ক্ষমাকরো বৃষ্টি পারছিনা আজ বাসতে তোমায় ভালো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৯/০৪/২০১২ - ৯:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্ষমাকরো বৃষ্টি পারছিনা আজ বাসতে তোমায় ভালো
__________________________________প্রখর-রোদ্দুর
[১]
ভাই দুটো পাস ধরিয়ে দিয়ে বললো আমার কাজ আছে, তুই চলে যাস। পাস দুটো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলাম শেয়ার-এর মেজবানি। বিয়ে বা জন্মদিনের আসর গুলো খুব সযতনে যে এড়িয়ে চলে তার জন্য শেয়ার-এর মেজবানিতে উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি তার হিসাব মনে হয় ঘোরতর অঙ্কে কাঁচা ছাত্রটিও কষে ফেলতে পারবে। তার পরেও ভাইয়ের হাত থেকে পাস দুটো নিলাম এবং যথারীতি ভাবীকে বিদায় বলে অফিসের পথে দৌড় দিলাম। আজ শনিবার, হাফ বেলা অফিসের পরে কাট মারলে তেমন কোন অসুবিধা হবে না ভেবে ক্যামেরাটা আনতেও ভুলিনি।

দুপুরে আর কোন উপায় না দেখে ষ্টমাক আপসেট জাতীয় টেকনিকাল ইংলিশ মেরে বিদেশী বসের মিটিং কাটতি মেরে বেরিয়ে পড়লাম। রিক্সা খুঁজতে খুঁজতে মনে পড়লো এই যাহ! কাল রাতে ব্যাটারিটা চার্জার থেকে খুলে সকালে ক্যামেরায় ঢুকালাম কি না? যেমন বিধিবাম। মনে হয় মিথ্যে কথার কুফা ক্যমেরার পেটেই লাগার ছিলো। ব্যাটরি বিহীন ক্যামেরা নিয়ে গাড়লের মতো একটা রিক্সায় চেপে বসতে বসতে পাসটার কথা মনে পড়লো। কিছুই করার নেই যখন মেজবানি কি জিনিস দেখে আসি গিয়ে। কনভেনশানে পৌঁছুতে পৌঁছুতে মনে পড়ে মাওয়া ফেরিঘাটের দিকে যে বাস যায় ওটাতে উঠে বসলে বেশ সময় কেটে যাবে। ছবি না তুলি চোখ তো আর নিরাশ হবে না।

তো পাস কি করা যায়?

মামা তোমার রিক্সা কোথাকার? রিক্সাওয়ালাদের আমার বেজায় ভাব। মাঝে মাঝে অভিমান মনে হয় এই কারণেই বেশি হয়। আর কথা শুরু করার সবসময় এইটাই প্রথম ধাপ। প্রথমে কোথাকার রিক্সা পরে কই থাকো তার পরে কই বাড়ি ঘর। এই ভাবে এগুতে এগুতে অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি কি আর বাদ যায় ....সব চলে আসে কোন জায়গাতে যেতে কতো জ্যাম আর সময় তার পরিসর মেপে।
টুকটাক গল্পের মাঝে কনভেনশান-এর সামনে আসতেই কি মনে করে – মামা দুপুরে খাইসো?
না মামা। বাসাত গিয়া খামু।
তাইলে এক কাজ করো মেজবানি খেয়ে যাও আমার সাথে। প্রথমে আমি আর রিক্সাওয়ালা মামা ঢুকে যাওয়ার প্ল্যান নিয়েই এই প্রস্তাব রাখলাম। প্রস্তাবিত বিষয় এতোই আনন্দের ছিলো যে না করার কোন কারণই নেই। মামা তার গাড়ি দারোয়ানের কাছে পর্যন্ত গিয়ে কই রাখবে জানতে চাইলো।

যথারীতি প্রথমে রিক্সা রাখার সমস্যার পরে যখন জানতে পারলো খোদ রিক্সাওয়ালা নিজেই মেজবানি খেতে যাবে মোটামুটি একটা তামসা লেগে গেলো। আমারো নাই কোন কাজ তো খই ভাজ যখন অবস্থা এমন সমাজ উদ্ধার জাতীয় একটা কাজ পেয়ে বিপুল উৎসাহ পেয়ে গেলাম। যেহেতু আমার হাতের শেয়ার পাস এ তার মালিকানার অংশ সামান্য বলে উড়িয়ে দেয়া যায়না তাই আমাকে পুরোপুরি উপেক্ষাও করতে পারছে না তারা আবার আমার দাবিদাওয়া এতোই হকচকিত করা যে তা মেনেও নিতে পারছে না।

