'সম্পদ' কিভাবে লুট হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন-প্রতিরাতে। তাই বেলা'র কার্যক্রম নিয়ে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজাটা আসলেই জরুরী। কেননা লুটপাটের দুনিয়ায় রক্ষকরাই নির্বিঘ্নে ভক্ষক হয়ে যায়। লুটপাটকারীরা সবসময়ই নিজেদের অভ্যন্তরীন ঠোকাঠুকিটা অব্যাহত রাখে। তাই বলে কোনো ডাকাতের প্রতিপক্ষ যে সবসময় ভাল মানুষ তা ভাবার কোনো কারণ নেই।

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বেলা একটি এনজিও এবং তারা বিদেশী সাহায্য পায়। তবে, আমার জানা মতে তারা দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। পরিবেশ রক্ষার কথা বলে। প্রফেসর আনু মোহাম্মদ বেলার ট্রেনিংয়ে গিয়ে তেল-গ্যাস রক্ষার উপর লেকচার দেন এবং বেলা তা একোমোডেট করে। আপনার কাছে ভিন্ন কোন তথ্য থাকলে তা পাঠকদের জানান।
আপনার অবস্থানকে শত্রুর শত্রু বন্ধুর অবস্থানে দেখছি না; কিন্তু আপনি যে লিখেছেন এ পরিবেশবাদী সংগঠনটি মাগুরছড়া, লাউয়াছড়ার প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে একেবারেই চুপ- তা কিন্তু ঠিক নয়। কালের কণ্ঠের রিপোর্টেও স্বীকার করা হয়েছে যে বেলা ক্যাম্পেইন করে ঐ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট সেসময় দি ডেইলী স্টারে (http://www.thedailystar.net/story.php?nid=26384) প্রকাশিত হয়।
আপনি আরো লিখেছেন যে কালের কণ্ঠের ব্যবসায়িক দিকের কারণেই কি এর যাবতীয় সব বিষয় মিথ্যে হয়ে যাচ্ছে কিংবা বাতিলের খাতায় পড়ছে কী-না। কালের কণ্ঠের রিপোর্টিং থেকে এটা পরিষ্কার তারা ডেলিবারেটলি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বেলাকে টার্গেট করেছে। কারণ পরিষ্কার। ড্যাপ এবং পরিবেশ ইস্যুতে বেলা এবং তার নির্বাহী'র অবস্থান বসুন্ধরার ব্যবসায়িক স্বার্থের বিরূদ্ধে গেছে।
নিসর্গ/ আইপ্যাকের প্রকল্পের কিছু বিষয় বিতর্কিত। এজন্য বেলা অলরেডী এটা থেকে বেরিয়ে গেছে যা কালের কণ্ঠের রিপোর্টেও এসেছে। আপনি তানজিমউদ্দিন খানের ক্লাসে কি আলোচনা হয়েছে তা কি সংক্ষেপে শেয়ার করতে পারবেন?

এম আব্দুল্লাহ

পাঠক এনায়েৎ ইউ এস ইসলাম এর ছবি

অর্ধ নয়, সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের কথা বলে কালের কন্ঠ যাত্রা শুরু করেছিলো। এখন তারা নিজেরাই সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়ে গেছে। রিজওয়ানা হাসানের বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছে ঈশপের গল্পের সেই ব্যাঘ্রের কথা যে, ছাগ শিশুকে বলছিলো তুই না হোক তোর বাপ জল ঘোলা করেছিলো। পশ্চীমে এক ব্যাঘ্র বিপদে আছে আর প্রাচ্যে এক ব্যঘ্র গর্জণ করছে। যদিও বল বীর্যে এ অনেক ছোট। কিন্তু তার ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন সংখ্যা ছোট নয়। প্রথম আলোও কম কিসে। তার নিজের চেহারাটাও মাঝে মধ্যেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে ...

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

ধন্যবাদ।
প্রাচ‌্যে বাঘ ও কম কিসে?
এম আব্দুল্লাহ

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

ফলোআপ:
সিভিল সোসাইটির কিছু সদস্য বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিরুদ্ধে একই মালিকগোষ্ঠীর দুটি দৈনিক পত্রিকায় বিদ্বেষপ্রসূত অশালীন প্রতিবেদন প্রকাশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যা আজকে প্রথম আলোতে (http://www.prothom-alo.com/detail/news/171308) প্রকাশিত হয়েছে।
বিবৃতিতে সই করেছেন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. হামিদা হোসেন, খুশী কবির, নিজেরা করি; ড. আবুল বারকাত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সারা হোসেন, ব্লাস্ট; লুবনা মরিয়ম, নৃত্যশিল্পী; আবুল হাসিব খান, রিক; ড. মুহম্মদ ইব্রাহিম, এনজিও ফেডারেশন; শামসুল হুদা, এএলআরডি; ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, রিব; রওশন জাহান, সমাজ সংগঠক; জাহিন আহমেদ, এফআইডিবি; জাকির হোসেন, ব্যুরো বাংলাদেশ; সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সুলতানা কামাল, আইন ও সালিশ কেন্দ্র; রাশেদা কে চৌধুরী, গণসাক্ষরতা অভিযান; আমেনা মহসিন, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহীন আনাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন; বদিউল আলম মজুমদার, সুজন; শিরীন হক, নারী সংগঠক; ফারাহ কবির, অ্যাকশনএইড; ড. আতিক রহমান, বিসিএস; রাশেদ আল মাহমুদ, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মাহবুবুর রহমান, চারুশিল্পী; আবু নাসের খান, পবা ও ড. আবদুল মতিন, বাপা।
এম আব্দুল্লাহ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।