এমনই এক দোধারী তরোয়াল যুদ্ধের অবসান রিক্সাওয়ালা মামাই করে দিলেন। মামা আমি এক কাম করি। বাসাত গিয়া লুঙ্গি ছাইরা প্যাণ্ট পইরা আসি। এই প্রস্তাবে মনে হলো আমার থেকে মেজবানির আয়োজকরাই বেশি খুশি হয়ে রাজী হয়ে গেলো। জিজ্ঞেষ করলাম মামা তোমার বাড়িতে আর কে কে আছে? বলে মামা তোমার মামি আর একটা ছুডো বইন। সাত বছরের কম বয়সীদের কোন পাস লাগে না তো বুদ্ধিটাও এসে গেলো চটজলদি। বললাম সাইক্লোনের মতো যাবে আর টাইফুনের মতো আসবে। সাথে করে মামি আর ছোটবোনকেও নিয়ে আসবে। মনে হলো আমার তাড়া দেয়ার প্রয়োজন ছিলোনা। সে যেই সুনামির স্পিডে রওয়না দিয়েছে, পথে না আবার কোন এক্সিডেন্ট করে বসে।

কারো নাম কিংবা চেহারা ভুলে যাওয়া নিয়ে আমি এখন আর কিছু মনে করিনা। কিন্তু তার পরেও কিছু কিছু মুখ দেখলে মাথায় ঘুরতে থাকে কোথায় যেন দেখেছি? বার কয়েক আবিস্কার করেছি কোন না কোন ইউনিফর্মধারী সেবায় নিয়েজিত থাকেন জারা। আশ্চর্য হয়েছি কেবল ড্রেসকোড একজন মানুষের চালচলন, ব্যক্তিত্ব এমনকি কথা বলার ধরণও কেমন করে পালটে দেয়। আজো তার ব্যতিক্রম হলোনা। মাঝারি বয়েসি যে পরিবারটি ঘণ্টাখানেক পরে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো রিক্সা চালনা যার পেশা তাকে এখন আমার গ্রামে বসবাসকারি সেঝোমামার মতোই লাগছে। ছোট মেয়েটি মনে হয় বছর তিনের কাছাকাছি। আর মা কমবয়সী একটু লাজুক মনে হয় খুব বেশিদিন হয়নি গ্রাম থেকে শহরে স্বামীর সাথে সংসার করতে এসেছে।

ঝট করে হুমায়ূন আহমেদ এর গণ্ডাখানেক হিমু বইয়ের কথা মনে এসে গেলো। চাইতে আর না চাইতে ঘটনা সেই রকমই প্যাঁচ খেয়ে গেছে। ঝকঝকে হাসিখুশি পরিবারটি দেখে ভালো লাগা আর সেই সাথে কেমন একটা লাজুক খুশিও লাগছে। ইচ্ছে করছে নাটক যখন চিত্রায়িত হয়েই গেলো তাহলে বাকিটাও সারি। এদের সাথে ঢুকে যাই, দেখি কতো আনন্দ নিয়ে খায়। পিছিয়ে আসি। বিদায় নিয়ে আর হুমায়ূন স্যার এর রোগ মুক্তি কামনা করে এই সত্যি এক আনন্দের সময়টা তার নামে উৎসর্গ করি।

[২]
রিক্সা ভাড়া ২০টাকার বেশি হবার কথা নয়। কোন কোনদিন ফুচকা খেয়ে একটু এলে বেলে হাঁটতে হলে বনানী থেকে ওয়ারলেস গেইট পর্যন্ত রিক্সায় চলে আসা একটি বাঁধাধরা রুটিন। ২৫টাকা থেকে ২০টাকায় রাজী হয়েই যায় কিংবা না হলেও নেমে তাই দিলে তেমন কোন সমস্যা হয়নি কখনো। কিন্তু আজ একটানে ৩০টাকা, কেউ কেউ আবার ৩৫চেয়ে দিব্যি চুপ করে তাকিয়ে চলে যাচ্ছে। ঘটনা কি মামা? তোমাদের রিক্সায় কি আজ থেকে গ্যাসের মিটার লেগেছে?
জ্বী না। রাস্তায় মেলা গ্যঞ্জাম। ঐ পারায় যাইতে ম্যেলা টাইম লাগবো। পাত্তা দিলাম না। এমন গ্যাঞ্জাম প্রতিদিন থাকে। আর গ্যাঞ্জাম না থাকলে একটু অস্বস্তিও লাগে যে কোথাও কোন মারামারি হলো কিনা। মামা আইজকার কথা ভিন্ন। ক্যান মামা? আবার কি ইউনির পোলাপানের মারামারি নাকি?
নারে মামা, রিক্সাওয়ালার একটা দীর্ঘশ্বাস এসেও মিলিয়ে যায়। আচ্ছা ২৫টাকায় যাবা তো চলো নইলে.... চলেন মামা।

কিছুদূর আসতে না আসতেই বুঝলাম হ্যাঁ, আজকের গ্যাঞ্জাম ভিন্ন। আজ তথকথিত জ্যামের গ্যাঞ্জাম না। পুরো কড়াইল বস্তি আজ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু দূরে থোকা থোকা জটলা আর বাকী জায়গা জুড়ে কেমন এক শূন্য বাতাসের গুঞ্জন। আমি শুনেছিলাম আমাদের স্মৃতি কিংবা চালচিত্র কখনো ১০০% মৌলিক হয়না। কিছু বাস্তব চিত্র, কিছু উপলব্ধির তারতম্য, কিছু স্বপ্ন, কিছু কি দেখতে চাই আর কি দেখতে চাইনা এই সব কিছু মিলে মিশে এক একটি মুহুর্ত প্রবাহমান। এসবের কারসাজি আরো বেশি বেড়ে যায় যখনই আমরা বিশেষ কোন ঘটনার সামনে দাঁড়াই।

এক একটি জটলার পাশে বসে থাকা বয়স্ক বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সামনে তাদের পরিবারের যৎসামান্য আসবাব। দেখার ভুল কিনা জানিনা কিন্তু আমার চোখে পড়েছে যতটা না একটি বস্তির ভগ্নাংশ তার থেকেও বেশি কেমন এক শূন্যতার হাহাকার। যারা এলোপাতাড়ি হাঁকডাক করছে তাদের মনে হলো মাতব্বরদের কেউ এক একটি পরিবারকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে। চুঁইয়ে চুঁইয়ে বাতাসের সাথে যে অন্ধকার নেমে আসছে তার ছায়া কিংবা অনিশ্চিত এক রাত নেমে আসার ঘোলাটে চাহনি দুই মিলে আমার কাছে মনে হচ্ছিলো এ যেন অক্সিজেন বিহীন কোন পরিত্যাক্ত মৃত শহর।

ঝট করে মাথায় চলে এলো কিছুদিন আগে মেজবান খেতে যাওয়া পরিবারটি। আমার জানা নেই ওদের ঘরটি এই বস্তির ঠিক কোন জায়গাতে ছিলো। শুনলাম উচ্ছেদ অভিযানের সময় বুলডোজারের নীচে চাপা পড়েছে দুটি শিশু। সেই দুই হতভাগ্য শিশুদের মাঝে আমাদের দেখা সেই শিশুটিও কি আছে? নাইবা রইলো। শিশুদের কিংবা যে কোন মানুষের জীবনতো আসলে অবস্থানগত পার্থক্যেরই নাম। আজ আমার জায়গাতে এদের যে কেউ হতো আর আমি তাদের জায়গাতে হতাম তবে আমার হাহাকার আর তাদের এই দর্শকের ভূমিকায় থাকা হতো। একটি এক হাত ভাঙ্গা পুতুল ঝুলে আছে এখানে ওখানে ছিঁড়ে যাওয়া আচ্ছাদনের একটি বেবিখাটে। কোন এককালে এর যে জৌলুস ই ছিলো আজ কেমন ছেঁড়া ঘুড়ির কঞ্চির মতো অবয়ব। পাশে বসে আছে আঁচলের খূট দাঁতে চেপে মাটিতে লুটিয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধা। তার চেহারায় বয়সের আঁকিবুকি যেন টেরাকোটার আগুনে ঝলসানো রেখাচিত্র। এমন রেখাচিত্র যদি কোন শিল্পী আঁকতে পারতেন তবে তাঁর কপাল খুলে যেত নির্ঘাৎ। এসব কি ভাবছিলাম আর এলোমেলো হাঁটছিলাম নিজের কাছেও এখন ঝাপসা লাগছে।

চৌকমতো দুই চাকার গাড়ি, যার উনুনের ধোঁয়ায় ভুঁড়ি আর পরটা ভাজার গন্ধে প্রতিদিন সন্ধ্যার কেরসিন বাতি জলতো আর সে যেন কেমন ময়লাটে ভেড়ার লেংচে চলা ছানার মতোই আজ।

যতদূর সুনেছিলাম আরো আগে একবার আংশিক উচ্ছেদ অভিজান চলেছিলো। আমার এক আত্বিয় তখন আইসিডিডিআরবি থেকে ব্রেক সেণ্টারে আসা প্রসুতি মাতাদের উপরে একটি থিসিস পেপার করছিলো। তার বরাতে জানতে পেরেছিলাম এই কড়াইল বস্তির অনেকগুলো ঘরের টুকরো কাহিনি। উঠে এসেছিলো মাদক, যৌন কর্মী, সন্তান বিক্রির মতো আরো অনেক ঘটনা। কি করে উপতলাদের চাহিদা মিটানোর প্রয়োজন থেকে ছত্রছায়া গুলো গড়ে উঠে, আর ক্ষমতার কারসাজিতে তার ব্যবহার চলে। এর পরে অনেকদিন আর তার সাথে তেমন যোগাযোগ না থাকায় ভুলে গিয়েছিলাম। পুনর্বাসনের আদেশ দিয়ে একটি স্টেঅর্ডারও হয়েছিলো তখন। বুঝাই যাচ্ছে অত পুনর্বাসনের জন্য সময় ছিলোনা প্রয়োজন মাফিক সময় দিতে।

[৩]
ছুটির দিনের আগের দিনটা কিছু দেরি করে বাড়ি ফিরতে ক্লান্তি লাগেনা। আজও তেমনি ফিরছিলাম দেখলাম ঠিক বাসায় ঢুকবার গলির মুখের কদম গাছটাতে অনেক কদমের উঁকিঝুকি। আমাকে অবাক করে দিয়ে তার মাঝে দেখি একটি কদম ইচড়ে পাকা হয়ে এরি মাঝে বুড়োর দাড়িগোঁফে একেবারে পূর্নাঙ্গ তুষারশুভ্র সাদা রোয়ায় আসীন। বাতাসের দোলে তার সেকি বুঝদারি মাথার মৃদু ঝাঁকাঝাঁকি। এ বছরে এটাই আমার প্রথম কদমফুল দর্শন। ভাবলাম আজ দেরি হয়ে গেছে, আগামীকাল এসে এর ছবি তুলে নিয়ে যাবো। সকাল হতেই চারধার আঁধার করে নেমে এলো তুমুল বৃষ্টি। সারাদিন এদিক ওদিক আলসেমিতে বিকেলে বেরুলাম ছবিটা তুলে আনতে।

খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
আরে রাস্তা থেকে প্রথম ডালের পরের কিংবা তার পরের ডালেইতো ছিলো। আগে পিছে গিয়ে এর পরে উচু ঢিবির উপরে উঠেও খুঁজলাম। যাকে পেলাম সে তখন আর গতকালের গর্বিত সেই ইচড়ে পাকা দোদুল্যমান নেই আমার প্রথম দেখা কদমটি নেই। তুমুল ঝড়ে ঝরে গিয়েছে তার সাদা কেশরগুলোও। কুসুম হলুদের মাঝে বাতাসের চাবুক লেগে শতেক কালচিটে পড়া দাগ। এবড়ো থেব্‌ড়ো চৌচির এই বিগত মৃতপ্রায় ফুলটির সামনে দাঁড়িয়ে মনে পড়েগেলো - শিশুটির নাম জানা হয়নি। বাবা কিংবা মা আজ সকালে কত না কষ্ট চেপে হাহাকার করেছে। খোলা আকাশের নিচে প্রকৃতির রুদ্ররূপ যখন; আমাদের ছাদে আর দেয়ালের আড়ালে নিশ্চিত আশ্রয়ে তখন অনেকের টেবিলেই খিচুড়ি ইলিশ ভাজা আর মাংসের ঝোল উঠে এসেছে।

ভাবীর ফোন বেজে যেতে থাকে। সচরাচর দুপুরে খাওয়া হয়না বাসায়। আজ একে বাসায় আছি তার উপরে এমন সুন্দর বৃষ্টিতে .........
সব এলোমেলো লাগে____

শিশুটির নাম জানিনা, এমন কোটি শিশু আছে। ওদের আলাদা নাম হয়না। বয়োবৃদ্ধরা যেমন বাবা মা বলে কিংবা আপন পর বলে আর আলাদা কোন বাছ বিচার থাকেনা।

হাহাকার করা এইসব টুকরো চিত্রগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে মস্তিষ্কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সেই সাথে বৃষ্টি ছেঁকে ধরে মাথা শরীর আর পায়ের প্রতিটি পদক্ষেপে।


মন্তব্য

আফরোজা এর ছবি

লেখকের লেখার ভাষা খুবই সুন্দর। প্রকৃ্তির বর্ণনা খুব সহযেই মন কেড়ে নেয়। আরো লিখতে থাকুন।

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

কৃতজ্ঞতা।
অনেক ভালো থাকুন।

tarun এর ছবি

নিঃশব্দ ভালোলাগা, নিষ্পলক ভালোলাগা...

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

কৃতজ্ঞতা।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

মন ছুঁয়ে যাওয়া একরাশ কষ্ট - - -

লেখায় চলুক

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

বোবা কষ্ট!!!!

তারেক অণু এর ছবি

এমন কোটি শিশু আছে। ওদের আলাদা নাম হয়না।
এই বাক্যটি দুর্দান্ত। লিখতে থাকুন হাত খুলে---

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

সার্বজনীন মানবিকতা বোধ -

অনেক ভালো থাকুন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রখর-রোদ্দুর বৃষ্টিকে ভালোবাসবে না, সে তো জানা কথা। কিন্তু আপনার এই লেখাটিকে ভালো না বেসে পারলাম না। জীবনের অনেকগুলো উল্টোদিক আমাদের কখনো দেখা হয় না। ব্লগের সবচেয়ে উপকারি ব্যাপার হলো সেরকম না উল্টানো কিছু ব্যাপার এখানে চলে আসে। এই লেখায় কিছুটা এসেছে। তবে লেখাটা আরেকটু গোছানো হতে পারতো শেষার্ধে, তাই না?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাবেকা এর ছবি

লেখাটা খুব ছুঁয়ে গেল । শুধু আরেকটু গুছিয়ে লিখলে কিছু কিছু জায়গা বুঝতে সুবিধা
হত । আরো লিখুন ।

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

@নীড় সন্ধানী @ সাবেকা
মনে হয় এখনো এলো মেলো ভাবটা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। অফিস শেষ করে খুব একটা সময় পাইনা। তাও একটু আধটু বেরিয়ে খোজ খবরের চেষ্টা করেছিলাম। সেও যা অভিজ্ঞতা হলো----

চারিদিকে কেবল বিভ্রান্তির ধূম্রজাল। সত্য বড্ড ক্লান্তি আর নিজেকে বোকা বোকা লাগে এই সব সময়ে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভালো লাগলো। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ক্যাপ্টেন নিমো এর ছবি

দুর্দান্ত লিখেছেন। লিখতে থাকুন আরো

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

শিশুটির নাম জানিনা, এমন কোটি শিশু আছে। ওদের আলাদা নাম হয়না। বয়োবৃদ্ধরা যেমন বাবা মা বলে কিংবা আপন পর বলে আর আলাদা কোন বাছ বিচার থাকেনা।

ভাবলেই মাথা ঝিমঝিমিয়ে উঠে কেবল
তবুও মাথা থেকে বেরুয় না

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।